নির্বাচনে হস্তক্ষেপের হাতিয়ার হওয়ার অভিযোগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের বিরুদ্ধে সমালোচনার অন্ত নেই। তাই ইন্দোনেশিয়ার আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক বিজ্ঞাপন নিষিদ্ধ করেছে ফেসবুক।
নির্বাচনে হস্তক্ষেপ ঠেকাতে ফেসবুকের যথেষ্ট ব্যবস্থা নেই বলে সমালোচনা করে আসছে যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেনসহ ইউরোপীয় রাষ্ট্রগুলোর জোট ইইউ। তাই দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার বাইরে থেকে রাজনৈতিক ব্যক্তি, দল ও ভোটারদের চাপ প্রয়োগ চেষ্টাকে উৎসাহিত করে এমন সকল বিজ্ঞাপন নিষিদ্ধ করা হয়েছে বলে ফেসবুক এক বিবৃতিতে জানিয়েছে।
ফেসবুক তাদের বিবৃতিতে জানায়, আমাদের মাধ্যমকে ব্যবহার করে নির্বাচনে হস্তক্ষেপ করা কঠিন করতে ও ভোটারদের বৈধ প্রচারণার বিষয়টি বিবেচনায় রেখে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। নতুন এই পদক্ষেপটি মঙ্গলবার থেকেই কার্যকর হয়েছে।
আগামী ২৩ মে থেকে ২৬ মে ইউরোপিয়ান পার্লামেন্টের আসন্ন নির্বাচনকে সামনে রেখে ফেসবুকের কড়া সমালোচনায় মুখর হয়েছে ইইউ। তারা বলছে, নির্বাচনে হস্তক্ষেপ রোধে ও অবৈধ বিজ্ঞাপন নিষিদ্ধে পর্যাপ্ত পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হয়েছে ফেসবুক। ওই নির্বাচনকে সামনে রেখে বেশ কিছু নীতিমালার ওপরও গুরুত্বারোপ করেছে ইইউ।
ইইউ’র সমালোচনার জবাবে নতুন কিছু নীতি ও উপকরণের ব্যবস্থার কথা বলেছে ফেসবুক। এখন থেকে যারা রাজনৈতিক বিজ্ঞাপন দিবে তাদের বেশ কিছু নীতিমালা অনুসরণ করতে হবে। এবং ইন্দোনেশিয়ার আগামী মাসের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন সংক্রান্ত বিজ্ঞাপনগুলো স্বয়ংক্রিয় ও মানবিক প্রচেষ্টার মাধ্যমে পর্যবেক্ষণ করার ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন
এ