২০ জানুয়ারি (শুক্রবার) আগারগাঁওয়ে নবনির্মিত ‘নির্বাচন ভবনে’ স্থানান্তর হচ্ছে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়।
সচিবালয় স্থানান্তরের বিষয়টি আরটিভি অনলাইনকে নিশ্চিত করেন নির্বাচন কমিশনের পরিচালক (জনসংযোগ) আসাদুজ্জামান আরজু।
তিনি বলেন, এতোদিন জাতীয় অর্থনীতি পরিষদের সরকারি ভবনে ছিল নির্বাচন কমিশন। শুক্রবারই সেটি ইসলামিক ফাউন্ডেশনের পাশের নতুন ভবনে যাচ্ছে। নতুন নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের পর নতুন ভাবনেই কাজ করবেন।
তিনি বলেন, আজই পরিকল্পনা কমিশনে নির্বাচন কমিশনের শেষ অফিস। ২২ জানুয়ারি থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে নতুন ভবনে অফিস শুরু হবে।
আসছে ৯ ফেব্রুয়ারি কাজী রকিবউদ্দীন আহমদের নেতৃত্বাধীন বর্তমান নির্বাচন কমিশনের মেয়াদ শেষ হচ্ছে। তার আগেই নতুন ভবনে যাবার পরিকল্পনা ছিল বর্তমান কমিশনের। ২০১১ সালে এটিএম শামসুল হুদা নেতৃত্বাধীন কমিশনের সময়ে নতুন ভবন তৈরির কাজ শুরু হয়। চলতি বছরের জুনে এই ভবন নির্মাণ সম্পন্ন হবার কথা ছিল। কিন্তু ছয় মাস আগেই নির্মাণ কাজ শেষ হয়।
১৯৭১ সালে মে মাসে প্রভিনশিয়াল ইলেকশন কমিশনের অফিসে বোমা হামলায় একজন নৈশ প্রহরী মারা যান। এরপর জুনে সচিবালয়ে স্থানান্তর হয়। পরবর্তীতে ১৯৭৩ সালের শেষের দিকে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের অফিস পরিকল্পনা কমিশনের ৫ ও ৬ নম্বর ব্লকে স্থানান্তরিত হয়।
২০১১ থেকে ২০১৭ সালের জুন মেয়াদে কন্ট্রাকশন অব ইলেকশন রিসোর্সেস সেন্টার (ইআরসি) প্রকল্পের আওতায় ভবন নির্মাণে ব্যয় হয় ২শ’ ১৩ কোটি টাকা। প্রকল্পের আওতায় দু’টি বেইজমেন্ট ও ১২তলা বিশিষ্ট ১.২২ লাখ বর্গফুট আয়তনের ইটিআই ভবন এবং দুটি বেইজমেন্ট ও ১১তলা বিশিষ্ট ২.৫৮ লাখ বর্গফুট আয়তনের নির্বাচন ভবন নির্মাণ করা হয়। ভবনের নকশা, স্ট্রাকচারাল ও আর্কিটেকচারাল ডিজাইন, নির্মাণ এবং সুপারভিশন করেছেন দেশিয় প্রকৌশলীরা।
এইচটি/জেএইচ
