গরিলার ছানি অপারেশন করলেন একদল মার্কিন চিকিৎসক
ছানি অপারেশনে অভিনব রেকর্ড গড়লেন ক্যালিফোর্নিয়ার এক দল চিকিৎসক। সম্প্রতি সান দিয়াগো চিড়িয়াখানার তিন বছরের এক গরিলার ছানি অপারেশন করেছেন তারা।
সান দিয়াগো চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ সম্প্রতি জানিয়েছেন, গত ১০ ডিসেম্বর তিন বছরের নারী গরিলা লেসলির বাঁ-চোখের ছানি অপারেশন করা হয়। চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষের ভেটেরিনারি চিকিৎসকদের সহায়তাতে হয়েছে এই অপারেশন।
গরিলার অপারেশন করা চক্ষু বিশেষজ্ঞ ক্রিশ হেইচেল এ ব্যাপারে বলেছেন, হাজারেরও বেশি মানুষের অপারেশন করেছি আমি। কিন্তু গরিলার ছানি অপারেশন এই প্রথম।
তিনি আরও জানিয়েছেন, গরিলার সঙ্গে মানুষের গঠনগত অনেক সাদৃশ্য রয়েছে। তাই এই অপারেশন করতে গিয়ে তেমন অসুবিধা হয়নি তাদের।
জানা গেছে, ছানি অপারেশন পর এখন সুস্থ রয়েছে লেসলি। অপারেশন করে তার চোখে কৃত্রিম লেন্স লাগানো হয়েছে।
এ
মন্তব্য করুন
ঘূর্ণিঝড় ‘ডানা’ নিয়ে সবশেষ যে তথ্য জানাল আইএমডি
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হওয়া গভীর নিম্নচাপটি বুধবার রাতেই ঘূর্ণিঝড় ‘ডানা’য় রূপ নেয়। বর্তমানে এটি পশ্চিম-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর ও ঘণীভূত হয়ে একই এলাকায় অবস্থান করছে। ঘূর্ণিঝড়টি বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) ভোরে তীব্র ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে বলে জানিয়েছে ভারতের আবহাওয়া বিভাগ (আইএমডি)।
বুধবার (২৩ অক্টোবর) ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম আনন্দবাজার পত্রিকা জানায়, ঘূর্ণিঝড় ‘ডানা’ ২৪ অক্টোবর রাত থেকে ২৫ অক্টোবরের সকালের মধ্যে শক্তি বাড়িয়ে প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। ওই সময় বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ১২০ কিলোমিটার পর্যন্ত উঠতে পারে।
ভারতীয় আবহাওয়া দপ্তর আরও জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ওড়িশা ও আশপাশের অঞ্চলে বৃষ্টিপাত হচ্ছে। বৃহস্পতিবার রাত থেকে শুক্রবার ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভাবনা আছে।
এদিকে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ঢাকাসহ দেশের উপকূলীয় বিভিন্ন এলাকায় বৃষ্টি হচ্ছে। রাতে বৃষ্টির প্রবণতা আরও বাড়তে পারে।
আবহাওয়াবিদ আবদুর রহমান বলেন, ঘূর্ণিঝড়টি ভারতের ওডিশা বা পশ্চিমবঙ্গের উপকূলের দিকে যেতে পারে। এর গতিপথ পরিবর্তন হতে পারে। তবে এর প্রভাবে খুলনা ও বরিশাল উপকূলে ঝোড়ো হাওয়া ও বৃষ্টি হতে পারে।
ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে দেশের সমুদ্র বন্দরগুলোকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ঘণ্টায় ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর খুবই উত্তাল রয়েছে।
এ অবস্থায় উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে দ্রুত নিরাপদে যেতে বলা হয়েছে।
আরটিভি/আরএ/এমএ
নীলনদ উপত্যকায় মিললো সাড়ে তিন হাজার বছর আগের কুকুর
মিশরের পিরামিড, মমি, স্ফিংস, ফেরাউন এইসব এখনও পৃথিবীর অন্যতম রহস্যময় বিষয়। রহস্যঘেরা এগুলো নিয়ে আছে নানা মিথ নানা কাহিনী। সারা বিশ্বের মিশরবীদদের (ইজিপ্টোলজিষ্ট) কাছে মিশর এখনো এক রহস্য মোড়া, কুয়াশাঢাকা অধ্যায়। ইতিহাসবিদরা মিশর এর নাম শুনলে রোমাঞ্চিত অনুভব করেন।
ইতিহাসের পূর্বেও নাকি ইতিহাস আছে, এইতো গত সপ্তাহে গিজার দ্য গ্রেট পিরামিডের চূড়ায় পাখি দাওয়া করা কুকুরটিকে নিয়ে যখন বিশ্ব জুড়ে আলোচনা সমালোচনার ঝড় ঠিক তখনই নীলনদ উপত্যকা কিংস ব্যালির এক কবরে পাওয়া গেল ৩৫০০ বছরের পুরনো একটি কুকুরের মমি।
লোক্সরের কিংস ব্যালির কেভি-ফিফটি কবরে পাওয়া কুকুরের মমিটি ফেরাউন আমেনহোটেপ II এর পোষা কুকুর বলেই অনেকের বিশ্বাস। যিনি ১৪০১ থেকে ১৪২৭ খ্রিস্টপূর্বাব্দ পর্যন্ত মিশর রাজত্ব করেছিলেন।
কুকুরটিকে তার গলার মালা, এক বাটি জল এবং ১টি সুগন্ধির বোতলসহ সমাধিস্থ করা হয়েছিল তারই প্রভু ফারাও আমেনহোটেপ II এর সমাধিতেই।
দিল্লিতে কোথায় আছেন শেখ হাসিনা, জানাল ভারতীয় গণমাধ্যম
ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট ভারতে পালিয়ে যান শেখ হাসিনা। এরপর থেকে তাকে এক মুহূর্তের জন্যও প্রকাশ্যে দেখা যায়নি। বিভিন্ন সময় গুঞ্জন ওঠে তিনি ভারত ছেড়ে অন্য দেশে পাড়ি দিচ্ছেন। তবে শেখ হাসিনা যে ভারতেই আছেন সেটি নিশ্চিত করলেও তার অবস্থান সম্পর্কে নির্দিষ্ট কোনো তথ্য দেয়নি মোদি সরকার। অবশেষে ভারতীয় গণমাধ্যম ‘দ্য প্রিন্ট’ শেখ হাসিনার অবস্থান নিশ্চিত করে সংবাদ প্রকাশ করেছে।
বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য প্রিন্টের এক প্রতিবেদনে জানায়, বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত দুই মাস ধরে নয়াদিল্লির লুটিয়েনস বাংলো জোনের একটি সেইফ হাউসে বসবাস করছেন।
সংবাদমাধ্যমটি আরও জানায়, লুটিয়েন্স বাংলো এলাকাটিতে ভারতের মন্ত্রী, সিনিয়র এমপি ও শীর্ষ কর্মকর্তাদের জন্য বরাদ্দকৃত বাড়ির মতো একটিতে শেখ হাসিনাকে থাকতে দেওয়া হয়েছে। তিনি প্রোটোকলসহ মাঝে মাঝে দিল্লির লোধি গার্ডেনে হাঁটাহাঁটি করেন। তার জন্য কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা রয়েছে।
পলাতক হাসিনার গোপনীয়তা ও নিরাপত্তার রক্ষার স্বার্থে দ্য প্রিন্ট বাড়িটির প্রকৃত ঠিকানা বা রাস্তার বিবরণ প্রকাশ করেনি।
এদিকে, জুলাই-আগস্টে গণহত্যার দায়ে শেখ হাসিনাসহ ৪৫ জনের বিরুদ্ধে গত সপ্তাহে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। ১৮ নভেম্বরের মধ্যে শেখ হাসিনাকে গ্রেপ্তার করে হাজিরের নির্দেশও দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।
উল্লেখ্য, ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট একটি বিমানে করে ভারতের উত্তর প্রদেশের গাজিয়াবাদের হিন্দন বিমান ঘাঁটিতে পৌঁছান শেখ হাসিনা ও তার কয়েকজন ঘনিষ্ঠ। বিমান ঘাঁটিতে পৌঁছানোর পরপরই ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল ও দেশটির উচ্চপদস্থ সামরিক কর্মকর্তারা তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এর দুদিন পর তাকে হিন্দন বিমান ঘাঁটি থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়।
আরটিভি/আরএ/এসএ
হাতে আইফোন ১৬ দেখলেই ধরিয়ে দেওয়ার অনুরোধ
বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি পূরণ না করায় আইফোন ১৬ ও অ্যাপলের নতুন সকল পণ্য আনুষ্ঠানিকভাবে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে ইন্দোনেশিয়া সরকার।
সোমবার (২৮ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে ইকোনোমিক টাইমস।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইন্দোনেশিয়ার আইনে দেশটিতে যেকোনো ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের মোট ক্রয় বাজেটের ৪০ শতাংশ স্থানীয় পণ্য বা সেবায় ব্যয় করতে হবে। সেই হিসেবে দেশটিতে মোট ১০৯ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল অ্যাপল। একই সঙ্গে ইন্দোনেশিয়ায় অ্যাপল একাডেমি নামে একটি গবেষণা প্রতিষ্ঠান করারও প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল বহুজাতিক কোম্পানিটি। তবে সেই শর্ত পূরণে ব্যর্থ হয়েছে অ্যাপল।
ইন্দোনেশিয়া সরকার বলছে, অ্যাপল মাত্র ৯৫ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করেছে। ফলে কোম্পানিটির পণ্যের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে সরকার।
আইফোন ১৬, অ্যাপল ওয়াচ সিরিজ ১০-এর মতো এই কোম্পানির সকল নতুন পণ্যকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
ইকোনোমিক টাইমস জানিয়েছে, ইন্দোনেশিয়ার শিল্প মন্ত্রণালয় থেকে আইফোনের ইএমইআই সার্টিফিকেট আটকে দেওয়া হয়েছে। ফলে কেউ নতুন আইফোন ব্যবহার করতে পারবে না। কারো হাতে আইফোন ১৬ দেখা গেলে সেটা কর্তৃপক্ষকে জানানোর অনুরোধ করা হয়েছে। যদিও এরই মধ্যে প্রায় ৯ হাজার আইফোন ১৬ ইন্দোনেশিয়ায় প্রবেশ করেছে।
আরটিভি/এসএপি
ছাত্রলীগ নিষিদ্ধ ও ২৫২ এসআই বহিষ্কার প্রসঙ্গে যা বললো যুক্তরাষ্ট্র
বাংলাদেশের জনগণের মত প্রকাশ ও সমাবেশের স্বাধীনতার মতো মৌলিক স্বাধীনতা চর্চায় বিশ্বাস করে যুক্তরাষ্ট্র। ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের প্রজ্ঞাপন জারির প্রসঙ্গে করা এক প্রশ্নে এমনই জবাব দেন মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার।
স্থানীয় সময় সোমবার (২৮ অক্টোবর) নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের এ পদক্ষেপের পাশাপাশি সম্প্রতি ২৫২ জন ক্যাডেট এসআইকে বহিষ্কারের বিষয়েও প্রতিক্রিয়া জানতে চাওয়া হয় ম্যাথিউ মিলারের কাছে।
সংবাদ সম্মেলনে এক সাংবাদিক প্রশ্ন রাখেন, বাংলাদেশে সন্ত্রাসবিরোধী আইন ব্যবহার করে ছাত্রলীগ ও ছাত্রলীগের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার সম্প্রতি এই সংগঠনকে নিষিদ্ধ করেছে। বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক স্বাধীনতা ও রাজনৈতিক মত প্রকাশের ওপর এমন নিষেধাজ্ঞার প্রভাবকে যুক্তরাষ্ট্র কীভাবে দেখে? বাংলাদেশে ন্যায্য রাজনৈতিক প্রক্রিয়া ও নাগরিক স্বাধীনতাকে সমর্থন করার জন্য কী পদক্ষেপ নেবে যুক্তরাষ্ট্র?
এর জবাবে ম্যাথিউ মিলার বলেন, আমরা বাংলাদেশের জনগণের মত প্রকাশ, সমাবেশের স্বাধীনতার মতো মৌলিক স্বাধীনতা চর্চায় বিশ্বাস করি। বাংলাদেশে ক্ষমতাসীন দল যেই থাকুক না কেন, আমাদের বিশ্বাস এটিই এবং আমরা এই মঞ্চ থেকে তা বহুবার স্পষ্ট করেছি।
এরপর মিলারের সামনে প্রশ্ন রাখা হয়, বাংলাদেশে ২৫২ জন ট্রেইনি পুলিশ সাব-ইন্সপেক্টরকে (এসআই) চূড়ান্ত নিয়োগ থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে। অভিযোগ রয়েছে, তাদের মধ্যে যত হিন্দু ট্রেইনি এসআই ছিলেন, তাদের সবাইকে বাদ দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় ধর্মীয় বৈষম্যের বিষয়ে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের কোনো প্রতিক্রিয়া আছে কি না।
জবাবে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র বলেন, আমি এই বিষয়ক প্রতিবেদনটি দেখিনি। তবে, আমরা বাংলাদেশে বা বিশ্বের যে কোনো জায়গায় যে কোনো ধর্মীয় বৈষম্যের বিরোধিতা করবো।
তাকে আবারও প্রশ্ন করা হয়, স্টেট ডিপার্টমেন্ট কীভাবে বাংলাদেশের সরকারি চাকরিতে অন্তর্ভুক্তিমূলক ও বৈষম্যহীন নিয়োগের অনুশীলন সমর্থন করার জন্য বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কাজ করছে?
মিলার বলেন, এ প্রসঙ্গে আমি আগে যা বলেছি, তার সঙ্গে যুক্ত করার জন্য নতুন কিছু নেই।
এ ধরনের ঘটনা যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ সম্পর্ককে প্রভাবিত করবে কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র প্রশ্নকর্তাকে বলেন, আপনি আমাকে এমন একটি প্রতিবেদন সম্পর্কে অনুমানমূলক উত্তর দিতে বলছেন, যা আমি দেখিনি। আমি এমনটা করতে অস্বীকৃতি জানাচ্ছি।
এরপর প্রশ্নকারী জানতে চান, চলতি মাসের শেষ সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্র সফরে আসেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব। তিনি ডেপুটি সেক্রেটারি ভার্মা, আন্ডার সেক্রেটারি জন বাস ও অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি ডোনাল্ড লু ছাড়াও এনএসসি ও গ্লোবাল অ্যান্টি-করাপশন কমিশনের প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময় করেছিলেন। এই গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক ও বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র তার সম্পর্ক কীভাবে পুনর্মূল্যায়ন করছে, সে সম্পর্কে আপনার কাছে কি কোনো তথ্য আছে?
মিলার জবাব দেন, এ বিষয়ে আমার কিছু বলার নেই।
আরটিভি/এসএইচএম
বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে কড়া সমালোচনা ট্রাম্পের
বাংলাদেশে হিন্দু, খ্রিষ্টান ও অন্যান্য সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা ও সহিংসতা চলছে উল্লেখ করে তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প। এমনকি বর্তমানে বাংলাদেশে পুরোপুরি বিশৃঙ্খল এক পরিস্থিতি বিরাজ করছে বলেও উল্লেখ করেছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) এক্সে (সাবেক টুইটার) দেওয়া এক পোস্টে এসব কথা বলেছেন সাবেক এ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ও রিপাবলিকান পার্টির নেতা।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আর মাত্র চারদিন বাকি থাকতে দেওয়া এ পোস্টে ডোনাল্ড ট্রাম্প লিখেছেন, ‘আমি বাংলাদেশে হিন্দু, খ্রিষ্টান ও অন্যান্য সংখ্যালঘুদের ওপর বর্বরোচিত সহিংসতার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। দেশটিতে দলবদ্ধভাবে তাদের ওপর হামলা ও লুটপাট চালানো হচ্ছে। বাংলাদেশ এখন পুরোপুরিভাবে একটি বিশৃঙ্খল অবস্থার মধ্যে রয়েছে।’
তিনি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন এমনটা কখনো হয়নি উল্লেখ করে ট্রাম্প লিখেছেন, ‘কমলা এবং জো (প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন) বিশ্বজুড়ে ও আমেরিকায় হিন্দুদের উপেক্ষা করে আসছে। ইসরায়েল থেকে ইউক্রেন এবং সেখান থেকে আমাদের দক্ষিণাঞ্চলীয় সীমান্ত পর্যন্ত এলাকার জন্য তারা একটি বিপর্যয় হয়ে এসেছেন। সেখানে আমরা আবার আমেরিকাকে শক্তিশালী করব এবং সেই শক্তি দিয়ে আবার শান্তি ফিরিয়ে আনব!’
যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত হিন্দুদের সুরক্ষার প্রতিশ্রুতি দিয়ে মার্কিন রিপাবলিকান পার্টির এ নেতা লিখেছেন, ‘আমরা আপনাদের স্বাধীনতার জন্য লড়াই করব। আমার প্রশাসন এলে আমরা ভারত ও আমার ভালো বন্ধু প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে আমাদের বৃহত্তর অংশীদারত্ব আরও জোরদার করব।’
এরপর প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী কমলা হ্যারিসের সমালোচনা করে ট্রাম্প আরও লিখেন, ‘কমলা হ্যারিস আরও বিধি–নিষেধ আরোপ করে এবং কর বাড়িয়ে আপনাদের ক্ষুদ্র ব্যবসা ধ্বংস করে দেবেন। পক্ষান্তরে আমি কর ও বিধি–নিষেধ কমিয়ে এবং আমেরিকার শক্তির বিকাশ ঘটিয়ে ইতিহাসের সবচেয়ে শক্তিশালী অর্থনীতি তৈরি করি। আমরা আবার সেটা করব। তা হবে আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বড় ও ভালো। এবং আমরা আবার আমেরিকাকে মহান করে তুলব।’
সবশেষে সবাইকে দীপবলীর শুভেচ্ছা জানিয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্প লিখেন, ‘আমি আশা করি, আলোর এ উৎসব খারাপকে হটিয়ে শুভ–এর বিজয় নিয়ে আসবে।’
আরটিভি/এসএইচএম
আরও একবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট হবেন ট্রাম্প, নাকি কমলা গড়বেন ইতিহাস?
আর মাত্র তিনদিন বাদেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। এখন পর্যন্ত প্রাপ্ত পোল রিপোর্ট অনুযায়ী একে অপরের ঘাড়ে নিশ্বাস ফেলছেন সাবেক প্রেসিডেন্ট ও রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ডেমোক্রেট প্রার্থী কমলা হ্যারিস। জনপ্রিয়তার বিচারে পরিষ্কারভাবে এগিয়ে রাখা যাচ্ছে না কাউকেই। একদিকে আরেকবার যুক্তরাষ্ট্রের ভাগ্য নির্ধারক হওয়ার জন্য মুখিয়ে আছেন ট্রাম্প, অন্যদিকে কমলার সামনে প্রথম মার্কিন নারী প্রেসিডেন্ট হয়ে ইতিহাস গড়ার হাতছানি। তবে, যিনিই নির্বাচিত হোন না কেন, তার ওপর শুধু মার্কিনীদেরই নয়, নির্ভর করছে গোটা বিশ্বের রাজনীতি, নিরাপত্তা ও অর্থনীতির ভাগ্য। কারণ, এই একটি নির্বাচনের বিস্তর প্রভাব পড়ে বিশ্বজুড়ে।
বিশেষ করে যখন মার্কিন মদদপুষ্ট ইসরায়েলের আগ্রাসনে মধ্যপ্রাচ্য জুড়ে বিরাজ করছে অস্থিরতা, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ ঘিরে অস্থিরতার দ্বারপ্রান্তে ইউরোপ এবং চীন-তাইওয়ান সংঘাত, বাংলাদেশের পরিবর্তিত পরিস্থিতি, রোহিঙ্গা সংকটসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক অস্থিরতা মোকাবিলায় ব্যস্ত এশিয়া, তখন এবারের মার্কিন নির্বাচনকে দেখা হচ্ছে গুরুত্বপূর্ণ টার্নিং পয়েন্ট হিসেবে।
যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনের ফলাফল আফ্রিকার জন্যও গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচিত। বাইডেন প্রশাসন দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে সম্পর্ক গভীর করতে চায়, তবে দেশটির সঙ্গে রাশিয়ার সহযোগিতা যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থের জন্য হুমকি বলে মনে করেন অনেকে। কানাডা ও মেক্সিকোর ওপরও প্রভাব ফেলে যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনের ফল।
ট্রাম্প নির্বাচিত হলে মার্কিন প্রশাসনের এই নীতি অনেকটাই বদলে যেতে পারে। কানাডা সঙ্গে কঠোর নীতি গ্রহণের সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে করেন অনেক বিশ্লেষক। অবৈধ অভিবাসী ইস্যুতে মেক্সিকোর ওপর তীব্র চাপ সৃষ্টি করা হবে বলেও ধারণা করা হয়।
এদিকে বর্তমানে চীনে বেড়ে চলেছে অর্থনৈতিক সংকট। বেকারত্ব বৃদ্ধির পাশাপাশি হ্রাস পাচ্ছে বিদেশি বিনিয়োগ। এটাকে দেখা হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতিকে শক্তিশালী করার জন্য এক বড় সুযোগ হিসেবে। অন্যদিকে আবার জাপানের সঙ্গে নিরাপত্তা জোট শক্তিশালী করছে মার্কিন সরকার। দক্ষিণ কোরিয়ার নিরাপত্তার জন্য প্রতি বছর বিশাল অঙ্কের অর্থ ব্যয় করে থাকে যুক্তরাষ্ট্র। এই চাপ কমানোর জন্য ট্রাম্প নির্বাচিত হলে দক্ষিণ কোরিয়াকে প্রতিরক্ষা খরচ বাড়ানোর চাপ দেবেন বলে মনে করা হচ্ছে। অন্যদিকে সামরিক সহযোগিতা জোরদার করতে পারেন কমলা। তবে দুজনেই উত্তর কোরিয়ার পরমাণু হুমকি মোকাবিলায় সতর্কতার প্রতি গুরুত্ব দেবেন, এটা নিশ্চিত।
ট্রাম্প বিজয়ী হলে ইউরোপের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কে টানাপোড়েন শুরু হতে পারে বলে ধারণা আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষকদের। থাকবে বাণিজ্য যুদ্ধের আশঙ্কাও। কিন্তু কমলা হ্যারিস চাইবেন সম্পর্ক উন্নত করতে। বিশেষ করে ন্যাটোতে মার্কিন তৎপরতা কমলে পুরো ইউরোপই নিরাপত্তা সংকটে পড়বে বলে মনে করে ডেমোক্র্যাটিক শিবির।
অন্যদিকে নির্বাচনের ফলাফল ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধে রাশিয়ার অবস্থানকে প্রভাবিত করবে বহুলাংশে। কমলা হ্যারিস ইউক্রেনের প্রতি নিশ্চিতভাবেই সমর্থন বাড়াবেন, তবে ট্রাম্পের নীতি কী হবে তা অনিশ্চিত। যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কও নির্বাচনের ফলাফলের ওপর নির্ভর করছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের পর গাজা যুদ্ধ ও মধ্যপ্রাচ্যের নীতিতে বড় ধরনের পরিবর্তন আসতে পারে। ইরানকে নিয়ে ট্রাম্প ও কমলার দৃষ্টিভঙ্গি স্পষ্টতই আলাদা। যদিও মধ্যপ্রাচ্যের নেতারা মনে করেন, মার্কিন নেতৃত্বে যিনিই আসুন, তাকে মোকাবিলা করতে প্রস্তুত মুসলিম বিশ্ব। এ নিয়ে কিছুটা দুশ্চিন্তায় পড়তে হতে পারে নতুন প্রেসিডেন্টকে।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্র-ভারত সম্পর্ক গত চার বছরে অনেকটা দৃঢ় হয়েছে বটে, তবে সমঝোতার ক্ষেত্রগুলোতে যুক্তরাষ্ট্রের দিক থেকে অগ্রগতির পরিমাণ আশানুরূপ নয়। নতুন প্রশাসনকে এই দিকে মনোযোগ দিতে হবে, সেইসঙ্গে সামরিক সহযোগিতা বাড়ানোরও উদ্যোগ নিতে হবে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। দক্ষিণ এশিয়াকে স্থিতিশীল করতে দুই দেশের সরকারকেই বাস্তববাদী দৃষ্টিভঙ্গি থেকে পরিস্থিতি বিবেচনা করতে হবে বলেও মনে করেন তারা। অবশ্য কদিন আগেই ট্রাম্প স্পষ্টভাবে ঘোষণা করেছেন, তিনি প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলে তার পরম বন্ধু নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৃহত্তর অংশীদারিত্ব আরও জোরদার করবেন; যা প্রভাব ফেলতে পারে বাংলাদেশের রাজনীতিতেও।
আরটিভি/এসএইচএম