• ঢাকা মঙ্গলবার, ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ২০ কার্তিক ১৪৩১
logo

ভারতে সিএএ প্রয়োজন ছিল না: শেখ হাসিনা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, আরটিভি অনলাইন

  ১৯ জানুয়ারি ২০২০, ১৩:২৩
CAA was not necessary says Sheikh Hasina
ছবি সংগৃহীত

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তিনি ভারতের নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের(সিএএ) উদ্দেশ্য কী তা বুঝতে পারছেন না। ওই আইন অনুযায়ী বাংলাদেশ ও অন্যান্য প্রতিবেশী রাষ্ট্রে নিপীড়নের শিকার অমুসলিম সংখ্যালঘুদের নাগরিকত্ব দেয়ার কথা বলা হয়েছে।

সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাজধানী দুবাইয়ে গালফ নিউজকে এক সাক্ষাৎকারে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী এমন মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেন, আমরা বুঝতে পারছি না (ভারত সরকার) কেন এমনটা করলো। এটা প্রয়োজন ছিল না।

ভারতের সংসদে গত বছরের ১১ ডিসেম্বর নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন পাস করা হয়। এর ফলে পাকিস্তান, বাংলাদেশ ও আফগানিস্তান থেকে নির্যাতনের শিকার হয়ে ২০১৪ সালের ডিসেম্বরের আগে পালিয়ে আসা সংখ্যালঘু হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ, জৈন, পার্সি ও খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের মানুষজনকে নাগরিকত্ব দেয়ার কথা বলা হয়েছে।

১৬ কোটি ১০ লাখ মানুষের বাংলাদেশে ১০.৭ শতাংশ হিন্দু এবং ০.৬ শতাংশ বৌদ্ধ রয়েছে এবং ধর্মীয় নীপিড়নের কারণে ভারতে তাদের পালিয়ে যাওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেছে ঢাকা।

এদিকে ভারত থেকেও বাংলাদেশে কারও পালিয়ে আসার ঘটনা ঘটেনি বলে উল্লেখ করেছেন শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, না, ভারত থেকে কেউ বাংলাদেশে আসেনি। কিন্তু ভারতের ভেতরই বহু মানুষ নানা সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে।

গত মাসে সিএএ কার্যকর এবং পুরো ভারত এনআরসি করার ঘোষণার পর দেশটিতে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। বাংলাদেশি বিশ্লেষকদের আশঙ্কা, যেসব ভারতীয় মুসলিম তাদের নাগরিকত্ব প্রমাণে ব্যর্থ হবেন, তারা বাংলাদেশে আশ্রয় নেবেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, এটা একটি অভ্যন্তরীণ বিষয়। বাংলাদেশ সবসময়ই বলেছে সিএএ এবং এনআরসি ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়। ভারত সরকার, বারবারই বলেছে এনআরসি তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয় এবং ২০১৯ সালের অক্টোবরে আমার নয়াদিল্লি সফরের সময় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আমাকে একই ধরনের আশ্বাস দিয়েছেন।

এ/সি

মন্তব্য করুন

rtv Drama
Radhuni
  • আন্তর্জাতিক এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
মাদরাসাবিরোধী আইন বাতিল করলো ভারতের সুপ্রিম কোর্ট
শেখ হাসিনাসহ ফ্যাসিবাদী দলের নেতাদের ‘প্রতীকী ফাঁসি’
ভারতে যাত্রীবাহী বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে, নিহত ২০
শেখ হাসিনাকে আশ্রয় কেন, প্রশ্ন ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রীর