শরণার্থী কর্মসূচি স্থগিত ও মুসলিম দেশের নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্র প্রবেশে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারি করতে গিয়ে আইনি চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে যাচ্ছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। নয়া প্রেসিডেন্টের এই আদেশ সংবিধানের চেতনার সঙ্গে সাংঘর্ষিক দাবি করছে বিখ্যাত আইনি সহায়তা প্রতিষ্ঠান দ্য কাউন্সিল অন আমেরিকান ইসলামিক রিলেশন্স (সিএআইআর)।
শুক্রবার ১ নির্বাহী আদেশে ৩ মাসের জন্য সিরিয়া, ইরান, ইরাক, লিবিয়া, সোমালিয়া, সুদান ও ইয়েমেনের নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্র প্রবেশে স্থগিতাদেশ দেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। ৪ মাসের জন্য স্থগিত করেন শরণার্থী কর্মসূচি।
আদেশে যুক্তরাষ্ট্রে আশ্রয়ের ক্ষেত্রে মুসলিমপ্রধান দেশগুলোর মুসলমানদের বদলে খ্রিস্টান ও সংখ্যালঘুদের প্রাধান্য দেয়ার কথা বলা হয়।
আদেশ জারির পরপরই যুক্তরাষ্ট্রের ভেতরে ও আন্তর্জাতিক অঙ্গণে তুমুল সমালোচনা শুরু হয়। আদেশের বিরুদ্ধে ফেডারেল মামলা দায়েরের ঘোষণা দিয়েছে বিখ্যাত আইনি সহায়তা প্রতিষ্ঠান সিএআইআর।
তাদের অভিযোগ, ট্রাম্পের এ আদেশের মূল উদ্দেশ্য, মুসলিমপ্রধান দেশগুলোর ইসলাম ধর্মাবলম্বী মানুষদের, যুক্তরাষ্ট্রে ঢোকা বন্ধ করা।
পাকিস্তানের নোবেলজয়ী শিক্ষা অধিকারকর্মী মালালা ইউসূফজাই বলেছেন, এ খবরে তিনি খুবই ব্যথিত।
ফেসবুক প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জাকারবার্গও নতুন নির্বাহী আদেশে উদ্বেগ জানিয়েছেন। সেসঙ্গে যেসব অনিবন্ধিত অভিবাসী শৈশবে যুক্তরাষ্ট্রে ঢুকেছেন তাদেরকে কাজের সুযোগ দিতে বারাক ওবামার সিদ্ধান্ত ট্রাম্প পাল্টে দেবেন না বলেও আশা করেন।
সিনেটে ডেমোক্র্যাট দলীয় নেতা চাক শুমার বলেছেন, অভিবাসী ও শরণার্থীদের গ্রহণ করাটা কেবল মানবিক নয়, তারা যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতিকেও দৃঢ় করেছে।
তার মতে, প্রেসিডেন্টের জারি করা সবচে’ পশ্চাৎপদ ও বাজে নির্বাহী আদেশগুলোর এটি একটি।
ওয়াই/এসজেড