ঢাকাবৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৫, ৪ বৈশাখ ১৪৩২

করোনাভাইরাসের থাবায় বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ছে চীন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, আরটিভি অনলাইন

সোমবার, ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২০ , ০১:২৪ পিএম


loading/img
বেইজিংয়ের একটি শপিংমলের চিত্র (দ্য গার্ডিয়ান থেকে নেয়া)

দ্রুত ছড়িয়ে পড়া প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। আর তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বিভিন্ন দেশও চীনের সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দিচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র ও অস্ট্রেলিয়াসহ বিভিন্ন দেশ ইতোমধ্যেই দেশটিতে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। এমনকি দেশটি থেকে বিদেশিদের আসার ব্যাপারে কড়াকড়ি আরোপ করেছে তারা। আবার অ্যাপলের মতো বড় কোম্পানিও সেখানে ভ্রমণ এবং ব্যবসা কমিয়ে এনেছে। খবর দ্য গার্ডিয়ানের।

বিজ্ঞাপন

যুক্তরাজ্য শনিবার জানিয়েছে, তারা চীনে তাদের দূতাবাস ও কনস্যুলেট থেকে তাদের প্রায় সব কর্মীকেই সরিয়ে নিয়েছে। যুক্তরাজ্যের ইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্র ও আত্মীয়ের সঙ্গে দেখা করতে আসা এক ব্যক্তির শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হওয়ার পর এমন কঠোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটি।

দেশটির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ওই দুজনের ‘গভীর সংস্পর্শে’ আসা ব্যক্তিদের শনাক্ত করার চেষ্টা চলছে। কেননা আক্রান্ত ব্যক্তির দুই মিটারের মধ্যে অন্তত ১৫ মিনিট থাকলে সংক্রমিত হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে।

বিজ্ঞাপন

চীনে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার পর এখন পর্যন্ত ২০৩ জনের ওপর পরীক্ষা করা হয়েছে এবং দুজনের শরীরে করোনাভাইরাস পাওয়া গেছে। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত ৩৬১ জনের মৃত্যু হয়েছে, যাদের মধ্যে একজন ছাড়া বাকি সবারই মৃত্যু হয়েছে চীনে। আর আক্রান্ত হয়েছেন ১৭ হাজারের বেশি মানুষ।

চীন থেকে আগতদের ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র বিধিনিষেধ আরোপ করার পর শনিবার অস্ট্রেলিয়াও একই ধরনের পদক্ষেপ নেয়। ক্যানবেরা জানিয়েছে, দেশটির নাগরিক, বাসিন্দা বা তাদের আত্মীয়রা অস্ট্রেলিয়ায় প্রবেশ করতে পারবে।

তবে আরও কঠোর পদক্ষেপ নিয়ে উজবেকিস্তান ও ভিয়েতনাম। চীনের সঙ্গে সব ধরনের ফ্লাইট বাতিল করেছে দেশ দুটি। অনেক বাণিজ্যিক ফ্লাইট বাতিল হয়ে গেছে এবং অনেক ভ্রমণকারী চীনে তাদের হোটেল বুকিংও বাতিল করছেন। গুগল ও ফেসবুকের মতো বড় বড় কোম্পানি দেশটিতে ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। আর স্টারবাকস ও অ্যাপল চীনে তাদের সব দোকান বন্ধ করে দিয়েছে।

বিজ্ঞাপন

এদিকে চীনের সঙ্গে সীমান্ত বন্ধ করে দেয়ার দাবিতে বিক্ষোভে নেমেছে হংকংয়ের হাজার হাজার হাসপাতাল কর্মী। ২০০৩ সালে সার্স ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ঘটলে বেশ ঝক্কি-ঝামেলা পোহাতে হয়েছিল হংকংয়ের। অন্যদিকে খুব কড়া কোনও পদক্ষেপ না নিলেও সতর্কতা বৃদ্ধি করেছে। শুক্রবার উহান থেকে ফেরত আনা ৮৩ জন ব্রিটিশ নাগরিককে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে।

আরটিভি খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

বিজ্ঞাপন

Loading...


© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৬-২০২৫ | RTV Online |