করোনা প্রতিরোধে ১৮৮ জনের ওপর নতুন ওষুধ প্রয়োগ করবে চীন
প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের প্রতিষেধক এখনও পর্যন্ত আবিষ্কার হয়নি। তবে সুইজারল্যান্ডের রোচে হোল্ডিং এজি সংস্থা জানাচ্ছে, তাদের তৈরি নতুন ওষুধ নাকি করোনা রুখতে সক্ষম। যেসব করোনা আক্রান্ত রোগীর ফুসফুসে গভীর ক্ষত এবং ইন্টারলিউকিন ৬ প্রোটিনের ভারসাম্য হারাচ্ছে, সেসব ক্ষেত্রে রোচের ওষুধ অত্যন্ত কার্যকর বলেও দাবি করেছে সুইস এই সংস্থাটি।
এর আগে ২০১০ সালে বায়োলজিক্যাল এই ওষুধটির অনুমোদন দেয় যুক্তরাষ্ট্র। দেশটি রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস (আরএ), উচ্চ ইন্টারলিউকিন 6-সহ বিভিন্ন রোগের ক্ষেত্রে অ্যাকটেমরা নামে ওই ওষুধের অনুমোদন দেয়। এখন করোনা প্রতিরোধ চীনও এটিকে অনুমোদন দিলো। সেক্ষেত্রে করোনাভাইরাস আক্রান্তদের এই ওষুধ প্রয়োগের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। অ্যাকটেমরাকে পরীক্ষামূলকভাবে ব্যবহার করতে চাইছে চীনের ন্যাশনাল মেডিক্যাল প্রোডাক্ট অ্যাডমিনিস্ট্রিশন।
রোচের দাবি, ইন্টারলিউকিন 6 সংক্রান্ত উপসর্গে অ্যাকটেমরা দারুণ কাজ করবে। গত ফেব্রুয়ারি ১০ থেকে মে মাসের ১০ তারিখ পর্যন্ত ১৮৮ জন করোনা আক্রান্ত রোগীর ওপর পরীক্ষামূলকভাবে অ্যাকটেমরা প্রয়োগ করবেন চীনা গবেষকরা। অ্যাকটেমরার প্রতিক্রিয়া নিয়ে মুখ খোলেননি তারা।
সোমবার রোচে জানিয়েছে, শুধু চীনেই তারা ২০ লাখ ডলারের অ্যাকটেমরা বিক্রি করেছে। জানুয়ারি মাসে অ্যাকটেমরা বিক্রি করে প্রচুর মুনাফা করেছে বলে দাবি সংস্থার। অন্যদিকে বায়ো-থেরা সলিউশন, ঝিজিয়াং হিসুন ফারমাকিউটিক্যালের মতো চীনা সংস্থাগুলো অ্যাকটেমরা নকল করে বিকল্প ওষুধ তৈরির দৌড়ে নেমে পড়েছে।
উল্লেখ্য, চীনের উহান থেকে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসে বিশ্বজুড়ে ৩২৮৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। আর আক্রান্তের সংখ্যা ৯৩ হাজার ছাড়িয়ে গেছে।
এ
মন্তব্য করুন