সৌদি রাজ পরিবারের তিন সিনিয়র সদস্যকে আটক করা হয়েছে। এঘটনার পেছনে সৌদি যুবরাজ মোহাম্মাদ বিন সালমানের হাত রয়েছে বলে রাজ পরিবারের ঘনিষ্ঠ একটি সূত্রের বরাত দিয়ে মার্কিন দৈনিক নিউ ইয়র্ক টাইমস খবর প্রকাশ করেছে।
৩৪ বছর বয়সি যুবরাজ সালমান তার চাচা ও বাদশাহ সালমানের ছোট ভাই প্রিন্স মোহাম্মাদ বন নায়েফসহ আরও দুজনকে আটকের নির্দেশ দিয়েছেন। রাজ পরিবারের অপর দুই সদস্যের একজন বাদশাহ সালমানের একজন ভাতিজা এবং একজন সাবেক যুবরাজ রয়েছেন।
প্রকাশিত খবরে এসব আটকাদেশের কোনও কারণ জানানো হয়নি। তবে মার্কিন দৈনিক ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল জানিয়েছে, চাচা নায়েফ ও সাবেক ওই যুবরাজের বিরুদ্ধে ‘রাষ্ট্রদ্রোহের’ অভিযোগ এনেছেন যুবরাজ বিন সালমান।
সৌদি রাজতন্ত্রের এক সময়কার শক্তিশালী দাবিদার ওই দুই সিনিয়র সদস্যের বিরুদ্ধে বিশ্বাসঘাতকতা বা রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ প্রমাণিত হলে তাদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বা মৃত্যুদণ্ড হতে পারে।
প্রিন্স মোহাম্মাদ বিন নায়েফকে ২০১৭ সালের জুন মাস থেকে গৃহবন্দি করে রেখেছিলেন যুবরাজ মোহাম্মাদ বিন সালমান। এবার তাকে গৃহবন্দিদশা থেকে বের করে সোজা কারাগারে নিক্ষেপ করা হলো। শুক্রবার সকালে রাজ দরবারের গার্ডরা কালো পোশাক ও মুখে মাস্ক পরা অবস্থায় তিন প্রিন্সকে আটক করে এবং তাদের বাসভবনে তল্লাশি চালায়।
মার্কিন ভিত্তিক আরএএনডি কর্পোরেশনের পলিসি বিশ্লেষক বেক্কা ওয়াসের এ নিয়ে বলেন, যুবরাজ সালমান তার উত্থানের যে কোনও হুমকি এবং তার শাসনের সমালোচকদের জেল দিয়েছেন বা হত্যা করেছেন। ভবিষ্যতে যেকেউ যেন তার বিরুদ্ধে কথা না বলে এটি তারই বার্তা।
এমকে