ভারত ‘এ' দলের বিপক্ষে দু'দিনের প্রস্তুতি ম্যাচে ৮ উইকেটে ২২৪ রান করে ইনিংস ঘোষণা করলো বাংলাদেশ।
রোববার হায়দরাবাদের জিমখানা গ্রাউন্ডে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশ অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম। তবে অধিনায়কের প্রথমে ব্যাট নেয়ার সিদ্ধান্ত যৌক্তিক প্রমাণ করতে পারেননি টাইগার দু’উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান তামিম ইকবাল ও ইমরুল কায়েস। দলীয় ২২ রানে মিলিন্দের বলে পান্ডেয়ার হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরের ফেরেন ইমরুল (৪)। স্কোরবোর্ডে আর ২২ রান যোগ করতেই অনিকেত চৌধুরীর বলে বোল্ড হয়ে ফিরে যান তামিম (১৩)। আর দলীয় ৭২ রানে ফেরেন মুমিনুল হক (৫)। তিনিও অনিকেতের শিকার।
টপ অর্ডারের তিন ব্যাটসম্যান ফিরলেও দলকে পথ দেখাতে থাকেন দীর্ঘদিন পর রানে ফেরা সৌম্য সরকার। সতীর্থদের চোটের সুবাদে ক্রাইস্টচার্চ টেস্টে সুযোগ পেয়েই ছন্দে ফেরা এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান তুলে নেন ফিফটি। তাকে যোগ্য সঙ্গ দিচ্ছিলেন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। তাদের জুটির ওপর ভর করে এগিয়ে যাচ্ছিল বাংলাদেশ। তবে এ যাত্রায় বাধ সাধেন প্রতিপক্ষ বোলার নাদিম। তার এলবিডব্লিউর শিকার হয়ে দলীয় ৮৯ রানে ফেরেন সৌম্য(৫২)।
সঙ্গী হারিয়ে বেশিক্ষণ ক্রীজে স্থায়ী হতে পারেননি মাহমুদুল্লাহও। দলীয় ১১৩ রানে কুলদীপ যাদবের বলে পঞ্চলের হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন নির্ভরযোগ্য এই মিডলঅর্ডার ব্যাটসম্যান (২৩)।
এরপর ধুঁকতে থাকা দলকে টেনে তোলার চেষ্টা করেন মুশফিকুর রহিম। তাকে যোগ্য সঙ্গ দেন সাব্বির রহমান। ভালোই এগুচ্ছিলেন তারা। ষষ্ঠ উইকেটে এই দু’ব্যাটসম্যান গড়েন ৭১ রানের জুটি। কিন্তু এরপরই পুরোনো সমস্যা আঁকড়ে ধরে বাংলাদেশকে। ব্যক্তিগত ৩৩ রান করে শঙ্করের শিকার হয়ে দলীয় ১৮৪ রানে ফেরেন সাব্বির। তিনি ফিরে গেলে ক্রিজে তর সইনি মুশফিকেরও। দলীয় ২০৬ রানে অনিকেত চৌধুরীর বলে প্যান্টের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন বাংলাদেশ অধিনায়ক (৫৮)। দলীয় এই রানেই কোনো রান না করেই অনিকেতের এলবিডব্লিউর শিকার হয়ে ফেরেন মেহেদী হাসান মিরাজ। শেষ পর্যন্ত ২২৪ রানে ইনিংস ঘোষণা করে বাংলাদেশ। ২৩ রানে অপরাজিত ছিলেন লিটন দাস।
এদিন ভারত ‘এ’ দলের সেরা বোলার অনিকেত চৌধুরী। তিনি ২৬ রানে নিয়েছেন ৪ উইকেট। এছাড়া ১টি করে উইকেট গেছে চামা মিলিন্দ, বিজয় শঙ্কর, শাহবাজ নাদিম ও কুলদীপ যাদবের দখলে।
এই প্রতিবেদন লেখার সময় ২১ ওভারে ১ উইকেটে ৯১ রান করেছে ভারত ‘এ’দল।
ডিএইচ