তিব্বতকে স্বাধীন দেশের স্বীকৃতি দিতে মার্কিন কংগ্রেসে বিল
চীনের ওপর চাপ বাড়িয়েই চলছে যুক্তরাষ্ট্র। বাণিজ্যযুদ্ধ দিয়ে শুরু হয়ে করোনাভাইরাসের মধ্যে তা তীব্র হয়েছে। বেড়েছে তাইওয়ান, হংকং নিয়েও টানাপোড়েন। এরইমধ্যে মার্কিন কংগ্রেসে এমন একটি বিল পেশ করা হয়েছে, যা পাস হলে তিব্বতকে ‘স্বাধীন দেশ’ হিসেবে স্বীকৃতি দেয়ার ক্ষমতা হাতে পাবেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। খবর সংবাদ প্রতিদিনের।
পেনসিলভানিয়ার রিপাবলিকান মার্কিন কংগ্রেস সদস্য স্কট পেরি এই বিল পেশ করেছেন। কয়েকদিন আগে হংকংকে স্বাধীন দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দিতে একই ধরনের বিল পেশ করেছিলেন তিনি। ওয়াশিংটন ও বেইজিংয়ের মধ্যে ক্রমবর্ধমান দ্বন্দ্বের মধ্যেই দুটি বিল হাউসের বৈদেশিক বিষয় সংক্রান্ত কমিটির কাছে এই বিল পাঠানো হয়েছে।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের স্বাক্ষরের আগে বিল দুটি মার্কিন হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভস এবং সিনেটে পাস করাতে হবে। যদিও এমনটা ঘটলেও খুব একটা কিছু ঘটবে না। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের এই পদক্ষেপ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে আরও তিক্ততা তৈরি করবে।
এদিকে বিদেশে নির্বাসিত তিব্বতীয়রা এমন পদক্ষেপের স্বাগত জানিয়েছে। তারা টুইট করে জানিয়েছে, দারুণ পদক্ষেপ। আজ হোক বা কাল, এটা হবেই। শুধু স্বায়ত্তশাসিত এলাকা নয়, পুরো তিব্বতকেই এই বিলের অন্তর্ভুক্ত করুন স্কট পেরি। খাম এবং আমদো যুক্ত হয়ে স্বাধীন, পৃথক তিব্বত গঠিত হোক।
তারা জানান, তিব্বত ও পূর্ব তুর্কিস্তানকে (জিনজিয়ান) স্বীকৃতি দিতে চীনকে এর চেয়ে বড় হুঁশিয়ারি আর হয় না। মার্কিন পদক্ষেপে উৎসাহিত উইঘুর মুসলিমরাও। তাদের হয়েও পদক্ষেপ নিতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।
উল্লেখ্য, চীন কখনই তিব্বতের আলাদা অস্তিত্ব স্বীকার করে না। কখনও চীন সরাসরি, কখনও ব্রিটিশরা তিব্বতের ওপর পরোক্ষে প্রভুত্ব করেছে। কিন্তু সেটা ঔপনিবেশিক যুগে। ১৯১২ সালে ত্রয়োদশ দলাইলামা শেষবার তিব্বতকে স্বাধীন রাজ্য হিসেবে ঘোষণা করেছিলেন। কিন্তু তা দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। ১৯৫৯ সালের ২১ মার্চ তিব্বতের দখল নেয় চীন।
এ
মন্তব্য করুন