মধ্যপ্রাচ্যের ভাতৃপ্রতিম দেশ কাতারের মধ্যস্থতায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাবিত যুদ্ধবিরতিতে ইরান রাজি হচ্ছে বলে এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তার বরাত দিয়ে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
সোমবার (২৩ জুন) রাতে কাতারের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ বিন আব্দুলরহমান আল থানি ইরানি কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেন। এ সময় তিনি যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাবিত যুদ্ধবিরতিতে তাদের রাজি করাতে সমর্থ হন।
ইরানের কর্মকর্তা জানিয়েছেন, সোমবার (২৩ জুন) কাতারে অবস্থিত যুক্তরাষ্ট্রের বিমানঘাঁটিতে ইরানের হামলার পর কাতারের প্রধানমন্ত্রী ইরানি কর্মকর্তাদের ফোন করেন।
ওই কর্মকর্তা আরও জানান, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প কাতারের প্রধানমন্ত্রীকে জানান, ইসরায়েল যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়েছে। তিনি এ সময় ইরানকে যুদ্ধবিরতিতে রাজি করাতে কাতারের প্রধানমন্ত্রীর সহায়তা চান।
তবে ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরায়েল এক প্রতিবেদনে জানায়, ইসরায়েলি প্রবাসী মন্ত্রী আমিচাই চিকলি যুদ্ধবিরতির ব্যাপারে ইঙ্গিত দিয়েছেন।
এ দখলদারমন্ত্রী এক্সে এক পোস্টে লিখেছেন, ট্রাম্প ও নেতানিয়াহুকে সাহসী সিদ্ধান্তের জন্য ধন্যবাদ জানাই। যা ইতিহাসের পাতায় বিশ্বাস, সাহস এবং নৈতিক স্পষ্টতার অধ্যায় হিসেবে স্মরণীয় হয়ে থাকবে।
এরআগে, ইরানের এক কর্মকর্তা মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনকে জানিয়েছিলেন, তারা যুদ্ধবিরতির কোনো প্রস্তাব পাননি এবং ইসরায়েলের বিরুদ্ধে শেষ পর্যন্ত লড়াই অব্যাহত রাখবেন।
তবে শেষ পর্যন্ত ইরান ও দখলদার ইসরায়েল কেউই আনুষ্ঠানিক যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দেয়নি। আর মধ্যে আবার তেহরানে বিস্ফোরণের শব্দও পাওয়া গেছে।
আরটিভি/কেএইচ