আইনের চোখে ফাঁকি দেওয়া বেশ কটিন। কথাটি একজন পুলিশ অপরাধীকে ধরার পর এভাবেই বলছেন। তবে অপরাধীও ছিলেন বেশ চালাক। তিনি পুলিশকে নিজের আয়ত্ব নিয়ে আসতে ভিন্ন কৌশল প্রয়োগ করেছেন। পুলিশি জরিমানার হাত থেকে রেহাই পেতে অপরাধীকে চুমু দিতে হবে।
সম্প্রতি করোনা মহামারির আইন অমান্য করায় এক নারীর কাছে জরিমানার পরিবর্তে চুমু নিয়ে বিপাকে পড়েছেন পেরুর এক পুলিশ। শাস্তিস্বরূপ তাকে সাময়িক বরখাস্তও করা হয়েছে।
পেরুর রাজধানী লিমাতে এক নারী করোনাভাইরাসের কারণে আরোপ করা বিধি-নিষেধ অমান্য করেন। পরবর্তী সময়ে এক পুলিশ তার কাছে গেলে এই নারী জরিমানার পরিবর্তে চুমু দেওয়ার প্রস্তাব দেয়। পুলিশও এতে রাজি হন। সূত্র: ডেইলি মেইল
কিন্তু বিধি বাম। এক ভিডিও ফুটেজে তাদের এই কীর্তি ধরা পড়ে। পরবর্তী সময়ে সেই ফুটেজ স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের হাতে পৌঁছালে এটি নিয়ে হইচই শুরু হয়। এরপর সেই পুলিশকে বরখাস্ত করা হয়। এ বিষয়ে তদন্ত শুরু চলছে।
স্থানীয় নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তা ইবিরো রদ্রিগেজ বলেন, আমাদের মেয়র লুইস মোলিনা ওই পুলিশ কর্মকর্তাকে বরখাস্তের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। কিছু আইন অমান্য হয়েছে। ওই যুবতী সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি আইন অমান্য করেছেন। এরপর এই পুলিশ মাস্ক খুলে নারীটিকে চুমু খেয়েছে। এই ধরনের কাজ খুবই গুরুতর। এজন্য তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে।
করোনাভাইরাসে বেশ ঝুঁকিতে রয়েছে দক্ষিণ আমেরিকার দেশ পেরু। সেখানে এখন কোভিড ১৯-এর সেকেন্ড ওয়েভ চলছে। করোনা মহামারি শুরুর পর এখন পর্যন্ত কোভিড ১৯-এ আক্রান্ত হয়ে দেশটিতে ৪৪ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে।
এফএ