উনিশ বছর বয়সী তরুণীর স্বপ্ন হোটেল ম্যানেজমেন্ট পড়ার। পড়াশোনাও শুরু করেছিলেন। কিন্তু মহামারি করোনাভাইরাসের তাণ্ডবে সেই স্বপ্নে ব্যাঘাত ঘটে। দিনমজুর বাবার কাজ চলে যায়। ফলে বাধ্য হয়েই পুরো সংসারের দায়িত্ব এসে পড়ে তরুণী রচনার কাঁধে। ঘটনাটি ভারতের তেলঙ্গানার ওয়ারঙ্গল জেলার হানামকোন্ডা এলাকার।
লেখাপড়ার জন্য হায়দরাবাদ পাড়ি জমিয়েছিলেন রচনা। কিন্তু হঠাৎ জীবনের এমন মোড় আসায় বিপাকে পড়েন তিনি। তবে কী স্বপ্ন ভেঙে চুরমার হবে! মনের বিশ্বাস থেকে দৃঢ় মনোবল নিয়ে উঠে দাঁড়ান রচনা। স্বপ্ন-পূরণের জন্যই কাঁধে তুলে নেন ফুড ডেলিভারির বিশাল ব্যাগ। সংসার এবং স্বপ্ন দুটোই সচল রাখতে জোম্যাটো ফুড ডেলিভারির কাজ শুরু করেন। এই তরুণীই হায়দরাবাদ শহরে প্রথম মহিলা ফুড ডেলিভারি এক্সিকিউটিভ।
আরও পড়ুন... ঈদুল আজহার তারিখ ঘোষণা করলো আরব আমিরাত
তরুণী রচনা জানিয়েছেন, শিক্ষকরা সবসময় আমাকে সাহস যুগিয়েছেন। স্বপ্ন-পূরণের সকল ইচ্ছাশক্তি ছিল। সেই শক্তিতে ভর করেই ডিপ্লোমা ইন হোটেল ম্যানেজমেন্ট কোর্সে ভর্তি হতে পেরেছি।
জানা গেছে, ভোর ৪টা থেকে দিনের শুরু হয় রচনার। প্রথমে বাড়ি বাড়ি দুধ সরবরাহ করেন। এরপর অনলাইনে ক্লাস করেন। ক্লাস শেষে পিঠে ও কাঁধে তুলে নেন জোম্যাটো’র ব্যাগ। দুধ সরবরাহ করে তার আয় হয় ৯ হাজার টাকা। মাস শেষে ১৫ হাজারের বেশি উপার্জন হয় তার। যা দিয়ে নিজের পড়াশোনা এবং সংসার সামলান তরুণী রচনা। সূত্র : আনন্দবাজার
এসআর/