পরকীয়ায় ভারতের ৮ লাখ মানুষ
ভারতে পরকীয়ায় জড়িত অন্তত ৮ লাখ মানুষ। দেশটির বিবাহিত পুরুষ ও নারীদের মধ্যে সম্প্রতি একটি অনলাইন ডেটিং এবং সোশ্যাল নেটওয়ার্ক সার্ভিস অ্যাপ সমীক্ষা চালিয়েছে। সমীক্ষায় উঠে এসেছে এমন চাঞ্চল্যকর তথ্য।
সমীক্ষায় বলা হয়েছে, তালিকায় শীর্ষে বেঙ্গালুরু, মুম্বাই ও কলকাতার মানুষ।
পরকীয়া নিয়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে দেখা যায়, ডেটিং অ্যাপ এর মাধ্যমে পরকীয়ায় শীর্ষে আছেন বেঙ্গালুরুর পুরুষরা, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে রয়েছে মুম্বাই এবং কলকাতার পুরুষেরা, তারপরে আছে দিল্লি।
পরকীয়ায় মেয়েদের তুলনায় পুরুষদের সংখ্যা বেশি। মেয়েদের দিক দিয়ে তালিকায় এগিয়ে আছে বেঙ্গালুরু, তারপর যথাক্রমে মুম্বাই ও চেন্নাই। পাশাপাশি তালিকায় কলকাতা শহরও রয়েছে।
ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম বলছে, সুপ্রিম কোর্ট থেকে পরকীয়া আইনসিদ্ধ করে দেওয়ার পর থেকে পরকীয়ার ঘটনা বাড়ছে।
জিএ/পি
মন্তব্য করুন
নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশন অভিমুখে মিছিলে পুলিশের বাধা
বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতনের অভিযোগে ভারতের নয়াদিল্লির চাণক্যপুরীতে বাংলাদেশ হাইকমিশনের অভিমুখে বিক্ষোভ মিছিল বের করে ডানপন্থী হিন্দু জাতীয়তাবাদী সংগঠন আরএসএস। তবে মিছিলে বাধা দিয়েছে দিল্লি পুলিশ।
মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) বেলা ১১টার দিকে আরএসএস এবং আরও কয়েকটি সংগঠনের মানুষ বিক্ষোভে অংশ নেন।
এ বিষয়ে বিবিসি বাংলার শুভজ্যোতি ঘোষ জানান, মিছিলে বিভিন্ন বয়সী নারী-পুরুষ মিলিয়ে তিন থেকে চার হাজার মানুষ অংশ নিয়েছেন। তাদের প্রায় সবার হাতেই প্ল্যাকার্ড দেখা গেছে। প্ল্যাকার্ডে ‘বাংলা বাঁচাও, বাঙালি বাঁচাও, বাঁচাও সনাতন’, ‘বাংলাদেশ, একাত্তর মনে করো, জুলুমবাজি বন্ধ করো’, ‘সেভ বাংলাদেশি হিন্দুজ’ লেখা কিছু স্লোগানও দেখা গেছে।
তিনি বলেন, গত এক যুগে দিল্লির বাংলাদেশ দূতাবাসের সামনে ভারতীয়দের এমন বিক্ষোভ করতে দেখা যায়নি। এই বিক্ষোভ বহু বছরের মধ্যে প্রথমবার।
এদিকে বিক্ষোভ মিছিলটি দিল্লির তিন মূর্তি মার্গ গোলচত্বরে গেলে তাদের বাধা দেয় পুলিশ। হাইকমিশন থেকে বেশ কিছু দূরে ওই এলাকায় পুলিশ লোহার ব্যারিকেড বসায়।
দিল্লির এক সিনিয়র পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, বিক্ষোভের কারণে আমরা বাংলাদেশ হাইকমিশনের বাইরে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেছি। কাউকে আইন ভঙ্গ করতে দেওয়া হবে না।
এর আগে, শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) এক সংবাদ সম্মেলনে আরএসএসের দিল্লি শাখার গণমাধ্যম ও যোগাযোগ বিভাগের সহপ্রধান রজনীশ জিন্দাল এই কর্মসূচির ঘোষণা দেন। সেদিন তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবসের দিন আগামী ১০ ডিসেম্বর ‘দিল্লির নাগরিক সমাজের’ ব্যানারে বাংলাদেশ দূতাবাসে পদযাত্রা অনুষ্ঠিত হবে।
রজনীশ জিন্দাল আরও বলেন, বাংলাদেশে হিন্দুসহ সব সংখ্যালঘুর ওপর অত্যাচারের ঘটনায় সারা ভারত ক্ষুব্ধ ও উদ্বিগ্ন। ১০ ডিসেম্বরের কর্মসূচিতে দেশের ২০০টিরও বেশি সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় সংগঠনের প্রতিনিধিরা অংশ নেবেন। এ সময় তারা বাংলাদেশ হাইকমিশনে স্মারকলিপি পেশ করবেন। এ ছাড়া স্মারকলিপি দেবেন জাতিসংঘ, জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল ও এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের কাছেও।
প্রসঙ্গত, গত ২ ডিসেম্বর ত্রিপুরার রাজধানী আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনের সামনে বিক্ষোভের পর কার্যালয় প্রাঙ্গণে হামলা করে আরএসএসের নেতৃত্বে একদল মানুষ। এরপর বাংলাদেশের পক্ষ থেকে তীব্র প্রতিবাদ জানানো হলে ভারতজুড়ে বাংলাদেশ হাইকমিশনের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়।
আরটিভি/এফএ
ভারতে গুঁড়িয়ে দেওয়া হলো ২০০ বছরের পুরনো মসজিদের একাংশ
বেআইনি দাবি করে ভারতের উত্তরপ্রদেশের প্রায় ২০০ বছরের পুরনো একটি মসজিদের একাংশ গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) রাতে এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মঙ্গলবার উত্তরপ্রদেশের ফতেহপুর জেলায় অবস্থিত ১৮৫ বছর পুরোনো নূরী জামে মসজিদের একটি অংশ ভেঙে দিয়েছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ। তাদের দাবি, মসজিদের এই অংশটি বান্দা-বাহরাইচ হাইওয়ের অংশে অবৈধভাবে করা হয়েছিল।
জেলা প্রশাসন দাবি করেছে, মসজিদের ভেঙে ফেলা অংশটি বেআইনি ছিল। পাবলিক ওয়ার্কস ডিপার্টমেন্ট (পিডব্লিউডি) দাবি করেছে, তারা গত ১৭ আগস্ট তাদের “অবৈধ নির্মাণের” কারণে মসজিদের কিছু অংশ সরানোর নোটিশ দিয়েছিল।
তারা আরও জানিয়েছে, সড়কের ওপর মসজিদের একাংশ পড়ায় মসজিদ কমটিকে নোটিশ দেওয়া হয়েছিল। তারপরও সেই অংশ ভাঙেনি কমিটি। তাই নির্ধারিত সময়ের পর গণপূর্ত বিভাগ থেকে মসজিদটির ওই অংশ ভেঙে ফেলা হয়।
এমন এক সময় মসজিদটি ভেঙে দেওয়া হলো যখন মসজিদ কমিটি বিষয়টি সুরাহার জন্য এলাহাবাদ হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে। আদালত থেকে এই বিষয়ে কোনো আদেশ আসার আগেই এই পদক্ষেপ নিয়েছে জেলা প্রশাসন।
তবে জেলা প্রশাসনের দাবি, আদালতে আবেদন জমা পড়লেও শুনানির জন্য নথিভুক্ত হয়নি।
আরটিভি/এসএপি/এআর
ভারতীয় কোস্টগার্ডের হাতে আটক ৭৮ বাংলাদেশি নাবিকের ছবি প্রকাশ
আটক বাংলাদেশি ৭৮ নাবিকসহ এফভি লায়লা-২ ও এফবি মেঘনা-৫ ট্রলারের ছবি প্রকাশ করেছে ভারতীয় কোস্ট গার্ড।
মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) রাতে সংস্থাটির অফিশিয়াল ফেসবুক পেজ ও এক্স হ্যান্ডলে মোট তিনটি ছবি প্রকাশ করা হয়।
এসব ছবিতে দেখা গেছে, আটক বাংলাদেশি নাবিকেরা মাথার পেছনে হাত দিয়ে হাঁটু গেড়ে বসে আছেন। তাদের পেছনে দাঁড়িয়ে ভারতীয় কোস্টগার্ডের সদস্যরা। বাংলাদেশের দুটি ট্রলার সাগরে চলছে। জেটিতে ট্রলার দুটি নিয়ে আসা হচ্ছে।
ছবির ক্যাপশনে ভারতীয় কোস্ট গার্ড জানিয়েছে, ভারতীয় সমুদ্রসীমায় মৎস্য আহরণের অভিযোগে এক অভিযানে ট্রলার ২টিসহ ৭৮ নাবিককে আটক করা হয়েছে। নাবিকসহ ট্রলার দুটি প্যারা দ্বীপের কাছে নেওয়া হয়েছে।
জানা গেছে, এফভি লায়লা-২ ট্রলারটি এস আর ফিশিং নামের প্রতিষ্ঠানের। অপর দিকে এফভি মেঘনা-৫ নামের ট্রলারটি সিঅ্যান্ডএফ অ্যাগ্রো লিমিটেডের মালিকানাধীন।
সিঅ্যান্ডএফ অ্যাগ্রো লিমিটেডের নির্বাহী পরিচালক সুমন সেন জানান, সোমবার সকালে ট্রলার দুটি বাংলাদেশের সমুদ্রসীমার এক নটিক্যাল মাইল ভেতরে মাছ ধরছিল। এ সময় ভারতীয় কোস্টগার্ড ট্রলার দুটি আটক করে নিয়ে যায়। এখন যেহেতু ভারতীয় কোস্টগার্ড আটক করেছে বলে ফেসবুকে জানিয়েছে, তাই আইনি প্রক্রিয়ায় যাতে উদ্ধার করা যায়, সে জন্য বাংলাদেশ সরকারের সংশ্লিষ্ট পক্ষকে জানিয়েছেন তারা।
আরটিভি/এসএপি
বাংলাদেশ সফর নিয়ে ভারতের সংসদ সদস্যদের ব্রিফ করলেন বিক্রম মিশ্রি
বাংলাদেশ সফর নিয়ে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্যদের ব্রিফ করেছেন দেশটির পররাষ্ট্রসচিব বিক্রম মিশ্রি।
বুধবার (১১ ডিসেম্বর) বিকালে নয়াদিল্লিতে পার্লামেন্ট অ্যানেক্স ভবনে আড়াই ঘণ্টার বেশি সময় ধরে চলা বৈঠকে সংসদ সদস্যদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন তিনি বলে পিটিআইয়ের বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।
বিক্রম মিশ্রির সঙ্গে ব্রিফিং শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেছেন দেশটির বিরোধী দল কংগ্রেসের নেতা ও সংসদের পররাষ্ট্রবিষয়ক স্থায়ী কমিটির প্রধান শশী থারুর। তিনি বলেন, বাংলাদেশের বিষয়ে আমাদের চমৎকার ব্রিফিং অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকালই পররাষ্ট্রসচিব বাংলাদেশ থেকে ফিরে এসেছেন। সফরের বিষয়ে তিনি আমাদের একেবারে পুঙ্খানুপুঙ্খ ব্রিফ করেছেন। কিন্তু আমি এই বিষয়ে বিস্তারিত বলতে পারবো না। তবে ২১-২২ জন সংসদ সদস্য সফরের বিষয়ে পররাষ্ট্রসচিবকে গুরুত্বপূর্ণ সব প্রশ্ন করেছেন। এ সময় তার কাছে অনেক বিষয়ে জানতে চাওয়া হয়। পররাষ্ট্রসচিবও বিস্তারিত ও সোজাসাপ্টা জবাব দিয়েছেন। কিন্তু আমি এই বিষয়ে বিস্তারিত বলতে পারব না।
সূত্রের বরাত দিয়ে ভারতীয় বার্তা সংস্থা ইন্দো-এশীয় নিউজ সার্ভিসের (আইএএনএস) এক প্রতিবেদনে বলা হয়, পররাষ্ট্রসচিব বিক্রম মিশ্রি ব্রিফিংয়ে অংশ নেওয়া সংসদ সদস্যদের জানান, বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর হামলার ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে ঢাকার অন্তর্বর্তী সরকার।
ভারতের পররাষ্ট্রসচিব দেশটির সংসদ সদস্যদের বলেন, ঢাকা সফরে অনুষ্ঠিত বৈঠকের সময় ড. মুহাম্মদ ইউনূস নেতৃত্বাধীন প্রশাসন দিল্লির সঙ্গে স্বাক্ষরিত কোনও চুক্তি পর্যালোচনা করার কথা উল্লেখ করেনি।
বৈঠকে অংশ নেওয়া একাধিক সূত্রের বরাত দিয়ে আইএনএস জানায়, ব্রিফ্রিংয়ের সময় পররাষ্ট্রসচিব বিক্রম মিশ্রির কাছে ভারতের কয়েকজন সংসদ সদস্য শেখ হাসিনা কোন মর্যাদায় দেশটিতে অবস্থান করছেন, সেই সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন।
প্রসঙ্গত, গত সোমবার ঢাকা সফরে আসেন ভারতের পররাষ্ট্রসচিব বিক্রম মিশ্রি। গত আগস্টে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর এটিই ছিল ভারতের কোনো কূটনীতিকের বাংলাদেশ সফর। সেদিন তিনি বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে ফরেন অফিস কনসালটেশনে ভারতীয় প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন। মিশ্রি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন ছাড়াও পররাষ্ট্র সচিব জসীম উদ্দিনের সঙ্গে বৈঠক করেন।
আরটিভি/কেএইচ
ভারতে বসে হাসিনার রাজনৈতিক কার্যক্রম, যা জানালেন বিক্রম মিশ্রি
বাংলাদেশ ও ভারতের চলমান উত্তেজনার মধ্যেই সম্প্রতি দুই দেশের পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে বাংলাদেশের পক্ষে পররাষ্ট্রসচিব মো. জসীম উদ্দিন ও ভারতের পক্ষে বিক্রম মিশ্রি নেতৃত্ব দেন। পরে দেশে ফিরে ভারতীয় পররাষ্ট্র সচিব সদ্য সমাপ্ত এই সফর নিয়ে দেশটির (ভারতের) সংসদ সদস্যদের ব্রিফ করেন। সেখানে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার ভারতে বসে রাজনৈতিক কার্যক্রম পরিচালনার বিষয়টি উঠে আসে।
ভারতীয় গণমাধ্যম দ্য হিন্দুর বরাতে জানা যায়, বুধবার (১১ ডিসেম্বর) সংসদীয় স্থায়ী কমিটিকে পররাষ্ট্রসচিব বিক্রম মিশ্রি জানিয়েছেন, ভারতে বসে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের সমালোচনার বিষয়টি সমর্থন করে না নরেন্দ্র মোদি সরকার। এটি দুই দেশের সম্পর্কের মধ্যে একটি ক্ষুদ্র প্রতিবন্ধক।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনা নিজের ব্যক্তিগত যোগাযোগের উপকরণ ব্যবহার করে বক্তব্য দিচ্ছেন। ভারত সরকার তাকে কোনো প্ল্যাটফর্ম বা সুযোগ প্রদান করেনি, যাতে তিনি ভারতীয় ভূখণ্ড থেকে তার রাজনৈতিক কার্যক্রম চালিয়ে যেতে পারেন।
ভারতের পররাষ্ট্রসচিব আরও বলেন, ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক কোনো একক রাজনৈতিক দল বা সরকারের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। বরং বাংলাদেশের জনগণের প্রতি মনোযোগ দিয়েই সম্পর্ক বিবেচনা করে ভারত।
এদিকে ভারতীয় গণমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, বিক্রম মিশ্রির সঙ্গে ব্রিফিং শেষে বুধবার (১১ ডিসেম্বর) সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন ভারতের বিরোধী দল কংগ্রেসের নেতা ও সংসদের পররাষ্ট্রবিষয়ক স্থায়ী কমিটির প্রধান শশী থারুর।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের বিষয়ে আমাদের চমৎকার ব্রিফিং অনুষ্ঠিত হয়েছে। পররাষ্ট্রসচিব বাংলাদেশ সফরের বিষয়ে আমাদের একেবারে পুঙ্খানুপুঙ্খ ব্রিফ করেছেন। কিন্তু আমি এই বিষয়ে বিস্তারিত বলতে পারব না। তবে ২১-২২ জন সংসদ সদস্য সফরের বিষয়ে পররাষ্ট্রসচিবকে গুরুত্বপূর্ণ সব প্রশ্ন করেছেন। এ সময় তার কাছে অনেক বিষয়ে জানতে চাওয়া হয়। পররাষ্ট্রসচিবও বিস্তারিত ও সোজাসাপ্টা জবাব দিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মুখে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয়। এরপর থেকে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে টানাপোড়েন চলছে। এমন পরিস্থিতিতে গত ৯ ডিসেম্বর ঢাকা সফর করেন ভারতের পররাষ্ট্রসচিব বিক্রম মিশ্রি।
সফরকালে তিনি বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে ফরেন অফিস কনসালটেশনে ভারতীয় প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন। পাশাপাশি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন ছাড়াও পররাষ্ট্র সচিব জসীম উদ্দিনের সঙ্গে বৈঠক করেন মিশ্রি।
আরটিভি/আইএম/এআর
এবার বোমা মেরে ভারতের কেন্দ্রীয় ব্যাংক উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি
স্কুল, রেলওয়ে স্টেশন, বিমানবন্দর ও বিমানের পর এবার ভারতের কেন্দ্রীয় ব্যাংকে ‘রিজার্ভ ব্যাংক অব ইন্ডিয়া (আরবিআই)’ বোমা মেরে উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়েছে।
শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) মুম্বাইয়ের একজন সিনিয়র পুলিশ কর্মকর্তার বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারতের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নতুন গভর্নর সঞ্জয় মালহোত্রার অফিসিয়াল ইমেইল অ্যাড্রেসে হুমকি বার্তাটি পাঠানো হয়েছে। হুমকি-সংবলিত ইমেইলটি ভাষায় লেখা হয়েছে। হুমকিদাতা ভিপিএন ব্যবহার করে মেইলটি পাঠিয়েছেন। এতে লেখা ছিল, ব্যাংকটি বোমা মেরে উড়িয়ে দেওয়া হবে!
বিষয়টি নিয়ে ইতোমধ্যেই অভিযোগ জানিয়েছে রিজার্ভ ব্যাংক অব ইন্ডিয়া কর্তৃপক্ষ। অভিযোগের ভিত্তিতে অজ্ঞাত-পরিচয় ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে মুম্বাই পুলিশ। পুলিশ ইতোমধ্যেই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
এ নিয়ে এক মাসেরও কম সময়ের মধ্যে আরবিআইকে দ্বিতীয়বার এ হুমকি দেওয়া হলো। এর আগে গত ১৬ নভেম্বরে আরবিআই কাস্টমার কেয়ার ডিপার্টমেন্টে বোমা হামলা হুমকি দেওয়া হয়।
এর আগে গত সোমবার দিল্লির অন্তত ৪০টি স্কুলে ই-মেইলের মাধ্যমে বোমা হামলার হুমকি দেওয়া হয়। গত ৩ ডিসেম্বর বোমা মেরে তাজমহল উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়। চলতি বছরে ভারতে স্কুল, রেলওয়ে স্টেশন, বিমানবন্দর ও বিমানে শত শত বোমা হামলার হুমকি দেওয়া হয়েছে। তবে বেশির ভাগই ভুয়া প্রমাণিত হয়েছে।
আরটিভি/এসএপি/এআর
বাংলাদেশের সঙ্গে চীন-পাকিস্তানের মতো সম্পর্ক চায় না ভারত: জয়শঙ্কর
বাংলাদেশের উন্নয়ন প্রকল্পে ভারতের অংশীদারিত্বের কথা স্মরণ করিয়ে পারস্পরিক লাভে স্থিতিশীলতা ফেরানোর প্রত্যাশা জানিয়েছেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। এ সময় তিনি চীন-পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের সম্পর্কের প্রসঙ্গও টেনে ইঙ্গিত দিয়েছেন, বাংলাদেশের সঙ্গে সেরকম সম্পর্ক চায় না ভারত।
জয়শঙ্কর বলেন, বাংলাদেশে উন্নয়ন প্রকল্পে ভারতের একটি ভালো অতীত রয়েছে। প্রকৃতপক্ষে, যখন আমরা ‘প্রতিবেশী প্রথম’ নীতির কথা বলি, তখন পাকিস্তান ও চীন বাদে প্রায় প্রতিটি প্রতিবেশী দেশেই আমাদের গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন প্রকল্প রয়েছে এবং বাংলাদেশের ক্ষেত্রেও তাই।
শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) লোকসভা অধিবেশনের ভাষণে বাংলাদেশ প্রসঙ্গে এসব কথা বলেন তিনি।
ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের প্রতি আচরণ ভারতের জন্য উদ্বেগের বিষয় এবং নয়াদিল্লি আশা করে ঢাকা নিজ স্বার্থেই তাদের নিরাপত্তার জন্য ব্যবস্থা নেবে।
তিনি বলেন, ভারত আশা করে বাংলাদেশের নতুন সরকার পারস্পরিক লাভের একটা স্থিতিশীল সম্পর্কের দিকে যাবে। আমরা আমাদের উদ্বেগের বিষয়ে তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছি। সম্প্রতি, পররাষ্ট্রসচিব ঢাকা সফর করেছেন। সফরকালে বৈঠকগুলোতে বিষয়টি উঠে এসেছে।
বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের প্রতি আচরণ উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে কারণ তাদের ওপর একাধিক হামলার ঘটনা ঘটেছে, যোগ করেন জয়শঙ্কর।
আরটিভি/এসএপি/এআর