পরকীয়ায় ভারতের ৮ লাখ মানুষ
ভারতে পরকীয়ায় জড়িত অন্তত ৮ লাখ মানুষ। দেশটির বিবাহিত পুরুষ ও নারীদের মধ্যে সম্প্রতি একটি অনলাইন ডেটিং এবং সোশ্যাল নেটওয়ার্ক সার্ভিস অ্যাপ সমীক্ষা চালিয়েছে। সমীক্ষায় উঠে এসেছে এমন চাঞ্চল্যকর তথ্য।
সমীক্ষায় বলা হয়েছে, তালিকায় শীর্ষে বেঙ্গালুরু, মুম্বাই ও কলকাতার মানুষ।
পরকীয়া নিয়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে দেখা যায়, ডেটিং অ্যাপ এর মাধ্যমে পরকীয়ায় শীর্ষে আছেন বেঙ্গালুরুর পুরুষরা, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে রয়েছে মুম্বাই এবং কলকাতার পুরুষেরা, তারপরে আছে দিল্লি।
পরকীয়ায় মেয়েদের তুলনায় পুরুষদের সংখ্যা বেশি। মেয়েদের দিক দিয়ে তালিকায় এগিয়ে আছে বেঙ্গালুরু, তারপর যথাক্রমে মুম্বাই ও চেন্নাই। পাশাপাশি তালিকায় কলকাতা শহরও রয়েছে।
ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম বলছে, সুপ্রিম কোর্ট থেকে পরকীয়া আইনসিদ্ধ করে দেওয়ার পর থেকে পরকীয়ার ঘটনা বাড়ছে।
জিএ/পি
মন্তব্য করুন
টাটা গ্রুপের কর্ণধার রতন টাটা মারা গেছেন
ভারতের টাটা গ্রুপের কর্ণধার রতন টাটা মারা গেছেন। তার বয়স হয়েছিল ৮৬ বছর।
বুধবার (৯ অক্টোবর) রাতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। এই শিল্পপতিকে বয়সজনিত অসুস্থতার কারণে ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। খবর হিন্দুস্তান টাইমসের।
টাটা সন্সের চেয়ারম্যান এন চন্দ্রশেখরন এক সংবাদ বিবৃতিতে এই তথ্য জানিয়েছে।
গত সোমবার (৭ অক্টোবর) সকালে হঠাৎ খবর ছড়ায় রতন টাটা হাসপাতালে ভর্তি। কিন্তু এর কিছু পরে তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করে জানান, সেটা ভুল খবর। তিনি ঠিক আছেন। তবে বুধবার রাতে ভারতীয় একাধিক সংবাদ মাধ্যমের খবরে জানা যায়, রতন টাটা হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন এবং তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়েছে। এর মধ্যে বুধবার তার মৃত্যুর খবর এল।
১৯৩৮ সালের ২৮ ডিসেম্বর মুম্বাইয়ে জন্ম রতন টাটার। বাবা নভল টাটার জন্ম গুজরাটেরর সুরতে। ১৯৯১ সালে ১০০ বিলিয়ন ডলার বাজার মূল্যের কংগ্লোমারেটের চেয়ারম্যান হন রতন টাটা। ২০১২ সাল পর্যন্ত একশ বছরেরও বেশি আগে তার প্রপিতামহ এই গ্রুপটি প্রতিষ্ঠা করেন।
রতন টাটা ১৯৯১ সালে শিল্পপ্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান হন এবং ২০১২ সাল পর্যন্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন। ১০০ বিলিয়ন ডলার সমমূল্যের এই প্রতিষ্ঠানের ইস্পাত থেকে সফটওয়্যার পর্যন্ত নানা ধরনের ব্যবসা রয়েছে। ১০০ বছরের বেশি সময় আগে তার প্রপিতামহ এই শিল্পপ্রতিষ্ঠান শুরু করেছিলেন।
সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস
আরটিভি/এএএ
কে হবেন রতন টাটার ৩৮০০ কোটির সাম্রাজ্যের উত্তরসূরি?
ভারতের শিল্পপতি রতন টাটা মারা গেছেন। বুধবার (৯ অক্টোবর) রাতে ৮৬ বছর বয়সে ৩৮০০ কোটির সম্পত্তি রেখে মারা গেছেন তিনি। তার উত্তরসূরি কে হবেন প্রশ্ন উঠছে বিভিন্ন মহলে।
ভারতের ধনকুবের রতন টাটা মুম্বাইতে জন্ম নেন ১৯৩৭ সালে। বুধবার রাতে মুম্বাইয়ের একটি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। দীর্ঘ জীবনকালে শিল্পপতি হিসেবে একের পর এক নজির গড়েছেন। তার ঝুলিতে রয়েছে ‘পদ্মভূষণ’ এবং ‘পদ্মবিভূষণ’ সম্মাননা। তথ্য বলছে, তিনি রেখে গেছেন ৩৮০০ কোটি রুপির সম্পত্তি।
বিভিন্ন ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, টাটা ট্রাস্টের প্রাথমিক জনহিতকর অঙ্গসংস্থান স্যার দোরাবজি টাটা ট্রাস্ট এবং স্যার রতন টাটা ট্রাস্টের ট্রাস্টি হিসেবে লিয়া টাটা, মায়া টাটা এবং নেভিল টাটার নিয়োগকে সমর্থন করেছিলেন রতন টাটা। এ ট্রাস্টগুলো টাটা পরিবারের দাতব্য কাজে কেন্দ্রীয় ভূমিকা পালন করে। টাটা পরিবারের তরুণ প্রজন্ম বর্তমানে গ্রুপের পাঁচটি প্রধান জনহিতকর সংস্থায় বোর্ডের পদে রয়েছে।
লিয়া টাটা, মায়া টাটা এবং নেভিল টাটা হলেন রতন টাটার সৎ ভাই নোয়েল টাটার সন্তান। নোয়েল টাটা হলেন রতনের বাবা নেভাল টাটা এবং সৎ মা সিমোনের সন্তান।
মায়া টাটা
৩৪ বছর বয়সি মায়া টাটা গ্রুপে উল্লেখযোগ্য অবস্থানে রয়েছেন। বেইজ বিজনেস স্কুল এবং ওয়ারউইক বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী মায়া টাটা অপরচুনিটিজ ফান্ড এবং টাটা ডিজিটালের প্রধান ভূমিকা পালন করেছেন। টাটা নিউ অ্যাপ চালু করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন মায়া।
নেভিল টাটা
মায়া টাটা ছাড়াও আরও একজনের নাম শোনা যাচ্ছে। ৩২ বছর বয়সি নেভিল টাটা পারিবারিক ব্যবসার সঙ্গে ওৎপ্রোতভাবে জড়িত। টয়োটা কির্লোস্কর গ্রুপ পরিবারের মানসী কির্লোস্করের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন নেভিল। ট্রেন্ট লিমিটেডের অধীনে শীর্ষস্থানীয় হাইপারমার্কেট চেইন স্টার বাজারের প্রধান তিনি।
লিয়া টাটা
বয়সের দিক থেকে ৩৯ বছরের লিয়া টাটা সবার থেকে বড়। তিনি টাটা গ্রুপের হাসপিটালিটি সেক্টরে কাজ করেন। স্পেনের আইইতে পড়াশোনা করা লিয়া তাজ হোটেল রিসোর্টগুলোতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। বর্তমানে ইন্ডিয়ান হোটেল কোম্পানির কার্যকলাপ তিনি পরিচালনা করেন।
রতন টাটার চলে যাওয়া এক যুগের অবসান ঘটিয়েছে, কিন্তু এখন সকলের নজর তার উত্তরাধিকারীর দিকে। টাটা গোষ্ঠীর ভবিষ্যৎ কে পরিচালনা করবেন—নোয়েল, নেভিল, লিয়া, না মায়া? এই প্রশ্নের উত্তর নিয়ে চলছে জল্পনা, এবং খুব শিগগিরই আমরা জানতে পারব এই ঐতিহাসিক সাম্রাজ্যের পরবর্তী কর্ণধার কে হতে চলেছেন।
প্রসঙ্গত, ১৯৩৭ সালের ২৮ ডিসেম্বর মুম্বাইয়ে পারসিক পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন রতন টাটা। বাবা নভল টাটার জন্ম গুজরাটের সুরাটে। পরে টাটা পরিবার তাকে দত্তক নেয়। রতন টাটার মা সুনি টাটা আবার সরাসরি জামশেদজি টাটার পরিবারের অংশ। রতন টাটার পিতামহ হরমসজি টাটা জন্মসূত্রেই ওই পরিবারের সদস্য। রতন টাটার যখন ১০ বছর বয়স, সেই সময় তার মা-বাবা আলাদা হয়ে যান। রতন টাটার নিজের এক ভাইও রয়েছেন, জিমি টাটা। সৎ ভাই নোয়েল টাটা। নভল টাটা দ্বিতীয়বার বিয়ে করেন সিমোন টাটাকে। নোয়েল তাদেরই সন্তান।
ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে খুব একটা কথা বলতেন না রতন টাটা। তবে বেশ কবছর আগে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনের সঙ্গে খানিকটা মন খুলে কথা বলেছিলেন তিনি। রতন টাটা বলেছিলেন, প্রেম করলেও বিয়ে করার সাহস আর পাননি। কোনো না কোনো কারণ দেখিয়ে পিছু হটেছেন। প্রথম প্রেমিকা ছিলেন এক মার্কিন তরুণী। যুক্তরাষ্ট্রে তখন কাজ করতেন তিনি। প্রচণ্ড ব্যস্ততার মধ্যেও তার সঙ্গে ওই তরুণীর সম্পর্ক তৈরি হয়। কিন্তু তাকে বিয়ে করতে পারেননি। দ্রুত ভারতে ফিরে আসার কারণে সে সম্পর্ক পূর্ণতা পায়নি।
২০১১ সালে একটি সাক্ষাৎকারে রতন টাটা বলেছিলেন, তার জীবনে চার বার বিয়ের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত নানা কারণে পিছিয়ে আসতে হয় তাকে। একাধিক সম্পর্কে জড়ালেও শেষ পর্যন্ত বিয়ের সিদ্ধান্ত নিতে পারেননি রতন টাটা। তাই শেষদিন পর্যন্ত কুমার থেকে গেলেন। ছোটবেলা বাবা-মায়ের বিচ্ছেদই রতন টাটার মধ্যে বিয়ের ভীতি তৈরি করেছে বলে অনেকের ধারণা।
আরটিভি/একে/এআর
মৃত্যুর আগে শেষ পোস্টে যা বলেছিলেন রতন টাটা
ভারতের বিখ্যাত শিল্পপতি ও টাটা সন্সের চেয়ারম্যান ইমেরিটাস রতন টাটা মারা গেছেন। বার্ধক্যজনিত কারণে মুম্বাইয়ের একটি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তিনি। বুধবার রাতে সেখানেই তার মৃত্যু হয়। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৬ বছর।
এদিকে মৃত্যুর মাত্র দুদিন আগে সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সে পোস্ট দিয়েছিলেন তিনি। মৃত্যুর আগে সেটিই ছিল তার সর্বশেষ পোস্ট। ওই পোস্টে তিনি সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়েছিলেন।
মূলত নিজের স্বাস্থ্য নিয়ে গুজব ছড়িয়ে পড়ার পর অনুগামীদের জন্য ওই পোস্ট দিয়েছিলেন তিনি। বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম বলছে, মৃত্যুকালে রতন টাটার বয়স হয়েছিল ৮৬ বছর। বেশ কিছুদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন তিনি। এজন্য নিয়মিত চেকআপেও থাকতে হতো তাকে। জানা গিয়েছিল, হেলথ চেকআপের জন্য হাসপাতালে গিয়েছিলেন রতন টাটা।
কিন্তু বুধবার বিকেলে ভারতীয় একাধিক সংবাদমাধ্যম দাবি করে, রতন টাটা শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক। প্রাথমিকভাবে শোনা গিয়েছিল, হঠাৎ রক্তচাপ নেমে যাওয়ায় কারণে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। শেষে বুধবার রাতে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।
এর আগে, গত সোমবার (৭ অক্টোবর) সকালে হঠাৎ খবর ছড়ায় রতন টাটা হাসপাতালে ভর্তি। কিন্তু এর কিছু পরে তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে জানান, সেটা ভুল খবর। তিনি ঠিক আছেন।
মাত্র দুই দিন আগে গত সোমবার ভারতীয় এই শিল্পপতি একটি সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে তার অনুগামীদের জন্য বার্তা দিয়ে তার স্বাস্থ্যকে ঘিরে ছড়িয়ে থাকা গুজবগুলোকে উড়িয়ে দিয়েছিলেন। সেখানে তিনি বলেছিলেন, আমার কথা চিন্তা করার জন্য আপনাদের ধন্যবাদ।
রতন টাটা তার সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে বলেছিলেন, আমি আমার স্বাস্থ্য সম্পর্কে প্রচারিত সাম্প্রতিক গুজব সম্পর্কে অবগত এবং সবাইকে আশ্বস্ত করতে চাই, এই দাবিগুলো ভিত্তিহীন। আমি বর্তমানে আমার বয়স এবং সম্পর্কিত চিকিৎসা অবস্থার কারণে মেডিকেল চেক-আপের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি। আমি ভালো আছি...।
৮৬ বছর বয়সী ভারতীয় এই শিল্পপতি তার শেষ সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে বলেছিলেন, আমি জনসাধারণ এবং মিডিয়াকে ভুল তথ্য ছড়ানো থেকে বিরত থাকার অনুরোধ করছি।
প্রসঙ্গত, ১৯৩৭ সালের ২৮ ডিসেম্বর মুম্বাইয়ে পারসিক পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন রতন টাটা। বাবা নভল টাটার জন্ম গুজরাটের সুরাটে। পরে টাটা পরিবার তাকে দত্তক নেয়। রতন টাটার মা সুনি টাটা আবার সরাসরি জামশেদজি টাটার পরিবারের অংশ। রতন টাটার পিতামহ হরমসজি টাটা জন্মসূত্রেই ওই পরিবারের সদস্য। রতন টাটার যখন ১০ বছর বয়স, সেই সময় তার মা-বাবা আলাদা হয়ে যান। রতন টাটার নিজের এক ভাইও রয়েছেন, জিমি টাটা। সৎ ভাই নোয়েল টাটা। নভল টাটা দ্বিতীয়বার বিয়ে করেন সিমোন টাটাকে। নোয়েল তাদেরই সন্তান।
ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে খুব একটা কথা বলতেন না রতন টাটা। তবে বেশ কবছর আগে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনের সঙ্গে খানিকটা মন খুলে কথা বলেছিলেন তিনি। রতন টাটা বলেছিলেন, প্রেম করলেও বিয়ে করার সাহস আর পাননি। কোনো না কোনো কারণ দেখিয়ে পিছু হটেছেন। প্রথম প্রেমিকা ছিলেন এক মার্কিন তরুণী। যুক্তরাষ্ট্রে তখন কাজ করতেন তিনি। প্রচণ্ড ব্যস্ততার মধ্যেও তার সঙ্গে ওই তরুণীর সম্পর্ক তৈরি হয়। কিন্তু তাকে বিয়ে করতে পারেননি। দ্রুত ভারতে ফিরে আসার কারণে সে সম্পর্ক পূর্ণতা পায়নি।
২০১১ সালে একটি সাক্ষাৎকারে রতন টাটা বলেছিলেন, তার জীবনে চার বার বিয়ের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত নানা কারণে পিছিয়ে আসতে হয় তাকে। একাধিক সম্পর্কে জড়ালেও শেষ পর্যন্ত বিয়ের সিদ্ধান্ত নিতে পারেননি রতন টাটা। তাই শেষদিন পর্যন্ত কুমার থেকে গেলেন। ছোটবেলা বাবা-মায়ের বিচ্ছেদই রতন টাটার মধ্যে বিয়ের ভীতি তৈরি করেছে বলে অনেকের ধারণা।
আরটিভি/একে/এআর
ভারতে নিষিদ্ধ হলো হিজবুত তাহ্রীর
বিশ্বব্যাপী ইসলামি খিলাফত প্রতিষ্ঠাকামী সংগঠন হিজবুত তাহ্রীরকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে ভারত।
বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে এ ঘোষণা দিয়েছে দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এতে বলা হয়েছে, জিহাদ ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে ভারতসহ বিশ্বব্যাপী ইসলামি রাষ্ট্র ও খিলাফত প্রতিষ্ঠা করতে চায় হিজবুত তাহ্রীর। খবর পিটিআইয়ের।
ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জারি করা প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়, হিজবুত তাহ্রীর চরমপন্থা বিস্তারে যুক্ত রয়েছে। তারা সহজ–সরল তরুণদের আইএসের মতো সন্ত্রাসী সংগঠনে যোগ দিতে উদ্বুদ্ধ করায় নিয়োজিত রয়েছে। এছাড়া তারা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের জন্য তহবিল সংগ্রহ করছে।
প্রজ্ঞাপন জারির পর এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ প্ল্যাটফর্ম এক্সে (সাবেক টুইটার) একটি পোস্ট করা হয়েছে ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের দপ্তর থেকে। তাতে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সন্ত্রাসবাদের প্রতি ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি অনুসরণ করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আজ হিজবুত তাহ্রীরকে সন্ত্রাসী সংগঠন ঘোষণা করেছে।
উল্লেখ্য, সংগঠনটি বাংলাদেশেও নিষিদ্ধ এবং জঙ্গি সংগঠন হিসেবে পরিচিত। ২০০৯ সালের ২২ অক্টোবর হিজবুত তাহ্রীরকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে তৎকালীন বাংলাদেশ সরকার। তবে এখনও সংগঠনটি দেশে তাদের তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে। সপ্তাহখানেক আগেই রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় অভিযান চালিয়ে সংগঠনটির মিডিয়া সমন্বয়ক ইমতিয়াজ সেলিমকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিট।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হেরিটেজ ফাউন্ডেশনের প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিশ্বের অন্তত ৪০টি রাষ্ট্রে হিজবুত তাহ্রীর সক্রিয় আছে। তবে, তাদের বিতর্কিত কর্মতৎপরতার কারণে রাশিয়া, কাজাখস্তান, তুরস্ক, পাকিস্তান, তাজিকিস্তান, উজবেকিস্তান, সংযুক্ত আরব আমিরাত, লেবানন এবং ইয়েমেন ছাড়া সব দেশেই সংগঠনটি নিষিদ্ধ।
আরটিভি/এসএইচএম
টাটা ট্রাস্টের চেয়ারম্যানের নাম ঘোষণা
টাটা গোষ্ঠীর জনহিতকর শাখা টাটা ট্রাস্টের চেয়ারম্যান হলেন নোয়েল টাটা। এতদিন এই পদে ছিলেন রতন টাটা। বুধবার (৯ অক্টোবর) ৮৭ বছর বয়সে মুম্বাইয়ের ব্রিজ ক্যান্ডি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন রতন। খবর এনডিটিভির
শুক্রবার (১১ অক্টোবর) রতন টাটার সৎভাই নোয়েলকেই এই পদের জন্য বেছে নিলেন সংস্থার ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্যরা।
টাটা ট্রাস্টের নতুন চেয়ারম্যান রতন টাটার সৎ ভাই নোয়েল টাটা। রতন টাটার মৃত্যুর পর তিনটি নাম নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছিল। তারা হলেন লিয়া টাটা, মায়া টাটা ও নেভিল টাটা। কিন্তু রতন বিয়ে করেননি, নিঃসন্তান, তাহলে এই লিয়া, মায়া ও নেভিল কারা? এই তিনজন হলেন রতন টাটার সৎ ভাই নোয়েল টাটার তিন সন্তান।
এরই মধ্যে টাটা গোষ্ঠীর বিভিন্ন সংস্থায় ডিরেক্টরের দায়িত্ব সামলাচ্ছেন তারা। লিয়া, মায়া ও নেভিলের প্রতি ভরসা দেখিয়েছেন খোদ রতনও। সেই সূত্রেই দোরাবজি টাটা ট্রাস্ট ও রতন টাটা ট্রাস্টের ট্রাস্টি হিসেবে তিনজনকে নিয়োগের অনুমোদন দেন নিজেই।
তবে নোয়েল কেবল রতনের সৎ ভাই নন, গত ৪০ বছর ধরে টাটা গ্রুপের বিশ্বস্ত সৈনিকও। সাফল্যের সঙ্গে নিজের দায়িত্ব পালন করে চলেছেন। বর্তমানে টাটা ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডের নন-এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর নোয়েল। এ ছাড়াও রতন টাটা ট্রাস্ট ও দোরাবজি টাটা ট্রাস্টের অন্যতম সদস্যও ছিলেন।
রতন টাটার বাবা ছিলেন নাভাল টাটা। নাভালের দ্বিতীয় স্ত্রীর সন্তান ৬৭ বছরের নোয়েল। রতন টাটা ট্রাস্ট ও দোরাবজি টাটা ট্রাস্টের সদস্য হওয়ায় টাটা ট্রাস্টের চেয়ারম্যান হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে ছিলেন নোয়েল।
আরটিভি/এমএ/এআর
মহারাষ্ট্রের সাবেক মন্ত্রীকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা
ভারতের মহারাষ্ট্রের সাবেক মন্ত্রী ও এনসিপি নেতা বাবা সিদ্দিকিকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে।
শনিবার (১২ অক্টোবর) রাতে মুম্বাইয়ের বান্দ্রায় সিদ্দিকির ছেলের অফিসের কাছাকাছি এই হামলার ঘটনা ঘটে। হামলাকারীরা এসময় প্রায় ছয় রাউন্ড গুলি চালায়। এর মধ্যে চারটি গুলি বাবা সিদ্দিকির শরীরে লাগে।
ঘটনার সঙ্গে সঙ্গে সাবেক এ মন্ত্রীকে লীলাবতী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও বাঁচানো সম্ভব হয়নি তাকে। এ ঘটনায় তার একজন সঙ্গীও আহত হয়েছেন।
বাবা সিদ্দিকির ছেলে জিশান সিদ্দিকি বান্দ্রা পূর্ব থেকে নির্বাচিত বিধায়ক। দিওয়ালি উৎসবের মধ্যে এবং মহারাষ্ট্রের আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের কয়েক মাস আগে সাবেক মন্ত্রীর ওপর এই হামলায় রাজ্যের নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন উঠে গেছে।
এরই মধ্যে বিরোধী দলগুলো মুম্বাইয়ের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। এনসিপি প্রধান শরদ পাওয়ার বলেছেন, রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অত্যন্ত উদ্বেগজনক। দেশের অর্থনৈতিক রাজধানীতে এই ধরনের ঘটনা খুবই দুঃখজনক। সরকারকে এর দায়িত্ব নিতে হবে এবং পদত্যাগ করতে হবে।
কংগ্রেস নেতা বিজয় ওয়াদেট্টিওয়ার বলেন, যেভাবে ওয়াই লেভেলের নিরাপত্তা পাওয়া একজন নেতাকে প্রকাশ্যে হত্যা করা হয়েছে, তা অত্যন্ত আশ্চর্যজনক ও দুঃখজনক। সরকার মুম্বাইয়ের নিরাপত্তা পরিস্থিতির অবনতি ঘটিয়েছে এবং অপরাধীদের পৃষ্ঠপোষকতা করছে।
এ অবস্থায় মহারাষ্ট্র সরকার সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। তদন্ত প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে ইতোমধ্যে।
মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে বলেছেন, এমন ঘটনা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। এরই মধ্যে দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আরেক অভিযুক্ত এখনও পলাতক। পুলিশকে কঠোর পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, যাতে মুম্বাইয়ের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির আরও অবনতি না ঘটে।
উল্লেখ্য, বাবা সিদ্দিকি বান্দ্রা পশ্চিম থেকে ১৯৯৯, ২০০৪ এবং ২০০৯ সালে তিনবার বিধায়ক হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন। ২০০৪ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত খাদ্য, নাগরিক সরবরাহ, শ্রম এবং এফডিএ-এর প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন তিনি। বাবা সিদ্দিকি রাজনৈতিক অঙ্গনে যেমন সুপরিচিত এক মুখ ছিলেন, তেমনি বলিউডের সঙ্গেও তার গভীর সম্পর্ক ছিল। ২০১৩ সালে তার আয়োজিত ইফতার পার্টিতে শাহরুখ খান এবং সালমান খানের শীতল সম্পর্ক ফের উষ্ণ করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল বাবা সিদ্দিকির।
আরটিভি/এসএইচএম
বাবা সিদ্দিকি হত্যার দায় স্বীকার, নেপথ্যে সালমানের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা!
ভারতের মহারাষ্ট্র রাজ্যের সাবেক মন্ত্রী বাবা সিদ্দিকিকে হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার দুজন নিজেদের মুম্বাইয়ের লরেন্স বিষ্ণোই গ্যাংয়ের সদস্য বলে জানিয়েছেন। সেইসঙ্গে এই হত্যার দায়ও স্বীকার করে নিয়েছে গ্যাংটি।
শনিবার (১২ অক্টোবর) রাতে আততায়ীর গুলিতে নিহত হন ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টির (এসসিপি) নেতা এবং মহারাষ্ট্রের তিনবারের বিধায়ক বাবা সিদ্দিকি।
পুলিশের বরাতে ভারতীয় গণমাধ্যমগুলোর প্রতিবেদনে জানানো হয়, শনিবার রাতে মুম্বাইয়ের বান্দ্রা পূর্ব এলাকার নির্মল নগরে কোলগেট মাঠের কাছে ছেলে জিশান সিদ্দিকের অফিস থেকে বের হন বাবা সিদ্দিকি। গাড়িতে উঠতে যাবেন এমন সময়ে তাকে লক্ষ্য করে ছয়টি গুলি করে একদল সন্ত্রাসী। এর মধ্যে চারটি গুলি লাগে তার গায়ে। হামলাকারীরা স্থান ত্যাগ করার পর দ্রুত বাবা সিদ্দিকিকে স্থানীয় লীলাবতী হাসপাতালে নেওয়া হলেও বাঁচানো সম্ভব হয়নি।
এদিকে ঘটনাটি তদন্তের জন্য পুলিশের চারটি বিশেষ দল গঠন করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, বাবা সিদ্দিকিকে গুলি করার সঙ্গে তিন ব্যক্তি জড়িত। এরই মধ্যে হরিয়ানা এবং উত্তরপ্রদেশ থেকে দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে মুম্বাই পুলিশ। তৃতীয় ব্যক্তি পালিয়ে গেছেন। গ্রেপ্তার দুজনের নাম গুরমেল সিং (২০) এবং ধরমরাজ কাশ্যপ (২০)।
এরই মধ্যে রোববার (১৩ অক্টোবর) লরেন্স বিষ্ণোই গ্যাং সদস্যের একটি ফেসবুক পোস্ট ভাইরাল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে, যেখানে উল্লেখ করা হয়েছে, বলিউড অভিনেতা সালমান খানের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক এবং দাউদ ইব্রাহিমের মতো আন্ডারওয়ার্ল্ড ডনের সঙ্গে যোগযোগ রাখার কারণে বাবা সিদ্দিককে টার্গেট করা হয়েছে।
পোস্টে লিখা হয়েছে, ‘ওম, জয় শ্রী রাম, জয় ভারত। আমি জীবনের সারমর্ম বুঝি এবং সম্পদ এবং শরীরকে ধূলিকণা মনে করি। আমি কেবল কর্তব্যকে সম্মান জানিয়ে যা সঠিক তা করেছি। সালমান খান, আমরা এই যুদ্ধ চাইনি। কিন্তু আপনার কারণেই ভাইকে প্রাণ দিতে হলো। আজ বাবা সিদ্দিকির ভদ্রতার মুখোশ বন্ধ হয়ে গেছে। এক সময় তিনি দাউদের সঙ্গে (মহারাষ্ট্র কন্ট্রোল অফ অর্গানাইজড ক্রাইম) এর অধীনে ছিলেন। তার মৃত্যুর কারণ বলিউড, রাজনীতি এবং সম্পত্তির লেনদেনে দাউদ এবং অনুজ থাপনের সঙ্গে সম্পর্ক।’
পোস্টে আরও লেখা হয়েছে, ‘কারও সঙ্গে আমাদের কোনও ব্যক্তিগত শত্রুতা নেই। তবে সালমান খান বা দাউদ গ্যাংকে যারা সাহায্য করবে, তাদেরকে প্রস্তুত থাকতে হবে। যদি কেউ আমাদের কোনও ভাইকে হত্যা করে, আমরা জবাব দেব। আমরা কখনই প্রথম হামলা করি না। জয় শ্রী রাম, জয় ভারত, শহীদদের প্রতি স্যালুট।’
পুলিশ বলছে, খুনের মূল পরিকল্পনাকারীকে খুঁজে বের করেছে তারা। তদন্তে জানা গেছে, এই হত্যা পূর্বপরিকল্পিত। অভিযুক্তদের অগ্রীম টাকা দেওয়া হয়েছিল কয়েকদিন আগে। এরপর তাদের অস্ত্র সরবরাহ করা হয়েছিল।
সিদ্দিকির একটি ঘনিষ্ঠ সূত্র ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভিকে জানায়, তিনি ১৫ দিন আগে হত্যার হুমকি পেয়েছিলেন এবং তাকে ‘ওয়াই’ ক্যাটাগরির নিরাপত্তা দেওয়া হয়েছিল।
উল্লেখ্য, লরেন্স বিষ্ণোই বর্তমানে গুজরাটের একটি কারাগারে বন্দি আছেন। তবে, তার গ্যাং প্রায়ই ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে মুক্তিপণ আদায় করে বলে অভিযোগ আছে। ১৯৯৮ সালে দুই কৃষ্ণ হরিণ শিকার মামলার কারণে সালমান খানের ওপর ক্ষুব্ধ তিনি। কারণ, এই কৃষ্ণ হরিণকে বিষ্ণোই সম্প্রদায় পবিত্র বলে মনে করে।
আরটিভি/এসএইচএম/এআর