পরবর্তী নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নাম সুপারিশ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পাকিস্তান। দেশটির সেনাপ্রধান ফিল্ড মার্শাল আসিম মুনিরের সঙ্গে ট্রাম্পের বৈঠকের পরই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসলামাবাদ।
শনিবার (২১ জুন) এক বিবৃতির মাধ্যমে এ সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে পাকিস্তান সরকার। খবর রয়টার্সের।
প্রসঙ্গত, পাকিস্তানে বেসামরিক সরকার ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় এর আগে দেশটির কোনো সেনাপ্রধান হোয়াইট হাউজে মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য আমন্ত্রিত হননি। গত শুক্রবার (১৯ জুন) ওই বৈঠকের পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক স্ট্যাটাসে নিজের ঢোল নিজেই পেটান ডোনাল্ড ট্রাম্প। সেখানে নিজেকে চার-পাঁচবার নোবেল শান্তি পুরস্কার পাওয়ার যোগ্য বলে দাবি করেন তিনি। স্ট্যাটাসে নিজের দুই দফা প্রেসিডেন্সিতে যত সংঘাত নিরসন হয়েছে, সবগুলোর তালিকা দিয়েছেন তিনি। এর মধ্যে আছে প্রথম মেয়াদে ইসরায়েলের সঙ্গে মধ্যপ্রাচ্যে মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ কয়েকটি দেশের মধ্যে আব্রাহাম অ্যাকর্ড এবং সাম্প্রতিক ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধবিরতি।
পাকিস্তান সেনাবাহিনীর প্রধান আসিম মুনিরও এ ব্যাপারে মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে একমত পোষণ করেছেন। তার মতে, ডোনাল্ড ট্রাম্পের অন্তত একবার শান্তিতে নোবেল পাওয়া উচিত।
এদিকে ইসলামাবাদভিত্তিক বেশ কয়েকজন বিশেষজ্ঞের ধারণা, নোবেল পাওয়ার সম্ভাবনা থাকলে ইসরায়েলের সঙ্গে মিলে ইরানে হামলার বিষয়ে একবার পুনর্বিবেচনা করবেন ট্রাম্প।
গত মে মাসে আকস্মিকভাবে শুরু হওয়া ভারত-পাকিস্তান সংঘাত নিরসনে মার্কিন মধ্যস্থতার কথা আগেও একাধিকবার বলেছেন ট্রাম্প। খুব বড়াই করে তিনি বলে আসছিলেন, পারমাণবিক যুদ্ধ থামিয়ে দিয়ে কোটি কোটি মানুষের প্রাণ বাঁচিয়েছেন তিনি। তবে এজন্য তাকে সামান্যতম কৃতিত্ব দেওয়া হয়নি বলে ক্ষোভও প্রকাশ করেন তিনি।
তার কথায় সুর মিলিয়ে পাকিস্তানও বলে এসেছে, হোয়াইট হাউজের কূটনৈতিক প্রচেষ্টা যুদ্ধবিরতি অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ ছিল। তবে মার্কিন প্রেসিডেন্টের বক্তব্য খুব একটা ভালোভাবে নেয়নি ভারত।
আরটিভি/এসএইচএম/এস