• ঢাকা সোমবার, ২৭ জানুয়ারি ২০২৫, ১৩ মাঘ ১৪৩১
logo
পাকিস্তানের সঙ্গে সরাসরি ফ্লাইট চালুর ঘোষণা বাংলাদেশ হাইকমিশনারের
আল জাজিরার প্রতিবেদন  / হাসিনা-পরবর্তী বাংলাদেশের সঙ্গে উষ্ণ হচ্ছে পাকিস্তানের সম্পর্ক 
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্বে শেখ হাসিনা সরকারের ক্ষমতাচ্যুতির পর থেকেই বড় ধরনের পরিবর্তন লক্ষ্য করা যাচ্ছে বাংলাদেশের রাজনীতিতে। রাজনৈতিক পট পরিবর্তন বড় ধরনের প্রভাব লক্ষ্য করা যাচ্ছে ভূ-রাজনৈতিক সম্পর্কেও। বিশেষ করে, ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক অবনমনের পাশাপাশি পাকিস্তানের সঙ্গে সাম্প্রতিক ঘনিষ্ঠতার বিষয়টি দারুণভাবে লক্ষ্যণীয় হয়ে উঠেছে।  সম্প্রতি দুই দেশের সেনাবাহিনীর উচ্চপর্যায়ের এক বৈঠকেও বিষয়টি স্পষ্ট হয়েছে। বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫৪ বছরের মধ্যে ঢাকা ও ইসলামাবাদের মধ্যে সম্পর্কের এতটা উষ্ণতা আগে দেখা যায়নি কখনও। খবর আল জাজিরার।  গত মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) পাকিস্তানের রাওয়ালপিন্ডিতে সেনা সদর দপ্তরে দেশটির সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনিরের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে বাংলাদেশের সেনাবাহিনীর প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার (পিএসও) লেফটেন্যান্ট জেনারেল এসএম কামরুল হাসানের। পাকিস্তানের আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) আইএসপিআরের বিবৃতি অনুসারে, পাকিস্তানের রাজধানীতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসারের এ সফরটি দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের উচ্চতার স্বাক্ষর বহন করে। বৈঠকে দুদেশের কর্মকর্তা এই মর্মে একমত হয়েছেন যে, বাংলাদেশ এবং পাকিস্তান ভাতৃপ্রতিম দেশ এবং বহিঃশক্তির প্রভাব থাকা সত্ত্বেও দুই দেশের সম্পর্ক অবশ্যই দৃঢ় থাকবে।  আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শেখ হাসিনা পরবর্তী বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে সম্পর্ক গভীর হচ্ছে; কারণ রাজনীতির মাঠে দুই দেশের মধ্যেই ভারত বিরোধিতা রয়েছে। মুনির ও কামরুল হাসানের  বৈঠকটি ছিল দুই দেশের মধ্যে সাম্প্রতিক উচ্চপর্যায়ের একাধিক বৈঠকের অংশ। আইএসপিআরের বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, বৈঠকে প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত বিভিন্ন ইস্যুতে দুই দেশের সেনাবাহিনীর পারস্পরিক আদান-প্রদান, সহযোগিতা ও অংশীদারত্বের মাত্রা বাড়ানোর ব্যাপারে আলোচনা হয়েছে পাকিস্তানের সেনাপ্রধান এবং বাংলাদেশের পিএসওর মধ্যে।  সেখানে পাকিস্তানের সেনাপ্রধান বলেছেন, দুই দেশের প্রতিরক্ষাবাহিনীর মধ্যকার সহযোগিতাপূর্ণ বিভিন্ন উদ্যোগ ও পদক্ষেপের মাধ্যমেই দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের নিরাপত্তা ও সীমান্ত সুরক্ষা সম্ভব এবং পাকিস্তান ও বাংলাদেশের বন্ধুত্ব ও অংশীদারত্বপূর্ণ সম্পর্ক উপমহাদেশের সীমান্ত সুরক্ষিত রাখার জন্য খুবই কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে। তখন বাংলাদেশের পিএসও লেফটেন্যান্ট জেনারেল কামর-উল-হাসান পাকিস্তানের সেনাবাহনীর পেশাদারিত্বের ভূয়সী প্রশংসা করে বলেছেন, সন্ত্রাসবাদ দমনের লড়াইয়ে ব্যাপক আত্মদানের মাধ্যমে পাকিস্তানের সেনাবাহিনী নিজেকে সাহস এবং দৃঢ় সংকল্পের বাতিঘরে পরিণত করেছে। পাকিস্তান ও বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর উচ্চপর্যায়ের এ বৈঠক ছাড়াও গত ৫ আগস্টের পর আরও একাধিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় দুদেশের সর্বোচ্চ পর্যায়ে। গত মাসে মিশরের রাজধানী কায়রোত অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক সম্মেলনে অংশ নিয়ে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান ড. মুহম্মদ ইউনূস পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এছাড়া এই দুই নেতার মধ্যে গত বছরের সেপ্টেম্বরেও জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের সাইডলাইনে সাক্ষাৎ হয়।  এছাড়া পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার আগামী মাসে বাংলাদেশ সফর করবেন বলে আশা করা হচ্ছে। ২০১২ সালের পর এটিই হবে পাকিস্তানের কোনো পররাষ্ট্রমন্ত্রীর প্রথম বাংলাদেশ সফর। এই বিষয়গুলো দক্ষিণ এশিয়ার ভূ-রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে বিশ্লেষকেরা মনে করছেন। মূলত, ১৯৭১ সালে স্বাধীনতার মাধ্যমে বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত হলে ঢাকা ও ইসলামাবাদের বৈরিতার শুরু হয়। পাকিস্তানি সামরিক বাহিনী এবং আল-বদর ও আলশামসসহ তাদের সহযোগী মিলিশিয়ারা স্বাধীনতাকামী জনগোষ্ঠীকে নিশ্চিহ্ন করতে নিধনযজ্ঞে নামে। লাখ লাখ মানুষকে হত্যা করা হয়। অন্তত দুই লাখ নারীকে ধর্ষণ করা হয়েছিল। ওই সময়ে শেখ মুজিবুর রহমান এবং তার দল আওয়ামী লীগ বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনের নেতৃত্ব দেন। এতে সহায়তা করে ভারতীয় সেনাবাহিনী। পরে শেখ মুজিব বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি হন এবং ‘জাতির পিতা’ উপাধি পান। পরবর্তীতে ১৯৭৪ সালে পাকিস্তান একটি ত্রিপক্ষীয় চুক্তির মাধ্যমে বাংলাদেশের স্বাধীনতা স্বীকার করলেও ইসলামাবাদ ও ঢাকার মধ্যে বিভিন্ন অমীমাংসিত বিষয় থেকে যায়। এর মধ্যে পাকিস্তানের পক্ষ থেকে যুদ্ধাপরাধের জন্য আনুষ্ঠানিক ক্ষমা না চাওয়া, পাকিস্তানি পরিচয় দেয়া উর্দুভাষী জনগোষ্ঠীকে বাংলাদেশ থেকে সরিয়ে না নেয়া এবং ১৯৭১ সালের পূর্ববর্তী সম্পদের ভাগাভাগি অন্যতম। আর এই অমিমাংসিত বিষয় নিয়ে কায়রোতে শাহবাজ শরিফের সঙ্গে বৈঠকে কথা বলেন ড. ইউনূস। জবাবে শাহবাজ শরিফ বলেন, ১৯৭৪ সালেই বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও ভারত ত্রিপক্ষীয় চুক্তিতে বিষয়গুলো মীমাংসা হয়ে গেছে। তবে যদি আরও অমীমাংসিত ইস্যু থাকে, তাহলে সেগুলোতে খুশি মনেই মনোযোগ দেবেন তিনি। বাংলাদেশ-পাকিস্তান সম্পর্কের সাম্প্রতিক উষ্ণতা নিয়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত পাকিস্তানের সাবেক রাষ্ট্রদূত আশরাফ কোরেশি আল-জাজিরাকে বলেন, নয়াদিল্লির তরফ থেকে শেখ হাসিনার স্বৈরাচারী সরকারকে দীর্ঘদিন ধরে সমর্থন করার কারণে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কে যে উত্তেজনা তৈরি হয়েছে, সম্ভবত এই বিষয়টি ঢাকা প্রশাসনকে নতুন করে কৌশল নির্ধারণে উদ্বুদ্ধ করেছে। অবশ্য কিংস কলেজ লন্ডনের সিনিয়র লেকচারার ওয়াল্টার ল্যাডউইগ বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের সাম্প্রতিক কূটনৈতিক ও সামরিক চালাচালিকে ‘অতিরঞ্জিত’ করে দেখা হচ্ছে বলে সতর্ক করেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক পক্ষ ভৌগোলিক ও অর্থনৈতিক বাস্তবতা মেনে নিয়েছে- এটি অবশ্যই লক্ষ্য করার মতো একটি প্রবণতা। তবে এটি তখনই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে, যখন এর সঙ্গে ব্যাপক নীতিগত পরিবর্তন যুক্ত হবে। এর আগে আমরা আঞ্চলিক ভূ-রাজনীতিতে বড় কোনো পরিবর্তনের কথা ভাবতে পারি না। প্রসঙ্গত, ভারতের প্রতি বন্ধুত্বপূর্ণ হওয়ার কারণে আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনমালে গত ১৫ বছর পাকিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক খুবই সীমিত ছিল। এর প্রভাব পড়েছিল দুদেশের সেনাবাহিনীর মধ্যেও। কিন্তু, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্বে সংঘটিত গণঅভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট ক্ষমতাচ্যুতি ঘটে শেখ হাসিনা সরকারের। পরবর্তীতে ৮ আগস্ট শপথ নেওয়ার মাধ্যমে শান্তিতে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে দেশ পরিচালনার দায়িত্ব নেয় অন্তর্বর্তী সরকার। ড. ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর থেকে পাকিস্তানের সঙ্গে জোরদার হতে থাকে বাংলাদেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক। ইতোমধ্যে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ এবং অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান ড. ইউনূসের মধ্যে কয়েকবার বৈঠক হয়েছে। পাশাপাশি দুদেশের মধ্যে পণ্য আমদানি-রপ্তানি ও বাণিজ্যিক জাহাজ চলাচলও একাত্তরের পর ফের শুরু হয়েছে। আরটিভি/এসএইচএম/এআর  
ইমরান খানের ১৪ বছর কারাদণ্ড
বাংলাদেশের সঙ্গে শক্তিশালী প্রতিরক্ষা জোট গড়তে চায় পাকিস্তান
স্বর্ণের খনির সন্ধান মিলল পাকিস্তানে 
পাকিস্তানিদের জন্য ভিসা প্রক্রিয়া সহজ করল ঢাকা
বাংলাদেশ আমাদের হারিয়ে যাওয়া ভাই: পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী
বাংলাদেশ আমাদের হারিয়ে যাওয়া ভাই, দেশটিকে সম্ভাব্য সব উপায়ে সহযোগিতা করা হবে বলে মন্তব্য করেছেন পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ ইশাক দার। বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) ইসলামাবাদে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই মন্তব্য করেন। খবর দৈনিক মিনিট মিরর। ইশাক দার বলেন, পাকিস্তানের কূটনৈতিক বিচ্ছিন্নতা এক বছরের মধ্যে শেষ হয়েছে। আমাদের পররাষ্ট্র দপ্তর বলেছে, আমরা অর্থনৈতিক কূটনীতি অনুসরণ করব। আমার ঢাকা সফরের পরিকল্পনা রয়েছে। বাংলাদেশ পাকিস্তানের সহযোগিতার মূল অংশীদার। এ সময় গাজায় চলমান গণহত্যার বিষয়ে পাকিস্তানের দৃঢ় অবস্থান এবং ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রীর প্রকাশ্য নিন্দা জানান পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কার্যকরভাবে তার দায়িত্ব পালন করছে। তিনি সকল আন্তর্জাতিক ফোরামে কাশ্মির ইস্যু উত্থাপনের জন্য পাকিস্তানের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছেন। প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শাসনামলে দুই দেশের মাঝে শীতল সম্পর্ক ছিল। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর বহু বছর দুই দেশের মধ্যে সরাসরি বাণিজ্য হতো না। গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা নেতৃত্বাধীন সরকারের পতনের পর থেকে বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নে নানা ধরনের পদক্ষেপ নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে পাকিস্তান। সম্প্রতি পাকিস্তানের দক্ষিণাঞ্চলীয় বন্দরনগরী করাচি থেকে একটি পণ্যবাহী জাহাজ সরাসরি চট্টগ্রাম বন্দরে নোঙর করেছে। আরটিভি/এসএপি/এস
প্রেমের টানে পাকিস্তানে গিয়ে ভারতীয় যুবক আটক
প্রেমের টানে অবৈধভাবে সীমান্ত পেরিয়ে পাকিস্তানের নিরাপত্তারক্ষীদের হাতে বন্দি হয়েছেন উত্তরপ্রদেশের বাদল বাবু (৩০) নামে এক যুবক। শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) পুলিশ বাদল বাবুকে মান্ডি বাহাউদ্দীন শহর থেকে গ্রেপ্তার করে। বাদল আলিগড়ের নাগলা খাটকারি গ্রামের বাসিন্দা। বাদলের এই ঘটনায় এখনও তার পরিবারের পক্ষ থেকে কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি। পাকিস্তানের নিরাপত্তা কর্মীদের জেরায় ভারতের আলিগড়ের বাসিন্দা বাদল জানান, পাকিস্তানের এক নারীর সঙ্গে তার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পরিচয়। সেই বন্ধুত্ব ক্রমেই প্রেমের সম্পর্কে গড়ায়। তাই ভালোবাসার মানুষটির সঙ্গে দেখা করার তাগিদেই জীবন বাজি রেখে সীমান্ত পেরোনোর সীদ্ধান্ত নেন ওই যুবক। গ্রেপ্তারের পর বাদল পুলিশকে কোনও ভ্রমণ নথিপত্র দেখাতে ব্যর্থ হলে পাকিস্তানের ফরেনার্স অ্যাক্ট, ১৯৪৬-এর ১৩ এবং ১৪ ধারায় তার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। পরে বাদলকে আদালতে হাজির করা হয়। তাকে ১৪ দিনের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। ১০ জানুয়ারি তাকে ফের আদালতে হাজির করানো হবে।
এবার পাকিস্তানে হামলা চালাল আফগানিস্তান, নিহত ১৯
পাকিস্তানের ‘বেশ কয়েকটি পয়েন্ট’ লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে আফগানিস্তান। এতে পাকিস্তানের ১৯ সেনা নিহত হয়েছেন। শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) আফগানিস্তানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে এ খবর জানিয়েছে দেশটির সংবাদ মাধ্যম খামা প্রেস। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ডুরান্ড লাইনের বাইরে (পাকিস্তানের ভেতর) বেশ কয়েকটি পয়েন্টে হামলা সংগঠিত হয়েছে। দেশের দক্ষিণ-পূর্ব দিকে বিমান হামলার প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য এই লক্ষ্যবস্তু করা হয়। এতে ১৯ জন পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর সদস্য নিহত হয়েছেন। আফগান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র এনায়েতুল্লাহ খোয়ারাজমি বলেন, পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশ ও আফগানিস্তানের খোস্ত প্রদেশের মধ্যবর্তী স্থানকে আমরা এটিকে পাকিস্তানের ভূখণ্ড বলে মনে করি না। তাই আমরা অঞ্চলটি নিশ্চিত করতে পারি না।’ তবে এ বিষয়ে আলজাজিরার মন্তব্যের অনুরোধে সাড়া দেয়নি পাকিস্তান সেনাবাহিনীর জনসংযোগ শাখা এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র। এর আগে, গত ২৫ ডিসেম্বর আফগানিস্তানের পাকতিকা প্রদেশে সন্ত্রাসীদের আস্তানা লক্ষ্য করে মুহুর্মুহু বিমান হামলা চালায় পাকিস্তান। এতে নারী ও শিশুসহ অন্তত ১৫ জন নিহত হয়েছেন। আরটিভি/এসএপি-টি
পাকিস্তানের ৬০ কোটি ডলারের ঋণ বাতিল করল বিশ্বব্যাংক
পাকিস্তানের জাতীয় বাজেটের উন্নয়ন খাতের জন্য দেশটির সরকারকে যে ১০০ কোটি ডলার ঋণ সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল বিশ্বব্যাংক, তার দ্বিতীয় কিস্তি বাতিল হয়ে গেছে। এর ফলে ৬০ কোটি ডলারের ঋণ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে অর্থ সংকটে জর্জরিত দেশটি।   নিজেদের সিদ্ধান্তের ব্যাপারে বিশ্বের বৃহত্তম ঋণদাতা সংস্থাটি বিবৃতি দিয়ে বলেছে, চলতি অর্থবছরে পাকিস্তানকে আর কোনো প্রকার বাজেট বিষয়ক ঋণ দেওয়া হবে না। শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) পাকিস্তানের দৈনিক এক্সপ্রেস ট্রিবিউন এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে। সংবাদমাধ্যমটি বলছে, বিশ্বব্যাংক যেসব শর্তের সাপেক্ষে পাকিস্তানকে এই ঋণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, সেসবের কোনটিই পূরণ করতে পারেনি পাকিস্তান সরকার। প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিশ্বব্যাংকের এই পদক্ষেপ অর্থ সংকটে জর্জরিত পাকিস্তানের জন্য একটি বড় ধাক্কা হয়ে হাজির হয়েছে। কারণ বাজেট বিষয়ক ঋণপ্রাপ্তির পর নতুন আরও ২০০ কোটি ডলার ‍ঋণের জন্য আবেদন করার পরিকল্পনা ছিল ইসলামাবাদের; কিন্তু বাজেট ঋণ বাতিলের জেরে নতুন ঋণের জন্য আবেদনের পরিকল্পনাও কার্যত ভেস্তে গেল দেশটির। পাকিস্তানের পরিবেশবান্ধব জ্বালানি খাত উন্নয়নের জন্য প্রস্তাবিত এই ঋণ প্রদানের কথা ছিল বিশ্বব্যাংক। ২০২১ সালে পরিবেশবান্ধব জ্বালানি উৎপাদন ও ব্যবহার সংক্রান্ত পাকিস্তানের সরকারি প্রকল্প অ্যাফোর্ডেবল অ্যান্ড ক্লিন এনার্জি প্রোগ্রামের (পেস) অনুমোদন দেয় বিশ্বব্যাংক। পাশাপাশি প্রকল্প গড়ে তুলতে প্রাথমিক ভাবে ১০০ কোটি ডলার ঋণ প্রদানের প্রতিশ্রুতিও দেয়। সেই ঋণের প্রথম কিস্তি হিসেবে ইতোমধ্যে ৪০ কোটি ডলার পেয়েছেও পাকিস্তান। চলতি ডিসেম্বরে দ্বিতীয় কিস্তিতে ৬০ কোটি ডলার আসার কথা ছিল। তবে দ্বিতীয় কিস্তি প্রদানের আগে ইসলামাবাদকে বেশ কয়েকটি শর্ত দেয় বিশ্বব্যাংক। সেসবের মধ্যে একটি শর্ত ছিল— এই মুহূর্তে পাকিস্তানে যেসব বেসরকারি ও বিদেশি মালিকানাধীন কেন্দ্রগুলোর কাছ থেকে বিদ্যুৎ ক্রয় করছে পাকিস্তানের সরকার, সেসব প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সাক্ষরিত চুক্তির অনুলিপি যেন বিশ্বব্যাংককে প্রদান করা হয়। সিপিইসি নামের একটি চুক্তির আওতায় পাকিস্তানে বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন করেছে চীন। সেই চুক্তি সম্পর্কেও জানতে চেয়েছিল বিশ্বব্যাংক। তবে চীনের আপত্তির কারনে সিপিইসি চুক্তি সম্পর্কিত কোনো তথ্য বিশ্বব্যাংককে প্রদান করেনি ইসলামাবাদ। পাকিস্তানে এই মুহূর্তে প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের দাম ৬৫ থেকে ৭০ পাকিস্তানি রুপি। ফলে দরিদ্র তো বটেই, সাধারণ মধ্যবিত্তেরও নাভিশ্বাস উঠছে এই অতিমূল্যের কারণে। দাম কমানোর জন্য ইসলামাবাদ বেসকরকারি বিদ্যুৎ উৎপাদন প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে, কিন্তু এখনও কোনো ইতিবাচক ফলাফল আসেনি।   আরটিভি/এসএইচএম
শিগগিরই বাংলাদেশের সঙ্গে পাকিস্তানের সরাসরি ফ্লাইট চালু 
বাংলাদেশের সঙ্গে পাকিস্তানের সরাসরি ফ্লাইট শিগগিরই চালু হচ্ছে বলে জানিয়েছেন করাচিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের ডেপুটি হাইকমিশনার এস এম মাহবুবুল আলম। এর ফলে দুই দেশের মধ্যে ব্যবসায়িক সম্পর্ক জোরদার হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।  শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম এক্সপ্রেস ট্রিবিউন। করাচিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের ডেপুটি হাইকমিশনার এস এম মাহবুবুল আলম জানিয়েছেন, পাকিস্তান ও বাংলাদেশের মধ্যে সরাসরি ফ্লাইট শিগগিরই চালু হবে, যা উভয় দেশের ব্যবসায়িক সম্প্রদায়ের মধ্যকার সম্পর্ককে উল্লেখযোগ্যভাবে শক্তিশালী করবে। তিনি আরও জানিয়েছেন, হায়দ্রাবাদ চেম্বার অব স্মল ট্রেডার্স অ্যান্ড স্মল ইন্ডাস্ট্রির (এইচসিএসটিএসআই) সহযোগিতায় হায়দ্রাবাদে দুই দেশের আমদানিকারক ও রপ্তানিকারকদের জন্য একটি প্রদর্শনীরও আয়োজন করা হবে। এ ছাড়া মাহবুবুল আলম ২০২৫ সালের জানুয়ারিতে ঢাকায় অনুষ্ঠিতব্য বার্ষিক বাণিজ্য প্রদর্শনীতে অংশগ্রহণের জন্য পাকিস্তানের ব্যবসায়ী সম্প্রদায়কেও আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। তিনি আশ্বাস দিয়েছেন, ঢাকায় অনুষ্ঠিতব্য এই ইভেন্টে পাকিস্তানের ব্যবসায়ীদের অংশগ্রহণের সুবিধার্থে তাদের ভিসা প্রক্রিয়া সহজতর করা হবে। এক্সপ্রেস ট্রিবিউন বলছে, হায়দ্রাবাদ চেম্বার পরিদর্শনকালে বাংলাদেশের ডেপুটি হাইকমিশনার এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস পাকিস্তানের সঙ্গে বাণিজ্য বাড়ানোর সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোর ওপর জোর দিয়েছেন। এ সময় তিনি পাকিস্তানের ব্যবসায়ীদের কাছে বাংলাদেশকে অত্যন্ত আকর্ষণীয় বাজার হিসেবে বর্ণনা করেন এবং এইচসিএসটিএসআইকে ঢাকায় তাদের একটি প্রতিনিধিদল পাঠাতে বলেন। তিনি ব্যবসায়ীদের ভিসা প্রক্রিয়া পর্যবেক্ষণ ও ত্বরান্বিত করারও প্রতিশ্রুতি দেন। মাহবুবুল আলম উল্লেখ করেন, বাংলাদেশ তার পণ্য ৮০টি দেশে রপ্তানি করে বিলিয়ন ডলার রাজস্ব আয় করছে। তবে, তিনি পাকিস্তানের সাথে শক্তিশালী বাণিজ্য সম্পর্কের মাধ্যমে উভয় দেশের সম্পর্ক আরও সম্প্রসারণের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন। প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের নাগরিকদের জন্য বিনা মূল্যে ই-ভিসা আবেদনের সুযোগ দিয়েছে পাকিস্তান। অনলাইনে আবেদন করলে কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই পাওয়া যাচ্ছে ই-ভিসা। বাংলাদেশি যাত্রীদের পাকিস্তানের বিভিন্ন গন্তব্যে নিতে দীর্ঘদিন ধরেই আগ্রহ প্রকাশ করেছিল পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্স (পিআইএ)। আর এখন বাংলাদেশিদের আগ্রহ দেখে ফ্লাইট পরিচালনার পরিকল্পনা করছে তারা। আরটিভি/একে/এস
পাকিস্তান থেকে আসছে ২৫ হাজার টন চিনি 
পাকিস্তানের কাছ থেকে ২৫ হাজার টন চিনি কিনেছে বাংলাদেশ। আগামী মাসেই এই চিনি বাংলাদেশের চট্টগ্রাম বন্দরে এসে পৌঁছাবে। এর মধ্য দিয়ে কয়েক দশক পর পাকিস্তানের কাছ থেকে এত বিপুল পরিমাণে চিনি দেশে আসছে। এতদিন মূলত ভারতের কাছ থেকেই পণ্যটি কিনত বাংলাদেশ।   মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম দ্য নিউজ ইন্টারন্যাশনাল। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পাকিস্তানের কাছ থেকে ২৫ হাজার টন চিনি কিনেছে বাংলাদেশ, যা আগামী মাসে করাচি বন্দর থেকে চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছাবে। এর আগে ভারত থেকে চিনি আমদানি করে আসছিল বাংলাদেশ। প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফের অনুমোদনের পর এই বছর কম-বেশি ৬ লাখ টন চিনি রপ্তানির চুক্তি করেছে পাকিস্তানের চিনিশিল্প। এর মধ্যে ৭০ হাজার টন চিনি পাকিস্তান থেকে পাঠানো হবে মধ্য এশিয়ার দেশগুলোতে। থাইল্যান্ড পাকিস্তানের চিনি শিল্প থেকে ৫০ হাজার টন চিনি কিনেছে। পাকিস্তানের চিনি ব্যবসায়ীদের কর্মকর্তা মজিদ মালিকের মতে, উপসাগরীয় রাষ্ট্র, আরব দেশ এবং আফ্রিকান দেশগুলোও পাকিস্তান থেকে চিনি কেনার চুক্তি করেছে। প্রতিবেদন অনুসারে, চিনি রপ্তানি থেকে পাকিস্তান ৪০০-৫০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার আয় করবে। মূলত, চিনি শিল্প দক্ষিণ এশিয়ার এই দেশটির জন্য একটি প্রধান বৈদেশিক মুদ্রা উপার্জনকারী শিল্প হয়ে উঠেছে। গত সোমবার (২ ডিসেম্বর) আন্তর্জাতিক বাজারে চিনির দাম প্রতি টনে ৫৩০ মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে। একইদিন থেকে পাকিস্তানের ৮০ টিরও বেশি চিনিকল উৎপাদন শুরু করেছে। আরটিভি/এসএইচএম-টি
ইমরান ও বুশরা বিবিসহ ৯৬ জনের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
পিটিআই প্রতিষ্ঠাতা ইমরান খান, তার স্ত্রী বুশরা বিবি ও খাইবার পাখতুনখোয়ার মুখ্যমন্ত্রী আলি আমিন গন্ডাপুরসহ দলটির সংশ্লিষ্ট ৯৬ জনের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে ইসলামাবাদের একটি সন্ত্রাসবিরোধী আদালত (এটিসি)।  পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের মুক্তির দাবিতে সম্প্রতি তার দল পিটিআইয়ের বিক্ষোভকে কেন্দ্র করে সোমবার (২ ডিসেম্বর) এ গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়। পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম ডন এ খবর জানিয়েছে। বিগত এক বছরের বেশি সময় ধরে রাওয়ালপিন্ডির আদিয়ালা কারাগারে রয়েছেন ইমরান খান। তার বিরুদ্ধে আরও অনেক মামলা রয়েছে যেগুলোতে এখনও তিনি জামিন পাননি। এছাড়া তাকে আরও ৭টি নতুন মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। সোমবার ইমরান খানকে সন্ত্রাসবাদবিরোধী আদালতে হাজির করা হয়। সেখানে নতুন সাতটি মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখাতে পুলিশের আবেদন মঞ্জুর করেন আদালত। বিক্ষোভে সহিংসতার ঘটনায় দেশটির বিভিন্ন থানায় ইমরান খান ও পিটিআইয়ের নেতা-কর্মীদের আসামি করে এসব মামলা হয়েছে।  ইমরান খানের ‘শেষ ডাক’-এ সাড়া দিয়ে গত ২৪ নভেম্বর পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদে বিক্ষোভ শুরু করে তার সমর্থক ও পিটিআইয়ের কর্মীরা। কিন্তু  গত ২৭ নভেম্বর রাজধানীর রেড জোনে পিটিআই কর্মী এবং নিরাপত্তা বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষের পর দলটির শীর্ষ নেতৃত্ব ও সমর্থকরা দ্রুত পিছু হটেন। তিন দিনের এই বিক্ষোভে অন্তত ছয়জন নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে একজন পুলিশ সদস্য এবং তিনজন রেঞ্জার্স কর্মকর্তা রয়েছেন।   পরবর্তী অভিযানে পিটিআইয়ের বহু কর্মী গ্রেপ্তার হন এবং একাধিক মামলা দায়ের করা হয় তাদের বিরুদ্ধে। এর মধ্যে একটি মামলা কোহসার থানায় ২৬ নভেম্বর থানার স্টেশন হাউজ অফিসার (এসএইচও) মোহাম্মদ ইমরানের অভিযোগের ভিত্তিতে দায়ের করা হয়। পুলিশ মামলায় ৯৬ জন সন্দেহভাজনের একটি তালিকা জমা দেয়, যাতে ইমরান, বুশরা বিবি, মুখ্যমন্ত্রী গন্ডাপুর, সাবেক প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভি, জাতীয় পরিষদের সাবেক স্পিকার আসাদ কায়সার, পিটিআই চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার গওহর, জাতীয় পরিষদে বিরোধীদলীয় নেতা ওমর আইয়ুব এবং আরও অনেক নেতার নাম রয়েছে।  শুনানিতে এটিসি বিচারক তাহির আব্বাস সিপরা পুলিশের আবেদনে সাড়া দিয়ে এই ৯৬ জনের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। তাদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগে বলা হয়, পিটিআই নেতারা ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে পুলিশ সদস্যদের আক্রমণ করেন এবং তাদের বিক্ষোভে সরকারি কর্মচারীদের ব্যবহার করেন। বিক্ষোভকারীদের কর্মকাণ্ডের কারণে স্থানীয় বাসিন্দারা তাদের বাড়িতে আটকা পড়েন এবং এলাকায় আতঙ্ক ছড়ায়। আরটিভি/এসএইচএম