• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
logo
বাংলাদেশের উন্নতি দেখে এখন লজ্জিত হই : পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী
পাকিস্তানের সংসদ ভবনে জুতা চুরি, খালি পায়ে ফিরলেন এমপিরা
পাকিস্তানের সংসদ ভবন থেকে ২০ জোড়া জুতা চুরির ঘটনা ঘটেছে। এতে খালি পায়ে বাড়ি ফিরতে হয়েছে এমপিদের। সম্প্রতি এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউন। প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, গত শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) পাকিস্তানের সংসদ চত্বরে থাকা একটি মসজিদে এই জুতা চুরির ঘটনা ঘটেছে। ওই দিন জুমার নামাজ পড়তে মসজিদে ঢুকেছিলেন সংসদ সদস্য, সাংবাদিক ও সরকারি কর্মকর্তারা। নামাজ শেষে দেখলেন তাদের জুতা গায়েব। অনেক খোঁজাখুজির পরেও নিজেদের জুতা না পেয়ে খালি পায়েই ঘরে ফিরতে হয়েছে তাদের।  কড়া নিরাপত্তায় ঘেরা সংসদ চত্বরের মসজিদ থেকে অন্তত ২০ জোড়া জুতা চুরির ঘটনা নিয়ে পাকিস্তানে চলছে বিতর্কের ঝড়। জুতা চুরির সময় দায়িত্বপ্রাপ্ত নিরাপত্তাকর্মীরা স্পষ্টতই অনুপস্থিত থাকায় পরিস্থিতিকে আরও জটিল হয়েছে। পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের স্পিকার সরদার আয়াজ সাদিক এই ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। সংসদের নিরাপত্তা ব্যবস্থার ত্রুটি অনুসন্ধানে সূক্ষ্ম তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
বিচার বিভাগে হস্তক্ষেপ : প্রধান বিচারপতিকে ইমরানের চিঠি
৮৩৭ আফগান শরণার্থীকে ফেরত পাঠাল পাকিস্তান
তিন দিনের সফরে ইরানের প্রেসিডেন্ট পাকিস্তানে 
স্ত্রীকে টয়লেট ক্লিনার খাওয়ানোর অভিযোগ তুললেন ইমরান
পাকিস্তানে রোজার মাসে ছিনতাই-ডাকাতির ঘটনায় ১৯ মৃত্যু
রোজার এক মাসে পাকিস্তানে ছিনতাই-ডাকাতির মত অপরাধের ঘটনা বেড়েছে। ওই সময়ে সংঘটিত ডাকাতির ঘটনায় বাধা বা প্রতিরোধের কারণে ১৯ জনের প্রাণ গেছে, আহত হয়েছেন ৫৫ জন। টাইমস অব ইন্ডিয়া জানিয়েছে, করাচিতে ডাকাতির সময় সশস্ত্র ডাকাতদের হাতে ওই ১৯ নাগরিক নিহত হয়েছেন। চলতি বছরেই ডাকাতি সংক্রান্ত প্রাণহানির ঘটনা অনেক বেড়েছে। এ পর্যন্ত ৫৬ জনের প্রাণ গেছে। আহত হয়েছেন ২০০ জনেরও বেশি মানুষ। গতবছরের একই সময় পর্যন্ত একই রকমের ঘটনায় ২৫ জন নিহত হন, আহত হন ১১০ জন। ওই বছর ডাকাতি প্রতিরোধ বা বাধা দেওয়ার সময় সশস্ত্র ব্যক্তিদের হাতে প্রাণ যায় ১০৮ জনের, আহত হন ৪৬৯ জন। অপরদিকে চলতি বছরের এখন পর্যন্ত ডাকাতদের প্রতিরোধে ৪২৫টি গোলাগুলির ঘটনায় যুক্ত হয়েছে করাচির পুলিশ। এসব ঘটনায় ৫৫ ডাকাত নিহত হয়েছেন, আহত হয়েছেন ৪৩৯ জন। সিটিজেন-পুলিশ লিয়াজোঁ কমিটির (সিপিএলসি) প্রতিবেদন বলছে, চলতি বছরের প্রথম তিন মাসে করাচিতে ২২ হাজার ৬২৭টি অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে। এসব ঘটনায় প্রাণ গেছে ৫৯ জনের, আহত হয়েছেন ৭০০ জনেরও বেশি। এছাড়া ৩৭৩টি গাড়ি, ১৫ হাজার ৯৬৮ মোটরসাইকেল ও ৬ হাজার ১০২টি মোবাইল ফোন চুরি-ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে।
পাকিস্তানে ভারী বৃষ্টি-বজ্রপাতে ৩৯ জনের মৃত্যু
পাকিস্তানে ভারী বৃষ্টি এবং বজ্রপাতে কমপক্ষে ৩৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। দেশটির দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে কয়েকদিন ধরেই ব্যাপক বৃষ্টিপাত হচ্ছে। স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ফসল কাটার সময় বেশ কয়েকজন কৃষক বজ্রপাতে প্রাণ হারিয়েছেন। আকস্মিক বন্যায় বিদ্যুৎ সরবরাহ এবং পরিবহন চলাচল ব্যাহত হয়েছে। বেশ কিছু ফুটেজে দেখা গেছে বৃষ্টির পানিতে কৃষিজমি ডুবে গেছে। পাকিস্তানের জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে এখন সেখানে প্রাকৃতিক দুর্যোগও বাড়ছে। শুধু পাকিস্তান নয়, বিশ্বের বেশির ভাগ দেশেই এখন জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব প্রকোট হয়ে দাঁড়িয়েছে।   এর আগে ২০২২ সালে পাকিস্তানের এক তৃতীয়াংশ অঞ্চলে নজিরবিহীন বন্যায় ১ হাজার ৭০০ জনের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়। এ ছাড়া আহত হয় আরও কয়েক হাজার মানুষ। এতে কয়েক লাখ মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়েন এবং কয়েক মাস ধরে বিশুদ্ধ খাবার পানির অভাব দেখা দেয়। সে বছর খাইবার পাখতুনখোয়া এবং বেলুচিস্তান প্রদেশের কিছু অঞ্চল বন্যায় বেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। চলতি বছরের বন্যা এবং বজ্রপাতেও সেসব এলাকা আবারও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আগামী কয়েকদিনে আরও বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে পাকিস্তানের জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ। একই সঙ্গে ভূমিধস এবং আকস্মিক বন্যা পরিস্থিতির বিষয়েও সতর্ক করা হয়েছে। বার্তা সংস্থা এএফপির এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, পাকিস্তানের সবচেয়ে জনবহুল প্রদেশ পাঞ্জাবে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার থেকে রোববারের মধ্যে সেখানে বজ্রপাতে ২১ জন প্রাণ হারিয়েছে। এছাড়া পশ্চিম বেলুচিস্তান প্রদেশে কমপক্ষে আটজনের মৃত্যু হয়েছে। সেখানে জরুরি অবস্থা জারি করেছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ। এছাড়া সোম এবং মঙ্গলবার প্রদেশের সব স্কুল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। বালুচ শহরের মিউনিসিপ্যাল কমিটির চেয়ারম্যান নুর আহমেদ পাকিস্তানের সংবাদপত্র ডনকে বলেছেন, পাসনিকে এই মুহূর্তে একটি বড় হ্রদের মতো দেখাচ্ছে।  এদিকে পাকিস্তানের প্রতিবেশী দেশ আফগানিস্তানেও ভারী বন্যার খবর পাওয়া গেছে। আফগান কর্তৃপক্ষ রোববার জানিয়েছে, সেখানে অন্তত ৩৩ জন নিহত হয়েছেন এবং শত শত ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়েছে। জাতিসংঘের গ্লোবাল ক্লাইমেট রিস্ক ইনডেক্স অনুসারে, পাকিস্তানে জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ পঞ্চম দেশ হিসাবেও স্থান পেয়েছে। সূত্র : বিবিসি
পাকিস্তানে ব্রিটিশ নাগরিকদের ভ্রমণে সতর্কতা
যুক্তরাজ্যের নাগরিকদের ভ্রমণের জন্য ‘অতি বিপজ্জনক’ দেশের তালিকায় রয়েছে পাকিস্তান। যুক্তরাজ্যের ফরেন, কমনওয়েলথ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অফিস (এফসিডিও) এই তালিকায় রেখেছে পাকিস্তানকে। জিও নিউজ জানিয়েছে, এফসিডিও তাদের তালিকা হালনাগাদ করেছে এবং নতুন করে ১০টি দেশের নাম তালিকায় উঠে এসেছে। মোট ২৪টি গন্তব্যকে ব্রিটিশ নাগরিকদের জন্য বিপজ্জনক বলে উল্লেখ করেছে সংগঠনটি। অপরাধ, যুদ্ধ, সন্ত্রাস, রোগ, আবহাওয়া এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগসহ ভ্রমণকারীদের নিরাপত্তা হুমকির মত বিষয়গুলো পর্যালোচনা করে এই তালিকা তৈরি করেছে এফসিডিও। তালিকায় নতুন করে যুক্ত করা হয়েছে রাশিয়া, ইউক্রেন, ইসরায়েল, ইরান, সুদান, লেবানন, বেলারুশ ও ফিলিস্তিনি অঞ্চল। এই দেশগুলো ব্রিটিশ নাগরিকদের ভ্রমণের জন্য অনিরাপদ বলে জানানো হয়েছে। কালো তালিকায় রাখা হয়েছে আফগানিস্তান, বুরকিনা ফাসো, মধ্য আফ্রিকা প্রজাতন্ত্র, শাদ, হাইতি, ইরাক, ইসরাইল, লেবানন, লিবিয়া, মালি, নাইজার, উত্তর কোরিয়া, সোমালিয়া, সোমালিল্যান্ড, দক্ষিণ সুদান, সিরিয়া, ভেনিজুয়েলা এবং ইয়েমেন। ব্রিটিশ পররাষ্ট্র দপ্তরও একটি ‘রেড লিস্ট’ করেছে। এই তালিকায় থাকা দেশগুলোতে খুব জরুরি নাহলে ভ্রমণ এড়িয়ে চলতে বলা হয়েছে ব্রিটিশ নাগরিকদের।
খাইবার পাখতুনখোয়ায় সিনেট নির্বাচন পেছাতে পারে
খাইবার পাখতুনখোয়ার সংরক্ষিত আসনে নির্বাচিতদের শপথ গ্রহণে প্রদেশটির সিনেট নির্বাচন মুলতবি রাখার ইঙ্গিত দিয়েছে পাকিস্তান নির্বাচন কমিশন।  পাকিস্তান ভিত্তিক জিও নিউজ জানিয়েছে, আগামী ২ এপ্রিল ওই সিনেট নির্বাচনের তারিখ রয়েছে। কিন্তু বৃহস্পতিবার প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) সাত পৃষ্ঠার একটি রায় দেন। খাইবার পাখতুনখোয়ার আইনপ্রণেতাদের প্রশাসনিক শপথের আদেশ চেয়ে সিনেট নির্বাচন স্থগিতের রাখার এক আবেদনের ওপর ওই রায় দেন সিইসি। পাকিস্তানের নির্বাচনি কর্তৃপক্ষের জারি করা ওই রায়ে বলা হয়, ভোট দেওয়া মানুষের মৌলিক অধিকার। কোনো ভোটারই ওই অধিকার থেকে বঞ্চিত হতে পারে না। আরও বলা হয়, নির্বাচন যাতে সততা, ন্যায়পরায়ণতা, সুষ্ঠু ও আইনানুযায়ী অনুষ্ঠিত হয়, তা নিশ্চিত করতে কমিশনের কাছে এ ধরনের নির্দেশনা এবং অনুরূপ আদেশ জারি করার পর্যাপ্ত ক্ষমতা রয়েছে। কমিশন খাইবার পাখতুনখোওয়ার প্রাদেশিক পরিষদের সদস্যদের শপথ পর্যন্ত সিনেট নির্বাচন সম্পন্ন করার সময় বাড়াতে পারে। এর আগে খাইবার পাখতুনখোওয়া পরিষদের বিরোধী দলগুলো সংরক্ষিত আসনের আইন প্রণেতাদের শপথ গ্রহণের বিষয়ে আদালতের হস্তক্ষেপ কামনা করেন। পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন), পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি) এবং জমিয়ত উলেমা-ই-ইসলাম-ফজলের (জেইউআই-এফ) সদস্যরা সংরক্ষিত আসনে শপথ নিতে যাওয়া আইন প্রণেতারা যাতে আসন্ন সিনেট নির্বাচনেও ভোট দিতে পারে, এক পিটিশনে সেই আবেদন জানান।
অধিকৃত কাশ্মীরে জাতিগত বৈষম্যের অভিযোগ মানবাধিকার কাউন্সিলে
জেনেভায় জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলের এক সভায় পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরে চলমান জাতিগত বৈষম্যের বিষয়টি তুলে ধরেছেন এক রাজনৈতিক কর্মী। বৃহস্পতিবার কাউন্সিলের ৫৫তম অধিবেশনে তার ওই হস্তক্ষেপের সময় জাতীয় সমতা পার্টি জেকেজিবিএল এর চেয়ারম্যান সাজ্জাদ রাজা বলেন, পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীর ‘অ্যাক্ট ৭৪’ ও গিলগিট বাল্টিস্তান ‘আদেশ ২০১৮’ দ্বারা শাসিত। উভয় আইনই ওই অঞ্চলে বিভিন্ন ধরনের জাতিগত বৈষম্য পরিচালনায় কর্তৃপক্ষকে সাংবিধানিক সুরক্ষা দিচ্ছে। সাজ্জাদ রাজা বলেন, পাকিস্তান-অধিকৃত কাশ্মীরের আদিবাসীদের সক্ষমতা ও অর্জন থাকার পরও মুখ্য সচিব, পুলিশ মহাপরিদর্শক, অডিটর জেনারেল ও অর্থ সচিবের মত পদে পদোন্নতি তারা পাচ্ছে না। এই পদগুলো কেবল পাকিস্তান সিভিল সার্ভিসের পাকিস্তানি জাতিসত্তার কর্মকর্তাদের জন্য সংরক্ষিত। ব্যবস্থাপকের পদ ছাড়াও বেশিরভাগ চাকরির সুযোগ অবসরপ্রাপ্ত পাকিস্তানি সেনা কর্মকর্তাদের দখলে জানিয়ে তিনি বলেন, এই অবস্থার কারণে আমাদের যুবকরা তাদের জমি ও সম্পদ বিক্রি করে মধ্যপ্রাচ্য, ইউরোপ বা অন্য কোথাও অভিবাসী হচ্ছে। বাহিনীর এই সাংবিধানিক জাতিগত বৈষম্য স্পষ্টভাবে ‘ডারবান ডিক্লারেশন অ্যান্ড প্রোগ্রাম অব অ্যাকশন’ লঙ্ঘন করে। পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীর এবং গিলগিট বাল্টিস্তানে ‘ইউএনএইচসিআরসি রেজুলেশন ২১-৩৩’ এর স্পষ্ট লঙ্ঘন সত্ত্বেও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের ন্যূনতম প্রতিক্রিয়া না জানানোয় সমালোচনা করেন তিনি। চলমান অবস্থা থেকে উত্তরণে জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন এসময়।
কাশ্মীরে স্বাস্থ্য কর্মীদের বিক্ষোভ
পাকিস্তান-অধিকৃত কাশ্মীরের মুজাফফরাবাদের সমন্বিত স্বাস্থ্য কর্মসূচি ‘মা, নবজাতক ও শিশু স্বাস্থ্য’ (এমএনসিএইচ) এর কর্মীরা তাদের বেতন না বাড়ানো এবং কোনো রকমের নোটিশ ছাড়াই চাকরিচ্যুত করার প্রতিবাদ জানিয়েছেন। তাদের অভিযোগ, এই কর্মসূচির যুক্ত কর্মীদের যথাসময়ে বেতন বাড়ছে না। এমনকি নোটিশ ছাড়াই বেশ কয়েকজনকে চাকরিচ্যুত করেছে কর্তৃপক্ষ। এএনআই জানিয়েছে, বিক্ষোভে অংশ এক নারী বলেন, আমার বাচ্চাদের খাওয়াতে হয়, তারা গত ছয় মাস ধরে স্কুলে যাচ্ছে না। তাদের শিক্ষার ব্যবস্থা করতে পারছি না। কম বেতনের কারণে তাদের পড়ালেখা চালাতে পারছি না। আমরা গরীব, খাওয়া-পড়া বাদে অন্যান্য খরচও সামাল দিতে হয়। আমার মেয়েদের অন্যের বাড়ির কাজের জন্যও পাঠাতে হয়েছিল, কারণ কোনো বিকল্প ছিল না। কর্মীদের অনেকেই এমএনসিএইচ কর্মসূচিতে ১৫ বছর ধরে কাজ করছেন জানিয়ে আরেক নারী বলেন, কর্মসূচির সঙ্গে যুক্ত ১২৪২ জনকে বিনা নোটিশে বরখাস্ত করা হয়েছে। গত নয় মাসে তাদের বেতন দেওয়া হয়নি। তার ভাষ্য, এসব সমস্যার প্রতিবাদে রোজা রেখেও আমরা রাস্তায় নেমেছি। কারণ, আমাদের মনে হচ্ছে অন্য কোনো বিকল্প নেই। আমাদের অনেক সহকর্মী বিধবা আর দরিদ্র। পাকিস্তানে এই প্রকল্প সাধারণ গ্রেডে আনা হয়েছে। আমাদের দাবি, কাশ্মীরেও এটি সাধারণ গ্রেডে নিয়ে আস হোক। আমরা গত ১৭ দিন ধরে প্রতিবাদ করছি। কিন্তু আমাদের কথা কর্তৃপক্ষের কেউ শুনতেও আসেনি।
পাকিস্তানে বিদ্যুৎ গ্রাহকদের গুনতে হচ্ছে অতিরিক্ত ১২৫ বিলিয়ন রুপি
পাকিস্তানে বিদ্যুৎ খাতে ত্রৈমাসিক ও মাসিক সমন্বয়ের জন্য গ্রাহকরা আগামী তিন মাসে (এপ্রিল থেকে জুন) অতিরিক্ত ১২৫ বিলিয়ন রুপি পরিশোধ করবেন। ন্যাশনাল ইলেকট্রিক পাওয়ার রেগুলেটরি অথরিটি (নেপ্রা) ২০২৩-২৪ অর্থবছরের দ্বিতীয় ত্রৈমাসিক সমন্বয় করতে বৃহস্পতিবার ‘ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি’ এবং ‘কে-ইলেক্ট্রিকের’ গ্রাহকদের জন্য প্রতি ইউনিটে ২.৭৪৯২ রুপি শুল্ক বাড়ানোর অনুমোদন দিয়েছে। ইতোমধ্যে নেপ্রা ফেব্রুয়ারি মাসের জন্য মাসিক জ্বালানি চার্জ সামঞ্জস্যের কারণ হিসেবে ‘ডিসকোস’ পিটিশনে প্রতি ইউনিটে ৪.৯৯ রুপি বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়ে রেখেছে। সেটি কার্যকর হলে ‘ডিসকোসের’ ভোক্তাদের প্রতি ইউনিটে ৪.৯৯ দিতে হবে। এছাড়া ত্রৈমাসিক সমন্বয়ের জন্য প্রতি ইউনিটে অতিরিক্ত ২.৭৪ রুপি কেটে রাখা হবে। এর মানে এপ্রিল মাসে ত্রৈমাসিক ও মাসিক সমন্বয়ের জন্য ডিস্কোর গ্রাহকদের কাঁধে প্রতি ইউনিটে অতিরিক্ত ৭.৭৪ রুপির বোঝা পড়বে এবং মে ও জুন মাসে ইউনিট প্রতি অতিরিক্ত ২.৭৪ রুপি গুনতে হবে। একইভাবে কে-ইলেক্ট্রিকের গ্রাহকদের এপ্রিল থেকে জুন পর্যন্ত তিন মাসের জন্য ২০২৩-২৪ অর্থবছরের দ্বিতীয় ত্রৈমাসিক সমন্বয়ে ইউনিট প্রতি অতিরিক্ত ২.৭৫ রুপি দিতে হবে। কিউটিএ’র প্রভাবে ডিসকোস ও কেই এর গ্রাহকদের অতিরিক্ত ৮৫.২ বিলিয়ন রুপি গুনতে হবে। ফেব্রুয়ারির এফসি’র জন্য দিতে হবে অতিরিক্ত আরো ৪০ বিলিয়ন রুপি।