যুক্তরাজ্যে টিউলিপের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু, গোপনে ঢাকা থেকে তথ্য সংগ্রহ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, আরটিভি নিউজ

রোববার, ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ , ০২:০৫ পিএম


যুক্তরাজ্যে টিউলিপের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু, গোপনে ঢাকা থেকে তথ্য সংগ্রহ
টিউলিপ সিদ্দিক। ফাইল ছবি

যুক্তরাজ্যের সাবেক মন্ত্রী টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে ব্রিটেনের 'এফবিআই' খ্যাত গোয়েন্দা সংস্থা ন্যাশনাল ক্রাইম এজেন্সি (এনসিএ) বাংলাদেশের দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সঙ্গে ঢাকায় এক গোপন বৈঠকের পর ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষ এই পদক্ষেপ নিয়েছে।

বিজ্ঞাপন

শনিবার ( ফেব্রুয়ারি) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ডেইলি মেইলের এক প্রতিবেদনে তথ্য জানানো হয়। 

প্রতিবেদনে বলা হয়, টিউলিপ সিদ্দিকের ব্যাপারে তথ্য-প্রমাণ নিতে গোপনে বাংলাদেশে এসেছিলেন যুক্তরাজ্যের গোয়েন্দারা। ছাড়া বাংলাদেশের দুর্নীতিবিরোধী তদন্তকারীদের সঙ্গে একটি গোপন বৈঠক করেছেন তারা। বৈঠকের আয়োজন করে ঢাকাস্থ ব্রিটিশ হাইকমিশন।

বিজ্ঞাপন

গত মাসে ঢাকায় অনুষ্ঠিত বৈঠকে এনসিএ কর্মকর্তাদের জানানো হয়, টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে নতুন প্রমাণ সংগ্রহ করেছে বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষ। ব্রিটিশ এনসিএ কর্মকর্তারা টিউলিপ সিদ্দিকের ব্যাংক হিসাব, -মেইল রেকর্ড এবং অন্যান্য তথ্য খতিয়ে দেখতে পারেন, এমনকি তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করার সম্ভাবনাও রয়েছে।

অভিযোগ রয়েছে, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের চুক্তির মাধ্যমে টিউলিপ তার পরিবারের সদস্যরা দশমিক বিলিয়ন পাউন্ড আত্মসাৎ করেছেন। প্রকল্পের ৯০ শতাংশ ঋণ এসেছে ক্রেমলিন থেকে, আর দায়িত্বে আছে রাশিয়ান কোম্পানি রোসাটম।

এনসিএ- কর্মকর্তারা বাংলাদেশ সরকারকে সহায়তা করার প্রস্তাব দিয়েছেন, যাতে আন্তর্জাতিক চুক্তির আওতায় টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব হয়।

বিজ্ঞাপন

এটি এনসিএ- দ্বিতীয় বাংলাদেশ সফর। প্রথম সফর হয়েছিল গত বছরের অক্টোবরে, যখন সংস্থাটি বাংলাদেশের নতুন অন্তর্বর্তী সরকারকে দুর্নীতির তদন্তে সহায়তার প্রস্তাব দেয়। অভিযোগ রয়েছে, শেখ হাসিনার মন্ত্রিসভার সদস্যরা প্রতি বছর প্রায় ১৩ বিলিয়ন পাউন্ড বিদেশে পাচার করতেন।

টিউলিপ সিদ্দিক গত মাসে লেবার পার্টির পদ থেকে পদত্যাগ করেন, যা তার বিরুদ্ধে চলমান তদন্তের কারণে হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

বাংলাদেশের দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) টিউলিপ সিদ্দিক তার পরিবারের বিরুদ্ধে আরও অন্তত দুটি ফৌজদারি তদন্ত পরিচালনা করছে। তবে তিনি এসব অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছেন।

টিউলিপের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি ২০১৩ সালে বাংলাদেশে বেশি অর্থ ব্যয়ে একটি নতুন পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের চুক্তিতে মধ্যস্থতা করেছিলেন। এই চুক্তি থেকে তিনি দশমিক বিলিয়ন পাউন্ড (প্রায় ৫৭ হাজার কোটি টাকা) আত্মসাৎ করেছেন বলে দাবি করা হয়েছে। ২০১৩ সালে ওই চুক্তির সময় মস্কোতে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বৈঠকের ছবিতে টিউলিপ সিদ্দিককে দেখা গিয়েছিল।

অভিযোগ প্রমাণিত হলে যুক্তরাজ্যের আইন অনুযায়ী, দেশটির কোনো নাগরিক বিদেশে দুর্নীতি করলে তার ১০ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে।

 আরটিভি/এআর

 

আরটিভি খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

বিজ্ঞাপন

Loading...


© All Rights Reserved 2016-2025 | RTV Online | It is illegal to use contents, pictures, and videos of this website without authority's permission