যুক্তরাষ্ট্রের হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের জৈব প্রকৌশলবিদদের (বায়োইঞ্জিনিয়ার) একটি দল ল্যাবে মাংস উৎপাদন করেছেন। এই প্রথমবারের মতো ভোজ্য জেলাটিন বেস থেকে গরু ও খরগোশের মাংস উৎপাদনে সফলতা অর্জন করেছেন তারা।
সম্প্রতি এনপিজে সায়েন্স অব ফুড জার্নালে প্রকাশিত নতুন এক গবেষণায় এ তথ্য উঠে এসেছে। সেখানে বলা হয়েছে, গবেষকরা এমন একটি বস্তু তৈরি করতে সক্ষম হয়েছেন, যেটির গঠন বিন্যাস অনেকটাই প্রাকৃতিক মাংসের মতো।
বেশ কয়েক বছর ধরেই জৈব প্রকৌশল পদ্ধতিতে মাংস তৈরির চেষ্টা চালাচ্ছেন ইঞ্জিনিয়াররা। কিন্তু মাংস তৈরি করে এমন দীর্ঘ, শক্ততর পেশী ফাইবারগুলো পুনঃউৎপাদন করে পরিবেশ বান্ধব মাংস উৎপাদনে তাদের প্রচেষ্টা খুব কঠিনতর ছিল।
কটন ক্যান্ডি বানানোর রোটারি জেট স্পিনিংয়ের সাহায্যে জেলাটিনের ভোজ্য ফাইবার তৈরি করেন হার্ভার্ডের গবেষকরা। প্রাকৃতিক টিস্যুর ‘এক্সট্রা সেলুলার ম্যাট্রিক্স’র সঙ্গে ওই ফাইবারটির মিল রয়েছে, যা টিস্যু আবদ্ধ করার ‘গ্লু’র মতো।
খরগোশ ও গরুর কোষকে জেলাটিন বেসের সঙ্গে মেশানো হয় এবং সেটি থেকে দীর্ঘ ও পাতলা ফালির মতো মাংস উৎপন্ন হয়। জৈব প্রকৌশল পদ্ধতিতে উৎপাদিত মাংসের প্রোটিন অনেকটাই খরগোশের পেশির প্রাকৃতিক টিস্যুর মতো। যদিও টিস্যুর বিতরণ অনেকটাই কাঁচা মাংসের চেয়ে প্রক্রিয়াজাত মাংস যেমন গরুর মাংসের কিমার মতো দেখতে।
তবে এখনই সুপারমার্কেটের তাকে স্থান পাবে না ল্যাবে উৎপাদিত এসব মাংস। এখনও অনেক বেশি পরিমাণে নিখুঁতভাবে মাংস উৎপাদন এবং মাংসের প্রাকৃতিক স্বাদ ও গঠন বিন্যাস অনুকরণের কাজ করছে ইঞ্জিনিয়াররা।
এ/ এমকে