ঢাকাশনিবার, ২৮ জুন ২০২৫, ১৪ আষাঢ় ১৪৩২

এমসি কলেজে ধর্ষণ: ২ মামলার বিচার চলবে এক আদালতে

আরটিভি নিউজ

রোববার, ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২১ , ০৬:০৪ পিএম


loading/img
এমসি কলেজে ধর্ষণ: ২ মামলার বিচার চলবে এক আদালতে

সিলেট এমসি কলেজের ছাত্রাবাসে গণধর্ষণ ও চাঁদাবাজির মামলার বিচার কাজ একই আদালতে করার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। আজ রোববার (৭ ফেব্রুয়ারি) বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। তবে আদালত পরিবর্তনের বিষয়ে সাড়া দেয়নি উচ্চ আদালত।

বিজ্ঞাপন

একই সাথে মামলার বাদি, সাক্ষী ও বাদিপক্ষের আইনজীবীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সিলেটের পুলিশ কমিশনারকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া কোনও আসামির আইনজীবী না থাকলে সে আসামির আইনজীবী নিয়োগ দিতেও বলেছে আদালত।

আদালতে আবেদনের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন ব্যারিস্টার সাবরিনা জেরিন ও ব্যারিস্টার এম আব্দুল কাইয়ুম লিটন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সারওয়ার হোসেন বাপ্পী।

বিজ্ঞাপন

ব্যারিস্টার এম আব্দুল কাইয়ুম লিটন বলেন, ওই ঘটনায় করা মামলার দুই ধারায় চার্জশিট দেয় পুলিশ। ধর্ষণের অভিযোগে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে এবং চাঁদাবাজির অভিযোগে দায়রা জজ আদালতে অভিযোগ-পত্র দেয়। পরে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে বিচার শুরু হয়। তখন আমরা বলেছি, দু’টি অভিযোগের বিচার এক সাথে হোক, কিন্তু ২৪ জানুয়ারি আমাদের সে আবেদন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক নাকচ করে দেন। এরপর আমরা হাইকোর্টে আবেদন করি।

তিনি আরও বলেন, আজ শুনানি শেষে হাইকোর্ট দুই অভিযোগের বিচার একই আদালতে করতে নির্দেশ দিয়েছেন। একইসঙ্গে মামলার বাদী, সাক্ষী ও বাদীপক্ষের আইনজীবীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে সিলেট পুলিশ কমিশনারকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও কোনো আসামির আইনজীবী না থাকলে তাকে আইনজীবী দিতে বলা হয়েছে।

গত ১৭ জানুয়ারি এ মামলায় অভিযোগ গঠনের আদেশ দেন সিলেটের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মোহিতুল হক চৌধুরী। মামলাটি বর্তমানে সাক্ষ্য-গ্রহণ পর্যায়ে রয়েছে। 
উল্লেখ্য,২০২০ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর রাতে সিলেটের এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে স্বামীকে বেঁধে তরুণীকে গণধর্ষণ করে ছাত্রলীগের কতিপয় নেতাকর্মী। এ ঘটনায় ভিকটিমের স্বামী বাদী হয়ে শাহপরান থানায় মামলা করেন। এ মামলায় আটজনকে অভিযুক্ত করে নারী শিশু নির্যাতন দমন আইনে গত ৩ ডিসেম্বর আদালতে অভিযোগ-পত্র দেয় পুলিশ। আট আসামিই বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন।

বিজ্ঞাপন

জিএম/এফএ
 

আরটিভি খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

বিজ্ঞাপন
Advertisement
Advertisement


© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৬-২০২৫ | RTV Online |