মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এ টি এম আজহারুল ইসলাম ও জাতীয় পার্টির সাবেক নেতা সাবেক প্রতিমন্ত্রী সৈয়দ মোহাম্মদ কায়সারের আপিল শুনানির জন্য ১০ অক্টোবর দিন ধার্য করা হয়েছে।
প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আপিল বিভাগ আজ রোববার এই দিন ঠিক করেন। সেইসঙ্গে ২৪ আগস্টের মধ্যে আপিলের সংক্ষিপ্তসার জমা দিতে বলা হয়েছে।
কোনো ধরনের মুলতবি ছাড়াই শুনানি হবে বলে জানিয়েছেন আদালত। আদালত বলেছেন, এজন্য যথেষ্ট সময় দেয়া হলো। আপনারা লিখিত বক্তব্য দাখিল করবেন।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম, আসামি জামায়াত নেতা আজহারুলের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী জয়নুল আবেদিন এবং সৈয়দ মো. কায়সারের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী এস এম শাহজাহান।
মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে রংপুর জেলা আলবদর বাহিনীর কমান্ডার থাকা এ টি এম আজহারুল ইসলামকে ২০১৪ সালের ৩০ ডিসেম্বর ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ডের পাশাপাশি ৩০ বছরের কারাদণ্ডাদেশ দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১।
মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে রংপুর অঞ্চলে ১ হাজার ২৫৬ জনকে গণহত্যা-হত্যা, ১৭ জনকে অপহরণ, একজনকে ধর্ষণ, ১৩ জনকে আটক, নির্যাতন ও গুরুতর জখম এবং শত শত বাড়ি-ঘরে লুণ্ঠন ও অগ্নিসংযোগের মতো ৯ ধরনের ৬টি মানবতাবিরোধী অপরাধের মধ্যে পাঁচটি এবং পরিকল্পনা-ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে সুপিরিয়র রেসপনসিবিলিটি (ঊর্ধ্বতন নেতৃত্বের দায়) প্রমাণিত হয় তার বিরুদ্ধে।
নিজের নামে ‘কায়সার বাহিনী’ গঠন করে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে যুদ্ধাপরাধ সংঘটনকারী হবিগঞ্জের রাজাকার কমান্ডার ও শান্তি কমিটির সদস্য সৈয়দ মোহাম্মদ কায়সারকে ২০১৪ সালের ২৩ ডিসেম্বর মৃত্যুদণ্ড সহ ২২ বছরের কারাদণ্ডাদেশ দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২।
মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় প্রথমবারের মতো অন্য অপরাধের পাশাপাশি ধর্ষণের দায়ে ফাঁসির আদেশ পান কায়সার।
দুই নারীকে ধর্ষণের ঘটনায় ওই দুই বীরাঙ্গনার একজন এবং তার গর্ভে জন্ম নেয়া এক যুদ্ধশিশু এ মামলায় সাক্ষ্য দিয়েছেন।
মুক্তিযুদ্ধকালে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ২০১৪ সালের ৩০ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল জামায়াত নেতা এ টি এম আজহারুলকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন। এই রায়ের বিরুদ্ধে ২০১৫ সালের ২৮ জানুয়ারি আপিল করেন আজহার। মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ২০১৪ সালের ২৩ ডিসেম্বর ট্রাইব্যুনাল সাবেক কৃষি প্রতিমন্ত্রী ও জাতীয় পার্টির নেতা সৈয়দ মো. কায়সারকে মৃত্যুদণ্ড দেন। এরপর দণ্ডাদেশের রায়ের বিরুদ্ধে ২০১৫ সালের ১৯ জানুয়ারি আপিল করেন কায়সার।
সি/