ঢাকামঙ্গলবার, ০৩ জুন ২০২৫, ২০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

পায়ের গোড়ালি ও তালুতে ব্যথা হলে যা করবেন

লাইফস্টাইল ডেস্ক, আরটিভি নিউজ

শনিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২০ , ০৭:৩৯ পিএম


loading/img
পায়ে ব্যথা (প্রতীকী ছবি)

প্লান্টার ফাসা হলো পায়ের গোড়ালি থেকে আঙুল পর্যন্ত একটি শক্ত লিগামেন্ট বা টিস্যুর চ্যাপ্টা ব্যান্ড, যা আমাদের পায়ের বাঁক (আর্চ)কে সাপোর্ট দিয়ে থাকে। এই শক্ত লিগামেন্টে স্ট্রেইন বা চাপের কারণে ইনফ্লামেশন হয়, ফলে পায়ের গোড়ালিতে ব্যথা হয়, এমনকি ফুলেও যেতে পারে। একে প্লান্টার ফাসাইটিস বলে। কোলাজেন ডিজেনারেশন হয় প্লান্টার ফাশাতে। (ক্যালকেনিয়াম টিউবরোসিটি এর চারপাশের পেরিফ্যাসিয়াল স্ট্রাকচারে হয়)। পায়ের সাধারণ বায়োমেকানিক্সে প্লান্টার ফাসা একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। পুরুষের চেয়ে নারীরা এই রোগে বেশি আক্রান্ত হয়ে থাকেন। 

বিজ্ঞাপন

লক্ষণ

১. সকালে বিছানা থেকে নেমে হাঁটতে গেলে গোড়ালিতে ব্যথা অনুভব হয়।
২. দীর্ঘসময় বসে থাকার পর হাঁটার সময় ব্যথা হয়।
৩.খালি পায়ে ও শক্ত জায়গায় হাঁটলে  ব্যথা বেশি হয়।
৪. সিঁড়ি বেয়ে ওঠানামা করলে ব্যথা বেড়ে যতে পারে।
৫. পায়ের পাতা উপরের দিকে উঠালে ব্যথা অনুভূত হয়।

বিজ্ঞাপন

কারণ 

সাধারণত প্লান্টার ফাসাতে অতিরিক্ত টান বা স্ট্রেস পড়লে কিংবা ফাসাতে কোনো কারণে আঘাত হয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হলে প্লান্টার পাসাইটিস হতে পারে। এছাড়াও আরও কিছু কারণ হলো-

১. প্রতিদিন দীর্ঘ সময় পায়ের পাতার উপর একটানা দাঁড়িয়ে থাকলে।
২. দীর্ঘ সময় গোড়ালিতে চাপ পড়ে এমন কাজ করলে।
৩. শক্ত ফ্লাট জুতা পড়লে।
৪. পায়ের পাতার অস্বাভাবিক বাঁকা থাকলে।
৫.সঠিক পরিমাপের জুতা ব্যবহার না করা।
৬.পায়ের পিছনের কাফ মাসল অথবা TA  টাইট থাকলে।
৭.অতিরিক্ত ওজন বা বিএমআই বেশি। 
৮. আঘাতজনিত কারণ। 
৯. পেচ কাভাস অথবা পেচ প্লানাস ডিফর্মিটি এর জন্য।
১০. ডায়াবেটিস ম্যালাইটাস থেকে।

বিজ্ঞাপন

প্রতিরোধ করার উপায়

বিজ্ঞাপন

ওজন বেশি থাকলে কমানো, দীর্ঘসময় দাঁড়িয়ে না থাকা, নরম সোলের জুতা পড়া, খালি পায়ে শক্ত জায়গায় না হাঁটা, পায়ের তালুর উপর অত্যধিক ভর না দেয়া।

চিকিৎসা 

৯০ শতাংশ রোগী কনজারভেটিভ চিকিৎসা দ্বারা পুরোপুরি ভালো হয়ে যায়।

১. ব্যথা কমানোর জন্য: ব্যথানাশক ওষুধ, বরফ ব্যবহার করা যায়
২. ফিজিওথেরাপিস্ট কর্তৃক DTFM আর্চ এবং ইনসার্সন পয়েন্টে দেওয়া যায়.
৩. মডিফাই সু, নাইট স্প্লিন্ট ব্যবহার করা হয় প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী। এছাড়াও রাতের বেলা পায়ের তালুর অবস্থান ঠিক রাখার জন্য রেস্টিং প্যাডেড ব্যবহার করা যেতে পারে।
৩. রোগীকে যথাযথভাবে প্লান্টার ফাসা স্ট্রেচিং, একহিলিস টেনডন স্ট্রেচিং, কাফ মাসল স্ট্রেচিং শেখাতে হবে।
৪. যদি কনজারভেটিভ ম্যানেজমেন্টে ব্যথা না কমে তাহলে বটুলিনাম টক্সিন, পিআরপি, স্টেরয়েড ইনজেকশন দেওয়া হয়।
৫. এতেও যদি না কমে সার্জারি সর্বশেষ অপশন হিসেবে ব্যবহার করা হয়।

পরামর্শ: সাইফুল ইসলাম
ফিজিওথেরাপি শিক্ষার্থী, জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠান (নিটোর)।

জিএ 

আরটিভি খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

বিজ্ঞাপন
Advertisement
Advertisement

Loading...


© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৬-২০২৫ | RTV Online |