ঢাকাশনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫, ২৮ আষাঢ় ১৪৩২

সামনে ভ্যালেন্টাইন, সম্পর্কের বিচ্ছেদ ঠেকাবেন কিভাবে?

লাইফস্টাইল ডেস্ক, আরটিভি নিউজ

শুক্রবার, ২৯ জানুয়ারি ২০২১ , ১১:৪৪ পিএম


loading/img
সামনে ভ্যালেন্টাইন

চলার পথে মানুষ বিপরীত লিঙ্গের মানুষের সঙ্গে ভালোবাসার সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। আবার সেই সম্পর্ক সময়ের ব্যবধানে ভেঙেও যায়। কিন্তু কদিন পরই ভ্যালেন্টাইন। প্রিয় মানুষের সঙ্গে দিনটি উদযাপন নিয়ে কত শত পরিকল্পনা। এই সময় সম্পর্কে বিচ্ছেদ কি মেনে নেওয়া যায়? দীর্ঘদিনের সম্পর্ক যদি হঠাৎ করেই কোনো কারণে ভেঙে যায়, তাহলে সত্যিই তা অনেক কষ্টের।

বিজ্ঞাপন

বিচ্ছেদ বা ব্রেকআপের পর কিন্তু ঠিকই দুজন মানুষ ভেতরে ভেতরে ক্ষয়ে যায়। বুঝতে পারেন কী পরিমাণ কষ্ট হচ্ছে তাদের। বিচ্ছেদ মানেই যন্ত্রণাদায়ক। এটা সবসময়ই অপ্রীতিকর। ভালোবাসার এই সম্পর্ক বিচ্ছেদ না করে ধরে রাখার উপায় তুলে ধরা হলো-

পরিবর্তন নয় : সঙ্গীকে প্রথমে দেখার পরই আপনি তার সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছেন। তাই সম্পর্কে জড়ানোর পর তাকে কখনোই আমূল বদলাতে চেষ্টা করবেন না। এমনকি অন্য কারো সঙ্গে তুলনা করবেন না। অন্য কারো সঙ্গে তুলনা দিয়ে বদলাতে বললে তার মনে হীনমন্যতা তৈরি হবে এবং সে ভাববে আপনি তার থেকেও অন্য কাউকে বেশি পর্যবেক্ষণ করছেন। এভাবে চলতে থাকলে একদিন সে ঠিকই বদলে যাবে কিন্তু সেদিন হয়তো তার কাছে আর সেই আগের ভালোবাসা থাকবে না।

বিজ্ঞাপন

মূল্যায়ন : প্রথমে ভাবুন সম্পর্কটা কি সত্যিই মন থেকে হয়েছে? যদি মন থেকেই হয়ে থাকে তাহলে এই সম্পর্ককে মূল্যায়ন করুন। দেখুন আপনার ভালোবাসার মানুষটি ছাড়া আপনি ভঙ্গুর প্রকৃতির কিনা, সুখে-দুঃখে তাকে পাশে পেলে নিজেকে শক্তিশালী মনে হয় কিনা। যদি এসবের উত্তর ‘হ্যা’ হয়ে থাকে তাহলে ছোট-খাটো ঝগড়া বা বিতর্ক বা কোনো ইস্যুর কারণে সম্পর্ক নিয়ে প্রশ্ন তুলবেন না। অন্য কেউ যদি উঁচু-নিচু বা ধর্ম-বর্ণ নিয়ে প্রশ্ন তুলে তাহলে সেদিকে কান দেবেন না। কারণ অনুভূতি-ভালোবাসা আপনার। অন্যরা আপনার অনুভূতি-ভালোবাসার মূল্যায়ন কোনো দিনও করতে পারবে না, তাই নিজেই মূল্যায়ন করুন নিজের সম্পর্ককে।

সঙ্গীকে গুরুত্ব দেওয়া : আপনার ভালোবাসার মানুষ যখন কথা বলে তখন তা মনোযোগ দিয়ে শুনুন। যদি সে কখনও তার পারিবারিক কোনো বিষয়ে বা তার ভালো লাগা-মন্দ লাগা নিয়ে কথা বলে তাহলে অবশ্যই গুরুত্ব দিবেন। কেননা, বিপরীত মানুষটি যদি আপনাকে প্রকৃত অর্থে ভালো না বাসে তাহলে সে কখনোই আপনার সঙ্গে ব্যক্তিগত বিষয়ে কথা বলবে না। এই সময় ফোন বা অন্যদিকে মনোযোগ দেওয়া মানে আপনি সঙ্গীকে গুরুত্ব দিচ্ছেন না বা এটা বুঝাচ্ছেন যে, এখন আর তার প্রতি কোনো ভালোবাসা নেই আপনার। তাই সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে অবশ্যই ভালোবাসার মানুষের কথাগুলো মনোযোগ দিয়ে শুনতে হবে। এতে করে সম্পর্ক আরও মজবুত হবে।

তৃতীয় মানুষকে ‘না’ : অনেক সময় সম্পর্কের মাঝে তৃতীয় ব্যক্তির প্রবেশ ঘটে। এমনটা কখনোই হতে দেবেন না। সম্পর্কে তৃতীয় ব্যক্তি মানেই বিচ্ছেদ। দু’জনের মধ্যে কোনো তর্ক-বিতর্ক বা বোঝাপড়ায় সমস্যা হলে সেখানে তৃতীয় কাউকে সমাধানের উপায় হিসেবে ডাকবেন না। এতে করে সম্পর্কের গোপনীয়তা বজায় থাকে না। বিচ্ছেদের প্রকোপ আরও বৃদ্ধি পেতে পারে। অনেক সময় সম্পর্ক ভেঙে গিয়ে পরবর্তীতে তৃতীয় মানুষটির সঙ্গেও সম্পর্ক গড়ে উঠে। তাই তৃতীয় ব্যক্তিকে ‘না’ বলতে শিখুন।

বিজ্ঞাপন

নিজেকে নিয়ন্ত্রণ : সম্পর্ক পবিত্র, তবে তা কখনোই নোংরা বা অনৈতিক দিকে নিয়ে যাওয়া যাবে না। দু’জনের মধ্যে শারীরিক চাহিদা থাকবে এটা স্বাভাবিক। সম্পর্কে জড়ানোর কিছু দিন পরই বিপরীত মানুষকে শারীরিক সম্পর্কে জড়ানোর প্রস্তাব দেওয়া থেকে বিরত থাকুন। এতে নেতিবাচক ধারনা জন্ম নেবে আপনার প্রতি। চরিত্র নিয়ে সন্দেহের সৃষ্টি হবে। বিপরীত মানুষটি যদি ভদ্রসমাজ ও পরিবারে বেড়ে ওঠা হয় তাহলে সেই সম্পর্ক ভেঙে যাবে। সম্পর্ক গভীর হতে দিন। প্রয়োজনে পারিবারিকভাবে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। সূত্র : দ্য জো রিপোর্ট
এসআর/পি

আরটিভি খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

বিজ্ঞাপন


© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৬-২০২৫ | RTV Online |