মুসলমানদের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব ঈদুল আজহা। এই উৎসবে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য পশু কোরবানি করে থাকেন ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা। কোরবানি হলো গুরুত্বপূর্ণ তাকওয়া সমৃদ্ধ ইবাদত। ঈদের আর বেশি সময় বাকি নেই। তাই সারাদেশে পশুর হাটগুলোতে ভিড় করছেন মানুষ। নিজেদের পছন্দ মতো সামর্থ্যের মধ্যে পশু কিনতে ব্যস্ত সবাই। আর গরু কেনা হয়ে গেলেই সেটি ঈদে কোরবানি করা হবে। এবার জেনে নেওয়া যাক কোরবানির মাংসের ভাগ ও সংরক্ষণের পদ্ধতি।
সেগুলো হলো—
> কোরবানির গোশত তিন ভাগে ভাগ করা উত্তম।
> এক ভাগ নিজের জন্য, এক ভাগ গরিবদের জন্য, আর এক ভাগ আত্মীয়-স্বজন ও পাড়া-প্রতিবেশীদের জন্য। তবে ইচ্ছা করলে আপনি পুরো মাংসই খেতে পারেন। এতে দোষের কিছু হবে না, তবে তা অনুত্তম।
> কোরবানির পশু জবেহকারী ও মাংস প্রস্তুতকারীকে কোরবানির পশুর মাংস পারিশ্রমিক হিসেবে দেওয়া যাবে না।
কোরবানির মাংস সংরক্ষণের প্রচলিত পদ্ধতি
> একসঙ্গে অনেক মাংস রান্নার পরে প্রতিদিন একটুকরে গোরম করে রাখা।
> কাঁচা মাংস ছোট ছোট প্যাকেট করে ফ্রিজে ভরে রাখা।
> কড়া রোদে মাংস শুকিয়ে আদ্রতা কমিয়ে ফেলা। এটাকে মাংসের শুঁটকি বলা হয়ে থাকে।
> মাংসে লবণ, ভিনেগার, মসলা মাখিয়ে রেফ্রিজারেটরে রাখলে ভালো থাকে।