ঈদ শপিংয়ে মানতে হবে যেসব সতর্কতা
পবিত্র রমজান মাস শেষেই ঈদ। নতুন জামা-কাপড়, ঘরকে নতুন করে সাজানোর নানা আয়োজন থাকে ঈদকে ঘিরে। পরিবারের সবার জন্য নতুন জামা কিনতে শপিং মলে যেতেই হচ্ছে। তাই বিশেষ কিছু বিষয়ে সতর্কতা মেনে নিরাপদে শপিং করুন। মনে রাখা ভালো, করোনা সংক্রমণ কমে গেলেও তা পুরোপুরি নিষ্ক্রিয় হয়নি। তাই কিছু সতর্কতা মেনে কেনাকাটা করুন।
ঈদ শপিংয়ে মানবেন যে সতর্কতাগুলো-
- বাড়ি থেকে বের হওয়ার আগে মাস্ক পরুন এবং তা একমুহূর্তের জন্যও খুলবেন না। শপিংমলে থাকার পুরো সময়টা মাস্ক পরেই কাটান।
- শপিং মলে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা কষ্টকর। তবু নিজের নিরাপত্তা নিশ্চিতে সামাজিক দূরত্বের বিষয়টি খেয়াল রাখুন। ভিড় এড়িয়ে চলুন। প্রয়োজনে বড় শপিং মলে যাবেন। যেখানে খুব সহজেই প্রয়োজনীয় জিনিসগুলো কিনে নিতে পারবেন।
- অযথা ঘুরে বেড়াবেন না, কী কী কিনবেন তা তালিকা করে রাখুন। কেনাকাটায় সুবিধা হবে। প্রয়োজনীয় জিনিসটি কিনেই বাড়ি ফিরে যান।
- গরমে শপিংয়ে যাচ্ছেন। তাই ছাতা সঙ্গে নিন।
- শপিং মলে লিফটের বাটনে, সিঁড়ির হাতলে কিংবা দোকানের দরজায় হাত রাখবেন না। দোকানের সিটেও বসার প্রয়োজন নেই। দাঁড়িয়েই কেনাকাটা সারুন। সতর্ক থাকুন যত কম সম্ভব সবকিছু স্পর্শ করুন।
- দোকানগুলোতে ঝোলানো পোশাকগুলোতে হাত না দেওয়াই ভালো। অনেকেই সেখানে হাত দিয়ে স্পর্শ করেন। ভুলবশত আপনিও হাত দিয়ে দিলে তা দ্রুত ভালোভাবে স্যানিটাইজ করুন।
- শপিং মলের লিফট ব্যবহার করবেন না। এসকেলেটর বা সিঁড়ি ব্যবহার করুন।
- পরিবারের বাচ্চাদের নিয়ে শপিং মলে না যাওয়াই ভালো। অল্পসংখ্যক মানুষ যাবেন এবং দ্রুত কাজ সেরে চলে আসবেন।
- বিল পরিশোধের পর দোকানদারের দেওয়া টাকা হাত দিয়ে স্পর্শ করবেন না। প্রয়োজনে একটি ব্যাগ রাখুন যেখানে টাকাগুলো আলাদাভাবে রাখা যায়।
- শপিংমলে গ্লাভস ব্যবহার করুন। যেকোনো স্থানেই গ্লাভস ব্যবহার করা উচিত। এতে হাত সুরক্ষিত থাকে। গ্লাভস পরলে শুধু আপনি সুরক্ষিত থাকবেন তা নয়, অন্যরাও সুরক্ষিত হবেন।
- অবশ্যই হ্যান্ড স্যানিটাইজার সঙ্গে রাখবেন। ১৫ থেকে ২০ মিনিট পর পর স্যানিটাইজার ব্যবহার করুন।
- বাইরে থেকে বাড়িতে ফিরে কোনো কিছু স্পর্শ করবেন না। সরাসরি বাথরুমে যাবেন। গোসল দেবেন। কাপড়গুলো ভালোভাবে ডিটারজেন্টে ভিজিয়ে ধুয়ে নেবেন। এরপর রোদে শুকিয়ে নেবেন।
মন্তব্য করুন
বাদাম-কাঁচামরিচ একসঙ্গে খেলে যা হয়
বাদাম আর কাঁচামরিচের মধ্যে বেশ কিছু পুষ্টিগুণ রয়েছে। যেমন বাদামের মধ্যে ফাইবার থাকে। এই ফাইবার পেটের জন্য ভালো। অন্যদিকে কাঁচামরিচের মধ্যে রয়েছে ভিটামিন সি। যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়। কিন্তু দুটি একসঙ্গে খেলে পেটের কোনো ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা থাকে কি না জেনে নেওয়া যাক।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাদাম আর কাঁচামরিচ দুইই একাধিক পুষ্টিগুণে সম্পন্ন। তাই এই দুটি একসঙ্গে খেলে শরীরের ক্ষতি হয় না। কিন্তু খাওয়ার সময় অবশ্যই খেয়াল রাখা জরুরি কয়েকটি জিনিস।
বাদাম একটি স্বাস্থ্যকর খাবার। প্রতিদিন একমুঠ বাদাম খেলে ডায়াবেটিস রোগের ঝুঁকি অনেকটাই কম হয়। এতে থাকা উপকারী উপাদান রক্তে শর্করার মাত্রা সঠিক রাখতে সাহায্য করে
বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, বাদাম স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী। এতে থাকা উপকারী উপাদান স্বাস্থ্যের নানা ঘাটতি পূরণে সাহায্য করে। ওজন কমানো থেকে স্মৃতিশক্তি উন্নত করা, প্রোটিনের ঘাটতি পূরণ থেকে নানা অসুখ প্রতিরোধ সমস্তই করতে পারে বাদাম।
কিন্তু বাহিরে যে বাদাম বিক্রি হয়, তা বেশিরভাগই সল্টেড বাদাম। সল্টেড বাদাম হাই প্রেশারের রোগীদের এড়িয়ে চলাই উচিত। নয়তো হঠাৎ করেই প্রেশার বেড়ে গিয়ে বিপদ হতে পারে।
অন্যদিকে আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশনের সায়েন্টিফিক সেশনের প্রাথমিক গবেষণা বলছে প্রতিদিন কাঁচামরিচ খাওয়ার অভ্যাস থাকলে তা স্বাস্থ্যের পক্ষে অত্যন্ত ভালো। ক্যানসার বা কার্ডিও ভাসকুলার ডিজিজে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা কয়েক ধাপ কমে যাবে। মরিচের মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট এবং ক্যানসার প্রতিরোধক গুণাগুণ। মরিচের ঝাল গুণাগুনের জন্য দায়ী ক্যাপসাইসিন।
এ ছাড়াও কাঁচামরিচে থাকা একাধিক উপাকারি উপাদান রক্তে উপস্থিত খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে ফেলতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। ফলে হার্টের কোনও ধরনের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা একেবারে কমে যায়। সেই সঙ্গে ফাইব্রিনোলেটিক অ্যাকটিভিটিকে বাড়িয়ে দিয়ে মস্তিষ্কে যাতে ব্লাড ক্লট না হয়, সেদিকেও খেয়াল রাখে মরিচ। ফলে স্ট্রোকের আশঙ্কা একেবারে কমে যায়।
তবে কাঁচামরিচ খাওয়ার আগে ধুয়ে নেওয়া একান্ত জরুরি। কারণ কাঁচামরিচ গায়ে একদিকে যেমন ময়লা লেগে থাকে, তেমনই অন্যদিকে থাকে সারের রাসায়নিক। বিক্রেতা এগুলো পরিষ্কার করেই বিক্রি করছেন এমন নিশ্চয়তা কিন্তু নেই!
তাই এই দুই দিকে খেয়াল রেখে খেতে পারলে বাদাম আর কাঁচামরিচ দুইই স্বাস্থ্যের উপকার করে। বিশেষ করে বাদাম হার্ট ভালো রাখতে, পেট ভরাতে উপকারী।
আরটিভি/এফআই
শীতের পোশাকে দুর্গন্ধ হবে না এই বিশেষ ট্রিকসে
শীতকালে ঠান্ডা থেকে রক্ষা পেতে, আমরা বিভিন্ন ধরনের গরম কাপড় ব্যবহার করি, যার মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো সোয়েটার এবং জ্যাকেট। ঠান্ডায় নিজেকে উষ্ণ রাখতে, প্রতিদিন সোয়েটার বা জ্যাকেট পরা হয়। যার কারণে শীতের কাপড়ে একটি অদ্ভুত গন্ধ হয়। এখন শীতকালে প্রতিদিন এগুলো ধোয়া সম্ভব হয় না কারণ এসব মোটা কাপড় ধোয়া কষ্টকর এবং সূর্যের আলোর অভাবে শুকাতেও চায় না। এমন পরিস্থিতিতে, অনেকেই পারফিউম প্রয়োগ করে পরিচালনা করে, যার কারণে জ্যাকেটটি আরও নোংরা দেখায় এবং দুর্গন্ধযুক্তও হয়। এমন পরিস্থিতিতে, কিছু দুর্দান্ত টিপসের সাহায্যে আপনি মিনিটের মধ্যে আপনার জ্যাকেট এবং মোটা সোয়েটারের গন্ধ দূর করতে পারবেন।
শীতের কাপড় না ধুয়ে গন্ধ দূর করার কিছু টিপস জেনে নেওয়া যাক—
ব্যবহারের পর এই পদ্ধতি অনুসরণ করুন: আপনি যদি চান যে আপনার জ্যাকেট এবং সোয়েটারে দুর্গন্ধ না হয়, তবে প্রতিবার এই ছোট পদ্ধতিটি অনুসরণ করে আপনি আপনার কাপড়ের গন্ধ মুক্ত রাখতে পারেন। এ জন্য যখনই সোয়েটার বা জ্যাকেট ব্যবহার করবেন, এভাবে না রেখে খোলা বাতাসে ঝুলিয়ে দিন। আপনি এগুলো আপনার হ্যাঙ্গারে ছড়িয়ে দিতে পারেন এবং সঠিকভাবে ঝুলিয়ে রাখতে পারেন। যদি দিনের বেলা হয় তবে আপনার জ্যাকেট বা সোয়েটার কিছুক্ষণ রোদে বিছিয়ে রাখা ভালো। এতে কাপড়ের দুর্গন্ধ দূর হবে।
বেকিং সোডা আপনাকে সাহায্য করবে: বেকিং সোডা আপনার জ্যাকেট এবং সোয়েটারের গন্ধ দূর করতেও সাহায্য করতে পারে। নোংরা ময়লা শুষে নিতে বেকিং সোডা খুবই কার্যকরী। এমন পরিস্থিতিতে আপনাকে যা করতে হবে তা হলো রাতে আপনার নোংরা জ্যাকেট বা সোয়েটারে সামান্য বেকিং সোডা ছিটিয়ে দিন। এবার সকালে ভালো করে ব্রাশ করে পরুন। যদি সম্ভব হয়, জামাকাপড় কিছু সূর্যালোক উন্মুক্ত করুন। এতে গরম কাপড় থেকে আসা সব বাজে গন্ধ চলে যাবে।
ভিনেগারের ব্যবহারও কার্যকর: আপনার রান্নাঘরে রাখা ভিনেগারও খুব ভালো ক্লিনিং এজেন্ট। এটি প্রাকৃতিক ডিওডোরেন্টের মতো কাজ করে। এমন পরিস্থিতিতে, আপনি আপনার জ্যাকেট বা সোয়েটারের দুর্গন্ধ দূর করতেও এটি ব্যবহার করতে পারেন। এর জন্য, একটি স্প্রে বোতলে সমান পরিমাণে ভিনেগার এবং পানি মিশিয়ে নিন। এবার কাপড়ে ভালো করে স্প্রে করুন। কিছুক্ষণের জন্য জ্যাকেটটি শুকানোর জন্য ছেড়ে দিন এবং আপনার জ্যাকেটটি আবার সুন্দর এবং তাজা গন্ধ পেতে শুরু করবে।
লেবুর খোসা ব্যবহার করুন: লেবুর রস ব্যবহার করার পরে এর অবশিষ্ট খোসা ফেলে দিতে পারেন, তবে এগুলো আপনার খুব কাজে আসতে পারে। আসলে লেবুর খোসা ফ্রেশনারের মতো কাজ করে। এতে সাইট্রিক অ্যাসিড পাওয়া যায় যা ব্যাকটেরিয়া মেরে ফেলে এবং দুর্গন্ধও দূর করে। এর জন্য একটি সুতির কাপড়ে কিছু খোসা বেঁধে আলমারিতে রাখুন। এটি আপনার জ্যাকেট এবং সোয়েটারগুলো ধোয়া ছাড়াই তাজা গন্ধ তৈরি করবে।
আরটিভি/এফআই
ত্বকের সমস্যা দূর করবে এই ম্যাজিকাল ফেস মাস্ক
শীত অথবা গরম—ত্বকের যত্নের প্রয়োজন পড়ে সবসময়ই। তবে শীত শুরু হলেই ত্বক রুক্ষ, শুষ্ক ও প্রাণহীন দেখাতে শুরু করে। আসলে, শুষ্ক বাতাসের কারণে, ত্বকের আর্দ্রতা কমতে শুরু করে, যার ফলে ত্বকে চুলকানি এবং আঁচড়ের সাথে সাদা খুশকি দেখা দেয়। আপনিও যদি ঠান্ডা শুরু হওয়ার সাথে সাথে শুষ্ক ত্বকের সমস্যায় ভুগে থাকেন, তাহলে অবশ্যই আপনার বিউটি রুটিনে দই ফেস মাস্ক অন্তর্ভুক্ত করুন। সুস্থ-সুন্দর দ্বাগহীন ত্বক পেতে দারুণ কাজ করে এই ম্যজিকাল ফেস মাস্ক।
দই শুধু স্বাস্থ্যের জন্যই ভালো নয়, আপনার ত্বকের জন্যও অমৃতের মতো। তৈলাক্ত থেকে শুষ্ক ত্বক সব ধরনের ত্বকের জন্যই দই উপকারী, যা তৈরি করে মুখে লাগানো যায় নানাভাবে। আসুন জেনে নিই শীতের মৌসুমে মুখের আদ্রতার সাথে গোলাপি আভা বজায় রাখতে কীভাবে দই ফেস মাস্ক তৈরি করবেন এবং লাগাবেন।
দই ফেস মাস্ক তৈরির উপকরণ:
দুই টেবিল চামচ তাজা দই
এক চামচ মধু
এক চামচ নারকেল তেল
এক টেবিল চামচ ম্যাশ করা কলা
কীভাবে দই ফেস মাস্ক তৈরি করবেন: দই ফেস মাস্ক তৈরি করতে, প্রথমে একটি পাত্রে দই এবং মধু একসাথে মিশিয়ে একটি সুন্দর নরম পেস্ট তৈরি করুন। মুখে দই লাগালে আপনার ত্বক নরম ও হাইড্রেটেড থাকবে। এবার এই পেস্টে নারকেল তেল এবং ম্যাশ করা কলা ভালো করে মেশান যতক্ষণ না মিশ্রণটি মসৃণ ও ক্রিমি হয়ে যায়। এখন, তৈরি ফেস মাস্কটি চোখ এড়িয়ে মুখে পুরু স্তরে লাগান। ২০ মিনিটের জন্য মুখে মাস্ক রাখুন। মাস্ক পুরোপুরি শুকিয়ে গেলে হালকা গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এর পর মুখে ভালো ময়েশ্চারাইজার লাগান।
মুখে দই দিয়ে তৈরি মাস্ক লাগালে উপকার পাওয়া যায়:
দই ফেস মাস্ক শুধু মুখের ময়লাই দূর করে না, ত্বকের মৃত কোষ কমাতেও সাহায্য করে এবং ব্রণ কমাতে এবং দাগ হালকা করতেও সাহায্য করে। এছাড়া এতে উপস্থিত পুষ্টিগুণ ত্বককে সুস্থ ও উজ্জ্বল রাখতেও সাহায্য করে।
আরটিভি/এফআই
যে লক্ষণে বুঝবেন প্রাক্তন জীবনে আবার ফিরতে চাচ্ছে
সম্পর্ক নেই বহু দিন হয়ে গিয়েছে, ব্রেকআপ মিউচুয়াল ছিল না। কিন্তু আপনি জীবনে অনেকটা এগিয়ে গিয়েছেন। প্রাক্তনকে হয়তো সম্পূর্ণরূপে ভুলে যাননি। কিন্তু তার কথা খুব একটা মনেও পড়ে না। অতীত সবারই থাকে। কিন্তু সেই অতীতকে, অতীতের মানুষের স্মৃতি আঁকড়ে ধরে বর্তমানে ভালো থাকাটা কঠিন। বিশেষ করে যেকোনো প্রেমের সম্পর্কেই নিজের প্রাক্তনকে ভুলতে না পারা, বর্তমান সঙ্গীর সঙ্গে থেকেও প্রাক্তনের স্মৃতিতে ডুবে থাকার মতো সমস্যা একসঙ্গে দুজন মানুষকে অসুখী করে ফেলতে পারে।
জেনে নিন লক্ষণগুলো—
বন্ধুদের থেকে খবর নেওয়া: আপনার বন্ধুদের থেকে আপনার খবর নেওয়ার অর্থ সে আপনার বিষয়ে আগ্রহ দেখাচ্ছে। হঠাৎ করে আপনার বন্ধু বা আত্মীর পরিজনের সঙ্গে তার যোগাযোগ হলেই আপনার খবর নিচ্ছে। আপনি কেমন আছেন, কী করছেন, আপনার জীবনে কী চলছে—এই ধরনের খবর নিলে বুঝবেন প্রাক্তন আপনার জীবনে ফিরতে চাইছে।
সিঙ্গেল থাকা: ব্রেকআপের পর যদি মানুষটা সিঙ্গেল থাকে, বুঝবেন সে আপনাকে সত্যি তার জীবনে চায়। পাশাপাশি আপনার দেওয়া গিফট যদি সযত্নে রেখে দেয়, আপনাকে সম্মান দেয় এবং আপনি যাতে কষ্ট না পান, সেই মতো কাজ করা কিংবা আপনাকে খুশি রাখতে চাওয়া—এগুলোই বলে দেয় যে প্রাক্তন এখনও আপনাকে ভালোবাসে। সেই কারণেই আবার আপনার জীবনে ফিরতে চায়।
সোশ্যাল মিডিয়ায় স্টক করা: হঠাৎ করে দেখলেন আপনার প্রাক্তন আপনাকে সমস্ত সোশ্যাল মিডিয়া থেকে আনব্লক করে দিয়েছে। পাশাপাশি আপনার স্ট্যাটাস সিন করছে। নিয়মিত আপনার পোস্টে লাইক দিচ্ছে। এমনকী কমেন্ট করেছে মাঝেমধ্যেই। আপনি কখন কী পোস্ট করছেন, সব নজরে রয়েছে তার।
ক্ষমা চাওয়া: হঠাৎ করে আপনাকে টেক্সট করছেন তিনি। আপনাকে দেখা করার জন্য জোর করছেন। এমনকী নিজের ভুল স্বীকার করে ক্ষমা চাইছেন। এমন কিছু হলে বুঝবেন আপনার প্রাক্তন আবার নতুন করে সম্পর্ক শুরু করতে চাইছে আপনার সঙ্গে। অতীতে যা কিছু ঘটেছে তা সব ভুলে আবার নতুনভাবে শুরু করতে চাইছেন সব কিছু।
আরটিভি/এফআই
সর-মালাই পোলাও তৈরির রেসিপি
বাসন্তী বা কাশ্মীরি নয়, ছুটিতে বানিয়ে ফেলুন সর-মালাই পোলাও। শীতের ছুটি জমিয়ে দেবে দারুণ সুস্বাদু এই পদ। জেনে নিন রেসিপি।
সর-মালাই পোলাও—
ইয়াখনির উপকরণ: নারকেলের দুধ- আড়াই কাপ, তেজপাতা- ১টি, দারচিনি- ১টি, ছোটো এলাচ- ১টি, লবঙ্গ- ৪টি, পেঁয়াজ- ২টি, কেশর- ১ চিমটি
চাল ভাজার জন্য লাগবে: পোলায়ের চাল অথবা গোবিন্দভোগ চাল- আধ কিলোগ্রাম, ঘি- ৩ টেবিল চামচ, তেজপাতা- ২টি, কাজু কুচি- ২-৩ মুঠো, ছোটো এলাচ- ২টি, দারচিনি- ২টি, লবঙ্গ- ৫-৬টি, শাহী জিরে- আধ চা চামচ, চাল- ১ কাপ, লবণ স্বাদমতো, নারকেলের দুধ- আধ কাপ
এ ছাড়াও লাগবে: পেঁয়াজ কুচি- দেড় কাপ, ছানা- দেড় কাপ, ময়দা- ১ চামচ, ফ্রেশ ক্রিম- দেড় কাপ, নারকেল কুচি- ১ চামচ, কিশমিশ- ১ মুঠো, ঘি- দেড় থেকে দুই কাপ, কাগজি লেবু- ১টি, আমন্ড কুচি- ১ মুঠো, পেস্তা কুচি- ১ মুঠো
প্রণালি-
প্রথমে ইয়াখনি বানিয়ে নিন। একটি পাত্রে নারকেলের দুধ, তেজপাতা, গোটা গরম মশলা, ডুমো করে কাটা পেঁয়াজ এবং এক চিমটি কেশর দিয়ে ফুটিয়ে নিলেই ইয়াখনি তৈরি।
ময়দা এবং ছানা একসঙ্গে ভালো করে মেখে নিকুতির আকারে গড়ে নিন। পাত্রে ঘি গরম করে প্রথমে পেঁয়াজ কুচি ভেজে বেরেস্তা করে তুলে নিন।
তারপর একে একে ছানার গোল্লা, নারকেল কুচি, কিশমিশ এবং বাদাম কুচি ঘিয়ে ভেজে নিন। ছানার গোল্লাগুলো বাদামি করে ভাজতে হবে।
এবার হাঁড়িতে পরিমাণমতো ঘি গরম করে তাতে তেজপাতা, শাহী জিরে এবং গোটা গরম মশলা ফোঁড়ন দিন। এর মধ্যেই বাদাম কুচি দিয়ে দেবেন।
মশলার সুগন্ধ উঠলে তাতে ভালো করে ধুয়ে পানি ঝরানো পোলাওয়ের চাল অথবা গোবিন্দভোগ চাল এবং স্বাদমতো লবণ দিয়ে মিশিয়ে নিন।
চাল নাড়তে নাড়তে তাতে একটু একটু করে নারকেলের দুধ দিতে থাকুন এবং মেশাতে থাকুন।
ভালো করে মশলা মিশলে তাতে নারকেলের দুধের ইয়াখনিটা দিয়ে দিতে হবে। তবে ইয়াখনি দেওয়ার আগে তা থেকে পেঁয়াজগুলো তুলে ফেলবেন।
কাগজি লেবুর রস দিয়ে ভাত ভালো করে মিশিয়ে ঢাকনা দিয়ে সিদ্ধ করে নিন।
মনে রাখবেন পোলাও রান্নার জল্য যতটা চাল নেবেন তার দ্বিগুণ পরিমাণ নিতে হবে। ইয়াখনি, নারকেলের দুধ মিলিয়ে যেন চালের দ্বিগুণ হয়। প্রয়োজনে একটু পানি দিয়ে দিন। ভাত সিদ্ধ হয়ে গেলে হাঁড়ি নামিয়ে নিন।
এবার একটি বড় কড়াই বা হাঁড়িতে বিরিয়ানির মতো একস্তর ভাত ছড়িয়ে দিন। তার ওপরে ছড়িয়ে দিন পেঁয়াজের বেরেস্তা, ভাজা কিশমিশ, ছানার গোল্লা ভাজা, নারকেল কুচি এবং ফ্রেশক্রিম।
তৃতীয় স্তরে ফের ওপরে ভাত ছড়িয়ে দিন। তার ওপর পেঁয়াজ ভাজা ইত্যাদির চতুর্থ স্তর তৈরি করুন।
এর ওপর অবশিষ্ট ভাত এবং আমন্ড, পেস্তা কুচি ভাজা এবং অবশিষ্ট বেরেস্তা ছড়িয়ে দিন। পাত্রটি কিছুক্ষণ ঢাকনা দিয়ে রাখুন। তৈরি স্পেশাল সর-মালাই পোলাও।
আরটিভি/এফআই-টি
পুরুষদের খাদ্যতালিকায় ৪০ এর পরে যেসব খাবার রাখতেই হবে
অফিস, সংসারের দায়িত্ব, বাইরের কাজ— সব কিছু সামলে নিজের শরীরের যত্ন নেওয়ার সময় সবসময় থাকে না। কিন্তু একটি বয়সের পর মহিলা এবং পুরুষ, উভয়েরই নিজের শরীরের প্রতি বাড়তি নজর রাখা উচিত। পুরুষরা অনেক ক্ষেত্রেই শরীরের যত্ন নিতে অবহেলা করেন। কিন্তু বয়সের সঙ্গে সঙ্গে শরীরের পুষ্টির চাহিদারও পরিবর্তন হয়। দেহের শক্তি কমতে থাকে এবং বয়সজনিত নানা শারীরিক সমস্যা দেখা দেয়।
বাইরে থেকে পুরুষদের সুস্থ এবং সবল দেখালেও, অনেকেই আছেন যারা ভিতরে ভিতরে বেশ দুর্বল। কম বয়সে শারীরিক সমস্যা তেমন না দেখা গেলেও, বার্ধক্যে এর প্রভাব পড়ে। তাই বয়সকালে সুস্থ থাকার প্রস্তুতি নিতে হবে এখন থেকেই। বিশেষ করে ৪০-এ পা রেখেই নিজের খাদ্যতালিকার দিকে নজর দিন। পাতে রাখুন এইসব খাবার।
চর্বিযুক্ত মাছ: মোটা তেলযুক্ত মাছে থাকে প্রচুর পরিমাণে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড। এটি হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়, মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য ভালো রাখে। তাই রোজকার পাতে রুই, ইলিশ, পমফ্রেট, পাঙাশ, কাতলা, আর, বোয়াল মাছ রাখার চেষ্টা করুন।
সবুজ শাকপাতা: পালং, পুঁই, কলমি, বাধাকপি, লেটুশ ইত্যাদি যত রকম শাকপাতা পারবেন, রোজকার খাদ্যতালিকায় রাখুন। এগুলি শরীরের ভিটামিন এ, সি এবং কে-এর ঘাটতি মেটায়, ম্যাগনেসিয়াম এবং ক্যালসিয়াম সরবরাহ করে। এর ফলে হাড়ের স্বাস্থ্য ভালো থাকে, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ থাকে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে।
আস্ত শস্য: গম, ব্রাউন রাইস, যব, ওটস্, কুইনো ইত্যাদি গোটা শস্যগুলি ফাইবার এবং ভিটামিনে পরিপূর্ণ। হজমশক্তি বাড়াতে, রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করতে এবং কোলেস্টরল কমাতে এগুলি সাহায্য করে।
বাদাম ও বীজ: ব্রেকফাস্ট কিংবা বিকেলের স্ন্যাকসে আমন্ড, আখরোট, চিয়া বীজ, ফ্লেক্সসিড ইত্যাদি রাখুন। এগুলি শরীরকে পর্যাপ্ত স্বাস্থ্যকর চর্বি, ফাইবার এবং প্রোটিন সরবরাহ করে। আখরোটে রয়েছে উপকারী ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড।
প্রতিদিন ফল খান: প্রতিদিন অন্তত একটা করে হলেও ফল খান। আপেল, পেয়ারা বা কোনও সিজ়নাল ফ্রুট কামড়ে খান। পাতে রাখতে পারেন স্ট্রবেরি, ব্লুবেরি, রাস্পবেরি, আঙুল, বেদানার মতো ফলও।
টমেটে: পাতে রাখুন টমেটো। লাইকোপেন অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে সমৃদ্ধ এই সবজি প্রস্টেটের স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। প্রস্টেট ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায় টম্যাটো। পাশাপাশি হার্টের পক্ষেও এটি উপকারী।
চর্বিহীন প্রোটিন: রেড মিট বন্ধ করে মুরগির মাংস, মাছ, ডিম ইত্যাদি খাবার বেশি করে খান। খাদ্যতালিকায় রাখুন মুসুর ডাল, ছোলা ইত্যাদি। পেশীর রক্ষণাবেক্ষণ এবং বিপাকক্রিয়ার পক্ষে এগুলি উপকারী। ডিমে আছে উচ্চমানের প্রোটিন, ভিটামিন ডি এবং কোলিন। বিশেষ করে ৪০ বছরের বেশি বয়সী পুরুষদের জন্য একটি অপরিহার্য খাবার।
কপি জাতীয় সবজি: সবুজ শাকসবজি ছাড়াও নিয়মিত ফুলকপি, ব্রোকোলি, ব্রাসেলস্ স্প্রাউট, বাঁধাকপি ইত্যাদি খান। এই সবজিগুলিতে গ্লুকোসিনোলেট নামে একধরনের যৌগ রয়েছে, যা পরোস্টেট ক্যান্সার সহ একাধিক ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করে, শরীরের প্রদাহ কমায়।
ডার্ক চকোলেট: সাধারণ চকলেটের পরিবর্তে খান ডার্ক চকলেট। ফ্ল্যাভোনয়েড সমৃদ্ধ এই চকলেট রক্ত সঞ্চালনকে উন্নত করে হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়। মাঝারি পরিমাণে ডার্ক চকলেট রক্তচাপ কমাতে এবং কার্ডিওভাসকুলার রোগের ঝুঁকি কমিয়ে মানুষের আয়ু বাড়াতে সাহায্য করে।
আরটিভি/এফআই
শীতের শুরুতেই গোড়ালির ফাটলরোধে ঘরোয়া উপায়
আবহাওয়ায় এখন হালকা শীত শীত ভাব। এই সময়ে ফাটা ঠোঁট আর ফাটা গোঁড়ালির সমস্যায় নাজেহাল হন অনেকেই। কর্মব্যস্ত জীবনে সব সময়ে পার্লারে গিয়ে পায়ের পরিচর্চার করার সময় হয় না। অথচ বাড়িতেই মিনিট পাঁচেক খরচ করলে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। জেনে নিন পায়ের ফাটা দাগ দূর করার ঘরোয়া টোটকা।
পেট্রোলিয়াম জেলি: ঠোঁট হোক বা গোড়ালি, শীতকালে ত্বকের যত্নে দুর্দান্ত কাজ দেয় পেট্রোলিয়াম জেলি। প্রতিদিন গোড়ালিতে পেট্রোলিয়াম জেলি মাখলে পা ফাটার সমস্যা এড়াতে পারবেন। তবে অবশ্যই রাতে শোয়ার আগে এটি মাখুন। আর পরের দিন সকালে ভালো করে পরিষ্কার করে নিন। না হলে গোড়ালিতে নোংরা জমে হিতে বিপরীত হয়ে যাবে।
মাউথওয়াশ: ১ ভাগ মাউথওয়াশের সঙ্গে ২ ভাগ জল মিশিয়ে নিন। এর মধ্যে পা ডুবিয়ে রাখুন। মাউথওয়াশ পায়ে থাকা সমস্ত জীবাণু পরিষ্কার করে দেয়। পাশাপাশি ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখে।
নারকেল তেল: নারকেল তেল ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখতে সাহায্য করে। শুষ্ক আবহাওয়ায় ত্বকে আর্দ্রতা জোগায়। নিয়মিত ত্বকে নারকেল তেল মাখলে চামড়া শুকিয়ে যায় না। রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে পায়ের তলায় নারকেল তেল মালিশ করুন। টানা কয়েক সপ্তাহ পায়ে নারকেল তেল মালিশ করলে পা ফাটার সমস্যা সহজেই এড়াতে পারবেন। সঙ্গে পায়ের গোড়ালিও হবে ঝকঝকে।
মধু: পা ফাটার সমস্যা দূর করতে মধুকেও কাজে লাগাতে পারেন। মধু ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখতে সাহায্য করে। মধুর মধ্যে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান রয়েছে, যা ফাটা গোড়ালিকে সংক্রমণের হাত থেকেও রক্ষা করে।
কলার খোসা: ফাটা গোড়ালির উপর কলার খোসা ঘষতে পারে। এছাড়া কলার মেখে নিয়ে ফাটা অংশের উপর লাগাতে পারেন। ২০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। কলা গুণেও পায়ের চামড়া ভালো থাকবে।
আরটিভি/এফআই