ওজন বাড়াতে খাবেন যে খাবারগুলো
বয়স ও উচ্চতা অনুযায়ী কোনো ব্যক্তির ওজন স্বাভাবিক ওজনের চেয়ে ১৫-২০ শতাংশ কম হলে তাকে কম ওজনের অধিকারী বলা হয়। যাদের বয়স অনুযায়ী শরীরের ওজন অনেক কম, তাদের চিন্তার শেষ থাকে না।
তাই ওজন বাড়াতে চাইলে নিচের খাবারগুলো খেতে পারেন-
কলা: সুস্বাদু ফল কলা ওজন বাড়াতে সহায়ক। পটাশিয়াম, কার্বোহাইড্রেটসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান মিলবে এতে। একটি কলায় ১০০ ক্যালরির বেশি থাকে।
পিনাট বাটার: দোকানে বাদামের বাটার কিনতে পাওয়া যায়। চাইলে চিনাবাদাম পিষেও পেস্ট বানানো যায়। প্রতিদিনি সকালের নাশতায় এ খাবারটি খেলে ওজন বাড়বে নিশ্চিত।
ডিম: ডিমে মধ্যম মানের ক্যালরি, উচ্চমাত্রার ভিটামিন এ, ডি ও ই আছে। ডিম একটি খেলেই বেশ পেট ভরে যায়। প্রতিদিন ডিম খেলে ওজন বাড়ে।
পনির: পনিরে উচ্চমাত্রার ফ্যাট থাকে, যা স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। সবজির তরকারিতেও পনির মিশিয়ে খেতে পারেন।
সামুদ্রিক মাছ: চর্বিযুক্ত সামুদ্রিক মাছে ওজন বাড়ে। আর খাবার হিসেবে তা খুবই পুষ্টিকর। ওজন বাড়াতে চাইলে সামুদ্রিক মাছ খেতে পারেন।
বাদামি চাল: এই চালে কার্বোহাইড্রেটে ভরপুর। আরও আছে স্বাস্থ্যকর ফাইবার। আবার পাস্তা বা বাদামি রুটিতেও উদ্দেশ্য সফল হবে। তাই এ চালের ভাত খাওয়ার অভ্যাস করুন।
মুরগি: মাঝারি আকারের এক টুকরো মুরগির মাংসে ১০০ ক্যালরি থাকে। যদি বেশি বেশি ক্যালরি পেতে চান তো মুরগির বুকের মাংসের ওপর ভরসা করতে পারেন।
আলু: আলু একটি উত্কৃষ্ট খাবার। কার্বোহাইড্রেটপূর্ণ এ সবজিতে আছে ভিটামিন সি আর ফাইবার। স্বাস্থ্যকর খাবারটি খুব দ্রুত কিন্তু স্বাস্থ্যসম্মতভাবে আপনার ওজন বাড়িয়ে দেবে।
এ ছাড়াও খাবার খাওয়ার সময় যে বিষয়গুলো খেয়াল রাখবেন-
একসঙ্গে অনেকটা খাওয়া: সারাদিনে তিনবার খান। একসঙ্গে অনেকটা খাবার খেয়ে নেন। এতে বিপাকীয় হার স্লথ হওয়ার সম্ভাবনা কম। আর তা না হলে ওজন বাড়বে না। তাই তিনবার না খেয়ে বারে বারে খাবার খান।
ফ্যাট জাতীয় খাবার: ফ্যাট জাতীয় খাবার বেশি করে পাতে রাখুন। এর মধ্যে বেছে নিন বাদাম, বীজ জাতীয় খাবার। এগুলির মধ্যে স্বাস্থ্যকর ফ্যাটের পরিমাণ বেশি। এটি রোগা শরীরের জন্য বিশেষভাবে জরুরি।
খিদে বাড়ানোর খাবার: খিদে বেড়ে যায়, এমন খাবার বেশি করে খান। আদা, রসুন, দারচিনি, গোলমরিচের মতো মশলাগুলো পিত্তরস-সহ বেশ কিছু উৎসেচকের ক্ষরণ বাড়িয়ে দেয়। এতে খিদেটাও বেশ তাড়াতাড়ি আসে।
মানসিক চাপ কমান: মানসিক চাপ অনেক সময় ওজন বাড়িয়ে তোলার পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায়। তাই মানসিক চাপ কমানোর চেষ্টা করুন। এর জন্য ডিপ ব্রিদিংয়ের সাহায্য নিতে পারেন।
মন্তব্য করুন