যে কারণে পালিত হয় ফ্রেন্ডশিপ ডে
কিছু সম্পর্ক রক্তের হয় না, আত্মিকও হয়। ঠিক তেমনি একটি সম্পর্ক হলো বন্ধুত্বের সম্পর্ক। আগস্ট মাসের প্রথম রোববার ‘ফ্রেন্ডশিপ ডে’ পালন করা হয়। এ বছর সেই মতো ৬ আগস্ট দেশজুড়ে পালিত হবে বন্ধু দিবস। বন্ধুত্বের দিন তো প্রতিদিনই। তবুও বন্ধুদের জন্য একটা দিন বিশেষভাবে পালন করা যেতেই পারে।
এলবার্ট হুবার্ট লিখেছিলেন, বন্ধু হয় সেই ব্যক্তিরাই যারা আপনার সম্পর্কে সব জানে, সত্য-মিথ্যের বাইরে আপনাকে পছন্দ করে। আসলে বন্ধু ছাড়া বন্ধুকে অন্য কেউ বোঝে না এতটা গভীরভাবে। বন্ধুত্বের সম্পর্ক এক মানুষকে আরেকজনের সঙ্গে মনের বন্ধনে আবদ্ধ করে। জীবনের বিভিন্ন পর্যায়ে গড়ে উঠতে পারে এই সম্পর্ক। সময়ে ঠিক একে বেঁধে রাখা যায় না।
বন্ধু দিবস বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন তারিখে পালন করা হয়। তবে ২০১১ সালের ২৭ জুলাই জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে ৩০ জুলাইকে ‘বিশ্ব বন্ধু দিবস’ হিসেবে নির্ধারণ করা হয়। জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ জাতি, বর্ণ, লিঙ্গ, ধর্ম ইত্যাদি নির্বিশেষে বিভিন্ন দেশের মানুষের বন্ধুত্বের একটি শক্তিশালী বন্ধন তৈরি করার লক্ষ্যে আন্তর্জাতিক বন্ধুত্ব দিবস ঘোষণা করে।
ঠিক কবে এর সূচনা হয় তা অবশ্য তর্কাতীত। নানা তথ্য নানা সময়ের বা ঘটনার কথা বলে থাকে।
ঘটনা-১: ১৯৩৫ সালে আমেরিকার সরকার এক ব্যক্তিকে হত্যা করেছিল। দিনটি ছিল আগস্টের প্রথম শনিবার। তার প্রতিবাদে পরদিন ওই ব্যক্তির এক বন্ধু আত্মহত্যা করেন। এরপর থেকে জীবনের নানা ক্ষেত্রে বন্ধুদের অবদানের প্রতি সম্মান জানাতে আমেরিকান কংগ্রেসে ১৯৩৫ সালে আগস্টের প্রথম রোববারকে বন্ধু দিবস হিসেবে পালনের সিদ্ধান্ত নেয়।
তথ্য-২: ডাক্তার রামন আর্টেমিও ব্রাকোই প্রথম ১৯৫৮ সালের ৩০ জুলাই প্রস্তাব রাখেন ওয়ার্ল্ড ফ্রেন্ডশিপ ক্রুসেডে। সেদিন থেকেই ৩০ জুলাইকে আন্তর্জাতিক বন্ধুত্ব দিবস হিসাবে পালন করা হয়।
তথ্য-৩: বন্ধুত্ব দিবসটির সূচনা হয়েছিল ১৯৩০ সালের ২ আগস্ট হলমার্ক কার্ডের প্রতিষ্ঠাতা জয়েস হলের মাধ্যমে। যখন লোকেরা তাদের বন্ধুত্ব দিবসটি ছুটির মধ্য দিয়ে উদযাপন করত।
সূত্র: এবিপি
মন্তব্য করুন