ঢাকাবুধবার, ১৬ জুলাই ২০২৫, ১ শ্রাবণ ১৪৩২

রান্নাঘর-বাথরুমে যে ভুলগুলো ডেকে আনে বিপর্যয়

লাইফস্টাইল ডেস্ক, আরটিভি নিউজ

মঙ্গলবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩ , ০১:৩৬ পিএম


loading/img
ছবি : সংগৃহীত

দৈনন্দিন জীবনে আমাদের সুস্থ থাকাটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। আর সুস্থতার জন্য আমাদের প্রতিদিনের জীবনযাপনের কিছু বিষয় লক্ষ্য রাখাও প্রয়োজনীয়। এর মধ্যে দুটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো রান্নাঘর এবং বাথরুম। প্রতিদিনের জীবনযাপনে এ দুটি জিনিসের যত্ন নেওয়া জরুরি। কিন্তু এই দুটি জায়গাতেই এমন কিছু কাজ করা হয়, যা বিব্রতকর এবং একদমই ঠিক নয়। এ বাজে অভ্যাসগুলো বেশিরভাগ সময়েই বিব্রত হওয়ার সঙ্গে বিপর্যয়ও ডেকে আনে।

বিজ্ঞাপন

আমাদের সুস্বাস্থ্যের জন্য পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকা প্রয়োজনীয়। প্রতিদিনের কিছু বদ অভ্যাস যদি পরিবর্তন করা যায় তাহলে অনেক রোগ থেকেও মুক্তি পাওয়া যায়। এ ছাড়াও রান্নাঘর যেমন পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা প্রয়োজন, তেমনি এখানে এমন কিছু কাজ রয়েছে যা করা উচিতও নয়। আবার একই সঙ্গে বাথরুমেও কিছু বিষয় থাকে, যা আপনাকে বিপর্যয়ের বাইরে কখনো লজ্জার মুখেও ফেলতে পারে। এবার তাহলে এশিয়া ও অস্ট্রেলিয়ার রিডার্স ডাইজেস্ট থেকে বাথরুম এবং হাফ পোস্ট থেকে রান্নাঘরের সেসব বিষয়গুলো জেনে নেওয়া যাক।

বাথরুমে ভুল কিছু ফেলা যাবে না: অনেক সময় টয়লেটে টয়লেট পেপার কিংবা অন্যসব জিনিস ফেলা হয়। যেমন অনেকেই স্যানিটারি ন্যাপকিন, ট্যাম্পন, কনডম, ব্যান্ড-এইড ইত্যাদি ফেলা হয়। যা ফ্লাশ করার সময় আটকে যায়। এতে বর্জ্য অপসারণে সমস্যা হয় এবং টয়লেটের সার্ভিসের প্রয়োজন হয়। এ জন্য টয়লেটে বর্জ্য ব্যতীত অন্য কোনো আর্বজনা ফেলা ঠিক নয়।

বিজ্ঞাপন

ঢাকনা খোলা রেখে ফ্লাশ করা ঠিক নয়: মাইক্রোবায়োলজিস্টের মতে, প্রতিটি ফ্লাশের সময় বর্জ্য টয়লেটের স্থান থেকে ১ দশমিক ৮ মিটার দূরে ছিটকে পড়ে যেতে পারে। এ জন্য ফ্লাশ করার সময় যথেষ্ট সতর্কতার সঙ্গে ঢাকনাটি বন্ধ করে ফ্লাশ করুন। তা না হলে কিন্তু আপনার পরনের জামা-কাপড় নষ্ট হয়ে যেতে পারে।

রান্নাঘরের সিল্কে তেল বা চর্বি ফেলা যাবে না: রান্নার সময় সিল্কে তেল ও চর্বি পড়ে থাকে। তবে রান্না শেষ হলে সিল্ক থেকে এসব উঠিয়ে ফেলতে হবে। তা না হলে শুরুতে এসব পাইপে, এরপর সুয়ারেজ লাইনে চলে যাবে। তারপর অন্যসব জিনিসের সঙ্গে মিশবে। এরপর সব ময়লা একসঙ্গে জমে পাথরের মতো শক্ত ফ্যাটবার্গ হয়। যা একসময় সুয়ারেজ লাইনকেই বিকল করে দিতে পারে।

আগুন লাগলে রান্নাঘরে দরজা না খোলা: রান্না করতে গিয়ে অনেক সময়ই হঠাৎ করে চুলার আগুন লাফিয়ে বেড়ে উঠে। এ সময় তাৎক্ষণিক আগুন কমিয়ে দিতে হয় চুলা থেকে। ভয় পেয়ে ওই অবস্থায় রেখে রান্নাঘরের দরজা খুলতে যাবেন না। এতে বাইরে থেকে অক্সিজেন ঢুকে পরিস্থিতি আরও খারাপ করে তুলবে।

বিজ্ঞাপন

নিয়মিত পরিষ্কার রাখা: রান্নাঘর নিয়মিত পরিষ্কার করতে হয়। এতে কোনো সমস্যা থাকলে অল্পতেই চোখে পড়ে এবং পরিস্থিতি জটিল হওয়ার আগেই সমাধান করা যায়। রান্নাঘরের পাইপ ফেটে গেছে কিনা, কোথাও ব্লক আছে কিনা এসব পরীক্ষা করুন। বাথরুমের কমোড ঠিক আছে কিনা, ফ্লাশ কাজ করে কিনা, বাথটাব বা শাওয়ারে কোনো ত্রুটি রয়েছে কিনা দেখুন। 

আরটিভি খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

বিজ্ঞাপন
Advertisement
Advertisement


© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৬-২০২৫ | RTV Online |