মুখে সিরাম ব্যবহারে এ ভুলগুলো করছেন না তো!
বেশ কয়েক বছর ধরে রূপচর্চায় সিরামের ব্যবহার বেড়েছে। মুখের দাগ দূর করে উজ্জ্বল ত্বকের জন্য টোনার ও ময়েশ্চারাইজারের সঙ্গে সিরামও এখন জরুরি হয়ে উঠেছে। সিরাম ত্বকের গভীরে গিয়ে কাজ করে এবং সবচেয়ে ভালো ফলাফল দেয়। বয়সের সঙ্গে সঙ্গে ত্বকের লাবণ্য, উজ্জ্বলতা এবং তারুণ্য ধরে রাখার জন্য জাদুকরীভাবে কাজ করে এই সিরাম। ত্বকে প্রয়োজনীয় সব শক্তিশালী ও সক্রিয় উপাদান সরবরাহ করে ত্বককে করে প্রাণবন্ত। তবে নতুন এই প্রসাধনীর সঠিক ব্যবহার জানতে হবে। কারণ, এর ব্যবহার ভুল হলে ত্বকে হিতেবিপরীত হতে পারে। ভুল উপায়ে এর ব্যবহার কেবল অর্থের অপচয় মাত্র।
জেনে নিন সিরাম ব্যবহারে সতর্কতাগুলো-
- দিনে দুইবারই সিরাম যথেষ্ট। অনেকে যখনই মুখ ধুয়ে নিচ্ছেন তখনই সিরাম লাগিয়ে নেন। এটা ঠিক নয়। সকালে ও রাতে দুই বেলা সিরাম ব্যবহার করুন।
- সকাল ও রাতের ত্বকে যত্ন একেবারেই ভিন্ন। কখনও ময়েশ্চারাইজারের আগে সিরাম মাখতে হয়। আবার কখনও স্কিন কেয়ারের শেষ ধাপে সিরাম মাখতে হয়। কোন সিরাম কখন লাগাবেন তা ভালো করে জেনে এরপর ব্যবহার করুন।
- ত্বকের ধরণ অনুযায়ী ক্লিনজিং দিয়ে মুখ পরিস্কার করে নিন। ত্বকের প্রাকৃতিক তেল ও পিএইচ স্তরের ভারসাম্য যেন নষ্ট না হয় তা খেয়াল রাখুন।। এরপর টোনার লাগান। টোনারের পর সিরাম লাগাবেন। সিরাম ত্বক সম্পূর্ণরূপে শোষণ করা পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। এর আগে অন্যকিছুই ব্যবহার করবেন না।
- ত্বককে হাইড্রেট রাখবে এমন সিরাম বেছে নিন। সকালে ময়েশ্চারাইজারের পর সিরাম মাখুন। এরপর সানস্ক্রিন মেখে নিবেন। সকালে সানস্ক্রিন বাদ দেওয়া যাবে না।
- রাতে ফোমিং ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন। স্ক্রাব করে নিতে পারেন। এতে মৃত কোষ পরিষ্কার হবে। এরপর টোনার লাগান। এরপর মুখে সিরাম মেখে হালকা হাতে মালিশ করুন। এতে রক্ত সঞ্চালন বাড়বে। কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে নাইট ক্রিম লাগিয়ে নিন। মনে রাখবেন, মুখ ধুয়েই সঙ্গে সঙ্গে সিরাম ব্যবহার করবেন না।
- সিরাম কিন্তু ত্বকের জন্য বেশ গাঢ় একটি প্রডাক্ট, যার ঘনত্বও বেশি। সামান্য পরিমাণে ব্যবহার করলেই যথেষ্ট। আজকাল বাজারে যেসব সিরাম পাওয়া যায়, সেগুলোর বেশিরভাগেরই ড্রপার দেওয়া থাকে। সে ক্ষেত্রে পুরো মুখমণ্ডলের নানা অংশে ড্রপার থেকে দুই-তিন ফোঁটা নিয়ে পরে হাত দিয়ে সেই সিরাম ড্যাব করে নিতে পারেন।
- রেটিনল ত্বককে অতিবেগুনি রশ্মির প্রতি অধিক সংবেদনশীল করে তোলে এবং সূর্যের আলো রেটিনল সিরামের কার্যকারিতা কমায়। নিউইয়র্ক সিটির চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ হুইটনি বোয়ে রাতের বেলায় রেটিনল সিরাম ব্যবহার এবং দিনের বেলায় এসপিএফ ৩০ বা তারও বেশি এসপিএফের সানস্ক্রিন ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছেন।
- ত্বকে ব্রণ, অ্যাকজিমা বা যেকোনো ধরনের সমস্যা থাকলে সিরাম বাছাই করার আগে অবশ্যই চর্মরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেবেন। কারণ সিরামের ঘনত্ব আপনার ত্বকের সমস্যার সঙ্গে বিক্রিয়া করে ত্বকের সমস্যাগুলো আরও গুরুতর করতে পারে।
- ত্বকের ধরণ বুঝে কিংবা আপনার ত্বকের জন্য কোন সিরাম ব্যবহার করবেন তা দেখে কিনুন। প্রয়োজনে বিশেষজ্ঞের সঙ্গে পরামর্শ করে নিন। সিরাম সম্পর্কে ধারণা না থাকলে অযথা নিজে থেকে কিনতে যাবেন না।
মন্তব্য করুন
শীতে জুতো পরলে মোজায় গন্ধ, সমাধানে রইল টিপস
ঋতু পরিবর্তনের পালাবদলে দেশে নেমেছে শীত। আর এই সময় মোজা দিয়ে জুতা পরায় অনেকের পায়েই দুর্গন্ধ হয়। সাধারণত দীর্ঘক্ষণ মোজা পরে থাকার কারণে পায়ে দুর্গন্ধ হয়। শীতে পা ঘামার বড় কারণ পা ঢাকা জুতা পরা। তবে শুধু ঘামের জন্যই যে দুর্গন্ধ হয়, তা নয়। পায়ে দুর্গন্ধ হওয়াকে বলা হয় ব্রোমোডোসিস।
এমন পরিস্থিতিতে কী করবেন জেনে নিন—
১) শীতকালেও অনেকের পা ঘেমে যায়। তাই পায়ের যত্ন নিন সবার আগে। প্রতিদিন রাতে বাড়ি ফিরে উষ্ণ পানিতে লবণ ফেলে পা ভিজিয়ে রাখুন। তারপর ভালো করে মুছে নিয়ে ময়েশ্চারাইজার লাগিয়ে নিন।
২) প্রতিদিন মোজা ধুয়ে নিন। পারলে ডেটল পানি ব্যবহার করুন, কিংবা একাধিক মোজা কিনে মাঝে মধ্যে বদলে নিন। দেখবেন এতে সমস্যা মিটবে।
৩) ভুলেও গন্ধ মোজায় পারফিউম স্প্রে করবেন না। এতে সমস্যা আরও বাড়তে পারে।
৪) মোজা পরার আগে ভালো করে পা ধুয়ে নিন। একটু বেকিং সোডা হাতে নিয়ে ভালো করে পায়ে ঘষে নিন। দেখবেন এতে সমস্যা দূর হবে।
৫) বাড়িতে ফিরে জুতার মধ্যে কিছুটা পরিমাণ কাগজ ঢুকিয়ে রাখুন। এতে জুতার মধ্যে হওয়া দুর্গন্ধ দূর হবে।
৬) সপ্তাহে একবার জুতা রোদে দিন। এতে জুতাও ভালো থাকবে এবং দুর্গন্ধও হবে না। প্রয়োজনে জুতার মধ্যে ন্যাপথোলিন রাখতে পারেন।
আরটিভি/এফআই
রান্নাঘরের মুশকিল আসান হবে কফি দিয়েই
দেহের ক্লান্তি কাটিয়ে মন মেজাজ ফুরফুরে রাখতে কফি অনেকটাই সাহায্য করে। তাই অনেকেরই সারাদিনের সঙ্গী এক কাপ কফি। কফিশপগুলোয় মানুষের ভিড় দেখলেই বোঝা যায় দিন দিন বাড়ছে এই পানীয়ের জনপ্রিয়তা। যারা কফির সমঝদার, তাদের কাছে দিনদুনিয়া উদ্ধার করে হলেও এক পেয়ালা কফি কোনো না কোনোভাবে চাই–ই। কারণ নিমিষেই ক্লান্তি কাটিয়ে চাঙ্গা হতে এককাপ কফিই যেনো ভরসা। তবে জানেন কি, কফির কাজ এখানেই শেষ নয় কিন্তু। রান্নাঘর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে কফি দুর্দান্ত সাহায্য করে। রান্নাঘর পরিষ্কার করতে বেশ সময় লাগে। তার ওপর ঝক্কিও পোহাতে হয়। কিন্তু হাতের কাছে কফি থাকলে অনেক সমস্যার সমাধান হতে পারে নিমেষে। রান্নাঘরের দেওয়ালের তেলচিটে দাগ থেকে কড়াইয়ের পোড়া দাগ, কফি এক নিমেষে পরিষ্কার করে দেয়।
জেনে নিন সহজ উপায়—
কড়াই পরিষ্কার: রান্না করতেই তরকারি পুড়ে গিয়েছে। সেই পোড়া দাগ তুলতে কালঘাম ছুটে যায়। এই কাজটা কফি করতে পারে। কড়াইয়ের গায়ে কফির গুঁড়ো মাখিয়ে রাখুন। তারপর বাসন মাজার জ্বালি দিয়ে চেপে ঘষুন। এতে সমস্ত দাগ উঠে যাবে।
ওভেন: রান্না করলে ওভেনে তেল, মশলা পড়বেই। অনেক সময় সেই সব দাগ উঠতে চায় না। এ ক্ষেত্রে কাজে আসতে পারে কফির গুঁড়ো। বাসন মাজার তরল সাবানের সঙ্গে কফির গুঁড়ো মিশিয়ে নিন। এবার এই মিশ্রণটি দিয়ে গ্যাস-ওভেন, বার্নার পরিষ্কার করে নিন।
ফ্রিজ: ফ্রিজের দুর্গন্ধ পরিষ্কার করতে এবং ব্যাকটেরিয়া মুক্ত করতে সাহায্য করে কফি। একটি কাপে কফি বিনস বা কফির গুঁড়ো রেখে দিন। কফির গন্ধ ফ্রিজের সমস্ত দুর্গন্ধ দূর করে দেবে। এ ছাড়া ফ্রিজ পরিষ্কার করার সময় সাবান পানির সঙ্গে কফির গুঁড়ো মিশিয়েও ব্যবহার করতে পারেন।
সিঙ্ক: মাঝেমধ্যে রান্নাঘরের সিঙ্কে ময়লা জমে যায়। পানি বেরোতে চায় না। এই সমস্যার সমাধান করতে পারে কফি। ফুটন্ত গরম পানিতে কফির গুঁড়ো ও তরল সাবান মিশিয়ে সিঙ্কে ঢেলে দিন। এতে সমস্ত ময়লা পরিষ্কার হয়ে বেরিয়ে যায়। আর পানি জমার সমস্যা হবে না।
আরটিভি/এফআই
মেয়াদোত্তীর্ণ মেকআপ ব্যবহারে যা হয়
মেকআপ সামগ্রী সকলের কাছেই খুব শখের। তাই মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে গেলেও অনেকে তা ফেলতে পারেন না। তবে স্কিন কেয়ারের সামগ্রী, মেয়াদ উত্তীর্ণের পর ব্যবহার করলেই বিপদ। মেয়াদোত্তীর্ণ বা নষ্ট হয়ে যাওয়া মেকআপ ব্যবহারে জীবাণু সংক্রমণের ঝুঁকি থাকে। ত্বক, চোখ, চুলের ছোটো বড় নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে।
বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, শখের দামি জিনিস ফেলে দিতে কষ্ট হলে, ব্যবহারের আগেই মেয়াদ উত্তীর্ণ তারিখ দেখে রাখা উচিত।
অনেক সময় দেখা যায় প্রসাধনের কৌটো বা টিউবে মেয়াদ উত্তীর্ণ তারিখের উল্লেখ নেই কিংবা তারিখটি উঠে গেছে। তখন সেটি আদৌ ব্যবহারযোগ্য কি না তা বোঝা যাবে নির্দিষ্ট কিছু বৈশিষ্ট্য দেখে। শুধু তাই নয়, নির্দিষ্ট মেয়াদ পর্যন্ত ব্যবহার উপযোগী রাখতেও যত্ন প্রয়োজন।
জেনে নিন মেকআপ সামগ্রীর মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে গেলে বোঝার উপায়—
- লিপস্টিকের উপাদানে পানি থাকলে তা বছরখানেক পর্যন্ত ভালো থাকে। উপাদানে পানি না থাকলে লিপস্টিক তিন বছর অবধি ব্যবহার করা যায়।
- লিপগ্লস বছরখানেক পর্যন্ত ভালো থাকে। উপাদানে পানি থাকলে আরও আগে নষ্ট হয়ে যায়।
- নেলপলিশ তিন বছরেরও বেশি সময় পর্যন্ত ভালো থাকে।
- ব্লাশঅন তরল, পাউডার বা ক্রিমজাতীয় যেমনই হোক না কেন, তিন বছর অবধি ব্যবহার করা সম্ভব।
- আইশ্যাডোর উপাদানে পানি থাকলে এক বছরের মধ্যে তার মেয়াদ শেষ হয়ে যায়। পানিহীন আইশ্যাডো অবশ্য ২-৩ বছর পর্যন্ত নিরাপদ থাকে।
- পেন্সিল আইলাইনার এবং মাসকারা ৩-৬ মাস পর্যন্ত ভালো থাকে। তরল আইলাইনার অবশ্য দ্রুত নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
- কনট্যুর বা ব্রোনজারে পানি না থাকলে তিন বছর পর্যন্ত ব্যবহার করা যায়।
- তরল, পাউডার বা ক্রিমজাতীয় ফাউন্ডেশন দুই বছর পর্যন্ত ব্যবহার করা যায়।
- কনসিলার তরল হলে ছয় মাস থেকে এক বছর পর্যন্ত ভালো থাকে। ক্রিমজাতীয় হলে এক থেকে দেড় বছর এবং পাউডারজাতীয় হলে দুই বছর ঠিক থাকে।
- পারফিউম বা বডি স্প্রে সাধারণত ব্যবহার করা যায় ৩-৫ বছর।
- মুখের ক্রিম তিন মাসের মধ্যে ব্যবহার করে ফেলা উচিত।
- হাইলাইটারও কনসিলারের মতো ছয় মাস থেকে দুই বছর পর্যন্ত নিরাপদ।
আরটিভি/এফআই
হাঁটারও আছে নিয়ম, না জানলেই বিপদ
হাঁটা শরীরের পক্ষে ভালো, তবে বুঝে-শুনে। নাহলে সমস্যা হতে পারে। আর্থ্রাইটিস, অস্টিওআর্থ্রাইটিস, জয়েন্টে ব্যথা আরও কত কী সঙ্গী হয়। কেমন হবে হাঁটার নিয়ম? অতিরিক্ত বেসামাল হাঁটাচলার খারাপ দিকগুলোয় বা কী কী, চলুন জেনে নিই।
আসলে আমরা সবাই জানি, হাঁটা খুবই উপকারী। কিন্তু এটা কজন জানেন যে হাঁটা ভালো, কিন্তু সেটা যদি সঠিক সময় মেনে, সঠিক নিয়ম মেনে না করা হয় তা হলে কিন্তু ভালোর আড়ালে বিপদ আছে। কারণ হাঁটা মানে শুধু হাঁটা নয়, এর সঙ্গে আরও অনেক কিছুই যুক্ত রয়েছে। কীভাবে হাঁটা হচ্ছে, কতক্ষণ, কখন, কী রকমভাবে – সব কিছুর ওপর নির্ভর করবে হাঁটার উপকারিতা।
আজকাল হাঁটুর সমস্যা যেভাবে সবার সমস্যা হয়ে দাঁড়াচ্ছে তাতে করে এটা ঠিকই যে, নিত্য হাঁটাচলার মধ্যেই লুকিয়ে আছে হাঁটুর ভালো-মন্দ। আর্থ্রাইটিসের সমস্যা তাই এত বাড়ছে। ৩৫ বছর পরেই হাঁটু-কোমরে ব্যথা শুরু হচ্ছে।
প্রতিদিন হাঁটা শরীরের জন্য ভালো কিন্তু বেশি হাঁটা শরীরের জন্য ক্ষতির কারণ। অস্টিওআর্থ্রাইটিস রিসার্চ সোসাইটি ইন্টারন্যাশনাল জার্নালের তথ্য, সঠিক নিয়মে না হাঁটা ও বেশি সিঁড়ি ভাঙা অস্টিওআর্থাইটিসের অন্যতম কারণ।
অনেকের ধারণা সাধারণত ঘরের কাজ করা, বাইরে কাজ করা, প্রতিদিন অফিস যাওয়া এসব ক্ষেত্রে আমাদের যে পরিমাণ হাঁটাচলা হচ্ছে তাতেই হয়তো উপকার হয়ে যাচ্ছে। এটা কিন্তু সাধারণ হাঁটা। উপকার নগণ্য।
আসলে উপকার পেতে ব্রিস্ক ওয়াকিং বা জোরে হাঁটা দরকার। অর্থাৎ ৩-৬ হাজার স্টেপ দ্রুতগতিতে হাঁটা। টানা একবারে হাঁটতে না পারলে সকালে কিছুক্ষণ ও বিকালে কিছুক্ষণ ব্রিস্ক ওয়াকিং করা যেতে পারে। তবে ব্রিক্স ওয়ার্কিং-এর সঠিক পদ্ধতি জানেন না বলেই হাঁটার পরও হাঁটুব্যথা কমার বদলে বাড়ছে।
সাধারণত সুফল পাওয়ার জন্য একটা নির্দিষ্ট সময় বা সকালবেলা একঘণ্টা হাঁটা দরকার। তার মধ্যে ভাগ করে নিতে হবে এইভাবে—
প্রথম ১৫ মিনিট সাধারণ গতিতে হাঁটুন, তার পর ধীরে ধীরে গতি বাড়ান। আমরা সাধারণত ঘাম হতে শুরু করলে মনে করি হেঁটে উপকার হচ্ছে, তারপর হাঁটা থামিয়ে দিই। এটা নয়, হাঁটার ক্ষেত্রে ঘাম হতে শুরু করার পর আরও ২০-৩০ মিনিট হাঁটলে তবেই উপকার মিলবে। তারপর ধীরে ধীরে গতি কম করে আরও কিছুক্ষণ বা ১০-১৫ মিনিট হেঁটে, হাঁটা থামাতে হবে। এই পদ্ধতি অনেকেই মানেন না। তখনই হিতে-বিপরীত হয়।
শুরুতেই খুব জোরে হাঁটতে শুরু করেন, দ্রুত ওজন কমাবেন বলে অনেকক্ষণ ধরে হাঁটেন এবং ভুল গতিতে হাঁটেন। ভুল নিয়মে অতিরিক্ত হাঁটলে হাঁটুর মধ্যে একটা আঘাত তৈরি হয়। ফলে হাঁটুর চারিদিকে একটা রস জমতে থাকে। যা একটা ইনফ্লেমেটারি বা প্রদাহজনিত প্রতিক্রিয়া তৈরি করে ও শরীরের কিছু খারাপ পদার্থ হাঁটুতে জমা হতে থাকে। তা থেকে হাঁটুর কার্টিলেজ ড্যামেজ হতে শুরু করে। আর সঠিক নিয়মে হাঁটলে দেখা গিয়েছে হাঁটুর সমস্যা প্রায় ১৫ শতাংশ কমিয়ে রাখা সম্ভব। আর উলটো হলে ১২ শতাংশ হাঁটুর সমস্যা হওয়ার প্রবণতা বৃদ্ধি পায়। হাঁটা ও একজনের ওজন, উচ্চতা ও বিএমআই-এর ওপর নির্ভর করে হাঁটার ভালো-মন্দ।
তবে সব ঠিক থাকলে হাঁটার উপকার তো আছেই। প্রত্যেকটি জয়েন্টে ফ্লুইড (সাইনোভিয়াল ফ্লুইড) ও কার্টিলেজ (আর্টিক্যুলার) থাকে। যখন একজন হাঁটেন তখন জয়েন্টের মুভমেন্ট হয়। ফলে ফ্লুইডের সার্কুলেশন বেড়ে যায়। কার্টিলেজগুলো এই ফ্লুয়িডের দ্বারা ধুয়ে যায় বা পরিষ্কার হয়ে যায়। ফলে কার্ডিলেজগুলো অনেক বেশি সক্রিয় ও ভালো অবস্থায় ফিরে যায়। জয়েন্টের নিউট্রিশন বেড়ে যায়।
শুধু জয়েন্টেই নয়, এর পাশে থাকা সমগ্র পেশিই সচল ও শক্তিশালী হয়। এছাড়া হাঁটার সঙ্গে ক্যালোরিও বার্ন হয়। হাঁটা সব সময় যে শুধুমাত্র হাঁটুর ব্যায়াম তা কিন্তু নয়, এটা সমগ্র শরীরের এক্সারসাইজ। সমগ্র অঙ্গপ্রত্যঙ্গে এর সুপ্রভাব পড়ে। পায়ের গোড়ালি, ছোট ছোট জয়েন্ট, হাঁটু, কোমর, শিরদাঁড়া, ঘাড় ও কাঁধের মুভমেন্ট হাঁটার মাধ্যমে সচল থাকে।
উপকার পেতে যেগুলো মানবেন:
প্রতিদিন সকালে বা সন্ধ্যায় নিয়ম মেনে টানা হাঁটুন। সারাদিন ধরে অল্প অল্প করে হাঁটায় উপকার নেই।
অতিরিক্ত সিঁড়ি ভাঙা বা সিঁড়ি দিয়ে ওঠানামা হাঁটুর ক্ষয় বাড়ায়।
সস্তার জুতো না পরে ভালো জুতো সব সময় পরুন। একদম ফ্ল্যাট জুতো না পরে হালকা হিল থাকবে ও নরম জুতো পরাই শ্রেয়। মর্নিং ওয়াকের জন্য স্পোর্টস শু উপকারী।
টানা ঘণ্টার পর ঘণ্টা নিচে বসে কাজ করে যাওয়া ঠিক নয়। এতে করে হাঁটু সোজা করতে না পারলে হাঁটুর ক্ষতি হতে শুরু করে। এমনকী, যারা টেবিলে কাজ করেন চেয়ারে বসে, তারা যদি পা-টাকে ভাঁজ করে বসেন তাতে ক্ষতি। যতটা সম্ভব সোজা করে বা পা ছড়িয়ে চেয়ারে বসে কাজ করতে হবে। অর্থাৎ খুব অল্পমাত্রায় বা ১০-১৫ ডিগ্রিতে ভাঁজ করে হাঁটুটা রাখলে উপকার। টানা তিন ঘণ্টা বসে কাজ করছেন, এমন হলে মাঝেমধ্যেই পায়ের গোড়ালি ঘুরিয়ে বসে বসেই ব্যায়াম করে নিতে হবে। এটা জয়েন্টে ফ্লুয়িডের সার্কুলেশন বাড়ায়। ভালো থাকে।
এক জোড়া জুতার দাম ৩৩৫ কোটি টাকা!
বিখ্যাত ক্ল্যাসিক চলচ্চিত্র ‘দ্য উইজার্ড অব দ্য ওজে’র অভিনেত্রী জুডি গারল্যান্ড এর জাদুকরী জুতো বলে কথা। ১৯৩৯ সালে জুডির পায়ের সেই লাল জুতো জোড়ার দাম কোটি টাকা। শিরোনামটি পড়েই নিশ্চয় ভ্রু কুঁচকে গেছে। এক জোড়া জুতার দাম আবার ৩৩৫ কোটি টাকা হয় কীভাবে! কিন্তু ঘটনা সত্যি।
যুক্তরাষ্ট্রে আয়োজিত এক নিলামে এক জোড়া জুতো বিক্রি হয়েছে দুই কোটি ৮০ লাখ ডলারে। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা ৩৩৪ কোটি ৯৭ লাখ ৮০ হাজার টাকার সমান।
চলচ্চিত্রটিতে ব্যবহৃত জুতোগুলোর মধ্যে যে চার জোড়া এখনো টিকে আছে সেগুলোর একটি এটি। বিখ্যাত এই জুতোটি একবার মিনেসোটার একটি জাদুঘর থেকে চুরি হয়েছিল। প্রায় এক মাস আগে অনলাইনে নিলাম শুরু হয়, যেখানে জুতোর দাম ৩০ লাখ ডলার পর্যন্ত উঠবে বলে আশা করা হয়েছিল। কিন্তু পরে দেখা যায় ধারণার চেয়ে অনেক বেশি দামে বিকিয়েছে এটি।
এসব তথ্য জানা যায় ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে।
নিলামকারী প্রতিষ্ঠান হেরিটেজ অকশন এই জুতোজোড়াকে হলিউড স্মৃতিচিহ্নের ‘হলি গ্রেইল’ বলে উল্লেখ করেছে। তারা জানায়, এটি সিনেমার ইতিহাসে সর্বোচ্চ মূল্যে বিক্রি হওয়া স্মারক।
ডালাসের নিলাম কক্ষে বিজয়ী ঘোষণার পর করতালির মাধ্যমে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন উপস্থিত সবাই। কাকতালীয়ভাবে ‘দ্য উইজার্ড অব ওজে’র প্রিক্যুয়েল ‘উইকেড’ সাম্প্রতিক সময়েই মুক্তি পায়। সব কিছু মিলিয়ে তাই পুরোনো দিনের সেই বিখ্যাত চলচ্চিত্রটির প্রতি মানুষের নতুন করে আগ্রহের জন্ম নেয়।
১৯৩৯ সালের ক্ল্যাসিক চলচ্চিত্র ‘দ্য উইজার্ড অব ওজে’ ডরোথি চরিত্রে অভিনয় করার সময় জুডি গারল্যান্ডের বয়স ছিল কেবল ১৬ বছর। প্রখ্যাত মিডিয়া আউটলেট ভ্যারাইটি এই ছবিকে তাদের প্রথম ‘১০০ সেরা সিনেমা’ তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রেখেছে।
১৯০০ সালে ছোটদের জন্য লেখা ফ্রাঙ্ক বমের বই ‘দ্য ওয়ান্ডারফুল উইজার্ড অব ওজ’ অবলম্বনে নির্মিত হয় চলচ্চিত্রটি। বইতে ডরোথির জাদুকরী জুতো রুপার ছিল, কিন্তু চলচ্চিত্র নির্মাতারা জুতোগুলোকে লাল রঙে বদলে নেন। রুবির জুতো বা রুবি স্লিপারজ বলে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হলেও মূলত এটি চুমকি খচিত।
চলচ্চিত্রে, বইয়ের মতোই, একটি বিশেষ মুহূর্ত আসে যখন ডরোথি তিনবার তার পায়ের গোড়ালি ঠুকিয়ে ‘বাড়ির মতো আর কিছু নেই’ বলতে বলতে জাদুর দেশ ওজ ছেড়ে ক্যানসাসে তার বাড়িতে ফিরে যায়।
চলচ্চিত্রে জুডি গারল্যান্ড বেশ কয়েক জোড়া জুতো ব্যবহার করেছিলেন। সঠিক সংখ্যাটি জানা যায়নি। তবে এখন এগুলোর মধ্যে কেবল চার জোড়া জুতো টিকে আছে। এর মধ্যে একটি প্রদর্শিত রয়েছে স্মিথসোনিয়ানের ন্যাশনাল মিউজিয়াম অব আমেরিকান হিস্টরিতে। কিন্তু নিলামে বিক্রি হওয়া জোড়াটির রয়েছে নিজস্ব বিশেষ গল্প।
সংগ্রাহক মাইকেল শ এই জুতোজোড়া মিনেসোটার গ্র্যান্ড র্যাপিডসে অবস্থিত জুডি গারল্যান্ড মিউজিয়ামে ধার দিয়েছিলেন। সেখান থেকে ২০০৫ সালে এটি চুরি হয়ে যায়। পেশাদার চোর টেরি জন মার্টিন হাতুড়ি দিয়ে কাচের বাক্স ভেঙে জুতো চুরি করেন। তার ধারণা ছিল, ১০ লাখ ডলারের বিমা করা এই জুতোজোড়া আসল রত্ন দিয়ে বানানো।
কিন্তু যখন তিনি চুরি করা জিনিসের গোপন বিক্রেতার কাছে এগুলো বিক্রি করতে যান, তখন জানতে পারেন জুতোয় রত্ন নয়, বরং কাচ ও চুমকি ব্যবহার করা হয়েছে। হতাশ হয়ে তিনি জুতো জোড়া অন্য একজনকে দিয়ে দেন। এরপর দীর্ঘ ১৩ বছর এর কোনো খবর ছিল না। অবশেষে ২০১৮ সালে এফবিআই একটি বিশেষ অভিযানে এই জুতোজোড়া উদ্ধার করে।
৭০-এর কোঠায় থাকা এবং হুইলচেয়ারে চলাচল করা টেরি জন মার্টিন ২০২৩ সালে এই চুরির দায় স্বীকার করেন।
দূষিত শহরের তালিকায় শীর্ষে ঢাকা, সুরক্ষায় যা করবেন
প্রতিদিনই কোনো না কোনো কারণে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বেড়ে চলেছে বায়ুদূষণের মাত্রা। বায়ু দূষণের তালিকায় শীর্ষে থাকা ঢাকার বাতাসের মান নাগরিকদের জন্য খুব অস্বাস্থ্যকর।
মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় শীর্ষে রয়েছে ঢাকা। এদিন সকাল ৯টার দিকে আন্তর্জাতিক বায়ুমান প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার থেকে এ তথ্য জানা যায়।
মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ঢাকার বায়ুর মান ছিল ২৪১। বায়ুর এই মানকে খুব অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
বায়ুদূষণের পরিস্থিতি নিয়মিত তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার। বাতাসের মান নিয়ে তৈরি করা এই লাইভ বা তাৎক্ষণিক সূচক একটি নির্দিষ্ট শহরের বাতাস কতটা নির্মল বা দূষিত, সে সম্পর্কে মানুষকে তথ্য দেয় ও সতর্ক করে।
এদিকে, গতকাল সোমবার ও গত বৃহস্পতিবার ঢাকার বায়ু ছিল দুর্যোগপূর্ণ। স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটির বায়ুমণ্ডলীয় দূষণ অধ্যয়ন কেন্দ্রের (ক্যাপস) চেয়ারম্যান অধ্যাপক আহমেদ কামরুজ্জামান মজুমদার এক গণমাধ্যমকে বলেন, টানা পাঁচ ঘণ্টা ধরে ঢাকার বায়ুর মান ৩০০–এর বেশি আছে। কোনো এলাকায় টানা ৩ দিন ৩ ঘণ্টা ধরে একটানা বায়ুর মান ৩০০–এর বেশি থাকলে সেই এলাকায় স্বাস্থ্যগত জরুরি অবস্থা জারি করা উচিত। ঢাকায় এখন যে অবস্থা, তাতে অবশ্যই জনসাধারণকে অন্তত জরুরি বার্তা দেওয়া উচিত দূষণ পরিস্থিতি সম্পর্কে। কিন্তু স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, পরিবেশ মন্ত্রণালয় কিংবা স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের বিন্দুমাত্র কোনো তৎপরতা দেখা যাচ্ছে না।
ঢাকার বায়ুদূষণের প্রধান উপাদান হলো বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণা বা পিএম ২.৫-এর উপস্থিতি। মঙ্গলবার ঢাকার বাতাসের উপস্থিতি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মানমাত্রার চেয়ে ৩৩ শতাংশ বেশি।
কিউআই স্কোর শূন্য থেকে ৫০ পর্যন্ত ভালো হিসেবে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০ পর্যন্ত স্কোর মাঝারি হিসেবে গণ্য করা হয়। আর সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর বিবেচিত হয় ১০১ থেকে ১৫০ স্কোর। অন্যদিকে, স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে তাকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ বায়ু বলে মনে করা হয়। পাশাপাশি ২০১ থেকে ৩০০ এর মধ্যে থাকা একিউআই স্কোরকে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ বলা হয়। এ অবস্থায় শিশু, প্রবীণ এবং অসুস্থ রোগীদের বাড়ির ভেতরে এবং অন্যদের বাড়ির বাইরের কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রাখার পরামর্শ দেয়া হয়ে থাকে।
এছাড়া ৩০১ থেকে ৪০০ এর মধ্যে থাকা একিউআই ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ বলে বিবেচিত হয়, যা নগরের বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে। সাধারণত একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের পাঁচটি ধরনকে ভিত্তি করে। যেমন: বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন (ও৩)।
সুরক্ষায় করণীয়:
আজ বায়ুদূষণের যে অবস্থা, তা থেকে রক্ষা পেতে আইকিউএয়ারের পরামর্শ অনুযায়ী
ঘরের বাইরে গেলে অবশ্যই মাস্ক পরতে হবে।
খোলা স্থানে ব্যায়াম করা যাবে না।
ঘরের জানালা বন্ধ রাখতে হবে।
আরটিভি/এফআই
যে ডায়েটে নিজের সৌন্দর্য ধরে রেখেছেন এই অভিনেত্রী
বলিউড অভিনেত্রী রাকুল প্রীত সিংয়ের অভিনয়ের পাশাপাশি ছিপছিপে মেদহীন চেহারার ফ্যান রয়েছেন অনেকেই। রাকুলের মতো টানটান মেদহীন চেহারা অনেকের কাছেই স্বপ্নের মতো। কিন্তু মেদহীন চেহারা চাই বললেই তো হল না। মেদহীন চেহারার জন্য কিন্তু প্রয়োজন কড়া ডায়েট। কী খেয়ে এই সুন্দর চেহারা ধরে রাখবেন? সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে এসে নিজেই জানালেন এই অভিনেত্রী।
রাকুল জানান, তার দিন শুরু হয় গরম পানি দিয়ে। সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে দারুচিনির পানি বা হলুদের পানি খান তিনি। পানির পরেই পাঁচটি ভেজানো বাদাম এবং একটি ভিজানো আখরোট খান রকুল।
তারপর স্পেশাল ঘি কফি খান অভিনেত্রী। এরপরেই সোজা শরীরচর্চার পালা। ওয়ার্কআউট শেষ করার ওপর নির্ভর করে, কখনও প্রোটিন স্মুদি আবার কখনও ভারী নাস্তা করেন রাকুল। নাস্তায় ডিমের পোহা বা স্প্রাউট চিলার খেতে বেশ পছন্দ করেন তিনি।
রাকুল বলেন, দুপুরের খাবার সাধারণত ভাত বা জোয়ারের রুটির সঙ্গে সবজি দিয়েই করেন তিনি। প্রোটিনের জন্য থাকে মাছ বা মুরগি। বিকেল ৪টা ৩৫ মিনিটে সন্ধ্যা ভোজন সারেন রকুল। সেই সময়ে প্রোটিন চিয়া পুডিং রকুলের পছন্দের খাবার।
তারপর দই দিয়ে ফল বা চিনাবাদাম মাখন টোস্ট খান তিনি। রাতের খাবার কিন্তু ঘড়ি ধরে সময় মতো খেয়ে নেন তিনি। বিশেষজ্ঞরাও তাড়াতাড়ি রাতের খাবার শেষ করার পরামর্শ দেন সব সময়।
রাকুল জানিয়েছেন সন্ধ্যা ৭টার মধ্যে ডিনার শেষ করার চেষ্টা করেন তিনি। এই সময়ে কিছু কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার থাকে তার ডায়েটে। তবে তা বিকেলের ডায়েটের তুলনায় কম কার্বহাইড্রেট থাকে। বিশেষজ্ঞদের মতে এই কড়া ডায়েট যদি কেউ মেনে চলতে পারেন তাহলে, তিনিও কিন্তু পেতে পারেন রাকুলের মতোই মেদহীন ছিপছিপে চেহারা।
আরটিভি/এফআই