শেষপাতে থাকুক তরমুজের চাটনি
গ্রীষ্মের তাপদাহে চারদিক উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। ঘর থেকে বের হলেই হাঁসফাঁস অবস্থা হচ্ছে সবার। এ গরমে একটু প্রশান্তি পেতে সবাই ঝুঁকছে গ্রীষ্মকালীন ফলের দিকে। তবে বাজারে এখনও পাকা আম, লিচুর দেখা না পাওয়া গেলেও কিন্তু তরমুজের কোনো কমতি নেই। এই তরমুজ গরমে স্বাস্থ্যের জন্য দারুণ উপকারী। শরীরকে হাইড্রেটেড ও শীতল রাখতে সাহায্য করে তরমুজ। তার ওপর এই ফলের গুণ অনেক। তরমুজের মধ্যে ভরপুর পরিমাণে ভিটামিন এ, সি, সোডিয়াম, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, আয়রন এবং প্রোটিনের মতো প্রয়োজনীয় পুষ্টি রয়েছে। তাছাড়া এই ফল ডায়েটরি ফাইবারে পরিপূর্ণ। কিন্তু তরমুজের খোসা খেয়ে দেখছেন কখনও। তরমুজের মতোই তরমুজের খোসাও স্বাস্থ্যকর। আপনি এই তরমুজের খোসা দিয়ে সুস্বাদু চাটনি বানিয়ে নিতে পারেন।
বাঙালির শেষপাতে একটু চাটনি না হলে খাবারটা কেমন যেন অরিপূর্ণ থেকে যায়। চাটনি যেন খাবারের তৃপ্তির কাজ করে। চাটনি শুধু মুখরোচক নয়, চাটনির নানা উপকারিতাও আছে। ভোজনের পর তার রেশ কাটাতে ভূড়িভোজের শেষপাতে এই পদের জুড়ি মেলা ভার। তাহলে আর দেরি কেনো, তরমুজের খোসার চাটনি তৈরি করে পরিবারের সবাইকে চমকে দিন। জেনে নিন রেসিপি।
তরমুজের চাটনি তৈরির সহজ রেসিপি
উপকরণ: ৩ চামচ তেল, ১টা শুকনো মরিচ, ১ চামচ সরিষার তেল, ১ চামচ মৌরি, ১ চামচ জিরা, ১ চা চামচ আদা কুচি, ১ চামচ কাশ্মীরি লাল মরিচ, ২ কাপ তরমুজের খোসা, লবণ স্বাদ অনুযায়ী, ১/২ চামচ বিট লবণ, ২ চামচ সাদা ভিনিগার আর ১/২ কাপ চিনি।
পদ্ধতি: প্রথমে তরমুজের খোসার সবুজ অংশ ছাড়িয়ে ফেলে দিন। তারপর টুকরো টুকরো করে কেটে নিন তরমুজের খোসা। এরপর ব্লেন্ডারে দিয়ে তরমুজের খোসার মসৃণ পেস্ট বানিয়ে নিন। এবার কড়াই গরম করে তেল দিন। এবার এতে শুকনো মরিচ, আস্ত সরিষা, মৌরি ও জিরা ফোড়ন দিন। আপনি চাইলে এতে পাঁচ ফোড়ন, কালো জিরা ফোড়নও দিতে পারেন। এবার এতে আদা বাটা দিয়ে দিন। আদা দেওয়ার পর একটু নেড়ে দিন। তারপর আঁচ বন্ধ করে দিন। তারপর এতে কাশ্মীরি লাল মরিচ দিয়ে ভালো করে নাড়তে থাকুন। আঁচ বসিয়ে এই কাজটি করলে মরিচ পুড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এরপর এতে তরমুজের খোসার পেস্টটা ঢেলে দিন। এবার আবার আঁচ জ্বালিয়ে নিন। কম আঁচে রেখে মিশ্রণটি নাড়তে থাকুন।
মিশ্রণটি ফুটতে থাকলে এবার এতে স্বাদমতো লবণ মিশিয়ে দিন। এবার এতে অল্প বিট লবণ দিন। ১০ মিনিট ধরে মিশ্রণটি আঁচে রেখে নাড়তে থাকুন। এরপর এতে ভিনিগার মিশিয়ে দিন। ভিনিগার মেশালে তরমুজের এই চাটনি ২ সপ্তাহ পর্যন্ত তাজা থাকবে। এবার এতে চিনি মিশিয়ে দিন। আপনি যদি মিষ্টি চাটনি খেতে না পছন্দ করেন, তাহলে চিনি দেওয়ার দরকার নেই। চাটনি আঁচে রেখে নাড়তে থাকুন। দেখবেন পানি শুকিয়ে গেছে। তখন নামিয়ে নিন এই চাটনি। চাটনি ঠান্ডা করে এয়ার টাইট কৌটোতে ভরে রাখুন তরমুজের খোসার চাটনি।
মন্তব্য করুন