চন্দনের সঙ্গে যে উপাদান মিশালে ত্বক হবে দাগহীন
প্রাচীন সেই সময় হোক বা আধুনিক, রূপচর্চায় একটা বড় জায়গাজুড়ে রয়েছে চন্দন ও গোলাপ জল। শুধু রূপচর্চাই নয়, চন্দন ও গোলাপ জলের অনেক ভেষজ উপকারিতাও রয়েছে। ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ানোর পাশাপাশি, মুখের নিষ্প্রাণ বিবর্ণভাব কাটিয়ে সতেজ উজ্জ্বলতা এনে দেওয়া, মুখের কালো দাগ ছোপ হালকা করা, ব্রণ-ফুসকুড়ি নির্মূল করা বা যেকোনো প্রদাহ কমাতে চন্দন বিশেষ ভূমিকা পালন করে। ত্বকের হাল ফেরাতেও বেশ কার্যকর চন্দন ও গোলাপ জল। শুধু ব্যবহারের সহজ নিয়মটি জেনে রাখলেই হবে।
গবেষণায় উল্লেখ করা হয়েছে, চন্দনের তেল ত্বকে বয়সের ছাপ পড়তে দেয় না। এমনকি ত্বকের তারুণ্য ধরে রাখতেও কার্যকরী ভূমিকা পালন করে।
গোলাপ-চন্দনের প্যাক: চন্দন ও গোলাপ জলের ফেসপ্যাক বানানো খুবই সহজ। এক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় উপকরণগুলো হলো
১. চন্দন গুঁড়ো
২. গোলাপের পাপড়ি
৩. গোলাপ জল
৪. চন্দনের এসেনশিয়াল অয়েল
তৈরির প্রক্রিয়া: এক কাপ গোলাপের পাপড়ি নিয়ে ভালো ভাবে ধুয়ে পানি ঝরিয়ে রাখুন। পাপড়িগুলো শুকিয়ে যাওয়ার পরে ব্লেন্ডারে মিহি মিশ্রণ বানিয়ে নিন। এবার অন্য একটি পাত্রে গোলাপের পাপড়ির পেস্ট নিয়ে তার সঙ্গে মেশান কয়েক চামচ গোলাপ জল। শেষে যোগ করুন কয়েক চামচ চন্দন গুঁড়ো এবং দুই ফোঁটা চন্দন এসেনশিয়াল অয়েল। প্রতিটি উপকরণ ভালো করে মিশিয়ে তৈরি করুন একটি ঘন মিশ্রণ।
ফেসপ্যাক ব্যবহারের নিয়ম : প্রথমে ত্বক ক্লিনজিং করুন। তারপরে একটি ব্রাশের সাহায্যে চন্দন-গোলাপের মিশ্রণ আপনার মুখে লাগিয়ে নিন। ১০ থেকে ১৫ মিনিট অপেক্ষা করুন। তারপরে ফেসওয়াশ করে নিন। শেষে ময়শ্চারাইজার লাগাতে ভুলবেন না যেন! সপ্তাহে মাত্র ১-২ দিন চন্দনের এই ফেসপ্যাক ব্যবহার করুন, তাতেই উপকার পাবেন।
উপকারিতা : ত্বকের অতিরিক্ত তেল নিঃসরণ নিয়ন্ত্রণে রেখে তৈলাক্ত ত্বকের সমস্যা মেটাতে সাহায্য করে চন্দন। আপনার ত্বকের আর্দ্রতার মাত্রাও ধরে রাখে। সেই সঙ্গে এটির অ্যান্টিইনফ্ল্যামেটরি গুণ ত্বকের প্রদাহ কমায় এবং ব্রণ-ফুসকুড়ি প্রতিরোধ করে। গোলাপে উপস্থিত ভিটামিন সি ত্বকের কোলাজেনের উৎপাদন বাড়ায়। এদিকে গোলাপ জল আপনার ত্বকের আর্দ্রতার মাত্রা ধরে রাখে।
তাই এই ফেসপ্যাক যদি নিয়মিত ব্যবহার করেন, তাহলে ত্বকের আর্দ্রতাও অটুট থাকবে এবং উজ্জ্বলতা বাড়বে। সেই সঙ্গে ত্বকের তারুণ্যও থাকবে হাতের মুঠোয়।
মন্তব্য করুন