চুলের একগুচ্ছ সমস্যা সমাধান করবে প্রাচীন এই তেল
বছরজুড়েই চুলের কোনো না কোনো সমস্যায় ভুগতে হয়। বর্ষায় বাড়ে চুল ঝরা তো শীতে খুশকি। এছাড়া কারও অভিযোগ বাড়ছে না চুল, তো কেউ আবার চুল না গজানো নিয়ে চিন্তায় দু চোখের পাতা এক করতে পারছেন না। চুলের যাবতীয় সমস্যার জন্য আদি অকৃত্রিম নারকেল তেলের উপরেই ভরসা করেন অনেকে। দেখতে গেলে কোনও যুক্তিই ফেলে দেওয়ার নয়। প্রতিটি তেলেরই নিজস্ব গুণ রয়েছে। কোনোটি খুশকির যম। কোনওটি আবার চুলের উজ্জ্বলতা ফেরাতে সাহায্য করে। তবে বাজারের সকল তেলই হার মানবে মা-ঠাকুমার তেল বানানোর টোটকায়। চুলের ক্ষয়কে পুনরুদ্ধার করে চুলের বৃদ্ধি ঘটাতে সাহায্য করে মা-ঠাকুমাদের টোটকায় বানানো তেল। নারকেলসহ একাধিক ভেষজ উপাদান দিয়ে তৈরি এই তেল শুধু চুল গজাতেই সাহায্য করে না, দূরে রাখে খুশকি, ডগা ভাঙার মতো সমস্যাও।
যেসব অঞ্চলের সিংহভাগ কিশোরী থেকে তরুণী, প্রৌঢ়া থেকে বৃদ্ধা সবাই ঘন একঢাল সুপুষ্ট চুলের মালিক, জানা গিয়েছে, সেখানকার মানুষদের চুলের রহস্য লুকিয়ে রয়েছে প্রকৃতিতেই । কোনো ভেজাল ছাড়া, রাসায়নিক বিহীন প্রাকৃতিক এক তেল তারা মাথায় মাখেন। সেই তেলের পুষ্টি গুণেই বংশ পরম্পরায় তাদের মানুষদের মাথা ভরা চুল। প্রাচীনকাল থেকেই এই তেল বাড়িতে বানিয়ে মেখে আসছেন এখানকার মানুষ। তারই ফল ঘন কালো এক ঢাল চুল।
সৌন্দর্য বিশেষজ্ঞরাও বলছেন, সব সমস্যার মুশকিল আসান হতে পারে প্রাচীন মানুষদের তেল বানানোর এই টোটকা।
এই তেল বানাতে যা যা দরকার
কারি পাতা, ১ চামচ মেথির বীজ, ২ চামচ জবা ফুলের গুঁড়ো, ১০-১৫ ছোট পেঁয়াজ, অ্যালোভেরা জেল, ৫০০ মিলি নারকেল তেল আর ১০-১২টা গোলমরিচ।
তেল বানানোর আগে মেথি বীজকে চার ঘণ্টা ভিজিয়ে রাখতে হবে। কারি পাতাগুলোকে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে নিতে হবে।
তেল তৈরির জন্য দরকার লোহার কড়াই
ভেজানো মেথি বীজ, ১০-১২টা কারিপাতা, জবা ফুলের গুঁড়ো, ছোট পেঁয়াজ ব্লেন্ডারে নিয়ে ভালো করে ব্লেন্ড করে নিতে হবে। এরপর অল্প পানি মিলিয়ে মিশ্রণটিকে স্মুথ বানিয়ে নিতে হবে। ওই পেস্ট একটি লোহার কড়াইতে নিয়ে তাতে মেশাতে হবে ৫০০ মিলি নারকেল তেল। ১০-১২ মিনিট মিশ্রণটিকে ফুটিয়ে নিতে হবে। শেষে গোলমরিচ দানা মিশিয়ে আরও ২ মিনিট বেশি আঁচে ফোটান। ঠান্ডা হলে মিশিয়ে দিন অ্যালোভেরা জেল।
ব্যবহারের নিয়ম
ঠান্ডা হলে একটি কাচের পাত্রে তেলটি ছেঁকে ঢেলে নিন। এই তেল ২ মাস পর্যন্ত ব্যবহার করা যাবে। প্রতিবার ওই শিশি থেকে অল্প তেল নিয়ে হালকা গরম করে নিয়ে মাথায় লাগান। ৩ থেকে ৫ মিনিট ম্যাসাজ করে নিন। তাতে চুলের গ্রোথ বাড়বে। আধঘণ্টা পর শ্যাম্পু করে নিলেই দেখতে পাবেন ম্যাজিক।
আরটিভি/এফআই/এআর
মন্তব্য করুন