বয়স ১০ বছর কম দেখাবে, এখনই গড়ে তুলুন এই অভ্যাসগুলো
দৈনন্দিন জীবনযাপনে কিছু ভুল অভ্যাসের কারণে আমাদের দেখতে আসল বয়সের থেকে বেশি মনে হয়। কিন্তু সঠিক অভ্যাস গড়ে তুললে বয়সের ছাপ অনেকটাই প্রতিরোধ করা সম্ভব। নিচে কিছু সহজ কিন্তু কার্যকর উপায় দেওয়া হলো, যা আপনার বয়স ১০ বছর কম দেখতে সাহায্য করবে।
ঘুমানোর অভ্যাস: ঘুমানোর সময় উপুড় হয়ে না ঘুমিয়ে সোজা হয়ে ঘুমান। এতে ত্বক ঝুলে যাওয়ার আশঙ্কা কমে এবং রক্ত সঞ্চালন স্বাভাবিক থাকে।
সানগ্লাস ব্যবহার করুন: সকালের মৃদু রোদে ভিটামিন ডি পাওয়া গেলেও তীব্র রোদে সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি ত্বক ও চোখের ক্ষতি করে। আমাদের চোখের চারপাশের ত্বক বেশি কোমল হয়, ফলে ক্ষতিটাও দ্রুত হয়, বয়সের ছাপ পড়ে, ডার্ক সার্কেল দেখা দেয়। তাই রোদে গেলে অবশ্যই সানগ্লাস ব্যবহার করুন।
স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস: অনেকেই চিপস, চিকেন ফ্রাই বা এ জাতীয় ডুবো তেলে ভাজা খাবার খেতে পছন্দ করেন। কিন্তু অতিরিক্ত তেলে ভাজা খাবার স্বাস্থ্য ও সৌন্দর্যের পরিপন্থী। চিপস বা চিকেন ফ্রাইয়ের বদলে বেশি করে ফল, সবজি, মাছ, লাল চাল ও লাল আটার তৈরি খাবার খান। এতে ত্বক উজ্জ্বল ও সুস্থ থাকবে। বাদাম ও প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার শরীরকে ভেতর থেকে সুস্থ ও সতেজ রাখে। নিয়মিত ফল খেলে দীর্ঘদিন তরুণ থাকা সম্ভব। অতিরিক্ত চিনিযুক্ত খাবার অবশ্যই পরিহার করতে হবে।
ত্বক আর্দ্র রাখুন: দীর্ঘক্ষণ এসিতে থাকলে ত্বক শুষ্ক হয়ে যায়। তাই ময়েশ্চারাইজার নিয়মিত ব্যবহার করুন এবং সব থেকে ভালো হয় এসিতে কম থাকলে।
স্মার্টফোন ব্যবহারে সচেতন থাকুন: সারাদিন যারা স্মার্টফোনে থাকেন, তারা ফোন ব্যবহারের সময় হাত টেবিলের উপর রাখুন এবং সরাসরি কানে ধরে কথা বলুন। এতে মুখে ভাঁজ ও ডাবল চিনের সমস্যা কমবে। নয়তো ত্বকে ভাঁজ পড়ে, ডাবল চিন হয়, চেহারা বুড়িয়ে যায়।
পর্যাপ্ত ঘুম নিশ্চিত করুন: প্রতিদিন ৭-৮ ঘণ্টা ঘুম সুস্থ ত্বক ও তরুণ চেহারা ধরে রাখতে সাহায্য করে। পর্যাপ্ত ঘুমের অভাবে ত্বক ক্লান্ত ও রুক্ষ হয়ে পড়ে।
পর্যাপ্ত পানি পান করুন: প্রতিদিন পর্যাপ্ত পানি পান শরীরের টক্সিন দূর করে। ত্বককে আর্দ্র ও উজ্জ্বল রাখে।
নিয়মিত ব্যায়াম করুন: নিয়মিত ব্যায়াম শরীর ও ত্বককে সুস্থ রাখে এবং বয়সের ছাপ কমায়। নিয়মিত মুখের ব্যায়াম করলে ত্বকে বলিরেখা পড়ে না সহজে। ত্বক টানটান থাকে, রক্ত সঞ্চালনও ভাল হয়, একই সঙ্গে ত্বকের পেশির গঠন ভাল থাকে। ত্বকে ক্লান্তির ছাপ পড়ে না।
ধূমপান ও মদ্যপান এড়িয়ে চলুন: ধূমপান ও অতিরিক্ত মদ্যপান ত্বক ও শরীরের উপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে। এগুলো এড়ালে শরীর সুস্থ ও তরুণ থাকে। নিয়মিত ধূমপান ও মদ্যপান ত্বকের বার্ধক্য ত্বরান্বিত করে।
মানসিক চাপ কমান: মেডিটেশন ও যোগব্যায়াম মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে। বই পড়া ও পছন্দের কাজ করাটাও জরুরি। পরিবার ও বন্ধুদের সঙ্গে সময় কাটানো মানসিক প্রশান্তি ও আনন্দ দেয়। মানসিক প্রশান্তি ত্বক ও চেহারায় ইতিবাচক প্রভাব ফেলে।
ত্বকের যত্ন নিন: নিয়মিত ত্বক পরিষ্কার ও ময়েশ্চারাইজ করা, সানস্ক্রিন ব্যবহার করা এবং রাতে ত্বক পরিচর্যা করা জরুরি। এতে ত্বকের তারুণ্য বজায় থাকে।
ইতিবাচক মনোভাব গড়ে তুলুন: ইতিবাচক চিন্তা ও হাসিখুশি থাকা মানসিক স্বাস্থ্য উন্নত করে এবং চেহারায় তার প্রতিফলন ঘটে।
খুব সাধারণ এই অভ্যাসগুলো মেনে চললে আপনি দীর্ঘদিন তারুণ্য ধরে রাখতে পারবেন।
মন্তব্য করুন