ঢাকারোববার, ০৪ মে ২০২৫, ২১ বৈশাখ ১৪৩২

৩০ বছরেই টাক পড়ছে, জেনে নিন প্রতিকার

লাইফস্টাইল ডেস্ক, আরটিভি নিউজ

মঙ্গলবার, ২৮ জানুয়ারি ২০২৫ , ০৫:৪৫ পিএম


loading/img

পুরুষদের টাক পড়ার প্রধান কারণ হিসেবে সাধারণত বংশগত প্রভাবকেই বেশি দায়ী করা হয়, বিশেষ করে ‘মেল প্যাটার্ন বল্ডনেস’। তবে জীবনধারা ও পরিবেশগত কারণে এই সমস্যা দিন দিন আরও বেড়ে যাচ্ছে। ৩০-এর কোঠায় পা দিতেই অনেক পুরুষ চুল পড়ার সমস্যায় ভুগতে শুরু করেন, যা সময়ের সঙ্গে টাক পড়ার দিকে এগিয়ে যায়। জেনে নিন এর কারণ এবং প্রতিকার।

বিজ্ঞাপন

৩০ বছর বয়সে টাক পড়ার কারণ

  • স্থবিরতা: দীর্ঘক্ষণ বসে কাজ করা এবং শারীরিক কার্যকলাপের অভাবে শরীরের হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হয়, যা চুল পড়ার একটি বড় কারণ।
  • মানসিক চাপ: অতিরিক্ত মানসিক চাপ শরীরে কর্টিসল হরমোন বাড়িয়ে দেয়, যা চুলের ফলিকল দুর্বল করে এবং চুল পড়ার হার বাড়ায়।
  • অপর্যাপ্ত ঘুম: যথেষ্ট ঘুম না হলে চুলের ফলিকল পুনরুজ্জীবিত হতে পারে না, ফলে চুল পড়া শুরু হয়।
  • পুষ্টিহীন খাবার: প্রক্রিয়াজাত ও পুষ্টিহীন খাবার খাওয়ার ফলে শরীর হরমোনের ভারসাম্য হারায় এবং চুল দুর্বল হয়ে যায়।
  • হরমোনের ভারসাম্যহীনতা: ডিএইচটি (ডাইহাইড্রোটেস্টোস্টেরন) হরমোনের মাত্রা বেড়ে গেলে চুলের ফলিকল ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং টাক পড়া শুরু হয়।

 

চুল পড়া প্রতিরোধের উপায়
প্রতিকারের চেয়ে প্রতিরোধই শ্রেয়। চুল পড়ার প্রাথমিক লক্ষণ দেখার সঙ্গে সঙ্গেই প্রতিরোধমূলক পদক্ষেপ নিন। কিছু নিয়মিত অভ্যাস গ্রহন ও পরিবর্তনের মাধ্যমে টাক পড়া প্রতিরোধ করা সম্ভব।

পুষ্টিকর খাবার খান

বিজ্ঞাপন

  • প্রোটিন: ডিম, মটরশুঁটি, এবং চর্বিহীন মাংস খান।
  • আয়রন ও জিঙ্ক: পালংশাক, ডাল এবং বাদাম খান। এগুলোতে প্রচুর পরিমাণে আয়রন ও জিঙ্ক থাকে।
  • ভিটামিন ই ও বায়োটিন: অ্যাভোকাডো, বীজ এবং বাদাম চুলের ফলিকল সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।

 

মাথার ত্বকের যত্ন নিন

  • সালফেটবিহীন শ্যাম্পু ব্যবহার করুন, যা মাথার ত্বকের প্রাকৃতিক তেল ধরে রাখে।
  • নিয়মিত ক্যাস্টর অয়েল, নারকেল তেল বা বাদামের তেল দিয়ে মালিশ করুন। এটি মাথার ত্বকে রক্ত সঞ্চালন বাড়ায়।

 

প্রাকৃতিক পদ্ধতি গ্রহণ করুন

  • পেঁয়াজের রস: এতে থাকা সালফার কোলাজেন উৎপাদন বাড়ায়। ২০ মিনিট মাথায় পেঁয়াজের রস রেখে ধুয়ে ফেলুন।
  • অ্যালোভেরা: এটি মাথার ত্বকের প্রদাহ কমায় এবং চুলের বৃদ্ধি বাড়ায়। প্রতি সপ্তাহে তাজা অ্যালোভেরা জেল ব্যবহার করুন।
  • গ্রিন-টি: গ্রিন-টির অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ডিএইচটি হরমোন কমায়। ঠান্ডা গ্রিন-টি মাথার ত্বকে লাগান।

 

স্বাস্থ্যকর অভ্যাস গড়ে তুলুন

  • রাসায়নিক চিকিৎসা ও তাপভিত্তিক সরঞ্জামের ব্যবহার কমিয়ে ফেলুন।
  • নিয়মিত ব্যায়াম এবং মানসিক চাপ কমাতে মেডিটেশন বা রিল্যাক্সেশনের অভ্যাস করুন।
  • পর্যাপ্ত ঘুম নিশ্চিত করুন।

সঠিক যত্ন এবং নিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন চুল পড়া রোধে কার্যকর ভূমিকা পালন করে। তাই এখন থেকেই সচেতন হোন এবং আপনার চুলের স্বাস্থ্য সুরক্ষিত রাখুন। এরপরও চুল পড়া না কমলে ডার্মাটোলজিস্টের পরামর্শ নিন।

আরটিভি/জেএম

আরটিভি খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

বিজ্ঞাপন


© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৬-২০২৫ | RTV Online |