জেনে নিন হার্ট অ্যাটাকের আগে শরীরের কিছু সতর্ক সংকেত
সাধারণত হার্ট অ্যাটাকের আগেই শরীর কিছু সংকেত দেয়, যা দ্রুত চিনতে পারলে বড় বিপদ এড়ানো সম্ভব। অনেক সময় এগুলো অবহেলা করা হয়, কিন্তু সচেতন থাকলে জীবন রক্ষা করা যেতে পারে। চলুন জেনে নেওয়া যাক হার্ট অ্যাটাকের পূর্ববর্তী কিছু লক্ষণ বা সতর্ক সংকেত—
- বুকে ব্যথা বা অস্বস্তি: এটি হৃদরোগের সবচেয়ে সাধারণ লক্ষণ। এটি চাপ, জ্বালাপোড়া বা সংকোচনের মতো অনুভূতি সৃষ্টি করতে পারে, যা মাঝে মাঝে দীর্ঘস্থায়ীও হতে পারে।
- অতিরিক্ত ক্লান্তি ও দুর্বলতা: স্বাভাবিকের তুলনায় দ্রুত ক্লান্ত হয়ে পড়া, এমনকি বিশ্রামের পরও স্বাভাবিক অনুভব না করা হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণ। নারীদের ক্ষেত্রে এ লক্ষণটি বেশি দেখা যায়।
- শ্বাসকষ্ট: ব্যায়াম ছাড়াই শ্বাস নিতে কষ্ট হওয়া, বুক ভরে শ্বাস নিতে না পারা। এটি শুধুমাত্র ফুসফুসের সমস্যা নয়, বরং হার্ট অ্যাটাকের ইঙ্গিতও হতে পারে।
- কাঁধ, বাহু, ঘাড় বা চোয়ালে ব্যথা: বিশেষত বাম হাতে ব্যথা ছড়িয়ে পড়তে পারে। ঘাড় ও চোয়ালে চাপ অনুভূত হতে পারে এবং ব্যথা সময়ের সাথে বাড়তে পারে।
- মাথা ঘোরা ও বমিভাব: সামান্য পরিশ্রমেই মাথা ঝিমঝিম করা, ভারসাম্য হারানোর অনুভূতি। বুক ব্যথার সঙ্গে বমিভাব থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।
- ঠান্ডা ঘাম: বিনা কারণে ঘাম হওয়া বা শরীর ঠান্ডা অনুভব করা। বিশেষ করে নারীদের মধ্যে এটি বেশি দেখা যায়।
- অনিয়মিত হার্টবিট: হৃদস্পন্দন দ্রুত বা ধীর হওয়া, বুক ধড়ফড় করা, কখনো কখনো শ্বাস বন্ধ হয়ে আসার অনুভূতি।
- পেটের সমস্যা ও হজমের অসুবিধা: পেটে ব্যথা, গ্যাস, বুক জ্বালাপোড়া, হঠাৎ পেট ভারী লাগা বা খাবার ঠিকমতো হজম না হওয়া। অনেকেই একে সাধারণ অ্যাসিডিটি মনে করে ভুল করেন। এগুলো হতে পারে হার্ট অ্যাটাকের সংকেত।
কখন সতর্ক হবেন?
- যদি একাধিক উপসর্গ একসাথে দেখা দেয়।
- ব্যথা বা অস্বস্তি ৫ মিনিটের বেশি স্থায়ী হয়।
- বিশ্রাম বা ওষুধ খাওয়ার পরও স্বস্তি না পাওয়া যায়।
প্রতিরোধের উপায়
- স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস গড়ে তুলুন (কম চর্বিযুক্ত ও উচ্চ ফাইবারযুক্ত খাবার খান)।
- নিয়মিত হাঁটাহাঁটি বা ব্যায়াম করুন।
- ধূমপান ও অ্যালকোহল পরিহার করুন।
- স্ট্রেস ও উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখুন।
সতর্কতা ও সচেতনতাই পারে হৃদরোগ থেকে রক্ষা করতে।
আরটিভি/জেএম
মন্তব্য করুন
শীতে পা কিছুতেই গরম হয় না, অজান্তেই ভুগছেন না তো এই সমস্যায়?
শীত পুরোপুরি জেঁকে বসেছে। এ রকম শীতে জবুথবু হয়ে কম্বলের নিচে থাকতেই বেশি ভালো লাগে। এতে শরীর দ্রুত উষ্ণ হয়। তবে এই শীতে কম্বল-চাদর মুড়ি দিয়ে শুয়েও অনেকের পা কিছুতেই গরম হতে চায় না, ঠান্ডা থেকেই যায়। অনেক চেষ্টা করলেও পা গরম হয় না। তাদের রাত পেরিয়ে সকাল হয়ে যায়, তবু পা গরম হয় না। পুরো রাত লেপ-কম্বলের নিচে থেকেও যাদের পা গরম হয় না তারা জেনে নিন এই পা ঠান্ডা থাকা কি স্বাভাবিক নাকি কোনো রোগের ইঙ্গিত।
এ সমস্যার প্রথম কারণ হতে পারে রক্ত সঞ্চালনে সমস্যা। রক্ত সঞ্চালন ঠিকমত না হলে পা ঠান্ডা থেকে যাওয়ার সমস্যা হতে পারে। কারণ এতে সমস্যা হলে শরীরের নিচের দিকে রক্ত ঠিকমত পৌঁছাতে পারে না।
রক্তবাহে বেশি চাপের জন্য রক্ত সঞ্চালনে সমস্যা হতে পারে। ডায়াবিটিস থাকলে এই সমস্যা বেশি দেখা যায়। আর এই কারণেই পা কম্বল মুড়ি দেওয়া থাকলেও গরম হয় না সহজে। অনেক সময় অবশও হয়ে যায় পা।
কিছু কিছু ক্ষেত্রে স্নায়ুজনিত সমস্যাও দেখা যায়। ফলে ডায়াবিটিস থাকলে সেই রোগীদের এই লক্ষণ দেখলেই সতর্ক হওয়া দরকার।
পা গরম না হওয়া থাইরয়েডের সমস্যার ইঙ্গিতও হতে পারে। এক্ষেত্রে দেহের তাপমাত্রা ঠিক থাকে না। হাইপোথাইরয়েডিজমের কারণে এই সমস্যা দেখা যেতে পারে।
এক্ষেত্রে এইরকম লক্ষণ যাদের দেখা যায় তাদের অনেক সময় শরীরে আয়রনের ঘাটতি লক্ষ করা গিয়েছে।
যাদের পা গরম হয় না তারা জেনে নিন কিভাবে পা গরম রাখতে পারেন―
রাতে ঘুমানোর আগে অনেকেই মোজা পরে ঘুমান পা গরম রাখার জন্য। চেষ্টা করুন পাতলা মোজা পরিধানের। বেশি মোটা মোজা অস্বস্তির কারণ হতে পারে। সবচেয়ে ভালো হয় মোজা না পরে ঘুমাতে পারলে।
ঘুমানোর আগে গরম তেল দিয়ে পা ম্যাসাজ করতে পারেন। ঘর্ষণে পায়ের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাবে এবং ঠান্ডা ভাবও কেটে যাবে। স্বাভাবিকভাবেই ঘুমানোর আগে হাত-মুখ ধুয়ে ঘুমাতে যান সবাই। এ সময় পা ধোয়ার জন্য গরম পানি ব্যবহার করুন।
অনেকের পা কোনোভাবেই গরম হতে চায় না। তারা হট ওয়াটার বোতল ব্যবহার করতে পারেন। ঘুমানের সময় গরম পানি হট ওয়াটার বোতলে নিয়ে বিছানায় যান। এবার পা দুটো চাপ দিয়ে ধরে রাখুন ব্যাগটিকে। পা গরম হয়ে এলে ঘুমাতেও আর বাধা থাকবে না।
ঘুমানোর কমপক্ষে এক ঘণ্টা আগে পা গরম হয়―এমন একটি জুতা পরতে পারেন এবং বিছানায় যাওয়ার আগে খুলে ফেলতে পারেন।
গরম পানিতে পা ধুয়ে কম্বলের নিচে শীত কাটাতে পারেন আরামে। পা গরম থাকবে এবং ঘুমও ভালো হবে।
শীতকালে সোয়েটার-মোজা পরে ঘুমালে হতে পারে যে বিপদ!
শীতকালে রাতে শুতে যাওয়ার সময় অনেকেই উলের পোশাক বা সোয়েটার পরে ঘুমায়। কিন্তু এই ছোট অসাবধানতা আমাদের স্বাস্থ্যের ওপর একটি বড় বোঝা চাপিয়ে দিতে পারে। শীতে সোয়েটার পরা ভালো হলেও এটি পরে ঘুমিয়ে যাওয়া উচিত নয়। এতে রক্তপ্রবাহ সংকুচিত হয়ে যায়। পশমের পোশাক পরে ঘুমালে শরীর উষ্ণ হলেও বিপরীতে রক্তচাপ হ্রাস পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ঘুমানোর সময় সোয়েটার পরা ভালো নয়। এতে স্বাস্থ্যের অনেক ক্ষতি হতে পারে।
শীতকালে সোয়েটার এবং মোজা পরে ঘুমোনোর অসুবিধাগুলো কী কী?
হৃদরোগীর জন্য রাতে সোয়েটার পরে ঘুমোনো খুবই ক্ষতিকর। আসলে, উলের কাপড়ে ঘন ফাইবার থাকে। যা শরীরে প্রচুর তাপ উৎপন্ন করে। রাতের বেলা শরীরের তাপমাত্রার পাশাপাশি, কুইল্ট, কম্বল এবং তারপরে পশমী কাপড় অনেক উষ্ণতা প্রদান করে। শরীরে প্রাপ্ত অতিরিক্ত তাপ ডায়াবেটিস ও হৃদরোগে আক্রান্ত রোগীদের জন্য ক্ষতিকর প্রমাণিত হতে পারে।
রাতে সোয়েটার পরে ঘুমালে ত্বক শুকিয়ে যায়। এর ফলে এগজিমা এবং অন্যান্য ত্বকের সমস্যা দেখা দেয়।
চিকিৎসকদের মতে, শীতকালে শরীরে উপস্থিত রক্তনালিগুলো সঙ্কুচিত হয়ে ছোট হয়ে যায়। এমন অবস্থায় যখন কোনও ব্যক্তি পশমী কাপড় পরে ঘুমোন, সেই সময় তার শরীরে খুব গরম অনুভূব হয়। অতিরিক্ত গরমের কারণে অস্থিরতা, নার্ভাসনেস এবং লো ব্লাড প্রেসারের মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। এই ধরনের সমস্যা এড়াতে সুতির কাপড় পরে ঘুমোনো উচিত। এতে শরীরের তাপমাত্রা স্বাভাবিক থাকে। রাতে আরামদায়ক ঘুমও হয়।
উলের কাপড় যেহেতু শরীরের তাপমাত্রা বাড়ায়, তাই এমন অবস্থায় কেউ যদি পশমী কাপড়ের সঙ্গে কম্বল মুড়ি দিয়ে ঘুমোন, তা হলে সেই ব্যক্তির শরীরে ঘাম হতে পারে। ঘামের কারণে শরীরে জ্বালা, চুলকানি এমনকি অ্যালার্জিও হতে পারে। কারও ত্বক যদি শুষ্ক থাকে, তা হলে এই সমস্যা খুবই মারাত্মক হতে পারে। তাই রাতের বেলা উলের কাপড় এড়িয়ে চলাই ভালো।
রাতে ভালো ঘুমের জন্য কিছু টিপস মেনে চলতে পারেন। চিকিৎসকদের মতে, শীতে ঘুমোনোর আগে ঘরের তাপমাত্রা ১০-২০ ডিগ্রিতে রাখলে ভালো ঘুম হবে। সুতির কাপড় পরতে পারেন। ঘুমোনোর আগে যোগব্যায়াম করতে পারেন। যা সারাদিনের চাপ থেকে মুক্তি দেবে।
সোয়েটার পরে ঘুমানোর কারণে ত্বকে কোনও সমস্যা হলে, দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। না হলে ভবিষ্যতে এগুলো মারাত্মক সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে।
আরটিভি/এফআই
কিডনির ক্ষতি প্রতিরোধ করবে যে ৫ খাবার
অনেক মানুষই কিডনির নানান সমস্যায় ভোগে থাকেন। বিশেষ করে শীতকালে কিডনির স্বাস্থ্য বজায় রাখা অপরিহার্য। কেননা, এ সময় শরীরে বিপাকীয় প্রক্রিয়াগুলো স্থানান্তরিত হয়। তাই মানবদেহে কিছু অতিরিক্ত সহায়তার প্রয়োজন হয়। প্রতিনিয়ত এই অঙ্গগুলো বিষাক্ত পদার্থ বের করে দেয়। পাশাপাশি শরীরের ভারসাম্য বজায় রাখতে কঠোর পরিশ্রম করে।
ফলে শীতকালে মানবদেহে কিডনির কার্যকারিতা বজায় রাখতে, প্রদাহ কমাতে এবং ক্ষতি রোধ করতে আপনার ডায়েটে রেনাল-বান্ধব সুপারফুডগুলো রাখতে পারেন। বিশেষ করে রাতে এই খাবারগুলো খাওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
চলুন কিডনির ক্ষতি প্রতিরোধ করবে এমন ৫টি খাবার সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক—
বিটরুট
রক্তচাপ কমাতে এবং রক্ত প্রবাহ উন্নত করতে সহায়তা করে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং নাইট্রেট সমৃদ্ধ বিটরুট। উচ্চ ফাইবার সামগ্রী খাবার হজম করতে, শরীরকে পরিষ্কার করতে এবং কিডনিকে ডিটক্সিফাই করতেও সাহায্য করে। শীতকালীন সালাদ বা স্যুপে যোগ করতে পারেন বিটরুট। শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং নাইট্রেট সমৃদ্ধ যা রক্তের প্রবাহ বাড়ায় এবং ডিটক্সিফিকেশনে সহায়তা করে এই ফলটি।
মিষ্টি আলু
কিডনি স্বাস্থ্যের জন্য আরেকটি সুপারফুড হলো মিষ্টি আলু। যা ভিটামিন এ, সি, ফাইবার এবং পটাসিয়ামে পূর্ণ। এটি রক্তে শর্করার মাত্রা স্থিতিশীল করার পাশাপাশি রক্তচাপকে সহায়তা করে। এই সুবিধাগুলো কিডনির কার্যকারিতা রক্ষার জন্য অপরিহার্য। ভিটামিন এ, সি, পটাসিয়াম এবং ফাইবারে পরিপূর্ণ এই আলু রক্তের গ্লুকোজ স্থিতিশীল রাখে, যা কিডনি রোগের গুরুত্বপূর্ণ ঝুঁকির কারণ।
পালং শাক
পালং শাকে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। যা কিডনির স্বাস্থ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। তবে অক্সালেট সামগ্রীর কারণে পরিমিতভাবে খাওয়া উচিত। নইলে কিডনিতে পাথর হওয়ার ঝুঁকি বাড়াতে পারে। পালং শাক উচ্চ আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম এবং অন্যান্য অনেক পুষ্টি সমৃদ্ধ। কিডনি ভালো রাখতে এই শাক নিয়মিত পরিমিত খাওয়ার অভ্যাস করুন।
রসুন
কিডনিকে সুস্থ রাখতে এবং স্বাদ বাড়াতে সহায়তা করে রসুন। অ্যালিসিন হলো রসুনে পাওয়া একটি প্রদাহরোধী। যা রক্তচাপ এবং কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। খাবারে রসুন যোগ করলে অধিক পরিমাণে স্বাস্থ্য উপকারিতা পাওয়ার পাশাপাশি স্বাদও উন্নত হবে। রসুনের প্রদাহ-বিরোধী বৈশিষ্ট্য অ্যালিসিনের মাধ্যমে রক্তচাপ-কোলেস্টেরল কমিয়ে কিডনিকে রক্ষা করে।
ক্র্যানবেরি
মূত্রনালীর সংক্রমণ প্রতিরোধে সহায়তা এবং মূত্রনালীর সঙ্গে ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া লেগে থাকা বন্ধ করে কিডনিকে রক্ষা করে ক্র্যানবেরি। ফলটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে সমৃদ্ধ যা অক্সিডেটিভ স্ট্রেসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের মাধ্যমে কিডনির ক্ষতি রোধ করে। কিডনি-বান্ধব খাদ্যের সুস্বাদু সংযোজন হিসেবে ক্র্যানবেরি জুস বেছে নিতে পারেন।
আরটিভি/এইচএসকে
বিয়ের আয়োজনে লাগবে না টাকা, কক্সবাজারে ফ্রি হানিমুন
সম্পূর্ণ বিনা খরচে বিয়ে আর হানিমুনের আয়োজন করেছে চট্টগ্রামের আলহাজ শামসুল হক ফাউন্ডেশন। বর-কনের জন্য বিয়ের পোশাক, আনুষাঙ্গিক সবকিছু প্রদান করা হবে বিনামূল্যে। বিয়ের আয়োজনের অংশ হিসেবে বর-কনের পক্ষ থেকে ১০০ জন অতিথিকে খাওয়ানোর ব্যবস্থা, সঙ্গে থাকবে কক্সবাজারে ফ্রি হানিমুন প্যাকেজও। শর্ত একটাই—বিয়েটি হবে যৌতুকবিহীন এবং নির্ধারিত দেনমোহর নগদ পরিশোধ করতে হবে।
জানুয়ারি মাসের ১৮ তারিখ শনিবার বসবে এই বিয়ের আসর। তবে এজন্য আগেই রেজিস্ট্রেশন করে নিতে হবে। রেজিস্ট্রেশন করতে হবে ১০ জানুয়ারির মধ্যে।
আলহাজ শামসুল হক ফাউন্ডেশনের এই ব্যবস্থাপনায় থাকছে ৭টি সুবিধা।
এগুলো হলো-
বিয়ের রেজিস্ট্রেশন ফি দিতে হবে না বরকনে বা তার পরিবারকে
বর কনের পোশাক দেবে সংস্থাটি
কনের সাজ, প্রসাধনী ও গয়নার ব্যবস্থাও হবে
প্রতি বিয়েতে ১০০ জন অতিথির আপ্যায়নের ব্যবস্থাও থাকবে
কমিউনিটি সেন্টারের ভাড়া দেবে সংস্থাটি
বিবাহ পরবর্তী আকর্ষণ হিসেবে আছে কক্সবাজারে হানিমুনের সুযোগ
বিয়ের পর নতুন পরিবেশে মানিয়ে নিতে আছে ফ্রি কাউন্সিলিং সেবার ব্যবস্থা
আলহাজ শামসুল হক ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মুহাম্মদ নাছির উদ্দিন গণমাধ্যমকে বলেন, যৌতুকবিরোধী কার্যক্রমের অংশ হিসেবে ও ন্যায্য দেনমোহর নির্ধারণ করে বিয়ের দিনই নারীর হক দেনমোহর শতভাগ আদায় করার জন্য উৎসাহিত করতে আমরা এই আয়োজন করেছি।
উল্লেখ্য, সেবামূলক ও অলাভজনক প্রতিষ্ঠান আলহাজ্ব শামসুল হক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করে।
আরটিভি/এএএ/এস
শীতে জয়েন্টে ব্যথা থেকে মুক্তি পেতে যা করবেন
শীতকালে জয়েন্টে ব্যথা মাত্রাতিরিক্ত বৃদ্ধি পায়। এ সময় যারা আর্থরাইটিস, রিওমাটয়েড আর্থরাইটিস ও অস্ট্রিওআর্থরাইটিসের মতো হাড়ক্ষয় রোগে ভুগছেন তাদের কষ্ট বহুলাংশে বেড়ে যায়। এ ছাড়া পেশি, লিগামেন্ট, হাড় ও স্নায়ুর ব্যথাও তীব্র হয়।
শীতকালে জয়েন্টের পুরনো ব্যথা নতুন করে শুরু হয়। অর্থোপেডিক বিশেষজ্ঞদের মতে, এই সময় জয়েন্টের ব্যথা বিশেষ করে হাঁটুর ব্যথায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ১৫-২০ শতাংশ বেড়ে যায়। বিভিন্ন আঘাত বা ভিতরে কোনো রোগের বিকাশের কারণেও জয়েন্টে ব্যথা হতে পারে। বেশিরভাগ মানুষই পিঠ এবং হাঁটুর ব্যথায় ভোগেন। তবে নিতম্ব, হাত এবং কব্জিতেও ব্যথা থাকতে পারে। যা ঠাণ্ডায় বেড়ে যায়।
শীতকালে জয়েন্টের রক্তনালীগুলো সরু হয়ে যায়, এতে রক্ত চলাচল ব্যহত হয়। আমাদের জয়েন্টে সাইনোভিয়াল ফ্লুইড নামে একটি তরল থাকে। তাপমাত্রা কমে গেলে কিছুটা ঘন হয়ে যায়। ফলে জয়েন্টগুলোতে শক্ত হয়ে ব্যথা বাড়তে পারে। শীতকালে বাতাসের চাপ কমে যায়, যার ফলে টেন্ডন, পেশী এবং টিস্যু ফুলে যায়, যা জয়েন্টে ব্যথা হতে পারে।
চলুন জেনে নেওয়া যাক শীতে জয়েন্টে ব্যথা থেকে মুক্তি পেতে যা যা করণীয়—
# শীতকালে আপনি ঘামছেন না তার মানে এই নয় যে আপনার শরীর থেকে তরল বের হচ্ছে না। এই ঋতুতে বাতাস শুষ্ক হয়ে যায়। যার কারণে আপনার শরীর ত্বক এবং শ্বাসের মাধ্যমে আর্দ্রতা হারায়। এ সময় বেশি পানি পান করতে না পারেন তাহলে স্যুপ, হার্বাল চায়ের মতো উষ্ণ পানীয় খান। এতে শরীর গরম থাকবে এবং আর্দ্রতাও বজায় থাকবে।
# ঠান্ডা আবহাওয়া থেকে শরীরকে বাঁচাতে কাপড়ের নিচে একটি থার্মাল স্যুট পড়া যেতে পারে। গ্লাভস এবং মোজাও পরতে পারেন। তাপমাত্রা কম হলে বাইরে ব্যয়াম না করাই ভালো। শীতে শুকনো ফল খেতে হবে। এগুলো শরীরকে উষ্ণ রাখে এবং ভিটামিন ই জয়েন্টগুলোতে লুব্রিকেশন বজায় রাখতে সহায়তা করে।
# নিয়মিত ব্যয়াম হাড় এবং পেশীকে শক্তিশালী করে। নিষ্ক্রিয় থাকার ফলে জয়েন্টগুলোতে ব্যথা এবং শক্ততা বৃদ্ধি পায়।
# ঠাণ্ডা আবহাওয়ায় শরীরকে গরম রাখতে বেশি শক্তির প্রয়োজন হয়, তাই আমরা বেশি ক্ষুধার্ত বোধ করি। ফলে এ সময় ভাজা খাবার এবং চা, কফি খাওয়া বেড়ে যায়। তাই প্রক্রিয়াজাত খাবার খাওয়া এড়িয়ে চলুন।
# ব্যথা হলে জয়েন্টগুলোতে হিটিং প্যাড ব্যবহার করুন। এতে আপনার পেশীগুলো আরাম পাবে। হালকা গরম তেল দিয়ে ম্যাসাজ করলে জয়েন্টগুলোতে আরামবোধ হয়। ব্যথা বাড়লে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ব্যথানাশক ওষুধও খাওয়া যেতে পারে।
আরটিভি/এইচএসকে/এআর
যে পদ্ধতিতে হলুদে দ্রুত চুল বাড়ে, খুশকিও দূরে থাকে
হলুদ চুলের সুরক্ষা এবং ত্বকের যত্নে একটি বহুল ব্যবহৃত উপকরণ। আয়ুর্বেদে হলুদের যে প্রদাহ-নাশক এবং ব্যাকটেরিয়াযুক্ত উপাদানের উল্যেখ রয়েছে, তা আধুনিক পুষ্টিবিদদের দ্বারাও স্বীকৃত। হলুদে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট চুলের জন্য উপকারী। বিশেষভাবে, ত্বক বিশেষজ্ঞরা বলেন, হলুদ রক্ত সঞ্চালন বাড়িয়ে মাথার ত্বকে সেবাম নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে, যা চুলের বৃদ্ধি এবং স্বাস্থ্য বজায় রাখতে সহায়ক।
হলুদের উপকারিতা:
পুষ্টিবিদদের মতে, যেহেতু হলুদে ব্যাকটেরিয়ারোধক উপাদান রয়েছে এবং রক্ত সঞ্চালনেও সাহায্য করে, তাই তার প্রভাব পড়ে মাথার ত্বকেও। তাছাড়া হলুদে আছে কারকিউমিন, যা রোগ নিরাময়ে কার্যকর এবং চুলের স্বাস্থ্যের জন্যও উপকারী বলে প্রমাণ পাওয়া গেছে।
রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি: হলুদ মাথার ত্বকে রক্ত সঞ্চালন বাড়িয়ে চুলের ফলিকলকে পুষ্টি এবং অক্সিজেন সরবরাহ করে, ফলে চুল দ্রুত বাড়ে।
খুশকি এবং ছত্রাকের বিরুদ্ধে লড়াই: হলুদে থাকা ব্যাকটেরিয়া এবং ছত্রাক প্রতিরোধক উপাদান মাথার ত্বককে সুস্থ রাখে, ফলে চুলের বৃদ্ধি স্বাভাবিক থাকে।
সেবাম নিয়ন্ত্রণ: হলুদ সেবাম নিঃসরণের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে, যা চুল পড়া এবং ত্বকের অন্যান্য সমস্যা কমিয়ে দেয়।
স্বাস্থ্যকর চুলের ঔজ্জ্বল্য: হলুদ চুলের ডগা ফেটে যাওয়ার মতো সমস্যা দূর করে, চুলকে মসৃণ এবং স্বাস্থ্যবান রাখে।
ফ্রি র্যাডিকেলস থেকে সুরক্ষা: হলুদের অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট চুলকে ফ্রি ফ্রি র্যাডিকেলস থেকে রক্ষা করে, যা অকালপক্কতা এবং চুলের ক্ষতি রোধ করে।
খালি পেটে হলুদ পানি পানের উপকারিতা
কাঁচা হলুদ খাওয়া যায়, তবে অনেকের পক্ষে স্বাদ গ্রহণ করা কঠিন হতে পারে। তারা রোজ সকালে খালি পেটে হলুদ পানি পান করতে পারেন।
হলুদ পানি তৈরির উপকরণ:
১ গ্লাস গরম পানি
১ চা চামচ হলুদ গুঁড়ো
১ চিমটি গোলমরিচ গুঁড়ো
১ টেবিল চামচ মধু
১ টেবিল চামচ লেবুর রস
প্রণালি: গরম পানিতে হলুদ গুলে নিন। তারপর গোলমরিচ গুঁড়ো, মধু এবং লেবুর রস দিয়ে ভালোভাবে মিশিয়ে নিন। ঈষদোষ্ণ অবস্থায় পান করুন।
কখন পান করবেন?
সকালবেলা খালি পেটে হলুদ পানি খাওয়াই সেরা, তবে সন্ধ্যাবেলাতেও খাওয়া যেতে পারে। নিয়মিত এই পানি পান চুলের জন্য উপকারী।
সতর্কতা: প্রথমে অল্প পরিমাণে হলুদ পানি খেতে শুরু করুন। কারণ হলুদের অতিরিক্ত ব্যবহার হজমে সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। পরবর্তীতে ধীরে ধীরে পরিমাণ বৃদ্ধি করতে পারেন।
সূত্র: আনন্দবাজার
আরটিভি/জেএম
যে ছয়টি অভ্যাসে নষ্ট হয়ে যেতে পারে লিভার
মানব দেহে ৫০০টিরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ কাজ করে লিভার। যার মধ্যে রয়েছে রক্ত পরিশোধন, শরীরের শক্তি ও বৃদ্ধির জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি প্রক্রিয়াজাতকরণ, হজমে সহায়তা করার জন্য পিত্ত উৎপাদন এবং পুষ্টি প্রক্রিয়াজাতকরণ। চর্বি, প্রোটিন এবং কার্বোহাইড্রেট বিপাকীয়করণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে লিভার।
ফলে সামগ্রিক স্বাস্থ্য এবং সুস্থতার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গের মধ্যে একটি লিভার। তবে, ধীরে ধীরে লিভারের ক্ষতি করতে পারে সাধারণ জীবনযাত্রার অভ্যাস এবং খাদ্যাভ্যাস। যা অনেক সময় আগেভাগে বোঝাও যায় না।
আসুন জেনে নেওয়া যাক প্রতিদিনের কিছু ক্ষতিকর অভ্যাস সম্পর্কে, যা আপনার লিভারের ক্ষতি করতে পারে—
ডিহাইড্রেশন
ডিহাইড্রেশন লিভারে অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি করতে পারে। তাই শরীরে লিভারের সর্বোত্তমভাবে কাজ করার জন্য পর্যাপ্ত পানি প্রয়োজন। প্রতিদিন সকালে পর্যাপ্ত পানি পান পিত্ত সহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ শারীরিক তরল তৈরি করে লিভার। অতিরিক্ত এনার্জি ড্রিংক, এমনকি সাপ্লিমেন্ট এবং ভেষজ ব্যবহারও লিভারের ওপর বোঝা চাপিয়ে দেয়।
অ্যালকোহল পান
অতিরিক্ত অ্যালকোহল সেবন লিভারের ক্ষতির প্রধান কারণ। অ্যালকোহল লিভারের বিষাক্ত পদার্থ অপসারণের ক্ষমতাকে বাধাগ্রস্ত করে। যা প্রদাহ এবং ফ্যাটি লিভার রোগের কারণ হতে পারে।
ঘুমের অভাব
অনেকেই হয়তো জানেন না, ঘুম বাদ দিয়ে সারা রাত অনুষ্ঠান দেখা বা ফোনে স্ক্রোল করা আপনার লিভারের ক্ষতি করতে পারে। ঘুমের অভাব লিভারের ওপর অক্সিডেটিভ স্ট্রেস তৈরি করে। যা স্বাস্থ্য সমস্যার বিভিন্ন কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
চিনি খাওয়া
চিনিযুক্ত খাবার এবং পানীয়তে সাধারণ ফ্রুক্টোজ অনেক বেশি থাকে যা লিভারের জন্য বিশেষ হুমকি হয়ে দাঁড়ায়। এটি ফ্যাটি লিভার রোগের কারণ হতে পারে।
ব্যায়াম না করা
শরীরের দ্রুত বয়স বাড়ার একটি কারণ হলো ব্যায়ামের অভাব। যদি নিয়মিত ব্যায়াম না করেন এবং বসে থাকেন তবে অভ্যন্তরীণ অঙ্গগুলো আপনার খাওয়া খাবার প্রক্রিয়া করার জন্য আরও বেশি পরিশ্রম করে। ব্যায়াম না করার ফলে শরীরের প্রাকৃতিক ডিটক্সিফিকেশন প্রক্রিয়াগুলোকে বাধাগ্রস্ত করে। যে কারণে লিভারের ক্ষতি হতে থাকে।
অনিরাপদ যৌনতা
অনিরাপদ যৌনতা হেপাটাইটিসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বহন করে। যা একটি সম্ভাব্য মারাত্মক লিভার রোগ। সহবাসের সময় সুরক্ষা ব্যবস্থা ব্যবহার না করাও লিভার রোগে আক্রান্ত হওয়ার কারণ হতে পারে।
আরটিভি/এইচএসকে