বর্ষা চলছে। এই সময়ে প্রতিবারের মতো এবারও বাড়ছে ডেঙ্গুর প্রকোপ। এজন্য নিজেদের সতর্ক থাকতে হবে। পাশাপাশি বুঝতে হবে আপনি আসলেই ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন কিনা। দেখে নিন কিভাবে এটা বুঝবেন-
বিজ্ঞাপন
- একই মশা দিয়ে চিকুনগুনিয়া ও ডেঙ্গু জ্বর হলেও ডেঙ্গুতে মৃত্যু হয়। চিকুনগুনিয়া হলে মৃত্যু হয় না।
- ডেঙ্গুবাহী এডিস মশা স্বচ্ছ পানিতে জন্মায় আর চিকুনগুনিয়াবাহী এডিস মশা সাধারণত ময়লা পানিতে বেশি জন্মায়।
- পায়ের গোড়ালিতে ব্যথা হলে চিকুনগুনিয়া হওয়ার আশঙ্কা বেশি। আর মাংসপেশিতে ব্যথা হলে ডেঙ্গু জ্বর হওয়ার আশঙ্কা বেশি।
- ডেঙ্গু জ্বরে শরীরে কাঁপুনি, ঘাম ও রক্তক্ষরণ হয়। তবে চিকুনগুনিয়া জ্বরে সাধারণত এগুলো হয় না।
- চিকুনগুনিয়াতে হাত-পা ও মুখমণ্ডলে র্যাশ হয়। তবে ডেঙ্গু হলে পুরো শরীরে র্যাশ হয়।
- ডেঙ্গু জ্বরে রক্তের অণুচক্রিকার সংখ্যা অনেক কমে যায়। তবে চিকুনগুনিয়ায় রক্তের অনুচক্রিকার সংখ্যা ততটা কমে না।
- একই ব্যক্তির শরীরে ডেঙ্গু জ্বর চারবার পর্যন্ত হতে পারে। তবে চিকুনগুনিয়া একবার হলে সাধারণত আর হয় না।
- ডেঙ্গু, চিকুনগুনিয়া জ্বরে সাধারণত ঠাণ্ডা-কাশি হয় না; নাক দিয়ে পানি ঝরে না। তবে সাধারণ ভাইরাসের কারণে হওয়া জ্বরে এগুলো হয়।
- সাধারণ ভাইরাল জ্বরে তাপমাত্রা বেশি ওঠে না, শরীরে ব্যথা তুলনামূলক কম থাকে।
- চিকুনগুনিয়া জ্বরের অস্থিসন্ধির ব্যথা জ্বর কমে যাওয়ার পরও কয়েক সপ্তাহ পর্যন্ত থাকতে পারে। ডেঙ্গু জ্বরে অস্থিসন্ধির ব্যথা জ্বর কমে যাওয়ার পর কমে যায়। চিকুনগুনিয়া জ্বর ভালো হলেও রোগটি অনেকদিন ধরে রোগীদের ভোগান্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। অন্য কোনো ভাইরাল জ্বরে এতটা ভোগান্তি হয় না।
ডি/এমকে