প্রকৃতির অপ্সরা বিছনাকান্দি
পাহাড়ের ধারে শুধু পাথর আর পাথর। সে অন্য এক জীবন। মনে হয় যেনো আকাশের গায়ে হেলান দিয়ে পাহাড় ঘুমায় ওই। হ্যাঁ, এমন অপার প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরা গোয়াইনঘাট উপজেলার রুস্তমপুর ইউনিয়নের ‘বিছনাকান্দি’। বিছনাকান্দির মনোরম গ্রামীণ জীবন। ধোঁয়াশা পাহাড়ের পটভূমিতে লাল মাটি আর সবুজ মাঠে ভরা। আকাশছোঁয়া পাহাড়ের কোলে এ জায়গায় আাছে প্রকৃতির অপরূপ রূপের বিছানা পাতা। পাশেই বয়ে চলা স্বচ্ছ শীতল পানির পাহাড়ি নদী পিয়াইন। ছোট বড় পাথরের মাঝে পিয়াইন নদীর মায়াবী স্রোত। আপনাকে করবে শান্ত।
কীভাবে যাবেন
ঢাকা থেকে সিলেট। ট্রেন অথবা বাসে। সিলেট থেকে নগরীর অম্বরখান পয়েন্ট। সেখানে সিএনজি পাওয়া যায়। সিএনজি করে গোয়াইনঘাট হয়ে হাদার বাজার। হাদার বাজার থেকে নৌকায় বিছানাকান্দি। নৌকা পথে দূরত্ব্ব কম কিন্তু ভাড়া বেশি। ছোট নৌকাও পাবেন। বিছাকান্দি ভ্রমণের উপযুক্ত সময় বর্ষাকাল ও বেশি শীত পড়ার আগে আগে। সঙ্গে ছাতা, রেইনকোট নিতে ভুলবেন না।
যেভাবেই যান না কেন, ভাড়া আগে থেকেই ঠিক করে নেবেন। আর বিছনাকান্দি সীমান্তে কাঁটাতার নেই। একটি সাদা পতাকাই বাংলাদেশ-ভারতকে আলাদা করেছে। কিন্তু অতি উৎসাহী বা সাহসী হয়ে সীমান্ত পার হবেন না। আর খাবার-দাবার ওখানে না খাওয়াই ভালো। কারণ আমরা প্রকৃতি ধ্বংসে কয়েক ধাপ এগিয়ে।
কোথায় থাকবেন
বিছনাকান্দি ও আশপাশে থাকার ভালো ব্যবস্থা নেই। সিলেট শহর থেকে খুব সকালে গিয়ে সারাদিন বেড়িয়ে রাতে এসে থাকতে হবে সিলেট শহরেই। এ শহরে থাকার জন্য বেশ কিছু ভালো মানের হোটেল আছে।
অতএব ঘুরে আসুন শরীর ও মন দুটোই ভালো থাকবে।
এস/এমকে
মন্তব্য করুন