আঁচিল থেকে চিরতরে মুক্তি দেবে আমপাতা
শরীরে আঁচিল তখনই হয় যখন ত্বক ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত হয়। অনেকে মনে করেন, আঁচিল প্রাকৃতিকভাবে শরীরে হয়ে থাকে কিন্তু এই ধারণা ভুল। মুখে আঁচিল হলে সমস্যার শেষ থাকে না। আঁচিল নিরাময়ে আমপাতা খুব কার্যকরী। আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে আমপাতার অনেক উপকারিতার কথা বলা হয়েছে।
আম সবারই খুব পছন্দের ফল। তাছাড়া আম স্বাস্থ্যের জন্যও বেশ উপকারী। তবে শুধু আমই নয়, এর পাতাও বেশ উপকারী। আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে আমপাতার উপকারিতার কথা বলা আছে। আমপাতায় রয়েছে ভিটামিন, এনজাইম, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, খনিজ উপাদান।
আঁচিল দূর করতে আমপাতা ব্যবহারের নিয়ম
প্রথমে কিছু কচি আমপাতা পুড়িয়ে কালো করে নিন। এবার এই পোড়া আমপাতাগুলো গুঁড়া করে নিন। তারপর এতে সামান্য পানি মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে নিন। এবার এই মিশ্রণটি আঁচিলে লাগান। দেখবেন খুব দ্রুত আঁচিল সেরে যাবে।
এস/পি
মন্তব্য করুন
কোটিপতিদের কিছু অদ্ভুত বৈশিষ্ট্য ও মিল
একসময় মিলিয়নিয়ার বা কোটিপতি শব্দের প্রচলন ছিল না। ১৭ শতকের কিছু সময় পর্যন্ত মিলিয়নিয়রের অস্তিত্ব ছিল না। ডে'জ অব্য দ্য ইয়ারের তথ্য অনুযায়ী, ১৭১৯ সালে জন ল মিসিসিপি কোম্পানি প্রতিষ্ঠার পর দারুণ সফলতা পান। আর তিনি প্রথম ব্যক্তি হয়েছিলেন যাকে মিলিয়নিয়ার হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছিল। জন ল'র এক মিলিয়ন ফ্রাঙ্কেরও বেশি অর্থ ছিল এবং তিনিই মিলিয়নিয়ার হিসেবে পরিচিত পাওয়া প্রথম ব্যক্তি ছিলেন। পরবর্তী কয়েক বছর 'মিলিয়নিয়ার' শব্দটি ধনী ও বিলাসবহুল ব্র্যান্ডগুলোকে বোঝাতে ব্যবহৃত হয়েছিল।
আর আজকের পৃথিবীতে অর্থের পিছে ছোটেন না, এমন মানুষের সংখ্যা নেহাতই কম। তবে জীবনভর ছোটাছুটি করেও আক্ষরিক অর্থে বিত্তবান হন না সবাই। যারা কোটিপতি হতে পারেন, তাদের ছোটাছুটি আর অন্যদের ছোটাছুটির মধ্যে নিশ্চয়ই বিরাট তফাত থাকবে। প্রায় সব কোটিপতিরাই পরিশ্রমী এবং মনোযোগী। তারা দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা রাখেন। এই সাধারণ বৈশিষ্ট্যগুলো কোটিপতি হওয়ার ক্ষেত্রেও ভূমিকা রাখে। আর কোটিপতিদের মধ্যে কিছু অদ্ভুত বৈশিষ্ট্য দেখা যায়। যা তাদের বাকিদের থেকে আলাদা করে।
চলুন জেনে নেওয়া যাক কোটিপতিদের ৫টি অদ্ভুত বৈশিষ্ট্য এবং তাদের মধ্যে মিলগুলো—
মিতব্যয়ী: কোটিপতিরা অর্থ ব্যয় করতে পছন্দ করেন না। বেশিরভাগ কোটিপতি মিতব্যয়ী। তারা ডিসকাউন্ট এবং কুপনে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন। কোটিপতিরা বিশ্বাস করেন যে, এটি সম্পদ ধরে রাখার একটি উপায়।
চশমা পরে না: চশমা পরাকে নির্বোধ হওয়ার লক্ষণ হিসাবে দেখা হয়। বেশিরভাগ কোটিপতি আসলে চশমা পরেন না। বিশ্বের শীর্ষ ১০ ধনী ব্যক্তির মধ্যে, মাত্র দুজন চশমা পরেন। তারা হলেন ওয়ারেন বাফেট ও বিল গেটস।
কুম্ভ রাশি: অধিকাংশ কোটিপতি কুম্ভ রাশির হয়ে থাকে। তাদের বেশিরভাগের জন্ম ২০ জানুয়ারি এবং ১৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে। গো কমপেয়ার বিশ্লেষণ অনুসারে, ১৯৯৬ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত ফোর্বসের শীর্ষ ১০০ ধনী ব্যক্তির মধ্যে ১২ দশমিক ৫ শতাংশ কুম্ভ রাশির।
বড় পরিবার: বেশিরভাগ কোটিপতিদের তিন থেকে পাঁচটি সন্তান থাকে। তাদের বেশিরভাগই একটি বড় পরিবার বজায় রাখতে পছন্দ করেন। গো কমপেয়ার বিশ্লেষণ অনুসারে, প্রায় ২১ শতাংশ কোটিপতির তিন বা তার বেশি সন্তান রয়েছে।
সস্তা গাড়ি চালায়: বেশির ভাগ ধনকুবেররা দামি গাড়ি চালায় না। তারা সাধারণ বা সেকেন্ড-হ্যান্ড গাড়ি চালায়। কারণ তারা তাদের সম্পদ সঞ্চয় করে।
কোটিপতিদের মধ্যে মিল যেখানে:
কোটিপতিরা এতো সম্পদের মালিক হওয়ার পরে কেমন হয় তাদের জীবনধারা? অর্থের সঙ্গে তো দায়িত্বও বাড়ে। কী করেন তারা সারা দিন? কীভাবে ভারসাম্য রাখেন জীবনে? নিজ উদ্যোগেই ধনী হয়েছেন, এমন শতাধিক ব্যক্তিসহ সফল দুই শ জনের জীবনধারা বিশ্লেষণ করেছে মার্কিন সাময়িকী ফোর্বস। এই বিশ্লেষণ থেকে জানা যায়, নিজের ভালো থাকাকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেন তারা। সময়ের ব্যবস্থাপনা এমনভাবে করেন, যেন সবকিছু সামলানো যায় ঠিকঠাক। উল্লেখযোগ্য আর কী কী জানা গেল জেনে নিন।
মিরাকল মর্নিং: সকালটা হলো সারা দিনের ভিত্তি। ধনীদের একটা বড় অংশ তেমনটাই বিশ্বাস করেন। দিনের প্রথম আধ ঘণ্টা থেকে এক ঘণ্টা সময় তারা শরীর এবং মনের সতেজতার জন্য ব্যয় করেন। কেউ হাঁটতে হাঁটতে শোনেন পডকাস্ট, কেউ শরীরচর্চার সময় শোনেন কোনো অডিও অনুষ্ঠান। কেউ আবার ‘এক্সারসাইজ বাইক’ চালাতে চালাতে উদ্দীপনামূলক বার্তা পড়া দিয়ে শুরু করেন নিজের দিন। কারও কাছে সকালটা হলো ‘দ্য মিরাকল মর্নিং’।
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ: ধনীদের মধ্যে কারও কাছে স্বাস্থ্যই সম্পদ, কারও কাছে সম্পর্কগুলো সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। যিনি যে বিষয়কে গুরুত্ব দেন, সেই বাবদ সময় বরাদ্দ রাখেন ঠিকঠাক। যিনি সম্পর্ককে সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ মনে করেন, তিনি কিন্তু হাজারো ব্যস্ততার মধ্যেও প্রিয়জনকে সময় দেন, সন্তানের আনন্দের প্রতি যত্নশীল হন, পারিবারিক আয়োজনের জন্য সময় রাখেন। বার্ষিক যে অভীষ্ট লক্ষ্যের দিকে তিনি ছুটছেন, সেই লক্ষ্যের পথে এগিয়ে যান একটু একটু করে। বড় লক্ষ্য অর্জনের জন্য রোজকার ছোট ছোট কাজ নির্দিষ্ট করে ফেলেন তারা। নিজের জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে সকাল সকালই বসে যান পরিকল্পনা করতে। গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য সকালটাই সেরা সময় তাদের কাছে; মাল্টিটাস্কিং না করে একদিকে মনোযোগ দেন তারা।
মিটিং করে সময় নষ্ট করেন না: কোটিপতিদের জীবনধারা বিশ্লেষণ করে ফোর্বস বলছে, তাদের মধ্যে মিটিং করার প্রবণতা কম। স্টিভ জবস বা মার্ক জাকারবার্গের হাঁটতে হাঁটতে মিটিং সেরে নেওয়ার কথা অনেকেই জানেন। মিলিয়নিয়াদের কাজের ধরন থেকে বোঝা যায়, কাজকে ফলপ্রসূ করতে লম্বা দৈর্ঘ্যের মিটিংয়ের প্রয়োজন হয় না।
ই–মেইল প্রসেসিং টাইম: সারাদিন নিজের ই–মেইল আর মুঠোফোনের নোটিফিকেশন দেখেন না মিলিয়নিয়াররা। বরং তারা দিনের একটা নির্দিষ্ট সময় বরাদ্দ রাখেন ই–মেইলের জবাব দেওয়ার জন্য। এভাবে কাজ ভাগ করে নেওয়ার ফলে অনেকটা সময় বেঁচে যায় তাদের।
কাজের সময় কাজ, বিশ্রামের সময় বিশ্রাম: অফিসের সময় শেষ হয়ে গেলেও হয়তো আপনার এমন অনেক কাজ রয়ে যায়, যা করা উচিত, যা করা প্রয়োজন কিংবা যা করলে ভালো হয়। তবে ধনকুবেররা কিন্তু এসব কাজ করার পেছনে বাড়তি সময় ব্যয় করেন না। কাজের সময় শেষ হলেই তারা বাড়ি চলে যান। সময়মতো খেয়ে নেন রাতের খাবার। রাত হলো তাদের ‘রিচার্জ’ হওয়ার সময়। রাতে পর্যাপ্ত বিশ্রাম নেন তারা। পরের দিনটা শুরু করেন পূর্ণ উদ্যমে।
সূত্র: ফোর্বস
আরটিভি/এফআই/এআর
সামুদ্রিক মাছ তলোয়ারে তীক্ষ্ণ অংশ থাকে যে কারণে
তলোয়ার শব্দটার সঙ্গে আমরা সবাই পরিচিত। প্রাচীনকালে রাজা-বাদশাহ বা যোদ্ধাদের কাছে থাকত তলোয়ার। তলোয়ারের আঘাতে মুণ্ডু ছিন্ন করে রাজ্য বিস্তার করে চলত রাজারা। এ তো গেল মানুষের গল্প। মাছের কাছে কী তলোয়ার থাকতে পারে? না, মাছের তলোয়ার ধরার ক্ষমতা নেই। তলোয়ার ধরার ক্ষমতা না থাকলেও পৃথিবীতে একটি মাছ আছে, যা তলোয়ার মাছ নামে পরিচিত। মাছটির তলোয়ারাকৃতির ঠোঁটের জন্য ইংরেজিতে এর নাম দেওয়া হয়েছে সোর্ড ফিশ। কোনো কোনো দেশে মাছটি ব্রডবিল নামেও পরিচিত। সমুদ্রের তলদেশে বড় ছোট সকল ধরনের মাছ দেখতে পাওয়া যায়। আজকে সোর্ড ফিস বা তলোয়ার মাছ সম্পর্কে মজার কিছু তথ্য রইল।
সামুদ্রিক এ মাছ সম্পর্কে মজার কিছু তথ্য জেনে নিন—
>> এরা এক্টোথার্মিক মাছ। এদের গড় আয়ু ৯ বছর। পৃথিবীতে প্রায় ২৫ হাজার প্রজাতির মাছের মধ্যে মাত্র ২২টি প্রজাতি দেহ থেকে তাপ উৎপন্ন করতে পারে। সোর্ড ফিশ সেই ২২ প্রজাতির একটি। চোখের পাশে থাকা বিশেষ অঙ্গের মাধ্যমে তলোয়ার মাছ তাদের চোখ ও মস্তিষ্কের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। মাছটির তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ ক্ষমতা তাদের শিকার ধরতে বিশেষভাবে সাহায্য করে।
>> যাযাবর প্রজাতির এ মাছটির শিকারি হিসেবে বিশেষ খ্যাতি রয়েছে। সোর্ড ফিশ ঘণ্টায় ১০০ কিলোমিটার বেগে সাঁতার কাটতে সক্ষম। আটলান্টিক, প্রশান্ত ও ভারত মহাসাগরের নাতিশীতোষ্ণ অঞ্চলে এ মাছ বেশি দেখা যায়। ১৮ থেকে ২২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রার পানির মধ্যেই এ মাছ থাকতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে।
>> তলোয়ার মাছ শিকার ধরার কাজে অত্যান্ত দক্ষ প্রকৃতির। তলোয়ার মাছ তার তলোয়ার আকৃতির বিল দিয়ে শিকারকে আঘাত করে। এতে করে শিকারের গতি কমে যায় এবং শিকার দুর্বল হয়ে পড়ে। শিকার দুর্বল হয়ে গেলে তা ধরতে অনেক সহজ হয় এবং জীবিত অবস্থায় খেতে পারে শিকারি।
>> এরা কখনই গ্রুপে ঘোরাফেরা করে না বরং সর্বদাই একা চলাফেরা করে থাকে। মাঝে মধ্যে এরা রোদ পোহানোর জন্য সমুদ্র তীরে এসে রোদ পোহাতে থাকে। আবার মাঝ সমুদ্রে এদের লাফিয়ে লাফিয়ে পানির ওপর উঠে আবার পানিতে ডুবতে দেখা যায়। এভাবেও এরা গায়ে রোদ লাগিয়ে থাকে এবং পানিতে ঘুরে বেড়াতে বা ট্যুর দিতে পছন্দ করে।
>> ৪ থেকে ৫ বছর বয়সী তলোয়ার মাছ প্রাপ্ত বয়স্ক হিসেবে ধরা হয়। এদের কিছু প্রাকৃতিক শিকার আছে যা এরা শিকার করে থাকে। তবে জুভেনাইল সোর্ডফিশ ম্যাকোস এবং তিমি মাছ দ্বারা আক্রান্ত হয়। কারণ এরা অত্যান্ত হিংস্র প্রকৃতির প্রাণী। ম্যাকোস এবং তলোয়ার মাছের মধ্যে মারামারি হয়। মাঝে মধ্যে ম্যাকোসের মাথার মধ্যে দিয়ে তলোয়ার মাছের বিল মাঝখান দিয়ে গিয়ে ভেঙ্গে থাকে। এমন অনেক ম্যাকোস মাছের মাথা দেখা গিয়েছে।
>> তলোয়ার মাছের মধ্যে ব্রোড বিল নামের এক ধরনের প্রজাতি আছে যারা খুব দ্রুত গতিতে পৌঁছাইতে পারে। এরা এক সমুদ্র হতে অন্য সমুদ্রে অথবা সমুদ্রের বিভিন্ন অঞ্চলে এক জায়গা হতে অন্য জায়াগায় মাইগ্রেট করে থাকে। সাগরের তলদেশে দুর্দান্ত গতিতে গতিশীল মাছদের মধ্যে এরা অন্যতম।
>> স্ত্রী প্রজাতির সোর্ড ফিশ পুরুষ প্রজাতির সোর্ড ফিশের চেয়ে আকারে বড় হয়ে থাকে। স্ত্রী প্রজাতির সোর্ড ফিশ ডিম পানিতে ছেড়ে দেয়। এই কারণে এদের নিষেক প্রক্রিয়া বাহ্যিক প্রকৃতির। এরা একবারে ১০ লক্ষ থেকে ৩০ লক্ষ পর্যন্ত ডিম পেড়ে থাকে। স্ত্রী প্রজাতির মাছ ডিম পানিতে ছেড়ে দেয় এবং পুরুষ মাছও পানিতে একই সময়ে স্পার্ম ছেড়ে দেয়। তখন ডিমের সাথে স্পার্মের মিলিত হওয়াই নিষেক সম্পন্ন হয়। এভাবে এরা প্রজনন করে থাকে।
>> সমুদ্রের পানিতে মার্লিন মাছের পরেই তলোয়ার মাছের স্থান। এরা সাগরের তলদেশের সবচেয়ে দ্রুতগামি প্রাণী। এসব মাছ বড় কোন বড়শি কিংবা ফিশিং জাহাজের হুকে আটকে গেলে এরা দ্রুতগতিতে নিচের দিকে ডাইভ দিতে থাকে। এভাবে এরা সমুদ্রের তলদেশের দিকে পর্যন্ত পৌঁছাতে থাকে। এই কারণে এদের ধরতে হলে হুক যেমন শক্তিশালি হতে হয় তেমনি হুকের দড়িও শক্তিশালী হতে হয়।
আরটিভি/এফআই/এআর
ডার্ক সার্কেল দূর করতে চোখের ওপর রাখুন টি ব্যাগ
মানসিক চিন্তা, পর্যাপ্ত ঘুমের অভাবের পাশাপাশি হরমোনার ইমব্যালেন্স ডার্ক সার্কেলের অন্যতম কারণ। ডার্ক সার্কেল অনেক সময়ই সৌন্দর্যের পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায়। ঝটপট ডার্ক সার্কেল দূর করতে চাইলে প্রাকৃতিক উপাদানের সাহায্য নিতে পারেন। একমাত্র সঠিক জীবনযাপনই আপনাকে এনে দিতে পারে শিশুর মতো কোমল ও দাগমুক্ত ত্বক। তবে, আরও একটি উপায় রয়েছে, যা নিয়ম করে মেনে চললে আপনি ডার্ক সার্কেল ও ফোলাভাব থেকে মুক্ত পাবেন। তা হল টি ব্যাগ বা চা পাতা। চোখের ওপর ভেজানো বা ব্যবহৃত টি ব্যাগ রেখে দেন তা হলে দুর্দান্ত উপকার মিলবে।
• চা পাতার মধ্যে ক্যাফেইন রয়েছে, যা ত্বকে রক্ত সঞ্চালন বাড়াতে সাহায্য করে। যার জেরে চোখের নীচের ফোলাভাব কমে যায়। পাশাপাশি এটি ত্বককে শান্ত করে এবং চোখের চারপাশের ত্বকের প্রদাহ কমায়। তবে, এমনই চা পাতা বেছে নিতে হবে যার মধ্যে ক্যাফেইন রয়েছে।
•টি-ব্যাগ ফ্রিজে ঘণ্টাখানেক রেখে ঠান্ডা করে চোখের ওপর লাগিয়ে রাখলে ক্লান্তি কাটিয়ে আসবে প্রশান্তি।
• ব্যবহারের পরের ঠান্ডা টি-ব্যাগকে সামান্য কুসুম গরম পানি দিয়ে ভিজিয়ে যে রঙিন পানি বের হবে, তাতে মুলতানি মাটি মিশিয়ে ত্বকে লাগালে ত্বকের তৈলাক্ত ভাব কমে গিয়ে ব্রণ থেকে মিলবে মুক্তি।
• ব্যবহারের পর ঠান্ডা টি-ব্যাগকে অল্প কুসুম গরম পানি দিয়ে ভিজিয়ে যে রঙিন পানি বের হবে, তাতে এক চা–চামচ সুজি, এক চা–চামচ যেকোনো ডালের বেসন আর আধা চা–চামচ ব্রাউন সুগার মিশিয়ে অনায়াসেই তৈরি করে ফেলা সম্ভব ত্বকের উপযোগী স্ক্রাবার। এবার আলতো ঘষে মুখ ধুয়ে ফেললেই বাজিমাত।
• একইভাবে বের করে নেওয়া রাঙা পানি আইস বক্সে জমিয়ে রাখতে পারি। পরে প্রয়োজনমতো টোনার হিসেবে ব্যবহার করা যাবে যেকোনো দিন।
• কুসুম গরম পানিতে ধোয়া রঙিন পানিতে ওয়াটার বেসড ময়েশ্চারাইজার আর কয়েক ফোঁটা গ্লিসারিন মিশিয়ে কাচের বোতলে ভরে ফ্রিজে রেখে দেওয়া যায়। মিশ্রণটি প্রতিদিন রাতে শোয়ার আগে চোখের ওপর এক ফোঁটা করে আলতো মালিশ করে লাগিয়ে নিলে ক্লান্তি আর চোখের কোণের ও নিচের কালো দাগ দূর হবে।
• চা পাতার মধ্যে ট্যানিন রয়েছে, যা ত্বকে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান হিসেবে কাজ করে। যারা ড্রাই আইসে ভোগেন এবং চোখের চারপাশের চামড়ায় জ্বালাভাব, প্রদাহ কিংবা লালচে ভাব দেখা দেয়। তারাও চোখের ওপর ভেজানো টি ব্যাগ রাখতে পারেন। এটি ত্বকের প্রদাহ কমাবে এবং শুষ্কভাব দূর করবে।
• চোখের চারপাশের ত্বকে রক্ত সঞ্চালন কমে গেলে ডার্ক সার্কেল বেড়ে যায়। চা পাতা এই কালচে দাগ দূর করতেও উপযোগী। চা পাতার মধ্যে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট রয়েছে, যা ডার্ক সার্কেল কমাতে সাহায্য করে। নিয়মিত চোখের উপর ব্যবহৃত চায়ের ব্যাগ রাখলে ধীরে ধীরে ত্বক উজ্জ্বল হবে। এই টোটকায় আপনি চোখের চারপাশে বলিরেখাকেও প্রতিরোধ করতে পারবেন। এটি অ্যান্টি-এজিং হিসেবেও কাজ করে।
• যখনই চোখের ওপর ভেজানো বা ব্যবহৃত টি ব্যাগ রাখবেন, ত্বক অনেক বেশি শান্ত হয়ে যাবে। অর্থাৎ, একটা কুলিং এফেক্ট অনুভব করবেন। তারপর যখন ওই টি ব্যাগ সরিয়ে ফেলবেন আগের থেকে অনেক বেশি সতেজতা অনুভব করবেন। সারাদিনের কাজকর্মের পর এই টোটকা কাজে লাগিয়ে দেখতে পারেন।
আরটিভি/এফআই
পুষ্টিগুণে ভরপুর আতা ফলে রয়েছে দারুণ কিছু উপকারিতা
খেতে যেমন সুমিষ্ট এই দেশি ফলটি, তেমনি এতে ঠাসা আছে নানা ধরনের পুষ্টি উপাদান। কাস্টার্ড অ্যাপেল, চেরিমোয়া বা অন্য অনেক নামেই পরিচিত এই ফলটি। তবে বাংলায় একে বলে আতা ফল। সাধারণত যেসব ফলের নামের সঙ্গে আমরা পরিচিত তার তুলনায় এর নাম একটু কম শোনা গেলেও পুষ্টিগুণ কিন্তু ভরপুর রয়েছে এই ফলের মধ্যে। আতা আদতে মধ্য-ক্রান্তীয় অঞ্চলের একটি ফল। মূলত শীতকালে এর ফলন হয়। পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ দেশি ফল আতা খেলে পাওয়া যাবে অনেক উপকার।
কোন কোন পুষ্টি উপাদান রয়েছে আতা ফলে: প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট, ফাইবার, ক্যালসিয়াম, আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস, পটাসিয়াম, সোডিয়াম, ভিটামিন (সি, বি৬, এ), থায়ামিন, রাইবোফ্লাভিন, নিয়াসিন, প্যান্টোথেনিক অ্যাসিড, ফ্যাটি অ্যাসিড মেলে আতায়।
আতা খেলে আপনি কী কী উপকার পেতে পারেন, একনজরে দেখে নেওয়া যাক—
আতার মধ্যে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট উপকরণ রয়েছে। এই ফলের মধ্যে রয়েছে ফ্ল্যাভোনয়েডস এবং পলিফেনল। এছাড়াও রয়েছে ভিটামিন সি।
অ্যান্টি-অক্সিডেন্টে ভরপুর হওয়ার ফলে আতা খেলে আমাদের শরীরের অক্সিডেটিভ ড্যামেজ হয় না। কিংবা এই জাতীয় ক্ষয়ক্ষতি হলে তা পূরণ হয়ে যায়।
চোখের স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য যেকোনও সবুজ রঙে শাকসবজি এবং ফল কাজে লাগে। আতা ফল খেলেও দৃষ্টিশক্তি ভালো থাকে, প্রখর হয়।
আতার মধ্যে থাকে ক্যারোটিনয়েড অ্যান্টিঅক্সিডেট লুটেইন। এই উপকরণ চোখের স্বাস্থ্য ভালো রাখে। দৃষ্টিশক্তি ভালো করে। চোখের দৃষ্টি নষ্ট হতে দেয় না। চোখের দৃষ্টিশক্তি প্রখর করে।
আতা ফলের মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে সলিউয়েবল ফাইবার। এই উপকরণ অন্ত্রের সমস্যা দূর করে এবং হজমশক্তি ভালো করে।
হজমশক্তি ভালো হয় বলে আতা ফলের সাহায্যে প্রদাহজনিত সমস্যা অর্থাৎ অ্যাসিডিটির সমস্যা দূর হয়। এছাড়াও কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করে এই ফল।
একাধিক ভিটামিন এবং মিনারেলস রয়েছে আতা ফলের মধ্যে। এই তালিকায় আছে ভিটামিন বি৬ এবং পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম। ব্লাড প্রেশারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে এইসব উপকরণ। এছাড়াও হৃদযন্ত্র সংক্রান্ত বিভিন্ন সমস্যা থেকে আপনাকে দূরে রাখে।
আতা ফলের মধ্যে রয়েছে ভিটামি এ, ভিটামিন বি৬ এবং ভিটামিন সি। এই সমস্ত ভিটামিন আমাদের ত্বকের জন্য খুবই ভালো। কারণ এগুলো ত্বকের ইলাস্টিসিটি ধরে রাখতে সাহায্য করে।
এছাড়াও কোলাজেনের উৎপাদন বৃদ্ধি করে যা ত্বকের উজ্জ্বলতা বজায় রাখতে সাহায্য করে।
আরটিভি/এফআই
বিবাহিত দম্পতিদের ভালো রাখবে যে বিষয়গুলো
যে কোনো ব্যক্তির জীবনে গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় হলো বিয়ে। বিয়ে এমন একটি ধাপ যেখানে একে অপরের ভালো সময় এবং খারাপ সময়ের মধ্যে ভালবাসার আর পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়। কিন্তু বিয়ে সফল করতে এবং সারাজীবন এটিকে স্থায়ী করার জন্য, দম্পতিকে বেশ কয়েকটি বিষয়ে ভাবতে হয়। যেমন প্রতিটি বিবাহিত দম্পতির মধ্যে মতবিরোধ থাকাটা একেবারেই সাধারণ বিষয়। এই সম্পর্ক কখনো প্রেম আবার কখনো দ্বন্দ্বে ভরা। তবে ফাটল খুব বেশি বেড়ে গেলে সম্পর্কে থাকা দুই জনের মধ্যে দূরত্ব বাড়তে শুরু করে। অনেক সময় পারস্পরিক মতপার্থক্য দুই ব্যক্তির মধ্যে এত বড় ব্যবধান তৈরি করে যে তা থেকে সম্পর্ক ভেঙে যায়। ফলে দম্পতি যত তাড়াতাড়ি সম্ভব তাদের বিবাদ মিটিয়ে ফেলার চেষ্টা করা গুরুত্বপূর্ণ। এই অবস্থায়, কয়েকটি জিনিস বিষয় বিবেচনায় রাখা উচিত।
সঙ্গীকে সময় দিন: প্রতিটি সম্পর্ককে মজবুত রাখতে সময় দেওয়া প্রয়োজন। স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কের ক্ষেত্রে এটা আরও বেশি করে গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। আজকের ব্যস্ত জীবনে, একজন কর্মরত স্বামী এবং স্ত্রীর একে অপরের জন্য সময় বের করা বেশ চ্যালেঞ্জিং। কিন্তু এটাই আপনার সম্পর্ককে ভালো রাখার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উপায়। স্বামী-স্ত্রীর দূরত্ব একটা ফাটল সৃষ্টি করে যা ভবিষ্যতে সম্পর্ককে দুর্বল করে দেয়। অতএব, আপনার সঙ্গীর জন্য সময় বের করার চেষ্টা করুণ।
কথোপকথন খুবই গুরুত্বপূর্ণ: আপনি প্রায়শই শুনেছেন যে যুদ্ধের চেয়ে সংঘাত সমাধানের জন্য আলোচনা বেশি গুরুত্বপূর্ণ। আপনি যদি আপনার সঙ্গীর সম্পর্কে কিছু খারাপ মনে করেন তবে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব আলোচনার মাধ্যমে তা সমাধান করার চেষ্টা করুন। যেকোন সম্পর্ককে দুর্বল করার জন্য ইগো বা যোগাযোগের অভাবই যথেষ্ট। আপনি বুঝতেও পারবেন না যে এই ছোট্ট ভুলটি আপনার সম্পর্কের মধ্যে ফাটল সৃষ্টি করতে পারে।
ভুল স্বীকার করা: সাধারণত এমন হয় যে আমরা জেনে বা না জেনে এমন ভুল করি যা অন্যের হৃদয়ে আঘাত করে, কিন্তু রাগের বশে আমরা আমাদের সেই ভুলটি দেখতে পারি না। এটা করা মোটেও ঠিক নয়। যখনই আপনার সাথে এমন কিছু ঘটবে বা আপনার সঙ্গী আপনার কারণে আঘাতপ্রাপ্ত হবেন, তখন একটি ছোট সরি বলতে দেরি করবেন না। আপনার ছোট ক্ষমা আপনার মধ্যে দূরত্ব তৈরির ঝুঁকি হ্রাস করে।
মানসিক সামঞ্জস্য: প্রতিটি সম্পর্কতেই মানসিক সামঞ্জস্য অত্যাবশ্যক। জীবনে উত্থান পতনের প্রতিটি মুহূর্তেই একে অপরের পাশে থাকা জরুরি। উদাহরণস্বরূপ, যদি একজন একটি কঠিন সময় পার করতে থাকেন, তবে অপরজনকে মানসিক সমর্থন দিয়ে পাশে থাকা উচিত।
আরটিভি/এফআই/এআর
পুনরায় ফুটিয়ে চা পান, হতে পারে একাধিক রোগ
এক কাপ গরম চা একটা খারাপ দিনকেও ভালো করে দিতে পারে। গরম এক কাপ চায়ের চেয়ে আরামদায়ক আর কী আছে, শুধু একটি চুমুক স্বয়ংক্রিয়ভাবে আমাদের মুহূর্তেই সতেজ করে তোলে। আড্ডা জমে যায় ধোঁয়া ওঠা চায়ের কাপ হাতে নিয়ে। কারও কারও কাছে চা হলো মন খারাপের ওষুধের মতো। খেলেই মুখে চওড়া হাসি ফুটে ওঠে। আবার কারও কাছে চা নেশার দ্রব্য। সারাদিনে ৫-৬ কাপ চা না হলে মন ভরে না। তারা দিনে একবারই চা বানিয়ে নেন। তারপর সেটা ভরে রাখেন ফ্লাস্কে। গরম থাকলে ভালো, না হলে বারবার ফুটিয়ে গরম করে পান করেন। চা পানের অভ্যাস যে খুব ভালো, তা জোর দিয়ে বলা যায় না। তবে, এভাবে বারবার চা গরম বা ফুটিয়ে পানের অভ্যাস একেবারেই ভালো নয়। এই বদভ্যাসের জেরে আপনি একাধিক রোগ ডেকে আনতে পারেন।
জেনে নিন চা পুনরায় গরম করলে তা কীভাবে স্বাস্থ্যের ক্ষতি করতে পারে—
বেশি সময় ধরে চা গরম করা হলে চায়ে থাকা ক্যাফিন ও ট্যানিন দু’টিই নষ্ট হয়ে যায়। চায়ের স্বাদ তেতো হয়ে যায় এবং শরীরের পক্ষেও ভালো নয়। বারবার গরম করা চা পান করলে খাদ্যনালিতে ক্যানসার হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে।
চায়ের পাতায় এক ধরনের ব্যাক্টেরিয়া ও ছত্রাক থাকে, যা গরম করলে সংখ্যায় বৃদ্ধি পায়। অতিরিক্ত ব্যাক্টেরিয়া-যুক্ত চা পানে চোখের গ্লুকোমায়, স্নায়ুতে প্রভাব ফেলে। এতে স্মৃতিশক্তি, দৃষ্টিশক্তি কমে যেতে পারে।
চা পুনরায় গরম করলে অ্যাসিডিটি এবং পেট সংক্রান্ত সমস্যাও হতে পারে। বিশষেজ্ঞদের মতে, যখন আমরা চা পাতা বেশি সময় রান্না করি, তখন সেগুলো অম্লীয় প্রকৃতির হয়ে যায়, বিশেষ করে যখন দুধের সাথে মেশানো হয়। এই অম্লীয় যৌগ পেটে অম্বল, অ্যাসিড রিফ্লাক্স এবং জ্বলন্ত সংবেদন হতে পারে। এটি সারাদিন প্রচুর অস্বস্তির কারণ হতে পারে। এটি এড়াতে পুনরায় গরম করা এড়ানোর পাশাপাশি দুধ ছাড়া চা তৈরি করার চেষ্টা করুন।
আপনি কি জানেন চা পুনরায় গরম করলে তা পানিশূন্যতার কারণ হতে পারে। কারণ চায়ে ক্যাফেইন থাকে এবং যখন আপনি এটি অতিরিক্ত রান্না করেন, তখন ক্যাফেইনের ঘনত্ব বেড়ে যায়। ক্যাফেইন ছাড়াও একটি হালকা মূত্রবর্ধক। সুতরাং এই চা পানে আপনাকে বারবার বাথরুমে ছুটে যেতে এবং ঘন ঘন প্রস্রাব করতে হতে পারে। এছাড়াও, এটি আপনাকে ডিহাইড্রেটেড বোধ করাতে পারে।
চায়ের মধ্যে থাকে উপকারী অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট ক্যাথেচিন। দুধে থাকে কেসিন জাতীয় প্রোটিন। দুধ মিশিয়ে চা বারবার গরম করলে ক্যাথেচিন ও কেসিন মিশে গিয়ে চায়ের উপকারিতা নষ্ট করে দেয়। হজমশক্তির উপর প্রভাব ফেলে। ডায়ারিয়া, পেটের সমস্যাও হতে পারে।
আরটিভি/এফআই/এআর
হঠাৎ মৌমাছি কামড়ালে যা করবেন
মৌমাছির কামড় অত্যন্ত বিষাক্ত ও যন্ত্রণাদায়ক। তাই মৌমাছি দেখা মাত্রেই আমরা সতর্ক হয়ে যাই। সে সময় এমন কোনও কাজ করি না, যে কারণে মৌমাছির হুলে নাজেহাল হতে হয় আমাদের। কিন্তু তা সত্ত্বেও অনেক সময় মাঠে-ঘাটে চলতে গিয়ে মৌমাছির হুল বিঁধেছে অনেকের গায়ে। যারা এদের হুলের খোঁচা খেয়েছেন, তারা ভালো ব্যথাও টের পেয়েছেন। কারণ এটি অত্যন্ত যন্ত্রণাদায়ক।
তবে অধিকাংশ ক্ষেত্রে হুল ফোটানো বিপজ্জনক না-হলেও কারও কারও ক্ষেত্রে এগুলো থেকে অ্যালার্জি পর্যন্ত হয়ে যেতে পারে। আবার কিছু কিছু মৌমাছির বিষ বিপজ্জনক। বড়দের তুলনায় শিশুদের মৌমাছি কামড়ালে প্রতিক্রিয়া হয় বেশি। তবে হঠাৎ মৌমাছি কামড়ালে দিশাহারা হয়ে যাবেন না। তাৎক্ষনিক জ্বলুনি কমানোর জন্য ব্যবহার করতে পারেন প্রাকৃতিক উপাদান। মৌমাছির হুল খুবই বিষাক্ত, তাই ব্যথা ও জ্বলুনি কমার সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া জরুরি।
জেনে নিন মৌমাছি কামড়ালে সঙ্গে সঙ্গে কী করবেন-
মৌমাছির হুল ফুটিয়ে বসে থাকলে তা তুলে ফেলুন। এরা সাধারণত ত্বকের সঙ্গে একই সমতলে আঁকড়ে ধরে থাকে। তাই সরানোর জন্য ধীরে ধীরে এদের ওপরে এবং পাশে আঙুল বোলান, তারপর আচমকা ঠেলে ফেলে দিন।
খামচে বা চিমটি কেটে মৌমাছিকে তোলার চেষ্টা করবেন না। কারণ এর ফলে বিষের থলি থেকে সমস্ত বিষ বেরিয়ে পড়বে এবং হুলের মাধ্যমে শরীরে প্রবেশ করবে। তাই খামচে তোলার পরিবর্তে ঠেলে ফেলে দিন।
মৌমাছির কামড়ে জ্বালার সঙ্গে সঙ্গে রক্ত বের হলে আক্রান্ত স্থানে বরফ চেপে ধরুন। এতে রক্ত বন্ধ হবে ও ব্যথা কমবে।
কিছুক্ষণ ঠান্ডা সেঁক দেওয়ার পর সেখানে অ্যান্টিবায়োটিক ক্রিম লাগান।
এসেনশিয়াল অয়েল ব্যবহারে যদি আপনার ত্বকে ফুসকুড়ি না ওঠে তবে আক্রান্ত স্থানে নিশ্চিন্তে ব্যবহার করতে পারেন এটি।
মৌমাছির কামড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে শুরু হয় তীব্র যন্ত্রণা। আক্রান্ত স্থানে টুথপেস্ট লাগিয়ে রাখুন আধা ঘণ্টা। জ্বলুনি কমার পাশাপাশি মৌমাছির বিষও দূর করবে এটি।
মৌমাছি কামড়ালে তুলসি পাতার রস, ইউক্যালিপটাস তেল লাগালে স্বস্তি পাবেন। আবার অ্যালোভেরা জেলও শীতলতা প্রদান করতে পারে। অ্যালোভেরায় উপস্থিত অ্যান্টি ইনফ্ল্যামেটরি উপাদান ব্যথা, চুলকানি, ফোলা ও জ্বালা ভাব কম করে।
বেকিং সোডার পেস্ট ও ভিনেগার একসঙ্গে মিশিয়ে ত্বকের যেখানে মৌমাছি কামড়েছে সেখানে লাগান। আধা ঘণ্টা লাগিয়ে রাখুন। মৌমাছির হুলের বিষ দূর করবে এটি। এই ভিনিগার বিষের অ্যাসিড নিষ্ক্রিয় করার পাশাপাশি ব্যথা কমাতে সাহায্য করে। তুলোয় ভিজিয়ে এই ভিনিগার ক্ষত স্থানে লাগাতে পারেন।
বাগানে কাজ করছেন এমন সময় মৌমাছি আক্রমণ করেছে? সঙ্গে সঙ্গে খানিকটা মাটি পানির সঙ্গে মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে লাগিয়ে নিন আক্রান্ত স্থানে। শুকিয়ে গেলে ধুয়ে ফেলুন।
তুলার বল মধুতে ভিজিয়ে আক্রান্ত স্থানে চেপে ধরুন। ধীরে ধীরে ব্যথা ও জ্বালা কমে যাবে।
মৌমাছি কামড়ালে কয়েকটি রসুন ছেঁচে আক্রান্ত স্থানে লাগান। একটি টাওয়েল পেঁচিয়ে নিন ওপরে। আধা ঘণ্টার মধ্যে কমে যাবে জ্বালা।
মৌমাছি কামড়ালে ওই জায়গায় মধু লাগান। মধু বিষকে তরল করে দেয়। মধুতে উপস্থিত অ্যান্টি ব্যাক্টিরিয়াল উপাদান সংক্রমণের ঝুঁকি কম করে। সামান্য মধু লাগিয়ে তা শুকোতে দিন। তার পর ঈষদুষ্ণ পানিতে ধুয়ে ফেলুন। হলুদ ও মধু এক সঙ্গে মিশিয়েও লাগানো যেতে পারে।
চন্দন ও হলুদ গুড়োও মৌমাছির কামড়ের কার্যকরী উপায়। চন্দন জ্বালা ভাব শান্ত করে, আবার হলুদ চুলকানো ও ফোলা ভাব কমায়। চন্দন ও হলুদের পেস্ট প্রভাবিত স্থানে লাগান। শুকিয়ে গেলে ধুয়ে ফেলুন।
হুল ফোটানোর কারণে অনেকের মাথা ব্যথা, বমি, শ্বাসকষ্ট হয়। আবার প্রভাবিত স্থান চুলকাতে পারে, চাকা হয়ে ফুলে যেতেও পারে। এমনকি শরীর ফুলে যাওয়া ও পেটে তীব্র ব্যথা হওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে। এমন হলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
আরটিভি/এফআই/এআর