ঢাকাশনিবার, ৩১ মে ২০২৫, ১৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

জয়েন্টের ব্যথার উৎস ছোটবেলা থেকেই

স্বাস্থ্য ডেস্ক, আরটিভি অনলাইন

রোববার, ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২০ , ০৬:৫০ পিএম


loading/img
ফাইল ছবি

আরথ্রাইটিস হলো জয়েন্টের প্রদাহ। এ রোগ হলে জয়েন্ট ফুলে যায় ও ব্যথা হয়। প্রায় সময় বিশেষ করে বয়স্কদের হাত পায়ের গিটে গিটে এরকম ব্যথা হলে আমরা ভাবি ক্যালসিয়ামের অভাবে হয়েছে, নিজে নিজে ভিটামিন খাই কিংবা ব্যথার ওষুধ খেয়ে সেরে যাবে বলে বসে থাকি। আরথ্রাইটিস নিজে থেকে সেরে যাবার অসুখ নয়। এর যথাযথ চিকিৎসা করতে হবে তবেই ভালো থাকা সম্ভব।

বিজ্ঞাপন

ব্যায়ামের ঘাটতি, অনিয়মিত খাওয়া-দাওয়া, ক্যালসিয়ামের অভাবে ধীরে ধীরে এই সমস্যা বাড়তে থাকে। প্রথম দিকে আমরা সাধারণত হাঁটু বা হাতের জয়েন্টের ব্যথাকে তেমন গুরুত্ব দিতে চাই না। পরে যখন পরিস্থিতি খুব খারাপ হয়ে যায় তখন ওষুধ খেতে হয়। 

আমাদের শরীরের জয়েন্ট বা অস্থিসন্ধিগুলো বেশ কয়েক দশক ধরে নিখুঁতভাবে কাজ করে। এরপর কোনও এক সময়ে এসে সে জায়গাগুলোতে ব্যথা সৃষ্টি করে। কিন্তু কেন? 

বিজ্ঞাপন

শরীরে হাড়ের জয়েন্ট হাড়ের ভার বহন করে এবং নড়তে সাহায্য করে। কোনও আঘাত অথবা রোগের কারণে হাড়ের জয়েন্টের যদি ক্ষতি হয়, তাহলে হাড়ের জয়েন্টে ব্যথা হতে পারে এবং চলাফেরা করা কঠিন হয়ে যেতে পারে। বয়স যত বাড়ে, জয়েন্টে ব্যথা তত ঘনঘন হয়।

জয়েন্টের ব্যথা কেন হয় এ ব্যাপারে কথা হয়েছিলো ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের অর্থোপেডিক বিভাগের ডা. ইশতিয়াক আলমের সঙ্গে। তিনি জানান, যে ধরণের আরথ্রাইটিসই হোক না কেন, প্রধান লক্ষণগুলো একই। জয়েন্টে ব্যথা হয়, ফুলে যায়। এছাড়া লালচে হয়ে যেতে পারে। একসময় হাত পা নাড়ানোই কষ্টকর হয়ে পড়ে। সঠিক চিকিৎসার জন্য আরথ্রাইটিসের প্রকার নির্ধারণ করা জরুরী। কিছু বিশেষ রক্ত পরীক্ষার সাহায্যে এটি নির্ণয় করা হয়।

এর আগে গবেষণায় দেখা গেছে, অনেক মানুষের শেষ জীবনে যা ঘটে, তার উৎস জীবনের শুরুতেই খুঁজে পাওয়া যায়। এমনকি জন্মেরও আগে, ভ্রূণ অবস্থায়। সেই পর্যায়ে শরীরের মৌলিক কাঠামো গড়ার এক কর্মসূচি চালু থাকে।

বিজ্ঞাপন
Advertisement

ডা. ইশতিয়াক বলেন, হাড়ের জয়েন্টে ব্যথা কয়েক সপ্তাহ পরে চলে যেতে পারে অথবা কয়েক মাস থাকতে পারে। ব্যথা হওয়ার কারণ যাই হোক না কেন, ঔষধ, শারীরিক থেরাপি এবং বিকল্প চিকিৎসার দ্বারা এটাকে নিয়ন্ত্রণ করা যায়।

তিনি জানান, ডাক্তারের কাছে গেলে তিনি প্রথমে কি কারণে ব্যথা হচ্ছে তা বোঝার চেষ্টা করবেন এবং সে অনুযায়ী চিকিৎসা করবেন। ছোটবেলায় হয়তো আপনি খেলতে গিয়ে পড়ে যাওয়ার সাথে সাথে উঠে গিয়েছেন। কোনও সমস্যা হয়নি কিন্তু বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে হাড় ও মাংসপেশি দুর্বল হতে থাকে। তাই বয়স বাড়ার সাথে সাথে পড়ে গেলে আপনার হাড়ের সিরিয়াস ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনাও বাড়ে। তাই বয়স বাড়লে আপনার উচিৎ সাবধানে নিয়মিত ব্যায়াম করে হাড়ের ঘনত্ব যতটুকু সম্ভব বাড়ানো।

বয়স বেশি হলে ভাঙা হাড় ভালো হতেও সময় বেশি লাগে। বয়স যদি খুব বেশি হয়, তাহলে ভাঙা হাড় সম্পূর্ণ ভালো নাও হতে পারে। তাই সবসময় সাবধানে হাঁটাচলার চেষ্টা করেন। হাড় শরীরের অন্যতম প্রধান একটি অংশ। তাই এর যত্নে আরও যত্নবান হওয়া উচিত।

সুস্থ থাকতে হলে আসলে রোগ হবার পর চিকিৎসা করাই যথেষ্ট নয়। আগে থেকে যতটা সম্ভব প্রস্তুতি নিতে হয়, কোনও রোগের ঝুঁকি কেমন, কিভাবে চললে কি করলে ভালো থাকা যাবে তা জানতে হয়। আরথ্রাইটিসের ক্ষেত্রেও একই কথা খাটে।

এস/জিএ  

আরটিভি খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

বিজ্ঞাপন
Advertisement
Advertisement

Loading...


© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৬-২০২৫ | RTV Online |