হোম কোয়ারেন্টিনে মানসিক সমস্যাকে বলুন গুড বাই
করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে সারা পৃথিবী থমকে গেছে। কোভিড-19 নামক করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার ভয়ে মুষড়ে পড়েছে পুরো বিশ্ব। ঘন্টায় ঘন্টায় বাড়ছে আক্রান্ত ও মৃত্যুর মিছিল। বিভিন্ন দেশ কোয়ারেনটাইন, আইসোলেশন ও লক ডাউনের ঘোষণা দিয়েছে। সামাজিক জীব মানুষকে তার স্বভাবের বিপরীতে যেয়ে একা থাকতে হচ্ছে।
এই ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকানো মানুষ এখন ঘরবন্দি জীবন কাটাচ্ছেন। এমন অবস্থায় কারো সঙ্গে দেখা হচ্ছে না। হচ্ছে না কথা। এক রকম বিচ্ছিন্ন জীবন কাটাতে হচ্ছে। যা মেনে নেয়া কষ্টকর অনেকের জন্য। কিন্তু তবুও নিজেদের ও অন্যদের নিরাপত্তার জন্য এখন বাধ্যতামূলক হোম কোয়ারেন্টাইন মেনে নিতে হচ্ছে আমাদের। এই সময়ে ইতিবাচক মানসিকতা ধরে রাখা মুশকিল। তবুও ইতিবাচকতাই পারে আমাদের দুঃসময় কাটাতে সাহায্য করতে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই দীর্ঘ বিচ্ছিন্নতা মানুষের মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে।
প্রাণঘাতী এই ভাইরাসের ছোবল থেকে মুক্তি পেলেও হতে পারে অনেক রকম মানসিক সমস্যা। বিশ্বের ইতিহাসের অন্যতম ভয়াবহ এই দুঃসময়ে কীভাবে ইতিবাচক মানসিকতা ধরে রাখা যায় তা দেখে নিন।
মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা দূর করার উপায়
১. নিজেকে দিনভর সচল রাখুন।
২. নেতিবাচক চিন্তাভাবনা দূর করতে গান শুনুন, বই পড়ুন, ছবি আঁকুন, ফুলের বাগান তৈরি করুন এবং বিনোদনমূলক কিছু দেখার চেষ্টা করুন।
৩. প্রচুর পরিমাণে পানি পান ও সুষম খাদ্যগ্রহণ করুন।
৪. বয়স্করা মৃত্যু ভয়ে ভুগতে পারেন। তাদের সঙ্গে সময় কাটান।
৫. শিশুদের এমনভাবে ব্যস্ত রাখুন যাতে তারা একাকীত্বে না ভোগে।
৬. যদি আপনি উদ্বেগ অনুভব করেন, তবে কয়েক মিনিটের জন্য শান্তভাবে বসে গভীর শ্বাস-প্রশ্বাস নেয়া ও ছাড়ার অনুশীলন করুন।
৭. অপ্রয়োজনীয় চিন্তা থেকে নিজেকে দূরে রাখুন। মনকে শান্ত রাখুন।
৮. যদি আপনি রাগ ও বিরক্তবোধ করেন, তবে পেছন থেকে সংখ্যা গোনা অর্থাৎ ১০ থেকে ১ পর্যন্ত গণনা করে মনকে শান্ত করুন।
৯. যদি একাকীত্বে ভোগেন, তবে পরিবারের সঙ্গে সময় কাটান, পাশাপাশি বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে ফোনের মাধ্যমে যোগাযোগ করুন। ওপরে বর্ণিত সমস্যাগুলো যদি কোনোভাবেই দূর করতে না পারেন, তবে অবিলম্বে মানসিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞের সঙ্গে পরামর্শ করুন।
প্রতিটি মেঘের আড়ালেই লুকিয়ে থাকে সূর্যের হাসি। তাই যেকোনও গুরুতর সময়ে ইতিবাচক থাকুন। করোনাভাইরাস কোভিড-19 সংক্রমণের এই বিপদজনক সময়ে মানসিক চাপ থেকে মুক্ত থাকতে চেষ্টা করুন। আর এই মানসিক সমস্যাকে বলুন গুড বাই।
সূত্র: বোল্ডস্কাই
এস
মন্তব্য করুন