অনেক স্বাস্থ্য সচেতন মানুষ সকালে চা বা কফির বদলে এক গ্লাস লেবুর শরবত পান করার মাধ্যমে দিন শুরু করে থাকেন। কিন্তু অনেকেই লেবুর শরবতকে খুব একটা গুরুত্ব দেন না। প্রচণ্ড গরমে লেবুর শরবত পান করলে শরীর সতেজ এবং আরো বেশি কর্মদ্যোমী হয়ে উঠে।
দেখে নিন লেবুর শরবতের উপকারিতা
পানিশূন্যতা রোধ করে
তরল খাবার ও পানি মিলিয়ে একজন মানুষের দৈনিক ২-৩ লিটার পানি পান করা উচিত। শরীরে পানির চাহিদা পূরণ করার জন্য সবচেয়ে সেরা উপাদান পানি। কিন্তু শুধু পানি পান করতে অনেকেই পছন্দ করেন না। তাই পানির সাথে লেবু যোগ করা হলে পানিতে বাড়তি স্বাদ আসে।
ওজন কমাতে সাহায্য করে
লেবুতে পাওয়া পলিফেনল অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ওজন কমাতে দারুণ কাজ করে। সেই সাথে ইনসুলিন প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়ায়।
ভিটামিন সি যোগান দেয়
লেবু, কমলা, আঙুর ইত্যাদিতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি থাকে। আর এই ভিটামিন সি হলো এক ধরনের প্রাথমিক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা কোষগুলোকে ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করে। এছাড়াও ভিটামিন সি মানবদেহের হৃদযন্ত্রের রোগ, স্ট্রোক, ক্যানসার এবং নিম্ন রক্তচাপের ঝুঁকি কমায়।
ত্বক ভাল রাখে
লেবুতে প্রাপ্ত ভিটামিন সি ত্বকের ভাঁজ পড়া কমায়। যারা বেশি ভিটামিন সি গ্রহণ করেন তাদের ত্বক শুষ্ক হওয়া ও ভাঁজ পড়ার ঝুঁকিতে থাকার সম্ভাবনা অনেক কম।
হজমে সক্ষমতা বাড়ায়
কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ করতে অনেকে প্রতিদিন সকালে লেবু পানি পান করেন। লেবু পানি গরম বা ঠাণ্ডা যেভাবে পান করা হোক না কেন এতে মানব দেহের পরিপাক ক্ষমতার উপকার হয়। টক লেবু খেলে হজম ক্ষমতা বাড়ে এবং শরীরে বিষাক্ত পদার্থ তৈরি হওয়া থেকে প্রতিরোধ করে।
শ্বাস-প্রশ্বাসের দুর্গন্ধ দূর করে
হাতের দুর্গন্ধ দূর করতে কখনও লেবু নিয়ে হাতের তালুতে ডলে দেখেছেন? দুর্দান্ত কাজ করে। লেবু দিয়ে ঠিক একই কৌশল ব্যবহার করে দুর্গন্ধযুক্ত শ্বাস-প্রশ্বাসও দূর করা সম্ভব। মুখের দুর্গন্ধ বলতে শুধু সাধারণ দুর্গন্ধ নয়, বিভিন্ন খাবারের তীক্ষ্ন গন্ধও এই কাতারে পড়বে যেমন: আদা, পেঁয়াজ কিংবা মাছের গন্ধ!
খাওয়া-দাওয়ার পর এক গ্লাস লেবু পানি পান করলে আপনার শ্বাস-প্রশ্বাস থেকে মিষ্টি ঘ্রাণ বেরোবে। এছাড়া লেবু পানি মুখের ভেতরকার শুষ্কতা দূর করে থাকে। এই শুষ্কতার কারণে ব্যাক্টেরিয়া বেড়ে যায় এবং দুর্গন্ধ বের হয়। রমজান মাসে রোজাদার মুখ থেকে দুর্গন্ধ বের হওয়ার জন্য দায়ী মুখের ভেতরটা শুষ্ক হয়ে যাওয়া।
কিডনিতে পাথর হওয়া ঠেকায়
লেবুতে থাকা সাইট্রিক এসিড কিডনিতে সাদা পাথর হওয়া প্রতিরোধ করে। ইউডাব্লিউ হেলথের মতে, বেশি করে সিট্রিক এসিড গ্রহণ করলে নতুন করে সাদা পাথর জন্মাবার ঝুঁকি কমে যায়। লেবু পানি পান করার ফলে মানবদেহে শুধুমাত্র সিট্রিক এসিড-ই যোগান পায় না, সেইসাথে পর্যাপ্ত পানিও সরবরাহ থাকে। যার ফলে কিডনিতে পাথর হওয়া প্রতিরোধ করা যায়। সূত্র: এনডিটিভি
এস