ত্বক ও চোখের রোগ সারাবে কয়েক ফোঁটা গোলাপজল
প্রতিদিনের ব্যস্ত জীবনে ত্বকের যত্ন করতে প্রায় ভুলেই যাই আমরা। কিন্তু তার জন্যই ত্বককে নানান সমস্যায় ভুগতে হয়। আর এর থেকে মুক্তি পাওয়া খুব কঠিন হয়। এদিকে বাইরে প্রচণ্ড দাবদাহ। এই সময়ে চোখে ও ত্বকে বিভিন্ন ধরনের রোগ হয়ে। এসময় ত্বকে ব্রণ-ফুসকুড়ি, মেছতা, বলিরেখা, দাদ, একজিমা, চর্মরোগ, চোখ ওঠার সমস্যা ও শরীরের বিভিন্ন ক্ষত এর মতো সমস্যা দেখা দেয়।
কয়েক ফোঁটা গোলাপজলই পারে এসব রোগ সারাতে।
এতে থাকা অ্যান্টি ব্যাক্টেরিয়াল উপাদান স্যানিটাইজার হিসেবে খুব ভালো কাজ করে। শুষ্ক ত্বকে আর্দ্রতা ফেরাতে ও তৈলাক্ত ত্বকের বাড়তি তেলাভাব কমাতে সাহায্য করে। এছাড়া সৌন্দর্যচর্চায় ফেসপ্যাকে গোলাপজল ব্যবহার করতে পারেন।
চোখ ও ত্বকের যেসব রোগ সারাবে গোলাপজল
১. ত্বকে শুষ্কভাব দূর করতে ছিটিয়ে নিন কয়েক ফোঁটা গোলাপজল। আর্দ্র হবে ত্বক।
২. গোলাপজলে থাকা অ্যাস্ট্রিনজেন্ট ত্বকের খুব ভালো টোনার।
৩. ফ্রিজে রাখা ঠাণ্ডা গোলাপজল অ্যাকজিমার ওপর নিয়মিত লাগালে ১৫ দিনে ফল পাওয়া যাবে।
৪. রাতে ঘুমানোর আগে নিয়মিত গোলাপজল লাগিয়ে ঘুমান। এক সপ্তাহে ত্বক টান টান হবে।
৫. গোলাপজল খুব ভালো অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। ত্বকের যে কোনো সমস্যায় ব্যবহার করা যায়।
৬. ত্বকে ব্রণ-ফুসকুড়ি, চর্মরোগ, চোখ ওঠার সমস্যা ও শরীরের বিভিন্ন ক্ষত সারাতে কয়েক ফোঁটা গোলাপজল যথেষ্ট।
যেভাবে ব্যবহার করবেন
১. গরম পানির ভাপ নিন। ত্বকের ছিদ্র খুলে যায় এতে। ধুলো-ময়লা বেরিয়ে আসে। এবার তুলোয় করে ঠাণ্ডা গোলাপজল নিয়ে মুখ মুছে নিন।
২. নিয়মিত গোলাপজল দিয়ে গোসল করলে অবসাদ, মাথায় অসহ্য ব্যথা দূর হয়।
৩. তুলোয় করে বরফ ঠাণ্ডা গোলাপজল কপালে লাগিয়ে রাখুন কিছুক্ষণ। ১৫ মিনিট পরেই আরাম পাবেন।
৪. গোলাপজল নিয়মিত লাগালে ব্রণ ও ফুসকুড়ি কমে। ২ চা-চামচ পাতিলেবুর রস আর ২টা-চামচ গোলাপজল মিশিয়ে দিনে দুবার লাগান ব্রণে।
৫. ক্ষতস্থানে গোলাপজল লাগাতে পারেন। স্যানিটাইজার হিসেবেও এটি খুব ভালো।
সূত্র: এনডিটিভি
এস
মন্তব্য করুন