মোচার শক্তিশালী চার গুণ!
গ্রামে-শহরে সব খানেই এখন মোচা পাওয়া যায়। অনেকেই রান্না করে মোচার তরকারি খেতে পছন্দ করেন। কিন্তু জানেন কি, মোচায় রয়েছে অনেকরকম গুণ। মাত্র একটি দু’টি কারণে নয়, একাধিক কারণে মোচা খাওয়া স্বাস্থ্যের পক্ষে অত্যন্ত উপকারের।
কী কী কারণে মোচা খাবেন, জেনে নিন-
- মোচা রক্তের আয়রনের পরিমাণ বৃদ্ধি করে। এই তত্ত্ব বেশ পুরনো। সাধারণত এটি রক্ত স্বল্পতায় ভোগা মানুষেরাও খেয়ে থাকেন। আবার যাদের রক্তে আয়রনের পরিমাণ কম, তাদের জন্যও মোচা খুব কাজের।
- মোচাতে থাকে মেন্থলের নির্যাস, যা শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এছাড়া এতে ভিটামিন বি সিক্স, সি থাকে। আরও আছে ভিটামিন ই, প্রোটিন এবং অন্যান্য পুষ্টি উপাদান, যা শরীরের জন্য উপকারী।
- মোচায় রয়েছে ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। তাই মোচা অকালে বার্ধক্যের আক্রমণ ও বয়সের ছাপ থেকে আপনাকে রক্ষা করতে পারে। এমনকি বলিরেখা পড়াও কমায় মোচা।
- নিয়মিত কলার মোচা খেলে রক্তে চিনির মাত্রা কমে এবং ইনসুলিনের মাত্রা ঠিক থাকে। কলার মোচাতে যে ফাইবার আছে, তাতে উচ্চমাত্রার লৌহ উপাদান থাকে, যা লোহিত কণিকার উৎপাদন বাড়ায়। এতে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়ে।
সূত্র- নিউজ ১৮ বাংলা।
জিএ
মন্তব্য করুন
ছোট কয়েকটি কৌশলে কমিয়ে নিন বিদ্যুৎ বিল
প্রচণ্ড গরমে দিন দিন বাড়ছে বিদ্যুতের চাহিদা। শীতের সময় বিলের পরিমাণ একটু কম হলেও বছরের বাকি সময়টা বিদ্যুতের বিল যেন লাগামছাড়া হয়ে যায়। মূল্যবৃদ্ধির এ বাজারে যদি বিদ্যুতের বিলও বেড়ে যায়, তাহলে খরচ সামলানো মুশকিল হয়ে পড়ে। শুধু বিদ্যুতের বিল বাঁচাতে হবে এমন নয়, বিদ্যুৎ সংরক্ষণ করতে হবে। সেক্ষেত্রে ছোট ছোট কিছু বিষয়ে খেয়াল রাখলেই এই বিল নিয়ন্ত্রণে আনা যেতে পারে।
বিদ্যুৎ খরচ কমাতে জেনে নিন কয়েকটি কৌশল—
মোবাইল চার্জার থেকে খোলার পর অবশ্যই সুইচ বন্ধ করতে হবে। বেশিরভাগ সময় এসি রিমোট দিয়ে বন্ধ করার পর সুইচ বন্ধ করি না। এতেও কিছুটা অতিরিক্ত ইউনিট পোড়ে।
যতটা পারবেন প্রাকৃতিক আলো ব্যবহার করবেন। সেজন্য ঘরে জানালা একটু বড় রাখতে হয়। দক্ষিণের জানালা দিয়ে সবচেয়ে বেশি আলো পাওয়া যায় বলেই মত বিশেষজ্ঞদের।
ব্যবহার করুন সিএফএল বা এলইডি লাইট। এসব লাইটের আলোয় ফিলামেন্টের তুলনায় সার্কিট ব্যবহার হওয়ায় বিদ্যুতের খরচ কমে। যে কোনও বৈদ্যুতিক যন্ত্র কেনার সময় স্টার রেটিংয়ে ভরসা রাখুন।
কোনও যন্ত্রের স্টার রেটিং বেশি হলে তার ইউনিট বাঁচানোর ক্ষমতাও ততোধিক। পুরনো তার, পুরনো যন্ত্র ব্যবহারে বিদ্যুৎ বিল বাড়ে। তাই দশ-পনেরো বছরের পুরনো যন্ত্র বা তার ব্যবহার না। আধুনিক যন্ত্র ব্যবহার করুন।
অনেক ডিভাইস স্ট্যান্ডবাই মোডে থাকা সত্ত্বেও কিংবা বন্ধ করলেও বিদ্যুৎ খরচ করতে থাকে। তাই ইলেক্ট্রনিক সামগ্রী ও ডিভাইস যখন অব্যবহৃত থাকে, তখন সেগুলোর প্লাগ খুলে রাখা উচিত।
ঘন ঘন এসি চালু ও বন্ধ করবেন না। চালিয়ে কিছুক্ষণ পর বন্ধ করাই নিয়ম। রোদ পড়ে এমন জায়গায় এসির আউটলেট রাখবেন না। অনেকে মাথার ওপরে একটি শেড করে দেন। এটিও ভুল ধারণা। এসি মেশিন রোদ-বৃষ্টির হাত থেকে বাঁচাতে ঢেকে রাখলে তাতে মেশিন খারাপ হয় তাড়াতাড়ি।
এসির তাপমাত্রা ২৪ ডিগ্রির নীচে নামাবেন না। তাতে বেশি ইউনিট খরচ হয়। দিনে এক ঘণ্টা করে বন্ধ রাখুন ফ্রিজ। যন্ত্রও বিশ্রাম পাবে, বিদ্যুৎও বাঁচবে। নিয়ম করে সব যন্ত্রেরই সার্ভিসিং করান সময় মতো। এতে যন্ত্র ভালো থাকে ও কম বিদ্যুৎ টানে।
আরটিভি/এফআই
শব্দদূষণে বাসা বাঁধছে যেসব কঠিন রোগ
শব্দদূষণ বলতে মানুষের বা কোনো প্রাণীর শ্রুতিসীমা অতিক্রমকারী শব্দ সৃষ্টির কারণে শ্রবণশক্তি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনাকে বোঝায়। শব্দদূষণের মূল উৎস হলো যানবাহন, ট্রেন, প্লেন, মিউজিক সিস্টেম, বাজি ফোটানো, মাইকিং ইত্যাদি। শব্দদূষণ বলতে এমন একটি শব্দকে বোঝায় যা বিরক্তিকর। শব্দকে প্রধানত একটি দূষক হিসেবে বিবেচনা করা হয়। কারণ এটি শ্রবণের স্বাভাবিক প্রবাহ বা স্বাভাবিক শ্রবণশক্তিকে ব্যাহত করে। শব্দদূষণ শুধু বিরক্তির কারণই নয় বরং শারীরিক বিভিন্ন ব্যাধিরও মূল কারণ হতে পারে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, শব্দদূষণের কারণে দীর্ঘস্থায়ী ও কঠিন বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) অনুসন্ধান অনুসারে, বায়ু দূষণের (কণা পদার্থ) প্রভাবের পরেই শব্দদূষণ স্বাস্থ্য সমস্যার দ্বিতীয় বৃহত্তম পরিবেশগত কারণ।
যেসব রোগের ঝুঁকি বাড়ায় শব্দদূষণ—
শ্রবণ সমস্যা: মানুষের যে পাঁচটি ইন্দ্রিয় আছে তার একটি হলো শ্রবণশক্তি। যে কোনো মানুষের জীবনের একটি অপরিহার্য অংশ হলো কান। তবে কান যতটা শব্দ তরঙ্গ গ্রহণ করতে পারে, তার চেয়ে বেশি হলেই যত সমস্যা দেখা দেয়। দীর্ঘদিন ধরে উচ্চ শব্দ কানে বাজলে এক সময় শ্রবণ ক্ষমতা কমতে শুরু করে। ৮৫ ডেসিবেলের বেশি শব্দকে দূষণ হিসেবে বিবেচনা করা হয় ও এর চেয়ে বেশি শব্দ শ্রবণ ক্ষমতা কমায়।
ঝালাপালা শব্দ: ধীরে ধীরে শব্দদূষণের শিকার আমরা প্রত্যেকেই। নগর জীবনের নানান শব্দ আমাদের কান ঝালাপালা করছে। ধীরে ধীরে ধ্বংস করছে কানের ভেতরের ইন্দ্রিয়। চিকিত্সা বিজ্ঞানীদের মতে, মানুষের কানের ভেতরে বা অন্তকর্ণে ১৬ হাজার সেল বা কোষ থাকে। এগুলো মস্তিষ্কে শব্দের অনুভূতি জাগায়। প্রতিনিয়ত এ কোষগুলোই মারা যাচ্ছে উচ্চ শব্দ সইতে না পেরে। এবার ধরা যাক, জীবজন্তুর গর্জন, চিত্কার, মানুষের চিত্কার, গাড়ির হর্ন, গিটার বা বাঁশির শব্দ, ঢোল-ঢাকের বাদ্যবাজনা, অডিও ইত্যাদির কথা। এসবই উচ্চগ্রামের শব্দ কম্পাংক তোলে। এসব শব্দের আঘাতে আমাদের কান থেকে রক্তপাত দৃশ্যমান হয় না বটে; কিন্তু শ্রবণ ইন্দ্রিয় ধ্বংস হয় খুবই নীরবে।
টিনিটাস: কানের মধ্যে শোঁ শোঁ শব্দ হওয়ার সমস্যাকে টিনিটাস বলা হয়। এ সমস্যা খুবই বিরক্তিকর ও যন্ত্রণাদায়ক হতে পারে। অত্যধিক শব্দ কানে বাজার কারণে টিনিটাস হতে পারে। টিনিটাসে আক্রান্ত ৫০-৯০ শতাংশ রোগী শব্দদূষণের কারণে এ সমস্যায় আক্রান্ত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন। আবার কিছু মানুষের মধ্যে টিনিটাস ঘুমের ব্যাঘাত, জ্ঞানীয় প্রভাব, উদ্বেগ, মানসিক যন্ত্রণা, বিষণ্নতা, যোগাযোগের সমস্যা, হতাশা, বিরক্তি, উত্তেজনা, কাজ করতে অক্ষমতা, কর্মক্ষমতা হ্রাস ও সামাজিক জীবনে সীমিত অংশগ্রহণের কারণেও হতে পারে।
ঘুমাতে অসুবিধা: প্রচণ্ড শব্দ মনস্তাত্ত্বিক প্রভাবের কারণে ঘুমকে বাঁধা দিতে পারে। আশপাশে আওয়াজ হলে শান্তির ঘুম নষ্ট হতে পারে। ফলে মানসিক চাপের সৃষ্টি হয়। শব্দদূষণের কারণে ঘুম কমে যায় ও মানসিক অস্থিরতা বেড়ে যায়। ফলে অস্বস্তি, ক্লান্তি ও মেজাজে পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়।
জ্ঞানীয় কার্যকারিতা কমে যায়: কান মস্তিষ্কের সঙ্গে সংযুক্ত, যা শরীরের উদ্দীপনা প্রতিক্রিয়া সমন্বয় করে। এ কারণে কানে আঘাত করা সব শব্দ তরঙ্গ ব্যাখ্যার জন্য মস্তিষ্কে পাঠানো হয়। এর মানে হলো অত্যধিক শব্দও মস্তিষ্কে যায় ও বৈজ্ঞানিক রিপোর্ট অনুসারে, এই ধরনের শব্দ মস্তিষ্ককে নিস্তেজ করে দেয়। ফলে মস্তিষ্কের কার্যকারিতা কমতে শুরু করে। নিরিবিলি পরিবেশে বসবাসকারীদের চেয়ে যারা কোলাহলপূর্ণ এলাকায় বাস করেন (যেমন- ব্যস্ত হাইওয়ে, রেললাইন, বিমানবন্দর বা উচ্চ শব্দে নাইট ক্লাবের কাছাকাছি) তাদের জ্ঞানীয় শক্তি কম থাকে।
কার্ডিওভাসকুলার সমস্যা: অতিরিক্ত শব্দ হৃদযন্ত্রকে ‘উত্তেজিত’ করে তোলে। অত্যধিক শব্দের কারণে হৃৎপিণ্ডও বিরক্ত, দ্রুত স্পন্দিত ও রক্তচাপ বেড়ে যায়। উচ্চ শব্দে অ্যাড্রেনালিন ও কর্টিসলের মতো স্ট্রেস হরমোনও নিঃসৃত হয়। তাই কোলাহলপূর্ণ পরিবেশে থাকলে রক্তচাপও বেড়ে যায়। যদি রক্তচাপ ক্রমাগত বাড়তে থাকে, তবে এটি উচ্চ রক্তচাপ ও স্ট্রোকের মতো হৃদরোগ সংক্রান্ত রোগের ঝুঁকি বাড়িয়ে দিতে পারে। অন্যান্য কার্ডিওভাসকুলার রোগের মধ্যে আছে উচ্চ রক্তচাপ ও আর্টেরিওলোস্ক্লেরোসিস, যা রক্তনালিগুলোর সংকোচনের কারণে ঘটে।
আবেগ ও আচরণগত পরিবর্তন: অত্যধিক শব্দ বিরক্তি বা ক্রোধের কারণ হতে পারে। যারা বেশিক্ষণ তীব্র শব্দের মধ্যে থাকেন তারা ক্রমাগত মাথাব্যথার সমস্যায় ভোগেন। এটি মানসিক চাপের মাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে। ফলে উদ্বেগ বাড়ে ও আচরণগত পরিবর্তন দেখা দেয়।
প্রজনন সমস্যা: অবাক করা হলেও সত্যিই যে, প্রজনন স্বাস্থ্যের উপরও ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে শব্দদূষণ। এ বিষয়ে বিভিন্ন গবেষণা ও সমীক্ষা করেছেন গবেষকরা। আর বেশিরভাগই জানান দিচ্ছে, নারী এমনকি পুরুষের প্রজনন স্বাস্থ্যে বিরূপ প্রভাব ফেলে শব্দদূষণ। এমনকি গর্ভবতী নারীরা যদি অতিরিক্ত শব্দের মধ্যে থাকেন, তাহলে তাদের এমনকি গর্ভের সন্তানের ওজন কমতে থাকে। তাই উচ্চ শব্দ এড়িয়ে চলতে হবে সবাইকে ও শব্দদূষণ প্রতিরোধে সবাইকে নিজ নিজ উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।
শব্দদূষণ এড়াবেন কিভাবে—
যেখানেই থাকুন, যে অবস্থাতেই থাকুন শব্দ আপনার কানের কোনো ক্ষতি করতে পারবে না। এজন্য বাস্তব কিছু পদক্ষেপ নিতে হবে। এক জোড়া ইয়ার প্লাগ কিনতে পারেন। পকেটে ইয়ারপ্লাগ রাখুন। অবস্থা দেখে ব্যবস্থা নিন। মনে রাখবেন উচ্চ শব্দ এড়াতে ফোম সিলিকন, মোম, এসব কোনো কাজে আসে না। আর হ্যাঁ। কানে কখনো তুলো দেবেন না। তুলো শব্দ প্রতিরোধ করে না। যদি প্লাগ ব্যবহার করেও বাড়তি শব্দ নিয়ন্ত্রণ না হয়, তাহলে আপনার কান দু’টো বিশেষজ্ঞ চিকিত্সককে দেখান, পরীক্ষা করান। এছাড়া যেখানে উচ্চগ্রাম শব্দ হচ্ছে, সেখান থেকে একটু দূরে গিয়ে দাঁড়ান। স্টেডিয়ামে হই চই-এর মধ্যে খেলা দেখলেন ভালো কথা। বাসায় এসে অমনি মিউজিক শুনবেন না। মাঝখানে বিরতি দেবেন। তা না হলে এসময় শিশুর ইলেকট্রিক গিটারের শব্দও মারাত্মক ক্ষতি করে। মনে রাখবেন, কান একবার বধির হলে কোনোমতেই ঠিকঠাক মতো আর ফিরে পাওয়া যায় না। বাজারে প্রচলিত বিভিন্ন শ্রবণযন্ত্র খুব একটা কাজ দেয় না। তাই প্রয়োজনে যখনই অডিও শুনবেন, ভলিউম এডজাস্ট করে শুনুন। কান মূল্যবান ইন্দ্রিয়। একবার বধির হলে আর রক্ষা নেই।
তথ্যসূত্র: অনলাইন
আরটিভি/এফআই
স্বাস্থ্যোজ্জ্বল চুল-ত্বক পাবেন সবজির এই পানীয়তেই
ত্বক ও চুলের সৌন্দর্য বাড়ানোর জন্য আমরা কত কিছুই না করি। তবে ঘরে থাকা কিছু সামান্য উপকরণ দিয়েই কিন্তু স্বাস্থ্যোজ্জ্বল চুল ও ত্বক পাওয়া সহজ। আজ জেনে নিন ত্বক ও চুলের হাল ফেরাতে রান্নাঘরের এমনই এক সিক্রেট উপকরণের হদিশ।
ঢেঁড়সের গুণ:
প্রায় প্রত্যেক বাঙালি বাড়ির রান্নাঘরেই এই সবজি রয়েছে। স্বাদের পাশাপাশি গুণেও অতুলনীয় রান্নাঘরের এই সবজি। এতে ভরপুর ভিটামিন এ, সি এবং কে রয়েছে। এছাড়াও ঢেঁড়সে হদিশ মেলে ম্যাগনেসিয়াম, পটাশিয়াম এবং ফোলেটের। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর পাশাপাশি একাধিক উপকারিতা রয়েছে এই সবজির। শরীরের খেয়াল রাখার পাশাপাশি ঢেঁড়স কিন্তু উজ্জ্বল ত্বক ও চুল পেতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
ত্বকের স্বাস্থ্যে জুড়ি মেলা ভার:
ঢেঁড়সে থাকা ভিটামিন সি এবং এ ত্বকে ফ্রি ব়্যাডিকেলের ক্ষতি আটকে দেয়। ফলে ত্বক ঝুলে পড়ে না। মুখে দেখা যায় না বলিরেখা ও রিঙ্কেলস। এর কারণে বয়সের ছাপও পড়ে না মুখে। পাশাপাশি ত্বকে পিগমেন্টেশন প্রতিরোধ করে ঢেঁড়স। এছাড়া এই সবজি খেলে ব্লাড সুগার থাকে নিয়ন্ত্রণে। তাতে কোলাজেনের উৎপাদনে ঘাটতি হয় না। ফলে স্থিতিস্থাপকতা হারায় না ত্বক।
এই দিকে ত্বককে ভিতর থেকে হাইড্রেট করে ময়শ্চার ধরে রাখতেও সাহায্য করে ঢেঁড়স। প্রতিদিন সকালে চুমুক দিন ঢেঁড়স পানিতে। প্রাকৃতিক ডিটক্সিফায়ারের কাজ করে এই পানি। শরীর থেকে সমস্ত টক্সিন দূর করে ত্বকের সামগ্রিক স্বাস্থ্য ফেরায়।
চুলও ঝলমলে করে:
স্ক্যাল্পের স্বাস্থ্য ভালো থাকে ঢেঁড়সে উপস্থিত ভিটামিন ও খনিজের গুণেই। এছাড়াও স্ক্যাল্পে পুষ্টি জুগিয়ে নতুন চুল গজাতেও সাহায্য করে এ সব উপাদান। এই দিকে নিয়মিত ঢেঁড়স পানিতে চুমুক দিলে বন্ধ হয় হেয়ার ফলও। রুক্ষ-শুষ্ক চুলে ফেরে শাইনও। এই দিকে ঢেঁড়সের রস কিন্তু প্রাকৃতিক কন্ডিশনার হিসেবেও দুর্দান্ত। এই রস লাগিয়ে নিলে চুল ঝলমল করে উঠবে।
খাবেন যেভাবে:
ঢেঁড়স ছোট ছোট টুকরো করে কেটে নিন প্রথমে। সেগুলো একটি জারের মধ্যে পানিতে ২৪ ঘণ্টা ভিজিয়ে রাখুন। তাতেই ঢেঁড়সের ভিতর থেকে রস বের হয়ে পানিতে মিশবে। সকালে খালি পেটে এই পানি ছেঁকে পান করুন। নিয়মিত রুটিনে এই পানীয় থাকলে পার্থক্য দেখবেন নিজে চোখেই।
প্রতিদিন খাওয়া কি ভালো:
প্রতিদিন ঢেঁড়স পানি খেতেই পারেন। তবে পরিমাণে বেশি হয়ে গেলেই নানা সমস্যা বাঁধতে পারে। এর কারণে পেটের সমস্যা দেখা দিতে পারে। এই সবজিতে ফাইবারের পরিমাণ বেশি থাকায় ব্লোটিংও পিছু নিতে পারে। তাই এই ধরনের সমস্যা দেখা দিলে ঢেঁড়স পানি খাওয়ায় তখন লাগাম টানতে হবে।
আরটিভি/এফআই
ঝটপট ত্বকে উজ্জ্বলতা দেবে ডিমের ফেসপ্যাক
রূপচর্চায় ডিম ব্যবহার নতুন নয়। তবে মূলত, চুলের যত্নেই ডিম ব্যবহার করতে দেখা যায় বেশি। ডিমের সাদা অংশটা যদি ত্বকের চর্চায় ব্যবহার করা যায়, তাহলে ত্বক হবে টানটান, উজ্জ্বল। ডিমে রয়েছে লুটিন নামে এক ধরনের উপাদান, যা ত্বককে আর্দ্র রাখে। ফলে ত্বক হয়ে ওঠে মসৃণ। ডিমের সাদা অংশে থাকে প্রাকৃতিক প্রোটিন ও অ্যালবুমিন, যা ত্বক টানটান করে। এখনকার ব্যস্ত সময়ে ত্বকের যত্ন নেওয়ার সময়েই নেই আমাদের হাতে। তাই ঝটপট ত্বকে উজ্জ্বলতা আনতে কার্যকর ডিমের ফেসপ্যাক।
রূপ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ডিমের কুসুম কিন্তু ত্বক ঝকঝকে করতে দারুণ কাজে লাগে।
জেনে নিন ফেসপ্যাক তৈরির নিয়ম—
শুষ্ক ত্বকের জন্য প্রথমে একটি ডিম নিয়ে তার থেকে কুসুম আলাদা করে নিন। এবার এই কুসুমটির সঙ্গে এক চামচ মধু ভালো করে মিশিয়ে নিন। মুখে ভালো করে ফেসওয়াশ দিয়ে ধুয়ে ফেলে এই প্যাকটি মুখে লাগিয়ে নিন। ১০ থেকে ১৫ মিনিট বাদে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এটি শুষ্ক ত্বককে ময়েশ্চারাইজ করে।
মুখের অন্যান্য সমস্যার মধ্যে একটি সমস্যা হল ব্ল্যাকহেডেস। এ জন্য একটি ডিমের কুসুমকে ভালো করে ফেটিয়ে নিন। এরপর তা ব্রাশে করে নাকের চারপাশে লাগিয়ে নিন। এরপর একটি টিস্যু পেপার লাগিয়ে নিন নাকের ওপর। ডিমের প্রথম লেয়ারটি শুকিয়ে গেলে আরেকটি লেয়ার লাগিয়ে নিন। এরপর শুকিয়ে গেলে কাগজ গুলোকে টেনে তুলে ফেলুন। দেখবেন কাগজের সঙ্গে ব্ল্যাকহেডসও উঠে আসবে।
তৈলাক্ত ত্বকে ব্রণ হওয়ার প্রবল সম্ভবনা দেখা যায়। সেক্ষেত্রে একটি ডিমের কুসুম, এক চামচ মধু এবং এক চামচ বাদাম তেল নিয়ে তা ভালো করে মিশিয়ে নিন। এরপর প্যাকটি ত্বকে লাগান। ১৫ মিনিট পর হালকা গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন।
ত্বক উজ্জ্বল রাখতে একটি ডিমের কুসুম, এক চামচ ঘন ক্রিম এবং এক চামচ গাজরের রস মিশিয়ে একটি প্যাক বানিয়ে নিন। এবার এই প্যাকটি ত্বকে লাগিয়ে ৫ থেকে ১০ মিনিট অপেক্ষা করুন। শুকিয়ে গেলে কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। ত্বক উজ্জ্বল করে তুলবে।
আরটিভি/এফআই-টি
চোখের সমস্যা দূর করতে গাজর কতটা কার্যকর
চোখ দেহের সবচেয়ে স্বচ্ছ অঙ্গগুলোর একটি। চোখের সমস্যা আজকাল সব বয়সীদের মধ্যেই দেখা যায়। অনেকের ক্ষেত্রে আবার রাতে চোখে দেখায় অসুবিধা হয়। রাতকানা না হলেও, রাতেরবেলা দিনের তুলনায় চোখে দেখতে বেশ কষ্ট হয়। কী খেলে রাতের বেলাতেও দৃষ্টিশক্তি প্রখর হবে তা নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। অনেকে বলেন গাজর খেলে দৃষ্টিশক্তি প্রখর হয়। এমনকি যাদের রাতেরবেলা চোখে দেখার সমস্যা রয়েছে, তার সমাধানও নাকি লুকিয়ে রয়েছে এই সবজিতেই। চলুন জেনে নেওয়া যাক গাজর খেলে সত্যিই রাতে চোখে দেখার সমস্যা দূর হয় কিনা।
গাজরের মধ্যে রয়েছে বিটা-ক্যারোটিন। এই উপকরণ মানবশরীরে গিয়ে ভিটামিন এ- তে রূপান্তরিত হয়। আর ভিটামিন এ চোখের স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি উপকরণ। বিশেষ করে কর্ণিয়ার সমস্যা, কিংবা রাতের বেলায় চোখে দেখতে পাওয়ার অসুবিধা সংক্রান্ত বিষয় দূর করতে কাজে লাগে ভিটামিন এ। আসলে ভিটামিন এ আলোকে স্থানান্তরিত করে সিগন্যালে যার ভিত্তিতে সাড়া দেয় আমাদের মস্তিষ্ক।
কিন্তু তাই বলে শুধু গাজর খেলেই কিন্তু আপনার দৃষ্টিশক্তি সাংঘাতিক প্রখর হয়ে যাবে না। কারণ চোখের স্বাস্থ্যের খেয়াল রাখার জন্য গাজর নিঃসন্দেহে একটি প্রয়োজনীয় উপকরণ। কিন্তু শুধুমাত্র গাজরই যাবতীয় চোখ এবং দৃষ্টিশক্তি সংক্রান্ত যাবতীয় সমস্যা দূর করতে পারে না। এর জন্য দরকার আরও অনেক উপকরণ। তবে প্রতিদিন গাজর খেলে কী কী উপকার পাবেন, চলুন জেনে নেওয়া যাক
গাজরে রয়েছে ক্যারোটিনয়েডস। এই উপকরণ বিশেষ কিছু ধরনের ক্যান্সার রুখে দিতে সহায়তা করে।
গাজরে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার। তাই গাজর খেলে সহজে পেট ভরে এবং অনেকক্ষণ পেট ভর্তি থাকে। খাইখাই ভাব কমায়।
গাজরের মধ্যে গ্লাইসেমিক অ্যাসিডের পরিমাণ কম। তার ফলে ব্লাড সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে। তাই ডায়াবেটিস থাকলে গাজর খেতে পারেন।
ভিটামিন কে এবং ক্যালসিয়াম রয়েছে গাজরের মধ্যে। এই খাবার হাড়ের গঠন মজবুত করে। হাড় ক্ষয় হতে দেয় না।
ফাইবারের পরিমাণ বেশি থাকায় গাজর খেলে পেট ভর্তি লাগে এবং ওজন কমাতেও সাহায্য করে এই গাজর।
গাজরের মধ্যে রয়েছে ভিটামিন সি। এই উপকরণ শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরি করতে সাহায্য করে গাজর।
কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা এড়াতে নিয়মিত গাজর খেতে পারেন। কাঁচা গাজর ভালোভাবে ধুয়ে পরিষ্কার করে খেতে পারেন।
ব্লাড প্রেশার কমাতে গাজর সাহায্য করে। এছাড়াও গাজর খেয়াল রাখে হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্যের। হার্ট অ্যাটাকের প্রবণতাও কমে।
লিভারের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে গাজর খেতে পারেন। অ্যাসিডিটির সমস্যাও দূর করে এই গাজর।
আরটিভি/এফআই
ঝাল ছাড়া ‘রেলওয়ে মাটন কারির’ রেসিপি
কষা মাংস-লুচি, গরম ভাত-শুনলে জিভে জল আসে না এমন বাঙালি খুঁজে পাওয়া যাবে না। মোগল-ইংরেজদের সঙ্গে মিশে খাওয়া-দাওয়ার অভ্যাসে পরিবর্তন ঘটলেও একই থেকে গিয়েছে বাঙালির মাংস-ভাতের অভ্যাস। আর মাংস দিয়ে তৈরি হয় মুখরোচক নানা খাবার। খাসির মাংস দিয়ে কোন পদ রাঁধবেন, এই নিয়ে অনেকের মনে দ্বিধা থাকে। একটু অন্য রকম স্বাদে খাসির মাংস রাঁধতে চাইলে ঝাল ছাড়া মাটন কারি চেষ্টা করে দেখতে পারেন। রান্নার প্রণালীটিও বেশ সহজ। তাহলে ঝটপট রান্নার পদ্ধতিটি শিখে নিন।
উপকরণ:
মাটন - ১ কেজি
আদা রসুনের পেস্ট - ১ চা চামচ
কালো গোলমরিচ গুঁড়ো করা - আধ চা চামচ
বড় আলু ৪টি (খোসা ছাড়িয়ে কাটা)
হলুদ গুঁড়ো - ১/২ চা চামচ
কালো এলাচ - ২ টি
সবুজ এলাচ - ৩ টি
তেজপাতা - ১ টি
পেঁয়াজ ( ঝিরিঝিরি কাটা ) - ৫ টি মাঝারি সাইজের
ধনে গুঁড়ো - ২ টেবিল চামচ
হলুদ গুঁড়ো - ১ চা চামচ
টমেটো পিউরি - ১ কাপ
পানি - ২-৩ কাপ
লবণ - স্বাদমতো
তেঁতুল বাটা - ১ চা চামচ
স্পেশাল মশলা - ১ টেবিল চামচ
প্রণালী:
হাড়যুক্ত মাটন খুব ভালোভাবে ধুয়ে পানি ঝরিয়ে নিন। এবার একটি পাত্রে স্বাদ অনুযায়ী লবণ, আদা-রসুন বাটা, গোলমরিচের গুঁড়ো এবং এক চামচ সরিষার তেল মিশিয়ে খুব ভালো করে মটনে মাখিয়ে নিন। আধ ঘণ্টার মতো মাংসটা ম্যারিনেটে বসিয়ে দিন। আলুর খোসা ছাড়িয়ে লবণ হলুদ মাখিয়ে ভালো করে ভেজে তুলে রাখুন।
এবার বানিয়ে ফেলুন রেলওয়ে মাটনকারির স্পেশাল মশলা। বড় এবং ছোট এলাচ, কালো গোলমরিচ, মৌরি, ধনে, দারচিনি, পাথরের ফুল (অপশনাল) এবং সামান্য লবণ শুকনো কড়াইয়ে ভেজে তুলে নিন। ভাজা মসলা ব্লেন্ডারে নিয়ে মিহি করে গুঁড়ো করে নিন। পুরো মসলাটা রান্নায় লাগবে না। তাই এটি তুলে রাখতে পারেন। পরের কাজে ব্যবহার করতে পারবেন।
প্রেশার কুকারে সরিষার তেল গরম করে তাতে বড় এবং ছোট এলাচ, তেজপাতা ফোঁড়ন দিন। সুগন্ধ উঠলে তাতে ঝিরঝিরি করে কাটা পেঁয়াজ এবং স্বাদমতো লবণ দিয়ে ভাজতে থাকুন। লবণ দেওয়ার সময় খেয়াল রাখবেন যে, মাংস, আলু এবং স্পেশাল মশলাতেও আগে লবণ দেওয়া হয়েছে। তাই লবণের পরিমাণটা বুঝে দিন। পেঁয়াজ ভাজা ভাজা হয়ে আসলে তাতে ম্যারিনেট করা মাটন দিয়ে ভাজতে থাকুন। মাংস যতক্ষণ না পরিমাণে প্রায় অর্ধেক হয়ে যাচ্ছে ততক্ষণ ভাজুন। এবার এতে ধনে গুঁড়ো, হলুদ গুঁড়ো, টমেটো পিউরি দিয়ে মাঝারি থেকে বেশি আঁচে মিনিট দশেক কষান। মশলা থেকে তেল আলাদা হলে তাতে পানি এবং তেঁতুলের পেস্ট দিয়ে দ্রুত ফুটিয়ে নিন। তারপর প্রেশার কুকারের ঢাকনা বন্ধ করে মাঝারি থেকে উচ্চ আঁচে ৬ থেকে ৭ সিটি দিয়ে নিন।
প্রেশার কুকারের ভাপ বেরিয়ে গেলে ঢাকনা খুলে মাংসের ওপরে ধনেপাতা, ভাজা আলু এবং স্পেশাল মশলা ছড়িয়ে দিয়ে আরেকবার একটা সিটি দিন। তাহলেই তৈরি আপনার রেলওয়ে মাটন কারি। সাদা ভাত, পোলাও, রুটি, নান, পরোটা, কিংবা পাউরুটির সঙ্গে অসাধারণ খেতে লাগে এই রেলওয়ে মাটন কারি।
আরটিভি/এফআই
‘ইলিশ’ ভেবে উচ্চমূল্যে ‘সার্ডিন’ খাচ্ছেন না তো!
অনেক সময় আমরা আসল ইলিশ মাছ চিনতে ভুল করে থাকি। আর এই সুযোগটা কাজে লাগাচ্ছে অসাধু কিছু ব্যবসায়ী। তারা ইলিশ মাছের মতো দেখতে সার্ডিন মাছকে ইলিশ বলে চালিয়ে দিচ্ছে। উচ্চমূল্যে ইলিশ কিনে প্রতারণার শিকার হচ্ছেন সরল ক্রেতা।
চলুন, জেনে নেওয়া যাক সার্ডিন ও ইলিশ চেনার উপায়:
সার্ডিনের দেহ পার্শ্বীয়ভাবে পুরু এবং পিঠের দিকের চেয়ে পেটের দিক অপেক্ষাকৃত উত্তল ও চ্যাপ্টা।
ইলিশের দেহ পার্শ্বীয়ভাবে পুরু, পিঠের ও পেটের দিক প্রায় সমভাবে উত্তল।
সার্ডিন বা চন্দনা ইলিশের দেহের দৈর্ঘ্য সাত সেন্টিমিটার থেকে বিশ সেন্টিমিটার পর্যন্ত হয়ে থাকে। ইলিশ বেশ বড় (৭৫ সেন্টিমিটার পর্যন্ত) হয়ে থাকে।
সারডিনের মাথার আকৃতি ছোট ও অগ্রভাগ ভোতা। ইলিশের মাথার আকৃতি লম্বাটে ও অগ্রভাগ সূচালো।
সার্ডিনের পৃষ্ঠীয় পাখনার অগ্রভাগে এবং পুচ্ছ পাখনার কিনারা ঘোলাটে। ইলিশের পৃষ্ঠীয় পাখনার অগ্রভাগে এবং পুচ্ছ পাখনার কিনারা অনেটা সাদাটে।
সার্ডিনের চোখের আকৃতি তুলনামূলকভাবে বড়। আসল ইলিশের চোখের আকৃতি তুলনামূলকভাবে ছোট।
সার্ডিনের পার্শ্বরেখা বরাবর এক সারিতে আইশের সংখ্যা ৪০ থেকে ৪৮টি। ইলিশের ৪০ থেকে ৫০টি।
সার্ডিনের বুকের নিচে ধারালো কিল বোন বা স্কুইটস বিদ্যমান এবং স্কুইটস এর সংখ্যা ২৯টি থেকে ৩৪টি পর্যন্ত থাকে। ইলিশেল পেটের নিচে বিদ্যমান স্কুইটসের সংখ্যা ৩০ থেকে ৩৩টি পর্যন্ত থাকে।
সার্ডিনের পৃষ্ঠীয় পাখনার উৎসে একটি কালো ফোঁটা রয়েছে। আসল ইলিশের কানকুয়ার পরে একটি বড় কালো ফোঁটা এবং পরে অনেকগুলো কালো ফোঁটা (a series of small spots) থাকে।
সার্ডিনের মাথার দৈর্ঘ্য দেহের আদর্শ দৈর্ঘ্যরে শতকরা ২২ থেকে ৩২ ভাগ হয়ে থাকে। ইলিশের মাথার দৈর্ঘ্য দেহের আদর্শ দৈর্ঘ্যরে শতকরা ২৮ থেকে ৩২ ভাগ হয়ে থাকে।
আরটিভি/টিআই