ঢাকামঙ্গলবার, ১৭ জুন ২০২৫, ৩ আষাঢ় ১৪৩২

দুর্নীতির মামলায় স্বাস্থ্যের আবজালকে রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ

আরটিভি নিউজ

রোববার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২০ , ০৪:৪০ পিএম


loading/img
আবজাল হোসেন

দুর্নীতির মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জনের দুই মামলায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অফিস সহকারী আলোচিত আবজাল হোসেনকে রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

বিজ্ঞাপন

রোববার (১৩ সেপ্টেম্বর) দুদকের প্রধান কার্যালয়ে দুপুর ১টা থেকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন দুদকের উপ-পরিচালক মো. তৌফিকুল ইসলাম। জানা গেছে, এই জিজ্ঞাসাবাদ চলবে বিকেল ৫ টা পর্যন্ত।

এর আগে গত ২ সেপ্টেম্বর ঢাকা মহানগর দায়রা জজ পৃথক দুই মামলায় আবজাল হোসেনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৭ দিন করে মোট ১৪ দিনের রিমান্ডে মঞ্জুর করেন। গত ২৬ আগস্ট সকালে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশের আদালতে আবজাল তার আইনজীবীর মাধ্যমে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন। শুনানি শেষে বিচারক তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন। পরে বিকেলে আবজালকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ২ মামলায় ১০ দিন করে ২০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করে দুদক। 

বিজ্ঞাপন

২০১৯ সালের ২৭ জুন দুদকের উপ-পরিচালক মো. তৌফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১ কার্যালয়ে অবৈধ সম্পদ অর্জন, মানি লন্ডারিং এবং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনে পৃথক ২ টি মামলা দায়ের করেন।

মামলা দুটিতে আবজাল দম্পতির বিরুদ্ধে ৩৬ কোটি ৩০ লাখ ৬১ হাজার ৪৯৩ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন ও ভোগদখলে রাখার অভিযোগ আনা হয়েছে। মামলায় দীর্ঘ সময় ধরে স্থানান্তর, রূপান্তর ও হস্তান্তরের মাধ্যমে ২৮৪ কোটি ৫১ লাখ ১৩ হাজার ২০৭ টাকার মানি লন্ডারিং অপরাধের অভিযোগও করা হয়েছে।

আবজালের বিরুদ্ধে করা মামলায় ৪ কোটি ৭৯ লাখ ৩৪ হাজার ৪৪৯ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে। আবজালের স্ত্রী রুবিনা খানম ও আবজালকে যৌথভাবে আসামি করে দায়ের করা মামলায় ৩১ কোটি ৫১ লাখ ২৩ হাজার ৪৪ টাকার সম্পদের কথা বলা হয়েছে। তিনি দুদকের কাছে ৫ কোটি ৯০ লাখ ২৮ হাজার ৯২৬ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন করেছেন বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

আবজালের নামে থাকা সম্পদের চেয়ে তার স্ত্রীর নামে সম্পদের পরিমাণ বেশি। অবৈধ সম্পদ অর্জনের দায় থেকে নিজেকে রক্ষা করতে তিনি স্ত্রীর নামে সম্পদ করেছেন। এসব সম্পদের বৈধ উৎস খুঁজে পাওয়া যায়নি। এজাহারে আবজালের নামে ২০ কোটি ৭৪ লাখ ৩২ হাজার ৩২ টাকার মানিলন্ডারিং অপরাধের প্রমাণ মিলেছে। রুবিনা খানমের বিরুদ্ধে ২৬৩ কোটি ৭৬ লাখ ৮১ হাজার ১৭৫ টাকার মানি লন্ডারিং অপরাধের প্রমাণ পাওয়া গেছে বলে মামলায় উল্লেখ করেছে দুদক।

বিজ্ঞাপন

কেএফ/জিএ 

আরটিভি খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

বিজ্ঞাপন


© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৬-২০২৫ | RTV Online |