ঢাকারোববার, ০৬ এপ্রিল ২০২৫, ২৩ চৈত্র ১৪৩১

তরুণরা অত্যন্ত মেধাবী: প্রধানমন্ত্রী

আরটিভি নিউজ

বুধবার, ২৫ নভেম্বর ২০২০ , ১১:১৪ পিএম


loading/img
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমাদের ছেলে-মেয়েরা অত্যন্ত মেধাবী। চাকরির আশায় বসে না থেকে নিজেরাই ফ্রিল্যান্সিংয়ের মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করছে। ফ্রিল্যান্সিংকে সারা দেশে ছড়িয়ে দিতে বেশকিছু পরিকল্পনা নিয়ে সরকার। এখন সময় এসেছে ফ্রিল্যান্সকে পেশা হিসেবে নেওয়ার।

বিজ্ঞাপন

আজ বুধবার (২৫ নভেম্বর) আইসিটি খাতের প্রায় সাড়ে ৬ লাখ ফ্রিল্যান্সারের ডিজিটাল আইডি কার্ড প্রদান অনুষ্ঠান উদ্বোধনের আগে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, তরুণরা অল্পতেই সবকিছু শিখে নিতে পারে। তরুণরা পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের ভাষা শিখে নিজেরাই নিজেদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে পারবে। নিজের পায়ে দাঁড়াবে, নিজের বস নিজে হবে এবং নিজেরা কাজ করবে, আত্মমর্যাদা নিয়ে সমাজে মাথা উঁচু করে তরুণরা চলবে।

বিজ্ঞাপন

ফ্রিল্যান্সারদের কোনও স্বীকৃতি না থাকায় এতদিন নানামুখী সমস্যায় পড়তে হতো জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ফ্রিল্যান্সার এটাও একটা কাজ। এটাও এক ধরনের চাকরি। কিন্তু এটা হচ্ছে নিজেই নিজের বস এবং নিজে শুধু বস না আরও অন্যকে কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দেওয়া, অন্যের বস হওয়া। অর্থাৎ অন্যকে কাজ করার সুযোগ করে দেওয়া, সেই সুযোগটাও হবে।

এই কাজে সহযোগিতার জন্য তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়কে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, সজীব ওয়াজেদ জয়কে শুরু থেকে বলেছি এটা করতে হবে। কীভাবে করতে হবে তুমি বলো এবং সেভাবে পরামর্শ দাও। তার কাছ থেকেই পরামর্শ নিয়েছি। বলতে গেলে আসলে আমি কম্পিউটার শিখেছি সজীব ওয়াজেদ জয়ের কাছ থেকে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, এটা ফ্রিল্যান্সারদের সামাজিক পরিচিতির পাশাপাশি ব্যাংক লোন পেতে সহায়তা করবে এবং ক্ষমতায়নে সহযোগিতা করতে পারবে। চাকরি খোঁজার ঝামেলা আর করতে হবে না। নিজেরাই কিছু কাজ করার সাহস পাবে। এমনকি ঘরে বসে যারা ঘরের গিন্নিরাও  কিছু কাজ করে অর্থ উপার্জন করতে পারবেন। লেখাপড়া শিখে শুধু ঘরে বসে গিন্নিগিরি করা না, সেই সাথে ফ্রিল্যান্সিং করেও অনেকে অর্থ উপার্জন করার সুযোগ পাবে। এতে মায়েদের ছেলেমেয়েগুলো যেমন মাকে কাছে পাবে, আবার সঙ্গে সঙ্গে মাও অর্থ উপার্জন করতে পারবেন, কারও মুখাপেক্ষী হতে হবে না।

বিজ্ঞাপন

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আজকের এই উদ্যোগে সমাজে একটা স্বীকৃতি আসবে, সম্মান আসবে, অর্থ উপার্জন করতে পারবে। এমনকি আমাদের অর্থনীতিতেও বিরাট অবদান রাখবে। ছেলেমেয়েরা বিদেশে গিয়ে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করবে, ওটা তো রেমিট্যান্স আকারেই বাংলাদেশে আসবে। এটাও আমাদের এখন হিসাব নিতে হবে যে কারা কত অর্থ উপার্জন করলো। নিজেরাই নিবে কিন্তু হিসাবটা আমরা পাবো। এই খাতে কত অর্থ উপার্জন হলো। এটাও একটা রেমিট্যান্স হবে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ এগিয়েছে, বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে। তারা (তরুণরা) আমাদের সমাজে বিরাট অবদান রেখে যাচ্ছে। তারা আরও গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে। তরুণরা পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের ভাষা শিখে নিজেরাই নিজেদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে পারবে। নিজের পায়ে দাঁড়াবে, নিজের বস নিজে হবে এবং নিজেরা কাজ করবে আত্মমর্যাদা নিয়ে সমাজে মাথা উঁচু করে চলবে তারা।

এফএ

আরটিভি খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

বিজ্ঞাপন


© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৬-২০২৫ | RTV Online |