নতুন সড়ক পরিবহন আইনকে থোড়াই কেয়ার করে রাজধানীর সড়কে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে ফিটনেসহীন গাড়ি। এসব যানবাহনের কারণে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটছে। তারপরও যেন কারো মাথাব্যথা নেই। নতুন সড়ক পরিবহন আইনে এ বিষয়ে কঠোর শাস্তির বিধান থাকলেও বাস মালিকদের চাপে এখানেও নতিস্বীকার করে আছে সরকার।
সময়ের সঙ্গে ক্ষয়ে গেছে বা ভেঙেচুরে লক্কড়-ঝক্কড় হয়ে ডাম্পিং উপযোগী হয়ে গেছে এমন যানবাহনগুলোকে ঠিকঠাক করে রাস্তায় চালানোর উপযোগী করতে সিদ্ধহস্ত গাড়িমিস্ত্রি মনির হোসেন। ভাঙাচোরা গাড়ি কীভাবে রাস্তায় চলবে তা ঠিক করার দায়িত্ব তার। এতো গেলো ভাঙা গাড়ি রাস্তায় আসার পেছনের কথা।
এসব যানবাহন যারা রাস্তায় চালান তাদের একজন গাড়িচালক লোকমান হোসেন আরটিভি নিউজকে বলেন, ফিটনেস তো গাড়িতে নেই। মনে করেন হাওয়ার ওপর চলে।
ফিটনেসবিহীন গাড়ির বিরুদ্ধে অভিযান আসলে কতোটা কার্যকর হচ্ছে ঢাকার রাস্তায় এসব গাড়ি দেখেই তা সহজে বোঝা যায়।
যাত্রীরা বলেন, দেখেন এর দূরত্ব কতটুকু। একজন মানুষ আসবে-যাবে কিভাবে, তার কোনো ব্যবস্থা নেই।
অথচ এসব গাড়ি রাস্তায় চলতে পারবে না বলে সংশোধিত সড়ক আইনে স্পষ্ট বলা আছে। আইনে বলা আছে, ফিটনেসবিহীন ঝুঁকিপূর্ণ মোটরযান চালালে ছয় মাসের কারাদণ্ড বা ২৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ড বা উভয়দণ্ডে দণ্ডিত হবে।
অথচ বিআরটিএর হিসেব বলছে, ঢাকার রাস্তায় বাস-মিনিবাস চলছে প্রায় হাজার পাঁচেক, যেগুলোর ৮০ শতাংশেরই ফিটনেস নেই।
ফিটনেসহীন গাড়ি যদি রাস্তায় না-ই চলার অনুমতি থাকে, তাহলে কি করে এগুলো রাস্তায় চলছে? উত্তরে বাস্তব অবস্থাটাই স্বীকার করে নিলেন বিআরটিএ’র এই কর্মকর্তা।
বিআরটিএ’র (রোড সেফটি) রোড সেফটি উইং এর পরিচালক শেখ মোহাম্মদ মাহবুব-ই-রব্বানী বলেন, এটি দীর্ঘদিনের পদ্ধতি। এটি আমরা চাইলেও হঠাৎ করে পরিবর্তন করতে পারব না। কারণ এর সাথে লাখ লাখ মানুষের আয়ের উৎস জড়িত। পর্যায়ক্রমে ও মালিক-শ্রমিক যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সে ভাবেই কাজ করা হবে। আমরা যাত্রীদের সেবার মান শতভাগ ঠিক করার লক্ষ্যে কাজ করছি।
ডিএমপির ট্র্যাফিক (উত্তর) পুলিশের যুগ্ম-পুলিশ কমিশনার মো. আব্দুল রাজ্জাক বলেন, বিআরটিএ কর্তৃপক্ষ যেমন ব্যবস্থা নিয়ে থাকেন আমরাও তেমনি ব্যবস্থা গ্রহণ করে থাকি। তবে মাঝে মাঝেই ফিটনেসহীন যানবাহনের বিরুদ্ধে আমরা অভিযান চালাই।
জিএম/পি