আর্থিক প্রতিষ্ঠান পিপলস লিজিং অ্যান্ড ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসের ঋণখেলাপিদের আইনজীবীদের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন আদালত।
আজ মঙ্গলবার সকালে হাইকোর্টের কোম্পানি বেঞ্চের বিচারক মোহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকারের একক বেঞ্চে উপস্থিত হন তারা।
এ সময় আইনজীবীদের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করে আদালত বলেন, সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকারও বেশি অর্থ আত্মসাৎ করে কানাডায় পালিয়ে যাওয়া প্রশান্ত কুমার (পি কে) হালদার এবং এসকে সুর চৌধুরী কী আকাম-কুকাম করলো, সেটা নিয়ে হাইকোর্ট বসে থাকবে না।
আদালতের কি আর কোনও কাজ নেই! দুদক কী ব্যবস্থা নিলো? আমরা আদেশ দিলাম কতো আগে, আর জানুয়ারি মাসে এসে জানানো হলো, পি কে হালদার বিদেশ পালিয়ে গেছেন।’
বাংলাদেশ ব্যাংকের আইনজীবীর কাছে আদালত জানতে চান, ‘পিপলস লিজিং অ্যান্ড ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস লিমিটেডের হেড অফিস কোথায়? সেখানে কম্পিউটার, চেয়ার টেবিল কি কিছু আছে? প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক, অন্য লোকজন ও পিয়ন আছে?’
শুনানিতে আরেক খেলাপির আইনজীবী ২৭ কোটি টাকা দিতে সময় চাইলে আদালত পিপলস লিজিংয়ের আইনজীবীর কাছে জানতে চান, ‘উনার কতো টাকা?’ আইনজীবী জানান, ‘১১৬ কোটি টাকা’। তখন আদালত বলেন, রাস্তায় যে ক্লায়েন্টরা না খেয়ে আছেন তাদেরকে দেখবে কে?
জেবি