সময়ের আলোচিত ও সমালোচিত চিত্রনায়িকা পরীমণি। সিনেমাপাড়ায় তেমন তৎপর না হলেও বারবার গণমাধ্যমের শিরোনাম হয়েছেন তিনি। নানা নেতিবাচক কর্মকাণ্ডে হয়েছেন টক অব দা কান্ট্রি। ‘ভালোবাসা সীমাহীন’ সিনেমার হাত ধরে ২০১৫ সালে পরিচিতি পাওয়া পরীর সীমাহীন উচ্ছৃঙ্খলতার লাগাম টেনে ধরেছে র্যাব। মাদক মামলায় গ্রেপ্তার এই চিত্রনায়িকা এখন সিআইডির রিমান্ডে।
দেশের একটি দৈনিক পত্রিকার অনলাইন ভার্সনে সূত্রে জানা গেছে, চিত্রনায়িকা পরীমণি ও প্রযোজক নজরুল ইসলাম রাজ, আশরাফুল ইসলাম ওরফে দীপু মামা, ম্যানেজার সবুজ আলী ও মডেল মরিয়ম আক্তার মৌকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। পরীমণিকে ঘিরে একের পর এক চাঞ্চল্যকর খবর সামাজিক মাধ্যম থেকে গণমাধ্যমে ঝড় তুলেছে। দানা বাঁধছে নানা প্রশ্ন। সব প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে, তাদের মুখোমুখি করেও জিজ্ঞাসা করছে সিআইডি।
-
আরও পড়ুন... যে কারণে তিন বছর পরীর খরচ চালিয়েছেন রাজ
তবে ঠিক কোন বিষয়ে তাদের মুখোমুখি করা হচ্ছে? এমন প্রশ্ন ডালপালা ছড়িয়েছে। তবে সূত্র বলছে, মাদক কারবার, প্রতারণা ও পর্নোগ্রাফি সংক্রান্ত বিষয়ে জানার চেষ্টা করছে পুলিশ। পরীমণির সহযোগী রাজ ও সবুজের বিরুদ্ধে মাদক ও পর্নোগ্রাফি আইনে মামলা হয়েছে। অন্যদের বিরুদ্ধেও হয়েছে মাদকের মামলা।
তথাকথিত প্রযোজক রাজ স্বীকার করেছেন, উঠতি অনেক মডেলকে তিনি ফাঁদে ফেলেছেন। এখন পর্যন্ত দুশর বেশি মডেল-অভিনেত্রীর সঙ্গে তার পরিচয় হয়েছে। গ্রাম থেকে ঢাকায় আসার পর পরীমণিকেও তিনিই আশ্রয় দিয়েছেন বলে রিমান্ডে জানিয়েছেন। প্রথম তিন বছর পরীমণির খরচ বহন করেন বলেও দাবি রাজের।
-
আরও পড়ুন... টিকটক-লাইকিতে সুন্দরী খুঁজতেন রাজ
তবে তদন্ত-সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, মাদক মামলায় আটক পরীমণি ও মৌ মাদক কারবারে জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করছেন।
জিজ্ঞাসাবাদে রাজ জানান, তার সংঘবদ্ধ একটি গ্রুপ রয়েছে। তাদের কাজ সোশ্যাল মিডিয়ার বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে যারা টিকটক-লাইকিতে অভিনয় করেন সেখান থেকে সুন্দরীদের খুঁজে বের করা। এরপর তাদের কাছে নানা ধরনের প্রস্তাব নিয়ে যাওয়া হয়। কেউ ফাঁদে পা দিলে তখন উঠতি ওই মডেল ও অভিনেত্রীদের ছবি প্রভাবশালীদের কাছে পাঠান রাজ। এভাবে দীর্ঘদিন ধরে মডেল-অভিনেত্রীদের ব্যবহার করে আসছিলেন তিনি।
এসএস