কক্সবাজারে অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যা মামলায় বরখাস্ত ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ও বরখাস্ত পরিদর্শক লিয়াকত আলীর মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
এ ছাড়া ৬ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং ৭ জনকে খালাস দিয়েছেন আদালত। তবে এ রায়ে সন্তুষ্ট নয় রাষ্ট্রপক্ষ। তারা উচ্চ আদালতে আপিল করবেন বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ফরিদুল ইসলাম।
সোমবার (৩১ জানুয়ারি) বিকেল ৪টা ২১ মিনিটে কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইল রায় ঘোষণা করার পর এ কথা জানান আইনজীবী ফরিদুল ইসলাম।
তিনি বলেন, এ মামলায় যাবজ্জীবনপ্রাপ্ত ও খালাসপ্রাপ্তদের একই শাস্তি হওয়া দরকার ছিল। আমরা উচ্চ আদালতে আপিল করব।
এ মামলায় খালাসপ্রাপ্তরা হলেন
বরখাস্ত হওয়া সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) লিটন মিয়া, বরখাস্ত হওয়া কনস্টেবল সাফানুর করিম, কামাল হোসেন, আব্দুল্লাহ আল মামুন, এপিবিএনের বরখাস্ত হওয়া উপপরিদর্শক (এসআই) মো. শাহজাহান, বরখাস্ত হওয়া কনস্টেবল মো. রাজীব ও মো. আবদুল্লাহ।
এ ছাড়া যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন
প্রদীপের দেহরক্ষী রুবেল শর্মা, বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের বরখাস্ত উপপরিদর্শক (এসআই) নন্দ দুলাল রক্ষিত ও বরখাস্ত কনস্টেবল সাগর দেব এবং টেকনাফ থানায় পুলিশের দায়ের করা মামলার সাক্ষী টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুরের মারিশবুনিয়া গ্রামের নুরুল আমিন, মো. নেজামুদ্দিন ও আয়াজ উদ্দিন।
প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের ৩১ জুলাই ঈদুল আজহার আগের রাত সাড়ে ৯টার দিকে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর এপিবিএন চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান।
হত্যাকাণ্ডের ৪ দিন পর ৫ আগস্ট সিনহার বড় বোন শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌস বাদী হয়ে টেকনাফ থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশসহ ৯ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন।
এনএইচ/এসকে