ঢাকাবুধবার, ০৯ এপ্রিল ২০২৫, ২৬ চৈত্র ১৪৩১

রোহিঙ্গা সংকট : আরও সহযোগিতার আহ্বান ইউএনএইচসিআরের  

আরটিভি নিউজ

বুধবার, ২৪ আগস্ট ২০২২ , ০৮:৪৫ এএম


loading/img
ফাইল ছবি

বাংলাদেশে আশ্রয় গ্রহণকারী মিয়ানমারের নাগরিকদের জন্য আরও বেশি আর্থিক সহায়তা নিশ্চিত এবং রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে ব্যাপক প্রচেষ্টা চালানোর আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা (ইউএনএইচসিআর)।

বিজ্ঞাপন

মঙ্গলবার (২৩ আগস্ট) জেনেভায় এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ আহ্বান জানান ইউএনএইচসিআর’র মুখপাত্র শাবিয়া মন্টু। 

তিনি বলেন, সাত লাখের অধিক রোহিঙ্গা নারী পুরুষ ও শিশু মিয়ানমার থেকে পালিয়ে এসে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। এ সপ্তাহে তাদের দেশ ছেড়ে পালিয়ে আসার পাঁচ বছর পূর্ণ হলো। বিগত কয়েক বছরে আরও হাজার হাজার রোহিঙ্গা দেশ ছেড়ে পালিয়ে এসে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, মিয়ানমার তাদেরকে দেশে ফিরিয়ে নিতে অস্বীকার করায় পরিস্থিতি জটিল হয়েছে। 
ইউএনএইচসিআর’র মুখপাত্র শাবিয়া মন্টু বলেন, এতে একটি মানবিক সংকট সৃষ্টি হয়েছে। বাংলাদেশ সরকার  এবং স্থানীয় কমিউনিটি দাতা সংস্থাগুলোর সহায়তায় মানবিক কারণে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় ও সহায়তা দিয়ে আসছে। এখন কক্সবাজারে বিশ্বের সবচেয়ে বড়  শরণার্থী আশ্রয় শিবিরে রূপ নিয়েছে। রোহিঙ্গারা ইউএনএইচসিআরকে বলেছে, তারা তাদের দেশ মিয়ানমারে ফিরে যেতে চায়, তবে এ জন্য প্রয়োজন তাদের নিরাপত্তা ও মর্যাদা নিশ্চিত করা। তারা তাদের নাগরিকত্বের স্বীকৃতি চায় এবং উপার্জনের নিশ্চয়তা চায়।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের কক্সবাজারে এখন প্রায় ১০ লাখের বেশি রোহিঙ্গা মানবেতর জীবনযাপন করছে। তাদের বেঁচে থাকার জন্য মানবিক সহায়তার প্রয়োজন। 

তিনি আরও বলেন, অর্থ সহায়তা কমে যাওয়ায় তারা তাদের দৈনন্দিন জীবনে অনেক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছে। আশ্রয়কেন্দ্রে যথাযথ পুষ্টি, আশ্রয় সামগ্রী, পয়ঃনিষ্কাশন সুবিধা এবং বেঁচে থাকার সুযোগ-সুবিধাসহ বিভিন্ন ধরনের মানবিক সহায়তা প্রয়োজন।

বিজ্ঞাপন

মন্টু আরও বলেন, প্রায়শই নানা ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনার খবর প্রকাশ হচ্ছে, এ জন্য আশ্রয়কেন্দ্রে বসবাসরত নারী ও শিশুদের জন্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা প্রয়োজন। শিশু ও নারীদের বিরুদ্ধে সহিংসতা বিশেষ করে জেন্ডার ভিত্তিক সহিংসতার ঘটনা ঘটলেও তারা আইনি সহায়তা এবং প্রয়োজনীয় মেডিকেল সুবিধা পায় না।

তিনি আরও বলেন, শিক্ষা, দক্ষতা উন্নয়ন এবং বেঁচে থাকার সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করার জন্য অবশ্যই পদক্ষেপ নিতে হবে। বাংলাদেশে অবস্থানকালে তাদের নিরাপত্তায় সহায়তা দিতে হবে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশে প্রায় ১০ হাজার রোহিঙ্গা শিশু মিয়ানমারের কারিকুলামে এবং মিয়ানমার ভাষায় লেখাপড়া করছে। এ অবস্থার আরও প্রসারে আরও সহায়তা প্রয়োজন। সূত্র : বাসস

আরটিভি খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

বিজ্ঞাপন


© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৬-২০২৫ | RTV Online |