ডেঙ্গুর প্রকোপ সাধারণত এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দেখা যায়। তবে এবার অক্টোবরেও পরিস্থিতি বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চলতি মাস জুড়েই ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব বড় আকারে থাকবে। তবে, নভেম্বরে ডেঙ্গুর প্রকোপ কমে আসবে। কারণ, তখন শীতের পাশাপাশি বৃষ্টিরও আশঙ্কা থাকে না।
বর্তমানে ডেঙ্গুর সবচেয়ে বড় হটস্পট ঢাকার মিরপুর। এ ছাড়া ক্রমান্বয়ে উত্তরা, মুগদা, যাত্রাবাড়ী ও ধানমন্ডিতে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত বেশি। রাজধানীর বাইরে আরও অন্তত ৫০ জেলায় ডেঙ্গু ছড়িয়ে পড়লেও মূলত পাঁচ বিভাগে বেশি রোগী মিলছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি কক্সবাজার জেলায়।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে চলতি মাসে ডেঙ্গুর প্রকোপ বেশি। মূলত, এ বছর দেরিতে বর্ষা আসার পাশাপাশি থেমে থেমে বৃষ্টি হওয়ায় এডিস মশার প্রজনন অক্টোবরেও বেশি ছিল। ফলে দীর্ঘায়িত হয়েছে ডেঙ্গু মৌসুম।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবির বলেন, হাসপাতালে আসা অধিকাংশ রোগী আগেও এক বা একাধিকবার ডেঙ্গুতে আক্রান্ত ছিলেন। তাই এবারের লক্ষণগুলো প্রকট। অনেক রোগী জটিল পরিস্থিতি নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন। ফলে ভর্তির ৩ দিনের মধ্যে বেশি মারা যাচ্ছেন।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ও কীটতত্ত্ববিদ কবিরুল বাশার গণমাধ্যমকে বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে অক্টোবরেও ডেঙ্গুর প্রকোপ বেশি ছিল। এমন পরিস্থিতি আরও ২ সপ্তাহ থাকতে পারে।
এদিকে চিকিৎসকরা বলছেন, সঠিক সময়ে চিকিৎসা না নেওয়ায় ডেঙ্গু রোগীর শরীর হঠাৎ নিস্তেজ হয়ে যাওয়া, হেমোরেজিক ফিবার বা অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণে মৃত্যু বাড়ছে।
উল্লেখ্য, চলতি বছরে ১৬ অক্টোবর পর্যন্ত সারাদেশে ২৫ হাজারের বেশি ডেঙ্গু রোগী আক্রান্ত হয়েছেন। এরমধ্যে মারা গেছেন ৯৪ জন।